‘জাতীয় স্বার্থে সমঝোতায় আসুন, একই দিনে জাতীয় ও গণপরিষদ নির্বাচন দিন’

নাসরুল আনোয়ার, হাওরাঞ্চল
নাসরুল আনোয়ার, হাওরাঞ্চল
শেয়ার
‘জাতীয় স্বার্থে সমঝোতায় আসুন, একই দিনে জাতীয় ও গণপরিষদ নির্বাচন দিন’
ছবি: কালের কণ্ঠ

‘জাতীয় স্বার্থের দিকটি বিবেচনা করে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর এখনই সমঝোতায় আসা জরুরি। সমঝোতা হলে একই দিনে জাতীয় সংসদ ও সংবিধান সভার নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছিল এভাবেই। পাকিস্তানি সামরিক জান্তা এদেশের ওপর অন্যায় যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল।

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর প্রতিবাদী ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে আবারো দেশ গঠনের সুযোগ এনে দিয়েছে। এ সুযোগ হাত ছাড়া হলে এর দায় নিতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকেই’। 

মিট দ্যা প্রেসে কথাগুলো বলেছেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম। বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরশহরের বসন্তপুরে পুনর্বিন্যাস পাঠাগার মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও মেসাকারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

 

সকলকে সংকীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখারও আহ্বান জানিয়ে তিনি মিট দ্যা প্রেসে বলেন, ‘সংস্কার প্রশ্নে দ্বিধাবিভক্তি ছেড়ে রাজনৈতিক দলসমূহ সমঝোতায় পৌঁছাতে পারলে একটিমাত্র নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একসঙ্গেই জাতীয় সংসদ ও সংবিধান সভা তথা গণপরিষদ নির্বাচন হতে পারে। এতে আস্থার সঙ্কট কেটে যাবে এবং বিদ্যমান ক্ষত কাটিয়ে দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা যাবে’। 

মিট দ্যা প্রেসে সংস্কার প্রশ্নে বিএনপির বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হাসনাত কাইয়ূম জানান, ঢাকাসহ চারটি বিভাগে তাঁর দলের সমঝোতা সংলাপে বিএনপির নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত রেখে তাদের ভাবনার কথা শুনেছেন। আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের দুঃশাসনে নিপীড়নের শিকার বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সংস্কার চান।

তারা আর নির্যাতিত হতে চান না। আবারো সহিংসতা ও বিভাজন চান না।

তিনি বলেন, ‘সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে- সব দলেই এমনটা চায় এরকম মানুষ যেমন আছে, আবার এটা না চাওয়ার মতো মানুষও আছে। ছাত্রদের গঠন করা নতুন দলসহ যেসকল রাজনৈতিক দল সংস্কারের প্রশ্নে আন্তরিক, তাদের কণ্ঠস্বর আরো জোরালো করে জনগণের কাছে সংস্কারের বার্তাটি পৌঁছাতে হবে। জনগণ এ দাবির সঙ্গে কণ্ঠ মেলালে বিএনপি সংস্কারের দাবি না মেনে পারবে না’।

কল্যাণ রাষ্ট্রের বিষয়ে হাসনাত কাইয়ূম বলেন, ‘প্রাগৈতিহাসিক পর্ব অতিক্রম করছি আমরা। রাষ্ট্র আমার টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে আমার সন্তানকে গুলি করে মারবার জন্য আমার ভাইকে ব্যবহার করতে পারে। ব্রিটিশের আগের কম্পানি আমলে মতোই এদেশে এ ব্যবস্থা বিদ্যমান। এখানে যা ইচ্ছে তাই করা যায়। এ বর্বর পরিস্থিতি থেকে রাষ্ট্রকে ফিরিয়ে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রূপান্তর হচ্ছে প্রথম কাজ। যে রাষ্ট্র আমাদের খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান ও নিরাপত্তাসহ মৌলিক-মানবিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করবে’।

তিনি আরো বলেন, ‘দশ ভাগ মানুষের হাতে দেশের নব্বই ভাগ সম্পদ রয়েছে। কিন্তু সম্পদের অনুপাতে কর আদায় করার রীতি না থাকায় এক্ষেত্রেও চরম বৈষম্য রয়েছে। যেমন মোবাইল ফোন ব্যবহারের বেলায় একজন ভিখারি যে হারে কর পরিশোধ করে, কোটিপতিও এদেশে একই হারে কর দেয়। পরোক্ষভাবে আদায় করা ভ্যাটের নব্বই ভাগের বেশি টাকা যায় সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে। আবার কোটিপতিরা মাত্র ১০ ভাগ ভ্যাট পরিশোধ করে নব্বই ভাগ সুবিধা ভোগ করে। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রের ভেতরের এরকম বৈষম্য কমাতেই রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হবে’।

মিট দ্যা প্রেসে অন্যান্যের মধ্যে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের জাতীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য হরিপদ দাস নান্টু, বাজিতপুর উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক শামসুল হক কাজল, সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম কাজল, নিকলী উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক খায়রুল মোমেন স্বপনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কাফনের কাপড় পরার প্রয়োজন হলেও বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা হবে : গয়েশ্বর

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
কাফনের কাপড় পরার প্রয়োজন হলেও বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা হবে : গয়েশ্বর
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েস্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘কাফনের কাপড় পরার প্রয়োজন হলেও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া বিটি মাঠে বৈশাখী মেলা অনুষ্ঠিত হবেই। কেউ তা বন্ধ করতে পারবে না। যুগের পর যুগ এ মাঠে মেলা হয়ে আসছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে এই মাঠে কোনো মেলার আয়োজন করতে পারিনি।

এখন খুনি হাসিনা নেই আমরা মুক্ত। তাই এ মাঠে আনন্দ পালনের মধ্য দিয়ে মেলা হবে।’

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে তেঘরিয়া বিটি মাঠে মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

গয়েস্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, ১৮৪২ সাল থেকে এই মাঠটি বিটি মাঠ হিসেবে পরিচিত।

বিগত সরকারের আমলে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিছু মানুষের জমি অধিগ্রহণ না করে এই মাঠটি তার বাবার নামে নামকরণ করেন। পরে জানতে পারি, মাঠটি বর্তমানে ক্রীড়া উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে চলে গেছে। বিষয়টা আমাকে হতাশ করেছে।

তিনি আরা বলেন, প্রাচীন কাল থেকেই এই মাঠে প্রতিবছর বৈশাখ মাসে মেলার আয়োজন হয়।

বিগত সরকারের আমলে তা বন্ধ হয়ে যায়। এখন আমরা স্বাধীন ও মুক্ত। এই বছর জনগণ স্বাধীনভাবে বৈশাখী মেলা ব্যাপকভাবে পালন করবে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মাঠ পরিদর্শন সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, কেরানীগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া, কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেল( দক্ষিণ) সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম সুমন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, বিটি মাঠ নিয়ে মেলা হওয়াকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ায় নানা সমালোচনা দেখা দেয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ১০ এপ্রিল মাঠটিতে মেলার অনুমতি বাতিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া।

মন্তব্য

মানসিক রোগীকে হুমকির পর মেরে হাসপাতালে পাঠাল যুবদল নেতা

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
মানসিক রোগীকে হুমকির পর মেরে হাসপাতালে পাঠাল যুবদল নেতা

ঢাকার কেরানীগঞ্জে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে প্রথমে মানসিক রোগীকে হুমকি এবং পরে মারধর করে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে নব্য যুবদল নেতা রাসেল সরকার ও তার দুই ভাই মাসুদ ও মেরাজের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় উপজেলার শাক্তা ইউনিয়নের নতুন রায়েরচর গ্রামের হাজী রহমত আলীর ছেলে মানসিক রোগী তাজিম উদ্দীন সেলুনে গেলে পাগল বলে গালিগালাজ শুরু করে সাবেক যুবলীগ নেতা ও একই গ্রামের সালাউদ্দিনের ছেলে রাসেল সরকার। এসময় তাজিমউদ্দীন প্রতিবাদ করলে সেলুনে থাকা খুর দিয়ে তাকে আঘাত করে রাসেল। এতে তাজিমউদ্দীনের হাতের একটি আঙুল কেটে যায় (যাতে ১৮টি সেলাই লাগে)।

পরে সে রাসেলের ওপর চড়াও হতে গেলে রাসেল তার পরিবারকে খবর দেয়। খবর পেয়ে তার দুই ভাই মাসুদ ও মেরাজ ঘটনাস্থলে আসে। সেখানে হাত কাঁটা অবস্থায় তাজিমউদ্দীকে তারা পুনরায় উপর্যুপরি কিল ঘুষি লাথি মেরে জখম করে। পরে স্থানীয় ও তাজিমউদ্দীনের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে রাজধানীর একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভুক্তভোগী তাজিমউদ্দীম মানসিক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

এদিকে অভিযুক্ত রাসেল বলেন, আমি সেলুনে সেভ করতে গেলে সেখানে তাজিমউদ্দীকে দেখতে পাই। পাশ থেকে কেউ একজন তাকে পাগল বলে ডাকলে সে আমাকে সন্দেহ করে সেলুনের কেচি নিয়ে আমার দিকে তেরে আসে আমি তাকে বাধা দিলে তার কেচি দিয়ে তার হাত কেটে যায়। পরে সে আমার দিকে তেরে আসলে সেখান দিয়ে আমার দুই ভাই যাওয়ার সময় বিষয়টি দেখে তাজিমউদ্দীকে ছাড়িয়ে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব আল হোসাইন জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধী যেই হোক কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। 

মন্তব্য

কমলগঞ্জে আগুনে পুড়ল বসতবাড়ি : দুজন দগ্ধ

    ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
কমলগঞ্জে আগুনে পুড়ল বসতবাড়ি : দুজন দগ্ধ
ছবি: কালের কণ্ঠ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের উপজেলা চৌমুহনীর শাহজালাল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের মালিক মো. দুরুদ মিয়া অর্ধপাকা বসতবাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। এ সময় আগুনে দগ্ধ হয়েছেন বাড়ির মালিক দুরুদ মিয়া ও হোটেল ম্যানেজার আবুল কালাম। গুরুতর আহত দুরুদ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য  ঢাকার বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আগুনে পুড়ে বাসার ৩টি রুমের প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ভোর ৬টায় পৌরসভার ২নং ওযার্ড বড়গাছ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুরুদ মিয়ার ছেলে আলী হোসেন জানান, তাদের পরিবারে সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুনের তাপে তাদের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠেই দেখেন রুমে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।

এ সময় রুম থেকে বের হওয়ার সময় বাবা আগুনে শরীর কয়েকটি স্থানে পুড়ে গেছে। আমরা চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আগুন নেভাতে গিয়ে হোটেল ম্যানেজার আবুল কালাম আহত হন। আবুল কালামকে মৌলভীবাজার হাসপাতালে চিকিৎসা দিলেও গুরুতর দগ্ধ বাসার মালিক দুরুদ মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বার্ণ ইউনিট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পরে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস দল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে বাসার টিভি, ফ্রিজসহ আসবাবপত্রসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়।’ তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে বলে দাবি করেন। 

কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ফয়েজ আহমদ বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

মন্তব্য

আদালতের মালখানা থেকে চুরি হওয়া টাকাসহ সোনা-রুপা উদ্ধার, আটক ৫

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতের মালখানা থেকে চুরি হওয়া টাকাসহ সোনা-রুপা উদ্ধার, আটক ৫
ছবি: কালের কণ্ঠ

নাটোর আদালতের মালখানা থেকে চুরি হওয়া ২৪ লাখ টাকা, ১৬ ভরি সোনা এবং ১৯ কেজি রুপা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাকি টাকা উদ্ধারে পুলিশ অভিযানে রয়েছেন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) নাটোর সার্কিট হাউস এলাকা থেকে মালামালগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে আদালতের পুলিশ কর্মকর্তারা অফিসে প্রবেশ করলে স্টোর রুমের তালা ভাঙা দেখতে পান। বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাটি পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান।

খবর পেয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইনসহ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় জানালার গ্রিল কাটা ও স্টোর রুমে তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ ৬১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ও সোনা ১৬ ভরি এবং ১৯ কেজি রুপা চুরি করে পালিয়ে যায়।

 

এর আগে তারা আদালতের আশপাশের সিসিটিভি সংযোগ এবং ভিডিও রেকর্ডিংগুলো বিচ্ছিন্ন করে খুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে পুলিশ আটক করে। পুলিশের কয়েকটি টিম চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারে কাজ করে।

নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, পুলিশের হেফাজতে থাকা ছাব্বির নামে এক ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাটোর সার্কিট হাউসের প্রাচীরের নিচ থেকে ২৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা, প্রায় ১৬ ভরি সোনা ও ১৯ কেজি রুপা উদ্ধার করে।

উদ্ধার হওয়া মালামাল গণনার কাজ চলছে। একই সঙ্গে বাকি টাকা উদ্ধারে কাজ করছে পুলিশ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ