<p>ঢাকাই সিনেমার তুখোড় খল অভিনেতা অভিনেতা মিশা সওদাগর। সাম্প্রতিক সময়ে অসুস্থ ছিলেন। অপারেশনও হয়েছে অভিনেতার। প্রায় তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন মিশা। অবশেষে সেই বিরতি ভেঙে শনিবার (৫ অক্টোবর) তিনি অংশ নিয়েছেন হাসিবুর রেজা কল্লোলের ‘কবি’ সিনেমার ডাবিংয়ে। যেখানে মুখ্য দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক শরীফুল রাজ ও কলকাতার নায়িকা ইধিকা পাল।</p> <p>মিশা সওদাগর জানান, গেল তিন মাস যুক্তরাষ্ট্রে থাকার কারণে বেশ কিছু সিনেমার কাজ আটকে গেছে। খুব শিগগিরই এগুলোর কাজ শুরু করবেন তিনি। অভিনেতা বলেন, ‘আমার পরিবার যুক্তরাষ্ট্রে থাকে। যার কারণে সময় পেলেই আমি তাদের কাছে ছুটে যাই। এবারও তিন মাসের জন্য গিয়েছিলাম। এর মধ্যে আবার অসুস্থ হয়ে পড়ি। আমার লিগামেন্ট ছিঁড়ে গিয়েছিল তার অপারেশনও হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে হয়েছে। এখন অনেকটাই সুস্থ, তবে পুরোপুরি না। তাই ডাবিংয়ের কাজগুলো আগে শেষ করছি। কিছুদিনের মধ্যে শুটিংও শুরু করব।’</p> <p>মিশা জানান, কিছুদিনের মধ্যে মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘বরবাদ’, তাজু কামরুলের ‘আমি যাযাবর’ ও বদিউল আলম খোকনের ‘আগুন’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন তিনি।</p> <p>এদিকে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দলীয় (আওয়ামী লীগ) ট্যাগে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন শোবিজের একদল শিল্পী। যারা ‘আলো আসবেই’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খুলেছিলেন। যা নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল সমালোচনাও হয়েছে। এই গ্রুপে বেশ ক’জন সিনেমার শিল্পীও ছিলেন। বিষয়টি নজরে এসেছে মিশারও।</p> <p> </p> <p>এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলো আসবেই গ্রুপে শিল্পী সমিতির কয়েকজন সদস্য থাকার কথা শুনেছি। এই গ্রুপে থাকার শিল্পী সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ এলে, আমরা কার্যকরী পরিষদে মিটিং করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা তো আদালত না। সাময়িকভাবে তার সদস্য পদ স্থগিত করার অধিকার রাখি, যদি অপরাধ প্রমাণিত হয়। সমিতির ভাবমূর্তি নষ্ট হয় বা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকার অভিযোগ আসে, তবে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব। আমরা আগামী বুধবার কার্যনির্বাহী পরিষদ মিটিং করেছি। আশা করি, ওদিন শিল্পী সমিতির নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনা হবে।’</p> <p>মিশা সওদাগর আরও বলেন, ‘দেখেন, যে কারো রাজনৈতিক মতামত থাকতেই পারে- এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমি রাজনীতি কম বুঝি। শুধু মাত্র অভিনয়ই বুঝি। আমাদের গঠনতন্ত্রে একটু সমস্যা আছে, নীতিমালা ঠিক করার জন্য একটি কমিটি করেছি। যারা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করবে তাদের সঙ্গে সবসময় আছি। আমাকে কেউ পছন্দ না করলেও আমি চলচ্চিত্রের উন্নয়নে যারা কাজ করবে তাদের সঙ্গে আছি। কারণ আমার জন্ম চলচ্চিত্রে আর এফডিসি আমাকে আজকের মিশা সওদাগর বানিয়েছে। তাই এই শিল্পের সঙ্গে সব সময় আছি ও থাকব।’</p>