সোনা পাতার ভেষজগুণ

  • মাহবুবা চৌধুরী, পুষ্টিবিদ, ডায়েট প্লানেট বাংলাদেশ
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সোনা পাতার ভেষজগুণ

সোনা পাতা দেখতে অনেকটা মেহেদি পাতার মতো। শুকনা অবস্থায় হালকা হলুদ সোনালি বর্ণের হয়। এতে খনিজ, লবণ, ক্যালসিয়াম ও ফ্লাবিনয়েড নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা প্রধানত জোলাপ বা রেচক হিসেবে কাজ করে।

উপকারিতা
-    কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রোধে সোনা পাতা খুব ভালো কাজ করে।

এই পাতা পিচ্ছিল হওয়ায় মানবদেহের বৃহদন্ত্রে পানি ও ইলেকট্রোলাইট শোষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে অন্ত্রের উপাদানগুলোর ভলিউম চাপ বৃদ্ধি করে এবং কোলনের সঞ্চালন উদ্দীপ্ত হয়। অল্প সময়ের মধ্যে খুব সহজে দেহ থেকে মল নিষ্কাশিত হয়। এ জন্য সোনা পাতাকে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের মহৌষধ বলা হয়।

-    সোনা পাতায় এনথ্রানয়েড নামের একটি উপাদান রয়েছে, যা হজম প্রক্রিয়াকে কার্যকর রাখতে সহায়তা করে।

-    গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে।

-    ক্ষুধা ও ওজন কমাতে সাহায্য করে।

-    রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

-    কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করে।

-    অর্শ রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে।

-    ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় ভালো কাজ করে।

-    উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহারবিধি
প্রণালী ১ : এই পাতা আস্ত অথবা গুঁড়া করে ব্যবহার করা যেতে পারে।

যদি গুঁড়া ব্যবহার করা হয়, তাহলে এক বা দেড় চা-চামচ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে চার-পাঁচ ঘণ্টা। এরপর সকালে খালি পেটে পান করতে হবে (দিনে ২০-৩০ গ্রাম এবং একবারের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়)।

প্রণালী ২ : দুই কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ শুকনা পাতা ফুটিয়ে এক কাপ পরিমাণ করে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চায়ের মতো পান করতে হবে।

পেট নরম হয়ে এলে বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে গেলে এই পাতার ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে।

সতর্কতা
অন্ত্রের ক্ষত, প্রদাহ, অ্যাপেন্ডিসাইটিস ও যকৃতের ক্যান্সারের রোগীদের সোনা পাতা ব্যবহার না করাই উত্তম।

মন্তব্য

ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ইফতারের পর ক্লান্তিভাব দূর করবেন যেভাবে

সারা দিন রোজা রেখে সূর্যাস্তের পর আমরা ইফতার করি। ইফতারের পর নামাজ পড়ে আসলেই শরীরে ভর করে রাজ্যের ক্লান্তি। সারা দিন রোজা থেকে ইফতারের সময় টেবিলে রাখা মজার খাবারগুলো পেটপুরে খেয়ে নিলেন, এর পর ভাবছেন মুহূর্তেই শক্তিশালী হয়ে যাবেন? প্রত্যাশা এমনটা থাকলেও আসলে তা হয় না। কারণ ইফতারের পর পরই ক্লান্তি লাগতে শুরু করে।

সারা দিন উপবাসের পর একগাদা খাবার একসঙ্গে খাওয়ার কারণে তা হজমে সময় লাগে। আর তাতেই ক্লান্ত হয়ে যায় আমাদের শরীর। তাহলে ইফতারে কী খাবেন। আর কী করলে ক্লান্তি লাগবে না।

চলুন জেনে নিই এমন কিছু উপায়, যা মেনে সহজেই এড়ানো যাবে ইফতারের পরের ক্লান্তি–

পানিশূন্যতা দূর করুন

সারা দিন পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। এর পর ইফতারে তেলে ভাজা আর বিভিন্ন মসলাদার খাবার খাওয়া হয়। ফলে পানির ঘাটতি পূরণ হয় না। ইফতারের পর প্রচুর পানির দরকার হয় শরীরের।

তাই বিভিন্ন ফল, ফলের রস, শরবত, ডাবের পানি ইত্যাদি খান। এতে শরীরে পানির ঘাটতি দূর হবে।

আরো পড়ুন
স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

 

একসঙ্গে অনেক খাবার খাবেন না

ইফতারে একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার খাবেন না। একবারে অনেক বেশি খাবার খাওয়া সারা দিন রোজা থাকার পর ক্লান্তি লাগার একটি বড় কারণ। আপনি ক্ষুধার্ত ঠিক আছে, তবে পেটকেও সময় দিতে হবে হজম করতে।

তাই একসঙ্গে অনেক বেশি খাবার না খেয়ে অল্প অল্প করে খান। কিছুক্ষণ পর পর খান। এতে শরীর খুব একটা ক্লান্ত হবে না। খাবার হজমের জন্যও পর্যাপ্ত সময় পাবেন।

নামাজ পড়ে নিন

ইফতারের শুরুতে একটি খেজুর ও এক গ্লাস পানি খেয়ে মাগরিবের নামাজ পড়ে নিন। এতে নামাজ সময়মতো আদায় হয়ে যাবে এবং ততক্ষণে আপনার পেটও খাবার হজমের জন্য তৈরি হবে। নামাজ শেষ করে ইফতারের বাকি খাবার খাবেন। যারা এভাবে খেয়ে অভ্যস্ত, তারা তুলনামূলক অনেক কম ক্লান্ত হন।

আরো পড়ুন
ভিডিও কলিংয়ে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

ভিডিও কলিংয়ে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

 

চা কিংবা কফি

রোজায় চা কিংবা কফি পানের অভ্যাস বাদ দেন অনেকে। তবে ইফতারের পর ক্লান্তি কাটানোর জন্য এক কাপ চা কিংবা কফি পান করতে পারেন। কারণ এ ধরনের পানীয়তে থাকা ক্যাফেইন আপনাকে ভেতর থেকে সতেজ রাখতে কাজ করে। তবে এই চা কিংবা কফি যেন খুব কড়া না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন

ইফতারের পর পরই শুয়ে-বসে থাকবেন না। বরং স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করুন। আমাদের শরীর আমাদের মনের কথা শুনে চলে। তাই নিজেকে ক্লান্ত ভাববেন না। বরং ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। এতে ক্লান্তি দূর হবে সহজেই। একই সঙ্গে হজমও ভালো হবে।

আরো পড়ুন
হার্ট ভালো রাখবে অর্জুনের ছাল, কিভাবে খাবেন

হার্ট ভালো রাখবে অর্জুনের ছাল, কিভাবে খাবেন

 
মন্তব্য

শুকনো ঠোঁট জিভ দিয়ে ভেজালে কী ক্ষতি

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শুকনো ঠোঁট জিভ দিয়ে ভেজালে কী ক্ষতি
সংগৃহীত ছবি

শীত শেষে ইতোমধ্যেই গরম শুরু হয়ে গেছে। রোদের তেজও দিন দিন বাড়ছে। এমন অবস্থায় ত্বকের হাল বেশ খারাপ। শুষ্কতা বেড়েই চলেছে।

বিশেষ করে ঠোঁট যাচ্ছে শুকিয়ে।

আমরা অনেক সময়ই এমন পরিস্থিতিতে জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিই। চটপট শুষ্কতা কমলেও, আপনার ঠোঁটের ক্ষতি কিন্তু ঠিকই হচ্ছে। কেননা, জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নেওয়াটা একেবারেই সাময়িক।

ঠোঁটের শুষ্কতা কমাতে আসলে প্রয়োজন সঠিক ময়েশ্চারাইজারে। কিন্তু জিভ ঠোঁটে দিলে কিছুক্ষণের জন্য ভিজে যাচ্ছে ঠিক, কিন্তু ঠোঁটের চামড়া ময়েশ্চারাইজ হচ্ছে না। তাহলে প্রথমেই এই অভ্যাস দূর করুন। এ ছাড়া আর কী করবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

আরো পড়ুন
স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

 

ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করতে কী করবেন

রাতে শোয়ার আগে ভালো করে ঠোঁটে ভেজলিন বা বোরোলিন মেখে নিন। একটু বেশি পরিমাণেই মেখে নিন। দেখবেন সকালে উঠে সমস্যা দূর হবে।

হাতে অল্প অলিভ অয়েল নিন। হালকা হাতে সেই অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন।

রাতে শোয়ার আগে কিংবা গোসল করার সময় এটা করলে উপকার পাবেন।

পকেটে বা ব্যাগে সব সময় ভেজলিন বা বোরোলিন রাখুন। প্রয়োজনে সারা দিন ধরে এটা ব্যবহার করুন। এতে সমস্যা মিটবে, ঠোঁটও শুষ্ক হবে না।

আরো পড়ুন
ভিডিও কলিংয়ে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

ভিডিও কলিংয়ে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

 

প্রচুর পানি খান। শরীরে পানির ঘাটতি হলে এমন সমস্যা হতেই পারে। তাই যেকোনো ঋতুতে দিনে সাত থেকে আট গ্লাস পানি খাওয়া উচিত।

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

শক্ত নাকি নরম, কী ধরনের বালিশে ঘুমানো ভালো

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
শক্ত নাকি নরম, কী ধরনের বালিশে ঘুমানো ভালো
সংগৃহীত ছবি

দৈনন্দিন জীবন চালিয়ে নিয়ে যেতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, মানসিক শান্তি যেমন ঘুমের জন্য অপরিহার্য, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বালিশের। কেউ শক্ত বালিশে মাথা রেখে ঘুমান, কেউ আবার নরম বালিশ পছন্দ করেন। তবে কোনটি আদর্শ, তা জানাতেই এই প্রতিবেদন।

শক্ত বালিশের সুবিধা-অসুবিধা

শক্ত বালিশে মাথা রেখে ঘুমানোর কিছু সুবিধা রয়েছে। ঘাড় ও মেরুদণ্ড সঠিক অবস্থানে থাকে। বিশেষ করে যারা চিত হয়ে ঘুমান তাদের জন্য ভালো।

শক্ত বালিশ স্পন্ডিলোসিসের ঝুঁকি কমায়।

নরম বালিশে ঘাড় বেঁকে থাকে। শক্ত বালিশে তা হয় না। শক্ত বালিশ তুলনামূলকভাবে নরম বালিশের তুলনায় বেশিদিন টেকে।

আরো পড়ুন
পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে যেসব খাবার

পুষ্টির ঘাটতি মেটাবে যেসব খাবার

 

তবে শক্ত বালিশে অনেকের ঘাড়ে ব্যথা হয়।

যারা নরম বালিশে মাথা রেখে ঘুমাতে অভ্যস্ত, শক্ত বালিশে সমস্যা হয় তাদের।

নরম বালিশের সুবিধা-অসুবিধা

নরম বালিশেরও কিছু সুবিধা ও অসুবিধা রয়েছে। নরম বালিশে মাথা রেখে ঘুমালে আরাম পান অনেকে। মাথার ওপর চাপ পড়ে না। মাথা নরমে ডুবে যাওয়ার অনুভূতি হয়, যাতে বুজে আসে চোখের পাতা।

যারা কাত হয়ে ঘুমান তাদের জন্য নরম বালিশ ভালো। এতে ঘাড়ের আকার ঠিক থাকে।

তবে বালিশ খুব নরম হলে মাথা ডুবে যায়। এতে শ্বাসনালিতে চাপ পড়তে পারে, বেঁকে যেতে পারে ঘাড়। শিরদাঁড়ার সমস্যাও হয়।

আরো পড়ুন
রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া কোনো বিপদ নয়তো?

রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়া কোনো বিপদ নয়তো?

 

যেভাবে ঘুমান সেই নিরিখে বালিশ বাছুন। চিত হয়ে ঘুমালে মাঝারি শক্ত বালিশে ঘাড় সোজা থাকবে। কাত হয়ে ঘুমালে তুলনামূলক নরম বালিশ। উপুড় হয়ে ঘুমালে বালিশ হোক নরম। মেরুদণ্ডে চাপ পড়বে না তাহলে।

তুলো ভরে বালিশ গড়ার চল এখন অতীত। তবে বালিশ কী দিয়ে তৈরি, তাও গুরুত্বপূর্ণ। মেমোরি ফোমের বালিশ মাথা ও ঘাড়ের যত্ন নেয়। ল্যাটেক্সে অ্যালার্জি হয় না। পালকের বালিশ আবার দ্রুত চ্যাপ্টা হয়ে যায়।

প্রতি ১-২ বছর অন্তর বালিশ পরিবর্তন করুন। শিশুদের নরম বালিশে না শোয়ানো ভালো। এতে শ্বাসনালিতে চাপ পড়ে। তবে কোন বালিশ আপনার জন্য উপযুক্ত, তা বিশেষজ্ঞরাই বলতে পারবেন। তাই যেকোনো সমস্যা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

আরো পড়ুন
স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

কিশমিশ খেলে মিলবে যেসব উপকার

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
কিশমিশ খেলে মিলবে যেসব উপকার
সংগৃহীত ছবি

প্রাকৃতিকভাবে পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এক অসাধারণ শুকনা ফল কিশমিশ। এটি আবার মুনাক্কা নামেরও পরিচিত। শুধু স্বাদেই অনন্য নয়, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী কিশমিশ। বিভিন্ন ভিটামিন, খনিজ, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিশমিশ সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে এর উপকারিতা বহুগুণ বেড়ে যায়। আসুন, জেনে নেওয়া যাক কিশমিশের কিছু অলৌকিক উপকারিতা।

ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর

কিশমিশে উপস্থিত ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এটি ক্ষতিকর ফ্রি-র‍্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, যা কোষের ক্ষতি করে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

নিয়মিত কিশমিশ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।

আরো পড়ুন
স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

স্তন্যদানকারী মায়েদের রোজায় করণীয়

 

হৃদযন্ত্রের সুরক্ষায় সহায়ক

কিশমিশ হৃদরোগ প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

রক্তাল্পতা প্রতিরোধে সহায়ক

আয়রন, ফোলেট ও ভিটামিন বি সমৃদ্ধ কিশমিশ রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে শরীরকে শক্তিশালী ও কর্মক্ষম রাখে। বিশেষত নারীদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাদ্য উপাদান, কারণ এটি ঋতুস্রাবজনিত রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধে সহায়তা করে।

আরো পড়ুন
হার্ট ভালো রাখবে অর্জুনের ছাল, কিভাবে খাবেন

হার্ট ভালো রাখবে অর্জুনের ছাল, কিভাবে খাবেন

 

হজম ক্ষমতা উন্নত করে

ফাইবার সমৃদ্ধ কিশমিশ হজম প্রক্রিয়া সক্রিয় রাখে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে। সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে এটি গ্যাস, এসিডিটি ও বদহজমের মতো সমস্যা দূর করতে বিশেষ কার্যকর।

যারা নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য কিশমিশ এক প্রাকৃতিক সমাধান হতে পারে।

চোখের সুস্থতা রক্ষায় সহায়ক

কিশমিশে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সহায়ক। এটি চোখের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। নিয়মিত কিশমিশ খেলে চোখের বিভিন্ন রোগ যেমন শুষ্কতা ও দৃষ্টিক্ষীণতার সমস্যাও কমে যেতে পারে।

আরো পড়ুন
ভিডিও কলিংয়ে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

ভিডিও কলিংয়ে নতুন ফিচার নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ

 

ওজন নিয়ন্ত্রণ

উচ্চ চিনির উপাদান থাকা সত্ত্বেও কিশমিশ ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। কিশমিশের খাদ্যতালিকাগত ফাইবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য ক্ষুধা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে, সামগ্রিক ক্যালরি গ্রহণ হ্রাস করে। তা ছাড়া এগুলোতে কোনো চর্বি নেই এবং ওজন কমানোর ডায়েটে স্বাস্থ্যকর সংযোজন হতে পারে।

ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে

কিশমিশ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা কোলাজেন উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোলাজেন একটি প্রোটিন যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা এবং তারুণ্য বজায় রাখে। এ ছাড়া এটি ত্বকের প্রদাহ কমায় এবং ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
টুথব্রাশ বাথরুমে রাখবেন না যেসব কারণে

টুথব্রাশ বাথরুমে রাখবেন না যেসব কারণে

 

সূত্র : মেডিকভার হসপিটাল

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ