<p>শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বেশ কয়েটি সিনেমার সঙ্গে নির্মাতা রায়হান রাফীর ‘অমীমাংসিত’ও আটকে দেওয়া হয়েছিল সেন্সর বোর্ডে। এবার বিগত সরকারের পতনের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনেমাটি মুক্তির দাবি উঠেছে। ইতোমধ্যে সেন্সর বোর্ড নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন ভাবনায় ফের ‘অমীমাংসিত’র মুক্তি নিয়ে ভাবছেন রাফী নিজেও।</p> <p>তবে গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনের তোপের মুখে পড়ে সরকার পতনের পর বদলে গেছে দেশের প্রেক্ষাপট। তাই ‘অমীমাংসিত’সহ সেন্সরে আটকে আছে সিনমোগুলোর মুক্তি চাচ্ছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয়, সেন্সর প্রথাই বাতিলের জোর দাবি জানাতে জোটবদ্ধ হয়েছেন নির্মাতারা।</p> <p>এদিকে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড নতুন করে পুনর্গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম। তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সেন্সর নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের বিষয়টি সামনে আসার পর আশার আলো দেখছেন নির্মাতারা। এ তালিকায় আছেন নির্মাতা রায়হান রাফী। </p> <p>বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ আগস্ট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ‘অমীমাংসিত’র প্রচারণামূলক একটি ভিডিও পোস্ট করেন রাফী। যেখানে শহীদুল আলম সাচ্চুকে দেখা যায়।</p> <p>রায়হান রাফী লিখেছেন, “জনগণকে আর বোকা ভাবা যাবে না! অমীমাংসিত আসছে...আসতেই হবে...’।</p> <p>রাফীর এই পোস্ট থেকেই রাফী ভক্তরা ওয়েব ফিল্মটির মুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।</p> <p>এদিকে, ‘অমীমাংসিত’ মুক্তি দেয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে রায়হান রাফী বলেন, “শিগগির ‘অমীমাংসিত’ আবার সেন্সরে দেব। আমরা সবাই চাই, দ্রুত ‘অমীমাংসিত’ রিলিজ হোক। যেহেতু আইনগতভাবে আটকে রাখা হয়েছে, আমরা আইনগতভাবে সমাধান করবো। আশা করছি, দ্রুত সবকিছু সমাধান হবে। যদিও ওটিটিতে সেন্সরের নিয়ম নেই। তবুও আমাদের সেন্সর করতে বলা হয়েছিল। আমরা সেন্সর করেও ফেলেছিলাম। পরে হঠাৎ তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিল, আমরা ‘অমীমাংসিত’ দর্শকদের দেখাতে পারবো না। আমরা পুনরায় তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে আবেদন করতে যাচ্ছি। আমরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চাইবো, ‘অমীমাংসিত’ যেন ছেড়ে দেওয়া হয়।”</p> <p>১২ ফেব্রুয়ারি ‘অমীমাংসিত’র প্রথম টিজার প্রকাশ করা হয়েছিল। সেটা দেখে অধিকাংশ দর্শক আঁচ করেছিলেন, এটি আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ড ঘিরে নির্মিত। যদিও এই বিষয়ে রাফী বা আইস্ক্রিনের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি। উল্লেখ্য, ওয়েব ফিল্মে মুখ্য দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ ও তানজিকা আমিন। </p>