অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও চিকিৎসা

শেয়ার
অ্যাপেন্ডিসাইটিসের লক্ষণ ও চিকিৎসা
সংগৃহীত ছবি

অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের শরীরের পেটের অভ্যন্তরে ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্রের সংযোগস্থলে অবস্থিত অন্ত্রের বর্ধিত অংশ। তৃণভোজী প্রাণীর ক্ষেত্রে এর উপকারিতা প্রমাণিত হলেও মানুষের ক্ষেত্রে এখনো এর উপকারিতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মূলত অ্যাপেন্ডিক্স আমাদের শরীরের একটি অকেজো অঙ্গ। অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলো অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ বা ইনফেকশনজনিত একটি সাধারণ রোগ, যাতে যেকোনো বয়সের লোক আক্রান্ত হতে পারে।

 

শিশু ও বয়স্কদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কম হলেও রোগের তীব্রতা অন্য বয়সের রোগীর তুলনায় ভয়াবহ। সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বেশি হয়। ছেলে-মেয়ে উভয়েরই হতে পারে।

লক্ষণ

* পেট ব্যথা পেটের নাভির চারপাশ থেকে শুরু হয়ে পরে তলপেটের ডান পাশে স্থায়ী হয়।

 

* বমি বা বমি ভাব 

* হালকা জ্বর 

* ক্ষুধামন্দা 

এসব লক্ষণ দেখা দিলে দেরি করা যাবে না। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। 

রোগ নির্ণয়

এ রোগ ডাক্তার বিশেষ করে সার্জন কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই রোগীর উপসর্গ দেখে এবং ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন (সিএ) করে নির্ণয় করতে পারেন। তবে কিছু ক্ষেত্রে রক্ত পরীক্ষা, এক্স-রে, আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে।

 

চিকিৎসা  

অপারেশন করে অ্যাপেন্ডিক্স ফেলে দেওয়াই এ রোগের একমাত্র চিকিৎসা। ওপেন বা ল্যাপারোস্কপি (পেট না কেটে) উভয় পদ্ধতিতে অপারেশন করা যায়। 

জটিলতা 

জেনারেল সার্জারিতে অ্যাপেন্ডিক্সের অস্ত্রোপচার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হয়। খুব সাধারণ রোগ হলেও সময়মতো চিকিৎসা না করালে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হতে পারে জীবনসংহারী। অ্যাপেন্ডিক্স ফেটে যেতে পারে, পেটে পুঁজ জমতে পারে, সেপসিসের আশঙ্কা থাকে, ভবিষ্যতে বারবার এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকবেই।

তাই এ রোগ সম্পর্কে জানা আর সচেতন থাকা জরুরি। 

পরামর্শ দিয়েছেন    

ডা. মোরশেদ আলী 
জেনারেল, ল্যাপারোস্কোপি ও কোলোরেক্টাল সার্জন 
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঋতু পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকার ৫ উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ঋতু পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকার ৫ উপায়
সংগৃহীত ছবি

ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শরীরের এই পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। শুষ্ক, ঠাণ্ডা বাতাস থেকে উষ্ণ এবং আর্দ্র দিনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলে। এই পরিবর্তনের সময়ে শরীরকে নিরাপদ এবং সুস্থ রাখা সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক করণীয়-

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা : ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শরীর ঠাণ্ডা, ফ্লু এবং অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।

তাই সুষম খাদ্য, প্রচুর ভিটামিন সি (লেবু এবং বেল পেপার) এবং ভিটামিন ডি (চর্বিযুক্ত মাছ বা শক্তিশালী দুগ্ধজাত দ্রব্য) খেতে হবে। এছাগা প্রচুর পানি এবং ভেষজ চা পান করে হাইড্রেটেড থাকতে হবে। শরীরকে সতেজ রাখতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।

ত্বকের যত্নে পরিবর্তন : তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা বৃদ্ধির জন্য ত্বকের যত্নে পরিবর্তন আনতে হবে।

শীতের সময়ের ভারী ময়েশ্চারাইজার সরিয়ে হালকা, হাইড্রেটিং লোশন ব্যবহার করুন। বসন্তের শুরুতে অতিবেগুনী রশ্মি শক্তিশালী হতে পারে তাতেই প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। শীতকালে তৈরি মৃত, শুষ্ক কোষগুলোকে ঝেড়ে ফেলার জন্য ত্বকের এক্সফোলিয়েশন বজায় রাখতে হবে।
 
আরো সক্রিয় থাকুন : সাধারণত ঠাণ্ডা আবহাওয়ার সময়ে শারীরিক কার্যকলাপ হ্রাস পায়।
এখন সময় এসেছে প্রাকৃতিক সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসার জন্য বাইরে হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানো। পেশীর নমনীয়তা এবং রক্ত ​​সঞ্চালন উন্নত করতে স্ট্রেচিং এবং যোগব্যায়াম অনুশীলন করুন। আঘাত এড়াতে ধীরে ধীরে তোমার ব্যায়ামের তীব্রতা বাড়ান।

সুষম খাদ্য : শীতের মাস শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাজা খাবার আরও সহজলভ্য হয়ে উঠলে খাদ্যতালিকায় যোগ করুন মৌসুমী ফল এবং শাক-সবজি। যেমন পাতাযুক্ত শাক-সবজি, বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী ফল।

পাতলা প্রোটিন, গোটা শস্য এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত হালকা খাবার নিয়মিত খেতে হবে। হজমে সাহায্য করার জন্য প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার (দই, গাঁজানো সবজি) ইত্যাদি খেতে হবে।

মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে নিজেকে রক্ষা করুন :  বসন্তের অ্যালার্জি ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু হতে পারে। তাই এসময় কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পরাগের সংখ্যা বেশি থাকলে জানালা বন্ধ রাখুন। বাইরে ফিরে আসার পর হাত এবং কাপড় ধুয়ে ফেলুন। ঘরে অ্যালার্জেন কমাতে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।

মন্তব্য

মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াবে যেসব ‘সুপার ফুড’

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াবে যেসব ‘সুপার ফুড’
সংগৃহীত ছবি

মা হওয়ার অনুভূতি নারীদের জীবনকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দেয়। এই সময়টি একজন নতুন মায়ের জন্য আনন্দপূর্ণ। তবে এর সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জও জড়িত থাকে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি হলো শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্তন্যপান করানো।

মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানো কেবল শিশুর পুষ্টির সর্বোত্তম উৎসই নয়, এটি মা ও শিশুর মধ্যে একটি বিশেষ মানসিক সংযোগও তৈরি করে।

তবে অনেক সময় নতুন মায়েদের মাতৃদুগ্ধের অভাবের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে সঠিক খাদ্য গ্রহণ মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ ও গুণমান উভয়ই বৃদ্ধিতে সহায়ক। জেনে নিন, কোন কোন খাবার মাতৃদুগ্ধের পরিমাণকে ঠিক রাখে।

ওটস

ওটস একটি পুষ্টিকর ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, যা মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধিতে সহায়ক বলে মনে করা হয়। এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি এর মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে, যা একজন নতুন মায়ের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ওটসে উপস্থিত বিটা-গ্লুকান উপাদান প্রোল্যাকটিন হরমোনকে সক্রিয় করে, যা মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনে সহায়ক। নতুন মায়েরা তাদের খাদ্যতালিকায় ওটস, খিচুড়ি বা স্মুদির আকারে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

আরো পড়ুন
পেট খারাপ হলে কী করবেন, কী করবেন না

পেট খারাপ হলে কী করবেন, কী করবেন না

 

মেথি বীজ

মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে মেথি বীজ শতাব্দী ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই বীজগুলোতে ফাইটোয়েস্ট্রোজেন ও ডায়োসজেনিনের মতো যৌগ থাকে, যা দুধ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে চা তৈরি করে অথবা খাবারে মশলা হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এটি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ অতিরিক্ত খেলে পেটে গ্যাস বা অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তিল

তিলের বীজে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা একজন নতুন মায়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

এই বীজগুলো মাতৃদুগ্ধের মান উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শিশুর বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। তিলের বীজ লাড্ডু, চিক্কি বা সালাদে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া তিলের তেল স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

সবুজ শাক-সবজি

পালং শাক, মেথি, সরিষার শাক ও ব্রকলির মতো সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফোলেট ও ভিটামিন এ থাকে। এই সবজিগুলো নতুন মায়ের শরীরে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং বুকের দুধের পরিমাণ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এগুলোতে উপস্থিত ফাইটোয়েস্ট্রোজেন দুধ উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। সবুজ শাক-সবজি স্যুপ, সবজি বা পরোটা আকারে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

আরো পড়ুন
সবজি কাটার চপিং বোর্ডও হতে পারে বিপদের কারণ

সবজি কাটার চপিং বোর্ডও হতে পারে বিপদের কারণ

 

বাদাম ও ড্রাই ফ্রুট

বাদাম, কাজু, আখরোট ও খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট একজন নতুন মায়ের জন্য একটি দুর্দান্ত খাবার হতে পারে। এই বাদামগুলো স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ, যা বুকের দুধের গুণমান উন্নত করে। বাদামে উপস্থিত ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও উপকারী। এগুলো সরাসরি খাওয়া যেতে পারে অথবা দুধে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে। রাতভর পানিতে খেজুর ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলেও উপকার পাওয়া যেতে পারে।

রসুন

রসুন কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং এটি মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ বাড়াতেও সহায়ক। রসুনে উপস্থিত গ্যালাকট্যাগ নামক উপাদান দুধ উৎপাদনে সহায়তা করে। এ ছাড়া রসুনে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা নতুন মায়ের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। রসুন সবজি, স্যুপ বা ডালে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

আরো পড়ুন
ঘুরতে গিয়ে খরচ কমাবেন যেভাবে

ঘুরতে গিয়ে খরচ কমাবেন যেভাবে

 

এই প্রতিবেদনে উল্লিখিত তথ্যগুলো শুধু ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে। এগুলো অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যদি আগে থেকেই কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে।

সূত্র : ইটিভি

মন্তব্য

প্রতিদিনের যেসব অভ্যাসে অসুস্থ হয় শরীর

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
প্রতিদিনের যেসব অভ্যাসে অসুস্থ হয় শরীর
সংগৃহীত ছবি

দৈনন্দিন জীবনে আমরা এমন কিছু কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি, যা অজান্তেই আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছে। এই অভ্যাসগুলোর ফলে আমরা শুধু নিজেদেরই অসুস্থ করি না, বরং বাড়িতে থাকা পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলছি। তাই সুস্থ থাকতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে নিজের কাজ করা খুবই জরুরি।

ছোট ছোট সতর্কতা অবলম্বন করে আমরা বাড়িতে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণগুলোর ঝুঁকি কমাতে পারি।

জেনে নিন, আমাদের কোন কোন অভ্যাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়—

বাইরের পোশাক পরে বিছানায় শোয়া

সারা দিন ব্যবহারের পর আমাদের পোশাকে ধুলো, ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া জমে। আর যদি আমরা এই পোশাকগুলো না পরিবর্তন করেই বিছানায় শুয়ে পড়ি, তাহলে এই ময়লা ও জীবাণু বিছানায় স্থানান্তরিত হতে পারে। যা পরবর্তীতে আমাদের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

আরো পড়ুন
ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

 

বাইরে থেকে আসার পর হাত না ধোয়া

বাইরে থাকার সময় আমরা অনেক জায়গা স্পর্শ করি, যার কারণে আমাদের হাতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জমে।

বাড়ি ফিরে আসার পর যদি আমরা অন্য জিনিস স্পর্শ করি বা হাত না ধুয়েই খাবার খাই, তাহলে এই জীবাণুগুলো আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি ফিরে আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

বাড়ি ফিরে বিছানার ওপর ব্যাগ রাখা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভ্রমণে বা বাইরে থাকার সময় অনেক ধরনের জীবাণু ব্যাগ বা স্যুটকেসের বাইরের অংশে লেগে থাকতে পারে।

যখন আমরা বাড়িতে এসে সেটি সরাসরি বিছানার ওপর রাখি, তখন এই জীবাণুগুলো বিছানার মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আরো পড়ুন
ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

ঢাকার কাছেই ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি, ঘুরে আসুন এক দিনেই

 

টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত না ধোয়া

টয়লেট ব্যবহারের পর হাতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। তাই টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়া উচিত। তা না হলে হাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করতে পারে, যার ফলে অনেক রোগ হতে পারে। 

ঘরের ভেতরে বাইরের জুতা পরা

রাস্তায় হাঁটার সময় জুতার মাধ্যমে অনেক ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ময়লা আমাদের সঙ্গে ঘরে আসে।

যদি আমরা ঘরের ভেতরে এই জুতা পরে থাকি, তাহলে এই ব্যাকটেরিয়া মেঝেতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই এ বিষয়ে নজর রাখা উচিত।

এই অভ্যাসগুলোকে পরিবর্তন করে আমরা নিজেদের এবং আমাদের পরিবারের স্বাস্থ্যের আরো ভালোভাবে যত্ন নিতে পারি। ঘরে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে জুতা খুলে ফেলা, হাত ধোয়া, কাপড় বদলানো এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নেওয়া আমাদের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ হওয়া উচিত।

আরো পড়ুন
প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

প্রতিদিন আমলকীর রস খেলে শরীরে হবে যে পরিবর্তন

 

সূত্র : বোল্ডস্কাই

মন্তব্য

সর্দি-কাশি ছাড়া আর কী উপকারে আসে তুলসী পাতা

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
সর্দি-কাশি ছাড়া আর কী উপকারে আসে তুলসী পাতা
সংগৃহীত ছবি

তুলসী পাতা চিবিয়ে খেতে পারলে সর্দি-কাশি দূর হবে খুব তাড়াতাড়ি। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারলে আরো ভালো। চায়ের মধ্যে দিয়েও খেতে পারেন তুলসী পাতা। তবে সর্দি-কাশির সমস্যা কমানো ছাড়াও আরো অনেক গুণ রয়েছে তুলসী পাতার।

সেগুলো কী কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ভরসা রাখুন তুলসী পাতায়। বুকে জমা কফ কমাতে সাহায্য করে তুলসী পাতা। কমায় শ্বাসকষ্টের সমস্যাও।

তুলসী পাতা খেলে বদহজম, গ্যাস, পেট ফেঁপে যাওয়া, এসিডিটি- এসব সমস্যা দূর হয়। তাই নিয়মিত খেতে হবে তুলসী পাতা।

আরো পড়ুন
ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

ল্যাপটপ-কম্পিউটার থেকে ফোন চার্জ দেওয়া কি ঠিক?

 

হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে চাইলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেই হবে। এক্ষেত্রে সাহায্য করে তুলসী পাতা।

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম ভালো রাখে এই পাতা। ডায়াবেটিক রোগীরা তুলসী পাতা খেয়ে ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে পারেন। উপকার পাবেন।

আজকাল প্রায় সবার জীবনেই রয়েছে নানা রকম স্ট্রেস, উদ্বেগ। তুলসী পাতার রস খেলে এই স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমানো সম্ভব।

তুলসী পাতা যে আমাদের ইমিউনিটি আরো মজবুত করে, সেকথা সকলেই জানেন। তাই দিনে একবার অন্তত তুলসী পাতা কিংবা তুলসী পাতার রস খেতে পারেন।

শুধু ব্লাড সুগার নয়, ব্লাড প্রেশারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে তুলসী পাতা। তাই প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে ২ থেকে ৩টি তুলসী চিবিয়ে খেতে পারেন।

আরো পড়ুন
রাতভর ফোন চার্জে রাখলে হতে পারে যে বিপদ

রাতভর ফোন চার্জে রাখলে হতে পারে যে বিপদ

 

সূত্র : এবিপি লাইভ

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ