<p>নায়ক জাভেদ অনেকদিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ। সম্প্রতি তার সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এদিকে চিকিৎসার ব্যায়ভার বইতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। এই সংকটকালে তার পাশে দাঁড়ালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অভিনেতার চিকিৎসার জন্য গত ১৯ মে নগদ ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।</p> <p>মূত্রথলিতে টিউমার থেকে তা ক্যানসারের পর্যায়ে রূপান্তরিত হয়ে যাওয়ার কারণে দেড় মাস আগে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে অপারেশন হয় তার। এরপর আর্থিক সংকটে পড়েন বলে জানান তার স্ত্রী।</p> <p>১৯৭০ থেকে ১৯৮৯ পর্যন্ত নায়কদের মধ্যে তিনি ছিলেন অধিক জনপ্রিয়। নাচের জন্যও তার খ্যাতি রয়েছে। পর্দায় নায়িকাদের সঙ্গে নেচে দর্শকের মন জয় করেছেন জাভেদ। ১৯৪৪ সালে আফগানিস্তানে তার জন্ম। পরে তারা পেশোয়ার হয়ে পাঞ্জাবে চলে আসেন। শৈশবে তার প্রিয় নায়ক ছিলেন দিলীপ কুমার। বাবা ছিলেন ধর্মপরায়ণ। তিনি চাইতেন ছেলেরা ব্যবসায়ী হবে, নয়তো চাকরি করবে। </p> <p>কীভাবে অভিনেতা হওয়া যাবে এ নিয়েই তিনি ভাবতেন। সিনেমা দেখা, গান শোনা নিয়েই মগ্ন থাকতেন। এ নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব হয়। সবশেষে বাবা-মায়ের কাছে না বলেই জাভেদ পাঞ্জাব ছেড়ে চলে আসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকায়।</p> <p>নায়ক হিসেবে জাভেদ অভিনয় করেছেন মালকা বানু, অনেক দিন আগে, শাহাজাদা, রাজকুমারী চন্দ্রবান, সুলতানা ডাকু, আজো ভুলিনি, কাজল রেখা, সাহেব বিবি গোলাম, নিশান, বিজয়িনী সোনাভান, রূপের রানী, চোরের রাজা, তাজ ও তলোয়ার, নরমগরম, তিন বাহাদুর, জালিম, চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা, রাজিয়া সুলতানা, সতী কমলা, বাহারাম বাদশা, আলাদিন আলী বাবা, সিন্দাবাদ প্রভৃতি সিনেমায়। শুধু নায়ক হিসেবেই নয়, নৃত্য পরিচালক হিসেবেও একসময় ছিল তার দারুণ ব্যস্ততা।</p>