নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ রিপা। এরপর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘দহন’ ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে ‘মুক্তি’ নামে আরেক ছবির লিড রোল করেন। সেই ছবি মুক্তির আগে রাজ রিপার ‘ময়না’ নামে আরেক ছবি মুক্তি পেল।
নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন রাজ রিপা। এরপর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘দহন’ ছবিতে ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরে ‘মুক্তি’ নামে আরেক ছবির লিড রোল করেন। সেই ছবি মুক্তির আগে রাজ রিপার ‘ময়না’ নামে আরেক ছবি মুক্তি পেল।
সম্প্রতি সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির হন রাজ রিপা। সেখানে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন এ নায়িকা।
দেখুন সম্পূর্ণ ভিডিও :
সম্পর্কিত খবর
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের ‘জংলি’। সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিনীত ছবিটি প্রথম দিন থেকেই সিনেপ্লেক্সের সবগুলো শো হাউসফুল দিচ্ছিল। তবে দর্শকদের কাছে তুমুল চাহিদা থাকলেও চেইন এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায় শো কম থাকায় সিনেমাটি দেখতে এসে টিকিট না পেয়ে ফিরে যাওয়ার ঘটনা ঘটছিল।
‘জংলি’ টিম থেকে বারবার শো বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়।
তিনি বলেন, “আমাদের ‘জংলি’ গল্পের সিনেমা। এই এক সপ্তাহে সেটা দর্শকদের মুখ থেকেই প্রমাণিত হয়েছে। দর্শক পরিবার নিয়ে হলে এসে ‘জংলি’ দেখছেন। একজন দর্শকও ছবিটির কোনো খারাপ রিভিউ দেননি।
স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে জানা যায়, ঈদের দিন ‘জংলি’র সাতটি শো ছিল। দ্বিতীয় দিন তা বেড়ে হয় ৯টি। চতুর্থ দিনে সেটা কমিয়ে হয়েছিল মাত্র ছয়টি। অষ্টম দিনে এসে শো হয় আটটি। নবম দিনে এসে সিনেমাটির শো দেওয়া হয়েছে ১৪টি, যা মুক্তির দিনের সংখ্যার দ্বিগুণ।
ইউটিউবে বাংলা নাটকের দর্শকপ্রিয়তায় ১১ মাসে ভাঙল ৮ বছরের রেকর্ড। জিয়াউল ফারুক অপূর্ব অভিনীত ‘বড় ছেলে’-কে টপকে শীর্ষে উঠলো ছোট পর্দার ‘জামাই’ খ্যাত নিলয় আলমগীর অভিনীত ‘শ্বশুর বাড়িতে ঈদ’।
জিয়াউল ফারুক অপূর্বের ক্যারিয়ারের অন্যতম আলোচিত নাটক মিজানুর রহমান আরিয়ানের ‘বড় ছেলে’। আট বছর আগের নাটকটি এত দিন ছিল ইউটিউবে সর্বোচ্চ ভিউ পাওয়া নাটক (৫ কোটি ৪১ লাখ ৮২ হাজার)।
মাত্র ১১ মাস আগে ইউটিউবে এসেছে মহিন খানের নাটকটি। গতকাল পর্যন্ত এটির ভিউ ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার। এতে নিলয়ের সঙ্গে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি ও সাবেরি আলম ।
মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘বড় ছেলে’ নাটকে দেখানো হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের বড় ছেলে রাশেদ ও ধনী পরিবারের মেয়ে রিয়ার প্রেমের গল্প। চরিত্র দুটিতে ছিলেন অপূর্ব ও মেহজাবীন। গল্পে দেখা যায়, রাশেদের বাবা একজন স্কুলশিক্ষক। সে অবসরে যাচ্ছে।
অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়িতে ঈদকেন্দ্রিক নানা ঘটনাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নাটকের গল্প।
অভিনয় ও গানে মুখর সময় পার করছেন এরফান মৃধা শিবলু। এই ঈদে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র, ওয়েব ছবি, সিরিজ ও নাটক এসেছে। পাশাপাশি সক্রিয় গানেও। ব্যস্ত এই শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেছেন কামরুল ইসলাম।
প্রেক্ষাগৃহ থেকে ওটিটি কিংবা ইউটিউব—সবখানে আপনি! সব মিলিয়ে কেমন গেল এবারের ঈদ?
প্রথমে সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সিনেমা, ওটিটি, নাটক—সব মিলিয়ে বলা যায়, এবারের ঈদটা আমারই ছিল।
ঈদে আপনার কী কী কাজ এলো?
সিনেমা হলে চলছে এম রাহিমের ‘জংলি’, ওটিটিতে কাজল আরেফিন অমির ‘হাউ সুইট’ এবং আশফাক নিপুণের ‘জিম্মি’। পাশাপাশি ইউটিউবে কিছু নাটক এসেছে; যেমন—তানিম রহমান অংশুর ‘খালিদ’, এ কে পরাগের ‘হাউ কাউ’ ইত্যাদি।
কোনটা থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
সিনেমা বড় মাধ্যম, স্বাভাবিকভাবেই সেটার ফিডব্যাক অন্য রকম। ‘জংলি’তে আমার যে চরিত্র বা উপস্থিতি, সেটা অনুযায়ী ভালো সাড়া পাচ্ছি। আর ওটিটিতে ‘হাউ সুইট’-এ আমার চরিত্র বড় পরিসরের। গল্পের অনেকটা সময় জুড়ে আমার উপস্থিতি।
‘হাউ সুইট’ ও ‘খালিদ’-এ নেতিবাচক চরিত্র করেছেন।
দর্শকই হলো অভিনয়শিল্পীদের উৎসাহদাতা। তাঁদের প্রতিক্রিয়ায় বোঝা যাবে, আমি কত দূর যেতে পারব, কতখানি কী অর্জন করতে পারব। আমার তো অবশ্যই ইচ্ছা আছে অন্যান্য চরিত্রেও নিজেকে মেলে ধরার। তবে আমার যে লুক, তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ চরিত্রই পছন্দের। এ ধরনের চরিত্র সহজেই নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারি, শতভাগ আত্মবিশ্বাস নিয়ে করতে পারি।
আপনি তো গানেরও মানুষ। ইমন চৌধুরীর গানের দল বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে আছেন। সর্বশেষ কোথায় শো করলেন?
চাঁদরাতে শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো করেছিলাম। এর আগে এ রকম অনুষ্ঠান কখনো দেখিনি। খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল। এই শোর কারণে আমার ঈদ শুরু হয়েছিল চাঁদরাত থেকেই। সামনেও বেঙ্গল সিম্ফনির কিছু শোর ব্যাপারে কথা চলছে। শিগগিরই জানাতে পারব।
নতুন কী গান করছেন?
নির্দিষ্ট করে এখনই বলছি না, তবে গান রেকর্ডিং চলছে। সময় বুঝে আমরা জানাব। এ ক্ষেত্রে বলে রাখি, একেবারে ব্যক্তিগত কোনো গান যদি করি, তাহলে তো একা করব। দলগত কোনো কাজ করলে অবশ্যই সেটা বেঙ্গল সিম্ফনির সঙ্গে।
অভিনেতা ও গায়ক শিবলুর মধ্যে কোনো তফাত দেখেন?
তফাত খুবই কম; আসলে নেই বললেই চলে। ছোটবেলা থেকেই আমি মানিয়ে নিতে পারি। যেখানেই যাই না কেন, সেই স্থান ও মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি। ফলে আমি গান ও অভিনয়—দুটিই উপভোগ করি। শিবলু আসলে একই, জাস্ট গানের সময় গান আর অভিনয়ের সময় অভিনয়—এইতো।
আপনার কণ্ঠে জনপ্রিয় দুই গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ও ‘কথা কইও না’র স্রষ্টা হাশিম মাহমুদ। তাঁর সঙ্গে অনেক আগে থেকেই আপনার সখ্য। এখন যোগাযোগ হয়?
খুব কম। একদিকে আমার নিজের কর্মব্যস্ততা আছে, আবার হাশিম ভাইয়ের কোনো ফোন নেই। ফোন কী কাজে লাগে, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, এসব চিন্তা-ভাবনার মধ্যে নেই তিনি। মাঝেমধ্যে উনার মায়ের নম্বরে কল করে খোঁজখবর নিই। হাশিম ভাই তো অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসা চলছে। সেটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। দোয়া করবেন, তাঁকে নিয়ে যেন আরো কিছু কাজ করতে পারি।
হাশিম মাহমুদের আর কোনো গান নিয়ে কাজ করবেন?
একটা সিক্রেট শেয়ার করি, হাশিম ভাইকে নিয়ে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ নিয়ে আসব আমরা। চেষ্টা করছি শিগগিরই সেই ধামাকা সামনে আনার।
মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত দায়িত্বের অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) আসেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন শুটিং ফ্লোর ঘুরে দেখার পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ।
এফডিসির বিভিন্ন দপ্তর ঘুরে দেখার পাশাপাশি পরিচালক সমিতি, শিল্পী সমিতির কার্যালয়েও যান। সেখানে পরিচালক ও শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলেন মাহফুজ আলম।
সবার সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি জহির রায়হান মিলনায়তনে এফডিসি নিয়ে নিজের পরিকল্পনা ও ভাবনার কথা জানান তিনি। এফডিসিকে কম্পোজিট ফিল্ম সিটি বানানোর কথা বলেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘এফডিসিতে মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত অনেকগুলো দপ্তর আছে। এগুলোর দেখার উদ্দেশ্যে এখানে আসা। আসার পর অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। এখানে অনেকগুলো সংকট আছে।
এফডিসির সম্ভাবনা অনেক উল্লেখ করে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি শুধু এটুকু বলতে চাই, এফডিসির সম্ভাবনা অনেক। ঢাকার একেবারে প্রাণকেন্দ্রে এত বড় জায়গা নিয়ে তৈরি এফডিসিতে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো আছে, সেগুলো সাধারণত যেকোনো রাষ্ট্রের ফিল্ম সিটি বা এ রকম কোনো জায়গাতে থাকে। বিষয়টা এমন, কম্পোজিট একটা ব্যাপার—যেখানে শুটিং, এডিটিং, ডাবিংসহ সব সুযোগ-সুবিধা একসঙ্গে পাওয়া যাবে।
সব শেষে এফডিসিতে একটি প্রকল্প চলমান আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এফডিসিতে একটা প্রকল্প চলছে। কবিরপুর ফিল্ম সিটিতে আরেকটা প্রকল্পের কাজ চলছে। এই দুটি জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করব যেসব ইস্যু আছে, তা শেষ করতে। এখানে রিসোর্সগুলো যাতে ঠিক হয়, আপনরা সবাই যাতে কাজের সুযোগ পান এবং যারা ফিল্ম মেকার, প্রযোজক আছেন—তারা যাতে খুব সহজে কাজ করতে পারেন। যাতে ভালো মানের ফিল্ম বাংলাদেশে তৈরি হয়।’