যৌবনে করা ভুল থেকে বাঁচতে ‘ময়না’ দেখার আহ্বান রাজ রিপার

  • মুক্তি পেয়েছে রাজ রিপার চলচ্চিত্র ‘ময়না’
  • বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটি
  • সবাইকে দেখার আহ্বান জানালেন নায়িকা
বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
যৌবনে করা ভুল থেকে বাঁচতে ‘ময়না’ দেখার আহ্বান রাজ রিপার
রাজ রিপা

নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ রিপা। এরপর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘দহন’ ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে ‘মুক্তি’ নামে আরেক ছবির লিড রোল করেন। সেই ছবি মুক্তির আগে রাজ রিপার ‘ময়না’ নামে আরেক ছবি মুক্তি পেল।

১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মঞ্জুরুল ইসলাম মেঘের ‘ময়না’। এতে নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাজ রিপা।

সম্প্রতি সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির হন রাজ রিপা। সেখানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এ নায়িকা।

জানান, বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে তৈরি ‘ময়না’ সবার দেখা উচিত। নায়িকা বলেন, ‘ময়না ক্যারেক্টারটা নিয়ে ভাবার একটা বিষয়। বাংলাদেশে কিন্তু ৮০ পারসেন্ট মেয়েদের সঙ্গে এই ঘটনাগুলো ঘটে। বলতে গেলে আমাদের যৌবনের যে বয়সটা, তখন কিন্তু আমরা নিজেরা কন্ট্রোল করতে পারি না।
অনেক সময় মায়জালে জড়িয়ে, বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে বাবা-মায়ের বিশ্বাস নষ্ট করি। কিন্তু একটা সময় আমি ফিল করি, যে সময়টা আমি প্রেম করেছিলাম, সেই সময়টা আসলে ভুল সময় ছিল। এই চিন্তাধারা বুঝতে হলে আমাদের ময়না সিনেমা দেখতে হবে। ময়না কিন্তু একটা সময় বুঝতে পারে যে সে ভুল করেছিল। সে নিজেকে শুধরানোর অনেক ট্রাই করে কিন্তু দিনশেষে তার ভাগ্যটাই খারাপ।

দেখুন সম্পূর্ণ ভিডিও :

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দ্বিগুন বাড়ল জংলির শো

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
দ্বিগুন বাড়ল জংলির শো
‘জংলি’

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের ‘জংলি’। সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিনীত ছবিটি প্রথম দিন থেকেই সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শো হাউসফুল দিচ্ছিল। তবে দর্শকদের কাছে তুমুল চাহিদা থাকলেও চেইন এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় শো কম থাকায় সিনেমাটি দেখতে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটছিল।

আরো পড়ুন
জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

 

‘জংলি’ টিম থেকে বারবার শো বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়।

তবে শো না বাড়ায় এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দর্শক লেখালেখিও করেন। অবশ্য মাঝে দু-একটি শো বাড়িয়েও আবার কমিয়ে আনা হয়। ছবিটি মুক্তির এক সপ্তাহ পেরোতেই এবার জানা গেল, সিনেপ্লেক্সের শাখাগুলোতে ‘জংলি’র শো বেড়েছে দ্বিগুণ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিনেমাটির প্রযোজনা সংস্থা টাইগার মিডিয়ার কর্ণধার জাহিদ হাসান অভি।

আরো পড়ুন
গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

 

তিনি বলেন, “আমাদের ‘জংলি’ গল্পের সিনেমা। এই এক সপ্তাহে সেটা দর্শকদের মুখ থেকেই প্রমাণিত হয়েছে। দর্শক পরিবার নিয়ে হলে এসে ‘জংলি’ দেখছেন। একজন দর্শকও ছবিটির কোনো খারাপ রিভিউ দেননি।

এটাই আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তির। এমন একটা গল্পের সিনেমার শো কমিয়ে রাখা হয়েছিল এত দিন, সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় আমাদের মাত্র সাতটি শো ছিল। অথচ সবগুলো শোর টিকিট অগ্রিম বিক্রি হয়ে যাচ্ছিল। তার পরও শো বাড়ানো হচ্ছিল না। অবশেষে দর্শকদের ভালো লাগা আর চাহিদার কারণে এক সপ্তাহের মাথায় এসে ‘জংলি’র শো দ্বিগুণ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

 

স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে জানা যায়, ঈদের দিন ‘জংলি’র সাতটি শো ছিল। দ্বিতীয় দিন তা বেড়ে হয় ৯টি।  চতুর্থ দিনে সেটা কমিয়ে হয়েছিল মাত্র ছয়টি। অষ্টম দিনে এসে শো হয় আটটি। নবম দিনে এসে সিনেমাটির শো দেওয়া হয়েছে ১৪টি, যা মুক্তির দিনের সংখ্যার দ্বিগুণ।

মন্তব্য

জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
জামাই ভেঙে দিল বড় ছেলের ৮ বছরের রেকর্ড
‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’ ও ‘বড় ছেলে’

ইউটিউবে বাংলা নাটকের দর্শকপ্রিয়তায় ১১ মাসে ভাঙল ৮ বছরের রেকর্ড। জিয়াউল ফারুক অপূর্ব অভিনীত ‘বড় ছেলে’-কে টপকে শীর্ষে উঠলো ছোট পর্দার ‘জামাই’ খ্যাত নিলয় আলমগীর অভিনীত ‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’।

জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ারের অন্যতম আলোচিত নাটক মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’। আট বছর আগের নাটকটি এত দিন ছিল ইউটিউবে সর্বোচ্চ ভিউ পাওয়া নাটক (৫ কোটি ৪১ লাখ ৮২ হাজার)।

সেই রেকর্ড ভেঙেছে ছোট পর্দার ‘জামাই’ খ্যাত নিলয় আলমগীর অভিনীত ‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’।

আরো পড়ুন
গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

 

মাত্র ১১ মাস আগে ইউটিউবে এসেছে মহিন খানের নাটকটি। গতকাল পর্যন্ত এটির ভিউ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার। এতে নিলয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি ও সাবেরি আলম ।

মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘বড় ছেলে’ নাটকে দেখানো হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাশেদ ও ধনী পরিবারের মেয়ে রিয়ার প্রেমের গল্প। চরিত্র দুটিতে ছিলেন অপূর্ব ও মেহজাবীন। গল্পে দেখা যায়, রাশেদের বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। সে অবসরে যাচ্ছে।

তখন পরিবারের হাল ধরে বড় ছেলে। কিন্তু কোনো চাকরিই সে খুঁজে পায় না। অন্যদিকে রিয়াকে পরিবার থেকে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বাস্তবতার কাছে হেরে যায় ভালোবাসা।

আরো পড়ুন
পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

পর্দায় ফিলিস্তিন : যুদ্ধ, ভালোবাসা ও বেঁচে থাকার গল্পে ১০ ছবি

 

অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়িতে ঈদকেন্দ্রিক নানা ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প।

বিয়ের পর দূরে থাকলেও এবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ করতে এসে ভিন্ন এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে জামাই। দেখা যায়, শ্বশুর কিপটে। যে ঈদে ফিতরা-জাকাত ইত্যাদি দিতে চায় না। সেগুলো নিয়ে সোচ্চার হয় জামাই। নাটকে বার্তা দেওয়া হলেও সেটা কমেডির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এ জন্যই এটি দর্শক পছন্দ করেছেন বলে জানালেন নাটকের পরিচালক মহিন খান।

মন্তব্য

গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
গান ও অভিনয় দুটিই উপভোগ করি : শিবলু
এরফান মৃধা শিবলু

অভিনয় ও গানে মুখর সময় পার করছেন এরফান মৃধা শিবলু। এই ঈদে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র, ওয়েব ছবি, সিরিজ ও নাটক এসেছে। পাশাপাশি সক্রিয় গানেও। ব্যস্ত এই শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।

প্রেক্ষাগৃহ থেকে ওটিটি কিংবা ইউটিউব—সবখানে আপনি! সব মিলিয়ে কেমন গেল এবারের ঈদ?

প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সিনেমা, ওটিটি, নাটক—সব মিলিয়ে বলা যায়, এবারের ঈদটা আমারই ছিল।

ঈদে আপনার কী কী কাজ এলো?

সিনেমা হলে চলছে এম রাহিমের ‘জংলি’, ওটিটিতে কাজল আরেফিন অমির ‘হাউ সুইট’ এবং আশফাক নিপুণের ‘জিম্মি’। পাশাপাশি ইউটিউবে কিছু নাটক এসেছে; যেমন—তানিম রহমান অংশুর ‘খালিদ’, এ কে পরাগের ‘হাউ কাউ’ ইত্যাদি।

কোনটা থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?

সিনেমা বড় মাধ্যম, স্বাভাবিকভাবেই সেটার ফিডব্যাক অন্য রকম। ‘জংলি’তে আমার যে চরিত্র বা উপস্থিতি, সেটা অনুযায়ী ভালো সাড়া পাচ্ছি। আর ওটিটিতে ‘হাউ সুইট’-এ আমার চরিত্র বড় পরিসরের। গল্পের অনেকটা সময় জুড়ে আমার উপস্থিতি।

এত বড় পরিসরে আমাকে আগে দেখা যায়নি। ফলে এখান থেকে সবচেয়ে বেশি সাড়াও পাচ্ছি। ‘জিম্মি’র জন্যও মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। সব মিলিয়ে আমি সন্তুষ্ট।

‘হাউ সুইট’ ও ‘খালিদ’-এ নেতিবাচক চরিত্র করেছেন।

আগেও আপনাকে খল চরিত্রে দেখা গেছে। এ ধরনের চরিত্রে নিজের ভবিষ্যৎ কেমন দেখেন?

দর্শকই হলো অভিনয়শিল্পীদের উৎসাহদাতা। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যাবে, আমি কত দূর যেতে পারব, কতখানি কী অর্জন করতে পারব। আমার তো অবশ্যই ইচ্ছা আছে অন্যান্য চরিত্রেও নিজেকে মেলে ধরার। তবে আমার যে লুক, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চরিত্রই পছন্দের। এ ধরনের চরিত্র সহজেই নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি, শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে করতে পারি।

আপনি তো গানেরও মানুষ। ইমন চৌধুরীর গানের দল বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে আছেন। সর্বশেষ কোথায় শো করলেন?

চাঁদরাতে শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো করেছিলাম। এর আগে এ রকম অনুষ্ঠান কখনো দেখিনি। খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল। এই শোর কারণে আমার ঈদ শুরু হয়েছিল চাঁদরাত থেকেই। সামনেও বেঙ্গল সিম্ফনির কিছু শোর ব্যাপারে কথা চলছে। শিগগিরই জানাতে পারব।

নতুন কী গান করছেন?

নির্দিষ্ট করে এখনই বলছি না, তবে গান রেকর্ডিং চলছে। সময় বুঝে আমরা জানাব। এ ক্ষেত্রে বলে রাখি, একেবারে ব্যক্তিগত কোনো গান যদি করি, তাহলে তো একা করব। দলগত কোনো কাজ করলে অবশ্যই সেটা বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে।

অভিনেতা ও গায়ক শিবলুর মধ্যে কোনো তফাত দেখেন?

তফাত খুবই কম; আসলে নেই বললেই চলে। ছোটবেলা থেকেই আমি মানিয়ে নিতে পারি। যেখানেই যাই না কেন, সেই স্থান ও মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। ফলে আমি গান ও অভিনয়—দুটিই উপভোগ করি। শিবলু আসলে একই, জাস্ট গানের সময় গান আর অভিনয়ের সময় অভিনয়—এইতো।

আপনার কণ্ঠে জনপ্রিয় দুই গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ও ‘কথা কইও না’র স্রষ্টা হাশিম মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আপনার সখ্য। এখন যোগাযোগ হয়?

খুব কম। একদিকে আমার নিজের কর্মব্যস্ততা আছে, আবার হাশিম ভাইয়ের কোনো ফোন নেই। ফোন কী কাজে লাগে, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, এসব চিন্তা-ভাবনার মধ্যে নেই তিনি। মাঝেমধ্যে উনার মায়ের নম্বরে কল করে খোঁজখবর নিই। হাশিম ভাই তো অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা চলছে। সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। দোয়া করবেন, তাঁকে নিয়ে যেন আরো কিছু কাজ করতে পারি।

হাশিম মাহমুদের আর কোনো গান নিয়ে কাজ করবেন?

একটা সিক্রেট শেয়ার করি, হাশিম ভাইকে নিয়ে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ নিয়ে আসব আমরা। চেষ্টা করছি শিগগিরই সেই ধামাকা সামনে আনার।

মন্তব্য

এফডিসি পরিদর্শনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ, পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটির আশ্বাস

বিনোদন প্রতিবেদক
বিনোদন প্রতিবেদক
শেয়ার
এফডিসি পরিদর্শনে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ, পূর্ণাঙ্গ ফিল্ম সিটির আশ্বাস
সংগৃহীত ছবি

মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন শুটিং ফ্লোর ঘুরে দেখার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ। 

এফডিসির বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখার পাশাপাশি পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতির কার্যালয়েও যান। সেখানে পরিচালক ও শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম।

শিল্পী সমিতিতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান চলচ্চিত্রের বরেণ্য অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এফডিসির এমডি মাসুমা রহমান তানি, চিত্রনায়ক নাঈম, অভিনয়শিল্পী আলীরাজ, সুব্রত, রুমানা ইসলাম মুক্তি, শিবা শানু প্রমুখ।

সবার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জহির রায়হান মিলনায়তনে এফডিসি নিয়ে নিজের পরিকল্পনা ও ভাবনার কথা জানান তিনি। এফডিসিকে কম্পোজিট ফিল্ম সিটি বানানোর কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

 

image

মাহফুজ আলম বলেন, ‘এফডিসিতে মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত অনেকগুলো দপ্তর আছে। এগুলোর দেখার উদ্দেশ্যে এখানে আসা। আসার পর অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে অনেকগুলো সংকট আছে।

কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন, তাদেরও অনেক চাহিদা আছে। আমি সরেজমিনে দেখতে এলাম, যাতে বিষয়টা আমার বোধগম্য হয়, কী চলছে, কিভাবে চলছে।’

এফডিসির সম্ভাবনা অনেক উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, এফডিসির সম্ভাবনা অনেক। ঢাকার একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এত বড় জায়গা নিয়ে তৈরি এফডিসিতে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো আছে, সেগুলো সাধারণত যেকোনো রাষ্ট্রের ফিল্ম সিটি বা এ রকম কোনো জায়গাতে থাকে। বিষয়টা এমন, কম্পোজিট একটা ব্যাপার—যেখানে শুটিং, এডিটিং, ডাবিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা একসঙ্গে পাওয়া যাবে।

সম্পাদনা থেকে শুরু করে প্রি-প্রডাকশন, পোস্ট-প্রডাকশনের সব কাজ একই জায়গায় হয়। আমি মনে করি, আমার দায়িত্বকালের মধ্যে এফডিসিকে কম্পোজিট ফিল্ম সিটি বানিয়ে দেওয়ার। এফডিসি যাতে লাভজনক হয়ে ওঠে, তাহলে এখানে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাদের সবার বেতন-ভাতা থেকে শুরু করে প্রণোদনা সবই এখান থেকে দেওয়া সম্ভব হবে। এফডিসি নিয়ে এটাই হচ্ছে আমার একমাত্র লক্ষ্য। আশা করি, এখানে আপনারা যারা আছেন, সবাই সহযোগিতা করবেন।’

image

সব শেষে এফডিসিতে একটি প্রকল্প চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে একটা প্রকল্প চলছে। কবিরপুর ফিল্ম সিটিতে আরেকটা প্রকল্পের কাজ চলছে। এই দুটি জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করব যেসব ইস্যু আছে, তা শেষ করতে। এখানে রিসোর্সগুলো যাতে ঠিক হয়, আপনরা সবাই যাতে কাজের সুযোগ পান এবং যারা ফিল্ম মেকার, প্রযোজক আছেন—তারা যাতে খুব সহজে কাজ করতে পারেন। যাতে ভালো মানের ফিল্ম বাংলাদেশে তৈরি হয়।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ