তারকারা সবসময় সাধারণ মানুষের কাছে আকাঙ্খিত। যেন আকাশের তারা, এতোটাই মুল্যবান। তবে পর্দায় নিয়মিত দেখা এই মানুষগুলোর সঙ্গে প্রেম ভালোবাসা কিংবা সংসার কেমন হয়? আজকের গল্প এমন চারজনকে নিয়েই। সোমনুর মনির কোনাল, সিয়াম আহমেদ, সাবিলা নূর ও শাশ্বত দত্ত প্রেম করে বিয়ে করেছেন শোবিজের বাইরের চারজন মানুষকে—মনজুর কাদের জিয়া, শাম্মা রুসাফি অবন্তী, নেহাল সুনন্দ তাহের ও সুপ্রিয়া ঘোষ।
তাঁরা বলেছেন তারকাদের সঙ্গে প্রেম ও সংসারের অভিজ্ঞতার কথা।
সিয়াম ও অবন্তী
যত রাতেই বাসায় ফিরুক, দুজন কিছুক্ষণ একান্তে কাটাই
শাম্মা রুসাফি অবন্তী ব্র্যান্ড প্রমোটার
সিয়াম আমার বড় বোনের সহপাঠী, সেই সূত্রে ভাইয়া বলে ডাকতাম। পড়াশোনার পাশাপাশি ও তখন বিজ্ঞাপন করার জন্য স্ক্রিন টেস্ট দিয়ে যাচ্ছে। ওর প্রথম বিজ্ঞাপন ছিল এয়ারটেলের, প্রচার হয় ২০১২ সালের ১৩ এপ্রিল।
১ এপ্রিল থেকে আমাদের মন দেওয়া-নেওয়ার সূত্রপাত। তাই ওর ক্যারিয়ার শুরুর আগে থেকেই আমাদের সম্পর্ক। একদিকে পড়াশোনার চাপ অন্যদিকে বিজ্ঞাপন, নাটকের ব্যস্ততা—তবু আমার জন্য সময় বরাদ্দ ছিল। আইন নিয়ে ও যখন অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে গিয়েছিল, তখন লং ডিসটেন্সে আমাদের প্রেম চলছিল।
তারপর যখন আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই, তখনই ও সিনেমার অফার পায়।
সিয়াম তত দিনে বিজ্ঞাপন, নাটকে প্রতিষ্ঠিত। নির্দিষ্ট আয় ছিল। সিনেমায় নিয়মিত আয়ের নিশ্চয়তা নেই, সে দ্বিধায় ভুগছিল। তখন আমি তাকে সাহস দিয়ে বলেছি, সিনেমায় অভিনয় করো।
আমরা দুজন ঠিকই মিলেমিশে চালিয়ে নিব। ২০১৮-তে ‘পোড়ামন ২’ সুপারহিট হওয়ার পরেই আমরা বিয়ে করলাম। বিয়ের পর ওর ব্যস্ততা বেড়েছে, দেখা গেছে টানা পাঁচ-ছয় দিন সময় দিতে পারল না, তবে সপ্তম দিনের পুরোটাই বাসায় সময় দেয়। আরেকটা কথা, ও যত রাতেই বাসায় ফিরুক, দুজন কিছুক্ষণ হলেও একান্তে কাটাই আমরা। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার জন্য এটা জরুরি।
আমরা দুজন একসঙ্গে নিয়মিত ভূতডটকম শুনি, তারপর সেটা নিয়ে আলোচনা করি। বাবু [পুত্র জায়ান] হওয়ার আগে আমরা দুজন নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছি, এখন আমরা তিনজন ঘুরে বেড়াই। সব মিলিয়ে ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।
সাবিলা নূর ও নেহাল সুনন্দ তাহের
সুযোগ খুঁজি নিজেদের মতো করে সময় কাটানোর
নেহাল সুনন্দ তাহের ব্রডকাস্ট প্রকৌশলী
২০১৬ সাল, দিনটা ছিল ঈদের দিন। আমাদের দুজনের প্রথম দেখা এক মিউচুয়াল বন্ধুর মাধ্যমে। নাটক সেভাবে না দেখলেও বিজ্ঞাপনের সুবাদে সাবিলা আমার কাছে চেনা মুখ। আমাদের সেই মিউচুয়াল বন্ধুর কাছ থেকে তার সম্পর্কে আরো জেনে নিই। এভাবেই আমরা ফেসবুকে বন্ধু হই। আমাদের কথা হতে থাকে অনলাইনে। একপর্যায়ে দেখা গেল সাধারণ বন্ধুর চেয়ে আমরা আরো বেশি কথা বলছি, দুজন দুজনের কাছে শেয়ার করার প্রবণতা বেড়ে যায়। বুঝতে পারি, দুজন দুজনকে বিশেষভাবে অনুভব করছি। এভাবেই আমাদের প্রণয়ের শুরু। সম্পর্কের কথাটা প্রথমে আমার মাকে জানাই, এরপর পারিবারিকভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের পর দেখা গেল, দুজনই খুব ব্যস্ত। ওর শুটিং আর আমার চাকরি—কোনোটাই সময় বেঁধে হয় না। সুযোগ পেলে ওর শুটিংয়ে যাই নতুবা সে আসে আমার অফিসে। যেহেতু দুজনই ব্যস্ত, নিজেদের মতো করে সময় কাটাতে পারি না। দুজনেরই জন্মদিন একই মাসে, সে সময়টা অবকাশযাপনে দেশের বাইরে যাই। এ ছাড়া বিশেষ দিনে সুযোগ খুঁজি নিজেদের মতো করে কাটানোর। অনেকেই ‘নায়িকার স্বামী’ ব্যাপারটাকে ট্যাবু হিসেবে দেখতে চায়। আমি এমন নই। কর্মজীবী নারীদের দেখেই বড় হয়েছি। আমার মা শিক্ষিকা ছিলেন, বড় বোন চিকিৎসক। অভিনয়ও একটা পেশা। নারীর ক্ষমতায়নের প্রতি আমি সব সময়ই শ্রদ্ধাশীল।
শাশ্বত দত্ত ও সুপ্রিয়া ঘোষ
ও জনপ্রিয় হলেও আমাদের দূরত্ব বাড়েনি
সুপ্রিয়া ঘোষ বেসরকারি চাকরিজীবী
ওর সঙ্গে আমার পরিচয় ফেসবুকে, তখনো সে মিডিয়াতে নিয়মিত হয়নি। দুজনেই বরিশালের। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমাদের দুই পরিবারই আত্মীয়তার সূত্রে গাঁথা। এটা আমাদের জন্য বেশ ভালোই হয়েছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি ওর মিডিয়াঙ্গনে স্ট্রাগলিংয়ের পুরো সময় ওর পাশে ছিলাম। বিজ্ঞাপন, নাটকের সুবাদে ও জনপ্রিয় হলেও আমাদের দূরত্ব বাড়েনি। তার মেয়ে ফ্যান-ফলোয়ার অনেক বেড়েছে সত্য, তবে তার প্রতি আমার আত্মবিশ্বাস সব সময়ই উঁচু ছিল, এখনো আছে। শাশ্বতর পক্ষ থেকেই প্রথম বিয়ের অফার আসে। যেহেতু পারিবারিকভাবে আমাদের সম্পর্ক আগে থেকে জানা ছিল, তাই বিয়েটা সহজে হয়ে যায়। বিয়ের পর সংসার জীবন চলছে। আমি ফেসবুকে আমাদের দুজনের ছোট ছোট রিলস প্রকাশ করি, বুঝতে পারি দর্শক এখন আমাদের কাপল হিসেবেই বেশি পছন্দ করে।
সোমনুর মনির কোনাল ও মনজুর কাদের জিয়া
সময় যায়, আমাদের ভালোবাসা ঊর্ধ্বমুখে গড়ায়
মনজুর কাদের জিয়া সাংবাদিক
জোয়ান বায়েজের ‘বাংলাদেশ’ গানের সূত্র ধরে কোনালের সঙ্গে প্রথম কথা। আমার প্রিয় এ গানটি ওর প্রথম অ্যালবাম ‘কোনালস জাদু’তে আছে। যতদূর মনে পড়ে আমি তখন কক্সবাজার, বড় ভাইয়াসহ বেড়াতে গিয়েছিলাম। মাধ্যম ভিন্ন হলেও একই অঙ্গনে কাজের সুবাদে এরপর আমাদের কথাবার্তা হতো। যদিও খুব একটা পাত্তা পেতাম না। নানাভাবে এড়িয়ে চলত। পেশাগত প্রয়োজনে যতটা প্রয়োজন, ততটাই কথাবার্তা হতো। একটা সময় আমাদের মধ্যে কথাবার্তা বাড়ল। তখন গান, সিনেমা ছাড়াও সমাজের নানা অসংগতির প্রসঙ্গও উঠে এলো আমাদের আলোচনায়। আরেক বন্ধু নাসিম বর্ণসহ আমাদের আড্ডা হতো। আড্ডায় যাওয়ার পথে ভাঙচুরের মধ্যে পড়েছি, আবার ছিনতাইকারীর খপ্পরেও পড়েছি। ছিনতাইয়ের ঘটনা আমাদের সম্পর্ক আরো গাঢ় করে। পরিচয়ের পর থেকেই দেখতাম, কোনাল পাঁচ মাস পরপর কুয়েত যেত। একবার যাওয়ার আগে খুব মন খারাপ হচ্ছিল। বললাম, আপনার সঙ্গে কথা আছে। কোনাল খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘বলেন শুনি।’ আমার চায়ের অভ্যাস নেই। সেদিন ভালোলাগার কথা বলতে গিয়ে পরপর দুই কাপ চা খেয়ে ফেলি। এই ফাঁকে কোনাল বলল, ‘আপনি না চা খান না...’ [হাসি]।
এভাবে দিন মাস বছর যায়। সম্পর্ক আপনি থেকে তুমিতে গড়ায়। ২০১৬ সালে আমাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। আমার শ্বশুর কুয়েতের ইন্টেরিয়র মিনিস্ট্রিতে চাকরি করতেন। ছুটিতে দেশে এসেছিলেন। চলে যাওয়ার আগে দুই পরিবারের আলাপ হয়। আমীরুল ইসলামের [কথাসাহিত্যিক, আমাদের উকিল বাবা] বাসায় কথাবার্তার একপর্যায়ে বিয়ের কথা ওঠে। হুট করে তখনই মাওলানা ডেকে বিয়ে পড়ানো হয়। পরের বছর ২৬ ফেব্রুয়ারি হয় আমাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা।
বিয়ের পর কোনাল তার কাজ-কর্ম নিয়ে ব্যস্ত, আমিও আমার মতো। এর বাইরে যে সময়টুকু পাই তা নিজেদের মতো করেই কাটাই। কখনো একসঙ্গে সিনেমা দেখা, গান শোনা, নয়তো গাড়ি নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়া—ঢাকার আশপাশে কোথাও। নয়তো প্রিয় বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের বাড়িতে। কখনো ওর কনসার্টে শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করি, যাতে একসঙ্গে বাড়ি ফিরতে পারি। আবার কখনো ও আমার অফিসের নিচে এসে হাজির হয়, আমার কাজ শেষে একসঙ্গে বাড়ি ফিরব বলে। সময় যায়, আমাদের ভালোবাসা ঊর্ধ্বমুখে গড়ায়। হাসি কান্না ভালো মন্দ নিয়ে প্রেমে মজে আছি আমার প্রিয়তমার।
‘ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে?’, মাগুরার সেই শিশুর মৃত্যুতে তমা মির্জা
বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
তমা মির্জা
শেষ পর্যন্ত অকালেই জীবনপ্রদীপ নিভে গেল মাগুরার সেই নির্যাতিত শিশু আছিয়ার। চার-চারটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রাণান্ত চেষ্টা ব্যর্থ করে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে পৃথিবীই ছাড়তে হলো তাকে। বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী শিশু আছিয়া আজ দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি।
আরো পড়ুন
শাহরুখের জন্য বাতিল হয়েছিল মুম্বাইয়ের শতাধিক বিয়ে!
শিশুটির মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নারীদের নিরাপত্তা এবং ধর্ষকের বিচার নিয়ে তীব্র দাবি উঠছে।
ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন অনেকেই। দেশের অনেক তারকারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বিষয় এ কথা বলছেন। শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় মুখ তমা মির্জাও প্রশ্ন তুলে বললেন, ‘ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে?’
শিশুটির মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের পর ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন অভিনেত্রী। তমা মির্জা ফেসবুক পোস্টে ধর্ষকের বিচারার বিষয়টি তুলে ধরেন।
অভিনেত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে পোস্টে বলেন, ‘শোনেন, পশু ধরে রেখে দেয় না মেরে ফেলে, আবর্জনা পরিষ্কার করে ফেলতে হয় রেখে দিয়ে দুর্গন্ধ ছড়াতে হয় না। দশ/বিশজন পশুরূপী অমানুষ না থাকলে আমাদের দেশের জনসংখ্যা কমবে না।’
ধর্ষকের শাস্তির বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ধর্ষক কেন বেঁচে থাকবে? হয় সঙ্গে সঙ্গে মারেন, না পারলে সাধারণ জনগণের কাছে দিয়ে দেন, কিন্তু বাঁচিয়ে রেখেন না।’
গত ৬ মার্চ মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি।
পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গেল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পরদিন রবিবার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেওয়া হয়। ধর্ষণের ওই ঘটনায় শিশুটির বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দুলাভাই ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে চার আসামিকে হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
ভক্তদের বাধভাঙা উন্মাদনা। এমনকী তার সিনেমার শুটিংও অদ্ভুত এক নজির গড়েছিল। বলিউড বাদশার এমন এক সিনেমা রয়েছে যার জন্য সেই সময় মুম্বাইয়ের শতাধিক বিয়ে পর্যন্ত বন্ধ ছিল! হ্যাঁ, অবাক করার মতো হলেও এই ঘটনা ঘটেছিল দুই দশক আগে।
২০০২ সালে সঞ্জয় লীলা বানসালির মহাকাব্যিক চলচ্চিত্র ‘দেবদাস’-এর শুটিংয়ের সময় ঘটে এমন ঘটনা।
সিনেমার বিশাল প্রোডাকশন স্কেল আর জমকালো সেটের জন্যই মুম্বাইয়ের একাধিক বিয়ের অনুষ্ঠান পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি।
‘দেবদাস’-এর সিনেমাটোগ্রাফার বিনোদ প্রধান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে এনেছেন। ফ্রাইডে টকিজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘দেবদাস’-এর শুটিংয়ের জন্য মুম্বাইতে এক কিলোমিটার জুড়ে চন্দ্রমুখীর কোঠার সেট তৈরি করা হয়েছিল।
সেটটি এতটাই বিশাল ছিল যে প্রথম দেখাতেই আমরা চমকে গিয়েছিলাম। আমি আমার সহকারীদের বলেছিলাম সেটের একদম শেষ প্রান্তে গিয়ে একটা ১০০ ওয়াটের আলো লাগাতে। এরপর ধীরে ধীরে পুরো সেটটাকে আলোকিত করা হয়।’
আরো পড়ুন
আমিরের বাড়িতে হঠাৎ হাজির শাহরুখ-সালমান, কারণ কি?
তবে সমস্যা তৈরি হয় এখানেই। এত বড় সেট সাজানোর জন্য মুম্বাইয়ের যত জেনারেটর ছিল, প্রায় সবই নিয়ে নেওয়া হয়েছিল ‘দেবদাস’-এর জন্য! ফলে শহরের অন্য কোথাও তখনকার মতো জেনারেটরের সংকট দেখা দেয়।
যার কারণে বহু বিয়ের অনুষ্ঠান পিছিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
বিনোদ প্রধান আরো বলেন, “অনেকেই আমাকে বলেছিলেন—‘বিনোদজি, আপনি এত জেনারেটর ব্যবহার করেছেন যে শহরে বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানের জন্য কোনও জেনারেটর বাকি ছিল না!”
আরো পড়ুন
আমার চ্যালেঞ্জ নেওয়া সার্থক হয়েছে : তিশা
‘দেবদাস’ শাহরুখের ক্যারিয়ারের অন্যতম এক কালজয়ী সিনেমা হিসেবেই ধরা হয়। এর আগে দীলিপ কুমারও দেবদাস করেছিলেন তবে শাহরুখের দেবদাস চিরসবুজ হয়ে রয়েছে দর্শকদের মনে। সিনেমাটি মুক্তির পর বক্সঅফিসেও ঝড় তোলে। ৪৪ কোটি টাকা বাজেটের দেবদাস বিশ্বব্যাপী ১০০ কোটি টাকা আয় করে।
ছোট পর্দার বড় তারকা অভিনেত্রী তানজিন তিশা। একের পর এক জনপ্রিয় নাটকে দেখা গেছে অভিনেত্রীকে। কাজ করেছেন সমসাময়িক সব বড় তারকার সঙ্গেই। এ প্রজন্মের টিভির দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় তিনি।
নাটক ইন্ডাস্ট্রির পাশাপাশি তিনি ব্যস্ত থাকেন ওটিটির কাজ নিয়েও। সম্প্রতি দেশের একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ পেয়েছে তার নতুন ওয়েব ফিল্ম। নাম ‘ঘুমপরী’। আর ফিল্মটির জন্য ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন এ অভিনেত্রী।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি ওটিটির একটি পেইড ভার্সনে মুক্তি পায় তিশা অভিনীত ওয়েব ফিল্ম ‘ঘুমপরী’। এটি পরিচালনা করেছেন জাহিদ প্রীতম। ফিল্মটিতে জ্যোতি নামে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিশা। হাসপাতালের বেডে কোমায় থাকা চরিত্রটি দিয়ে নতুন করে নজর কাড়লেন এ অভিনেত্রী।
‘ঘুমপরী’ মুক্তির পর দর্শকদের প্রশংসায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তানজিন তিশা বলেন, ‘এ ফিল্মের গল্পটা দর্শক দারুণভাবে আপন করে নিয়েছে। যখন শুটিং করছিলাম তখনই মনে হয়েছে দর্শক গ্রহণ করবেন। কিন্তু ভাবছিলাম আমার চরিত্রটি দর্শক কীভাবে নেবে! আমিও কাজটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছিলাম। অবশেষে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ উতরে গেছি আমি।
রিলিজের তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে, এখনো দর্শকের রেসপন্স পাচ্ছি। এ অনুভূতি অদ্ভুত ভালোলাগার। সবাই যেভাবে ভালোবাসা অব্যাহত রেখেছে এটি আমার ক্যারিয়ারে স্পেশাল হয়ে থাকবে।’
আরো পড়ুন
আমিরের বাড়িতে হঠাৎ হাজির শাহরুখ-সালমান, কারণ কি?
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘অসংখ্য দর্শকদের মন্তব্য আমাকে নাড়া দিয়েছে। বেশিরভাগই বলেছে, শেষের দিকে গল্পের ঘোর থেকে বের হতে পারছে না। মনে হচ্ছে, আমার চ্যালেঞ্জ নেওয়া সার্থক হয়েছে।’
আরো পড়ুন
আমার জায়গায় আমি এক নম্বর : বাপ্পারাজ
এ চরিত্র নিজের মধ্যে ধারণ করা চ্যালেঞ্জ ছিল জানিয়ে তিশা বলেন, ‘ঘুমপরীকে নিয়েই এ গল্প। আর সেটি হচ্ছি আমি। যারা এটি দেখেছেন তারাও এতে একমত। কিন্তু স্ক্রিনে আমার প্রেজেন্স একটু কম। যখন স্ক্রিনে আমি মিসিং থাকব না, তখন মানুষ যেন ঘুমপরীকে খোঁজে এটাই ছিল আমার বড় চ্যালেঞ্জ। বেডে শুয়ে থাকাকালীন সংলাপ না দিয়ে আমার তাকিয়ে থেকে অ্যাক্টিং করাটা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের। অন্যদিকে, চঞ্চল মেয়ের ক্যারেক্টারে দর্শক অন্য লুকেও দেখেছে। এটাও ছিল চ্যালেঞ্জের। সব মিলিয়ে জ্যোতি হয়ে ওঠা এবং পুরো কাজটাই ছিল চ্যালেঞ্জের। সেদিক থেকে দর্শকদের ভালোবাসায় মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জ সার্থক।’
দুবাই থেকে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন ভারতের কন্নড় অভিনেত্রী রান্যা রাও। গত সপ্তাহে দুবাই থেকে বেঙ্গালুরু আসেন ওই অভিনেত্রী। আগে থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স-এর (ডিআরআই) কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন। এরপর থেকে অভিনেত্রীকে ডিআরআই-এর হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তবে বার বার নিজের বয়ান বদলাচ্ছেন এ অভিনেত্রী। শুরুতে তিনি জানান, এর আগে দুইবার সোনা পাচার করেছিলেন তিনি। তবে এবার জানান যে এটাই তার প্রথম পাচার।
অভিনেত্রী গোয়েন্দাদের জানান, ৩ মার্চই প্রথম বার সোনা পাচার করার চেষ্টা করেন।
শুধু তা-ই নয়, সোনা পাচারের কৌশল তিনি কীভাবে শিখেছেন, তাও গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন
আমিরের বাড়িতে হঠাৎ হাজির শাহরুখ-সালমান, কারণ কি?
গত ৩ মার্চ বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১২ কোটি টাকার সোনাসহ গ্রেপ্তার হন রান্যা। তার গ্রেপ্তারির পর থেকেই উঠছে নানা প্রশ্ন! এই সোনা পাচারচক্রের সঙ্গে আর কারা কারা যুক্ত, তাদের সঙ্গে অভিনেত্রীর যোগাযোগ কীভাবে। এসব প্রশ্নের উত্তরের খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা।
বর্তমানে আদালতের নির্দেশে ডিআরআই হেফাজতে রয়েছেন রান্যা। সেখানেই গোয়েন্দারা তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সূত্রের খবর অনুসারে, তদন্তকারীদের অভিনেত্রী বলেন, ‘গত ১ মার্চ আমি একটি বিদেশি নম্বর থেকে ফোন পাই। সপ্তাহ দুই ধরে অজানা নম্বর থেকে ফোন আসছিল। আমাকে দুবাই বিমানবন্দরের তিন নম্বর টার্মিনাল গেটে যেতে বলা হয়েছিল।
সেখান থেকে সোনা সংগ্রহ করে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ ছিল।’
আরো পড়ুন
আমার জায়গায় আমি এক নম্বর : বাপ্পারাজ
কীভাবে সোনা পাচার করবেন, ইউটিউবের ভিডিও দেখে সেটা শিখেছেন বলে গোয়েন্দাদের কাছে দাবি করেছেন রান্যা। তাঁর কথায়, ‘সোনার বারগুলি দু’টি প্লাস্টিকের ব্যাগে মোড়া ছিল। সেই সোনা নিয়ে বিমানবন্দরের বাথরুমে ঢুকে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে নিই। এমনকি জুতোর মধ্যেও সোনার বার লুকিয়ে ফেলি।’
কে ফোন করে সোনা পাচারের নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা জানেন না বলেই পুলিশকে জানিয়েছেন রান্যা। তাঁর দাবি, ‘আমি পুরোপুরি নিশ্চিত নই কে আমাকে ফোন করেছিলেন।’ তবে অভিনেত্রী জানালেন, যিনি বিমানবন্দরে সোনা দিয়ে গিয়েছিলেন তাকে, তার উচ্চতা ৬ ফুটের কাছাকাছি। অতীতে এই ব্যক্তিকে কোনওদিন দেখেননি বলেই দাবি রান্যার।
আরো পড়ুন
টাইটানিকের সেই দৃশ্য আজও বিব্রত করে কেট উইন্সলেটকে!
২০১৪ সালে ‘মানিক্য’ সিনেমায় কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার সুদীপের বিপরীতে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি লাভ করেন রান্যা রাও। পরে আরও কয়েকটি দক্ষিণী সিনেমায় অভিনয় করেছেন এ অভিনেত্রী।