ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ লেনদেন, আটক ২

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ প্রতিনিধি
শেয়ার
পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ লেনদেন, আটক ২
সংগৃহীত ছবি

নওগাঁয় চলমান পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগে অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রতারণায় বিজিবি সদস্যসহ এক প্রতারককে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি ব্যাংকের স্বাক্ষরিত ফাঁকা চেক ও স্বাক্ষরিত ১২টি ১০০ টাকা মূল্যমানের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প উদ্ধার করা হয়। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালায়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাফিউল সারোয়ার এসব তথ্য জানান।

আটকরা হলেন, বদলগাছী উপজেলার কোলা হুদ্রাকুড়ী গ্রামের মৃত সেকেন্দার মণ্ডলের ছেলে চাকরিরত বিজিবি সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন (৩২) এবং একই গ্রামের সিরাজুল সরকারের ছেলে খাইরুল সরকার (৩০)।

 

পুলিশ সুপার বলেন, ৮ লাখ টাকার বিনিময়ে নওগাঁয় পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে চাকরি দেবেন বলে এক প্রার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে চুক্তি করে প্রতারকচক্র। এই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের বিশেষ গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) অভিযান পরিচালনা করে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে জেলার বদলগাছী থানার কোলা ইউনিয়ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে ডিবি সদস্যরা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আটক ফরিদ হোসেন (৩২) বর্তমানে বিজিবিতে কর্মরত রয়েছেন এবং খাইরুল সরকার (৩০) তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।

 

তিনি বলেন, ফরিদ হোসেন দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ ছাড়াও অন্যান্য সংস্থায় চাকরি প্রার্থীর নিকট থেকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসের মাধ্যমে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অনেক টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন। খাইরুল নিজেকে বদলগাছী উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাদের দুজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

পুলিশ সুপার আরো বলেন, চলমান নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পরিচালিত হচ্ছে।

টিআরসি নিয়োগসংক্রান্ত কোনো ধরনের প্রতারণার ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মান্নানসহ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জিলাপি খেতে চাওয়া সেই ওসিকে পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির থানা ঘেরাও

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
জিলাপি খেতে চাওয়া সেই ওসিকে পুনর্বহালের দাবিতে বিএনপির থানা ঘেরাও
ছবি: কালের কণ্ঠ

বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের কাছ থেকে জিলাপি খেতে চাওয়া কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেনকে প্রত‌্যাহারের প্রতিবা‌দে বিক্ষোভ মি‌ছিল ও থানা ঘেরাও ক‌রে‌ছে বিএনপি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপু‌রে ইটনার বিক্ষুব্ধ ছ‌াত্র-জনতার ব‌্যানা‌রে এ  বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হ‌য়। 

বিক্ষোভ মি‌ছিল‌টি ইটনা মধ‌্যবাজার থে‌কে শুরু হয়ে থানায় গিয়ে নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও ক‌রে। সেখা‌নে আধাঘণ্টা ঘেরাও কর্মসূ‌চি পালন করে মি‌ছিল‌ নিয়ে উপজেলা পরিষদের সাম‌নে গি‌য়ে অবস্থান ক‌রা হয়।

দুপুর ২টার দি‌কে মু‌ক্তি‌যোদ্ধা সংস‌দের সাম‌নে সমা‌বেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব‌্য রাখেন, ইটনা উপজেলা বিএন‌পির সভাপ‌তি এসএম কামাল হো‌সেন, সাধারণ সম্পাদক সি‌দ্দিকুজ্জামান ঠাকুর স্বপন, জয়‌সি‌দ্ধি ইউপি চেয়ারম‌্যান ম‌নি‌র উদ্দিন, ইটনা উপজেলা বিএন‌পির যুগ্ম সম্পাদক পল‌াশ রহমান ও উপ‌জেলা ছাত্রদ‌লের আহ্বায়ক আজাদুর রহমান সুমন।

বিএন‌পির অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও এর দোসরদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও ষড়য‌ন্ত্রে ‌ওসিকে ফাঁসা‌নো হ‌য়ে‌ছে। তারা বল‌ছেন, ফ‌্যা‌সিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হি‌সে‌বে প‌রি‌চিত ছাত্রলীগ করা ক‌থিত সমম্বয়‌ক আফজাল হোসাইন শান্তর ষড়যন্ত্র ও প‌রিক‌ল্পিত ফোনালা‌পের অডিও সামাজিক মাধ‌্যমে ফাঁস ক‌রে 'জনবান্ধব' ওসিকে বদ‌লি ক‌রা হয়।

তা‌কে দ্রুতপুনর্বহাল কর‌তে হ‌বে।

ইটনা উপ‌জেলা বিএনপির সভাপতি এস এম কামাল উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্টের পর ওসি হিসেবে ইটনা থানায় যোগ দেন মনোয়ার হোসেন। এর পর থেকে তিনি নানা অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারে তৎপর হন। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করেন।

এসব কারণে আওয়ামী লীগের লোকজন কথিত সমন্বয়ক শান্তর মাধ্যমে ওসিকে সরানোর ষড়যন্ত্র করতে থাকে। ওসির ফোনালাপের অডিও ফাঁস করা এই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

জয়সিদ্ধি ইউপি চেয়ারম্যান ম‌নির উদ্দিন বলেন, ১২৮ বস্তা ভিজিএফের চাল উদ্ধারের ঘটনায় গত ২০ মার্চ রাতে ইটনা উপজেলার বাদলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আদিলুজ্জামান ভূঁইয়াকে ওসি গ্রেপ্তার করেন। তার এই গ্রেপ্তারের পর আওয়ামী দোসররা ইটনা থানার ওসি মো. মনোয়ার হোসেনকে সরাতে নানাভাবে তৎপর হয়ে ওঠে। এই তৎপরতার অংশ হিসেবে সমন্বয়ক দাবিদার আফজাল হোসেন শান্ত নিজে থেকে ওসি মনোয়ার হোসেনকে ফোন করে কল রেকর্ড ফাঁসের নাটক সাজান।

আমরা ইটনা থানায় এই ওসির পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি।

মন্তব্য

ভোলায় দুটি চোরাই রিকশাসহ যুবক গ্রেপ্তার

ভোলা প্রতিনিধি
ভোলা প্রতিনিধি
শেয়ার
ভোলায় দুটি চোরাই রিকশাসহ যুবক গ্রেপ্তার

ভোলার লালমোহন উপজেলায় দুটি ব্যাটারিচালিত চোরাই অটোরিকশাসহ মো. মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার তারা মিয়ার ছেলে। বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, গত সোমবার (১৪ই এপ্রিল) সকালে লালমোহন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাজার জামে মসজিদের সামনে থেকে চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট থানা এলাকার মো. নূরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির অটোরিকশা চুরি হয়ে যায়। পরে তিনি অটোরিকশা চুরির অভিযোগে থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার ভিত্তিতে লালমোহন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবু ইউসুসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তথ্য-প্রযুক্তি ও সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিকেলে লালমোহন পৌরসভার উত্তর বাজারে একটি বিশেষ অভিযান চালায়। 

অভিযানে ওই এলাকার অটোরিকশা চুরির সঙ্গে জড়িত মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে মেহেদী হাসান জিজ্ঞাসাবাদে চুরি সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরো জানায়, লালমোহন পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মো. মোরশেদের ছেলে মো. মিরাজ নামের আরো একজন ওই চুরির সঙ্গে জড়িত। পরে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হলে আটক মেহেদী হাসান চোরাই অটোরিকশাগুলো শনাক্ত করেন। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান মিরাজ।
এরপর ওই বাড়ি থেকে চোরাই অটোরিকশাগুলো উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়।

লালমোহন থানার ওসি বলেন, ‘আটক মো. মেহেদী হাসান ও পলাতক মিরাজ হোসেন আন্ত জেলা চোরচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চালকদের অটোরিকশা চুরি করে আসছেনে। এ ঘটনা চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় গ্রেপ্তার মেহেদী হাসানকে বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পলাতক আসামি মো. মিরাজসহ চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

মন্তব্য

ধুনটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি
শেয়ার
ধুনটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গা দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ। ছবি : কালের কণ্ঠ

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রাঙ্গামাটি আবুল হোসেন জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের জায়গায় অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে আমজাদ হোসেন ফকির ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিজ কার্যালয়ে গণশুনানি কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় ২৩ এপ্রিল ওই অভিযোগের শুনানি করে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরো পড়ুন
দীর্ঘক্ষণ আঁটসাঁট পোশাক পরে থাকলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি

দীর্ঘক্ষণ আঁটসাঁট পোশাক পরে থাকলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি আবুল হোসেন জহুরা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৩ সালে স্থাপিত হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাকালে একই গ্রামের আবুল হোসেন ফকির নামে শিক্ষানুরাগী এক ব্যক্তি স্বেচ্ছায় বিদ্যালয়ের নামে ৫০ শত জমি দানপত্র দলিল করে দেন। সেখানে পাকা ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের সুনামের সঙ্গে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমিদাতার ভাতিজা একই গ্রামের আমজাদ হোসেন ফকির দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের জায়গা দখলের চেষ্টার ধারাবাহিকতায় ১০ এপ্রিল পাকা স্থাপনা নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। বিদ্যালয়ের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে অবৈধ দখলদাররা।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশফুল খাতুন বাদী হয়ে ১৩ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে রাঙ্গামাটি গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আমজাদ হোসেন ফকিরসহ ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
বসুন্ধরা শুভসংঘ কারমাইকেল কলেজ শাখার আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

বসুন্ধরা শুভসংঘ কারমাইকেল কলেজ শাখার আয়োজনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা

 

আমজাদ হোসেন ফকির বলেন, ‘জমিদাতার ওয়ারিশের কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে আমি ওই জমির মালিক হয়েছি। তাই বিদ্যালয়ের জায়গায় নয়, আমার জায়গায় আমি পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছি।

মন্তব্য

৫৫ জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
৫৫ জেলেকে ফেরত দিল আরাকান আর্মি
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগর থেকে বিভিন্ন সময়ে ধরে নিয়ে যাওয়া ৫৫ জেলেকে আরাকান আর্মির কাছ থেকে ফেরত এনেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে  টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরীপাড়াসংলগ্ন টেকনাফ-মিয়ানমার ট্রানজিট জেটিঘাট দিয়ে তাদের ফেরত আনা হয়। তবে জেলেদের জাল আর বোটগুলো ফেরত দেয়নি আরাকান আর্মি।

আরো পড়ুন
বাইরের থেকে ভিতরেই ভালো আছি : শাজাহান খান

বাইরের থেকে ভেতরেই ভালো আছি : শাজাহান খান

 

এসব তথ্য স্বীকার করেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আশিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘মায়ানমারে আরাকান আর্মির হাতে আটক ৫৫ জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে। জেলেরা আমাদের হেফাজতে রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে মাছ শিকারে গেলে তারা আরাকান আর্মিদের হাতে আটক হন। এর পর থেকে আমাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় আজ বুধবার জেলেদের ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছে বিজিবি।

বিজিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘ফেরত আনা জেলেদের নানা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরে এসব জেলেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

আরো পড়ুন
দীর্ঘক্ষণ আঁটোসাঁটো পোশাক পরে থাকলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি

দীর্ঘক্ষণ আঁটসাঁট পোশাক পরে থাকলে স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি

 

এ বিষয়ে টেকনাফ কায়ুকখালী বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, ‘মাছ শিকারের সময় আটক হওয়া ৫৫ জেলেকে ফেরত এনেছে বিজিবি। এর মধ্য আমারও ছয় মাঝিমাল্লা রয়েছে।

তবে আমার বোট আর জাল ফেরত দেয়নি। সব মিলিয়ে ১৫ লাখ টাকার সম্পদ ফেরত দেয়নি আরাকান আর্মি।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘বিজিবির প্রচেষ্টায় মাছ শিকারে যাওয়া আটক আরো ৫৫ জেলেকে ফেরত আনা হয়েছে। বিজিবির মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব কিভাবে জাল আর বোট ফেরত আনা যায়।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ