‘দুই বিঘত জায়গায় টয়লেট, বাকি দুই ফুটে হাঁটু মুড়ে বসে থাকার জায়গা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘দুই বিঘত জায়গায় টয়লেট, বাকি দুই ফুটে হাঁটু মুড়ে বসে থাকার জায়গা’
আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে প্রধান প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অন্যরা। ছবি : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের ফেসবুক থেকে নেওয়া

দেশ-বিদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে আয়নাঘর ঘুরে দেখেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার কচুক্ষেতে ডিজিএফআই এবং উত্তরা ও আগারগাঁওয়ে র‍্যাবের আয়নাঘর পরিদর্শন করেন তিনি। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সরকারের আরো কয়েকজন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সেখানকার ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

তিনি এক শব্দে এটিকে ‘নৃশংস’ বলে জানিয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংস! এটাই আমাদের দেখা সবচেয়ে ভয়ংকর আয়নাঘর। তিন ফুট বাই এক ফুটের সেল। দুই বিঘত জায়গায় টয়লেট।

বাকি দুই ফুটে হাঁটু মুড়ে বসে থাকার জায়গা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় জুলাই অভ্যুত্থানের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তিগুলোর একটি হলো গুমের শিকার মানুষদের মুক্তি। বাংলাদেশে যেন আর কখনো গুমের মতো মানবতাবিরোধী কিছু না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি।’

আরো পড়ুন
আয়নাঘর নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন ভারতীয় সাংবাদিক

আয়নাঘর নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন ভারতীয় সাংবাদিক

 

মাহফুজ আলম বলেন, ‘আমরা সরকার গঠনের মাত্র ১৯ দিনের মাথায় গুম কমিশন গঠন করেছি, যারা দিন-রাত কাজ করে নৃশংসতার বিবরণগুলো ডকুমেন্ট করেছে।

২১ দিনের মাথায় আন্তর্জাতিক গুমবিরোধী কনভেনশনে সই করেছি। আজকে মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসী দেখবেন হাসিনার নৃশংসতার কিছু নমুনা। আরো শ শ নমুনা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে।’

সরকারের এই উপদেষ্টা জানান, গত ৬ মাস গুম কমিশন গুমের ভিক্টিমদের সাক্ষ্য নিয়ে, তদন্ত করে গুমের স্থান, কাল ও সত্যতা নিরূপণ করেছে। সে সূত্রে আইসিটি ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়েছে।

বিচারের কাজও শুরু হয়েছে। গুমের শিকার প্রতিটা মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা গণ-অভ্যুত্থানের সরকারের অঙ্গীকার।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

৬২০২ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
৬২০২ রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
সংগৃহীত ছবি

বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও অন্যান্য নানা কারণে রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও নিরীহ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক ৬ হাজার ২০২টি মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি।

রবিবার (১৬ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সরকারের এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গঠিত এ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় কমিটি মাঠ পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক বিবেচনার জন্য উপস্থাপিত ৬ হাজার ২৯৫টি মামলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে।

এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ২০২টি মামলা রাজনৈতিক হয়রানিমূলক বিবেচিত হওয়ায় প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।

মাঠ পর্যায়ের কমিটি কর্তৃক প্রাপ্ত প্রস্তাবসমূহ বিবেচনার লক্ষ্যে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ৮টি সভায় মিলিত হয়েছে। এসব সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ৬২৯৫টি মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব উপস্থাপিত হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বিগত সরকারের ১৬ বছরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশে অসংখ্য মামলা হয়।

মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে কেন্দ্রীয় কমিটি এবং মাঠ পর্যায়ে যাচাই বাছাইয়ের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সভাপতি করে দুটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটিগুলো হলো- (১) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে সদস্য রেখে সাত সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি এবং (২) জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে সভাপতি করে পুলিশ সুপার ও পাবলিক প্রসিকিউটরদের সদস্য রেখে চার সদস্যবিশিষ্ট জেলা পর্যায়ে কমিটি।

মাঠ পর্যায়ের কমিটি যাচাই বাছাইয়ের পর বিভিন্ন জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটরের কার্যালয় কর্তৃক মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় কমিটির বিবেচনার জন্য পাঠানো হচ্ছে।

নিরপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র এবং আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ কার্যক্রম চলমান থাকবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি
সংগৃহীত ছবি

ধর্ষণ ও নির্যাতন প্রতিরোধে শিশুবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠনসহ ১৭ দফা দাবি জানিয়েছে দেশের শীর্ষ ৫টি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও)। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যৌন নির্যাতন, বিপজ্জনক শ্রম, অবহেলা ও অনলাইন সহিংসতার মুখোমুখি হচ্ছে শিশুরা। বাড়িতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, কোথাও নিরাপদ নয় শিশুরা। তাদের অধিকার নিশ্চিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকর নয়।

এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত ও কার্যকর বিচারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উত্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেভ দ্য চিলড্রেনের পরিচালক আব্দুল্লাহ-আল মামুন, প্লান ইন্টারন্যশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস, ব্রেকিং দ্যা সাইলেন্সের পরিচালক (কর্মসূচি ও পরিকল্পনা) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)’র তামান্না হক রীতি ও মানুষের জন্য ফাউণ্ডেশনের নিশাত সুলতানা।

আরো পড়ুন
‘কারাগারে বসে লিখবো জুলাইয়ের ইতিহাস’

‘কারাগারে বসে লিখবো জুলাইয়ের ইতিহাস’

 

লিখিত বক্তব্যে শাহীন আনাম বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধারাবাহিক যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা বা হত্যা চেষ্টা, আমাদের ভীষণভাবে দুঃখ ভারাক্রান্ত ও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই সংকট শুধু শিশুদের জীবনকেই ধ্বংস করছে না, বরং সমাজের মূল ভিত্তিকেও দুর্বল করে দিচ্ছে। মেয়ে শিশুদের বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা এই সহিংসতা জাতিকে হতবাক করেছে। যা সারাদেশে প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।

এই প্রতিবাদের সঙ্গে আমরাও একাত্মতা ঘোষণা করছি। 

তিনি আরো বলেন, বিচার ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য সরকারের কাছে একাধিকবার দাবি জানানো হয়েছে। অপরাধীরা প্রায়শই আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এর সবচেয়ে মর্মান্তিক উদাহরণ হলো ২০১৬ সালে ৫ বছর বয়সী একটি শিশুকে নির্মমভাবে ধর্ষণের দায়ে কয়েক বছর আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন অপরাধীর সাম্প্রতিক জামিন। শিশু আছিয়া ধর্ষণ মামলার দ্রুত ও যথাযথ তদন্ত, বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।

শিশুদের বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শাহীন আনাম বলেন, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের সহায়তা ও সমর্থন শিশুদের প্রয়োজন। আমরা চাই সরকার অনতিবিলম্বে শিশুদের সমস্যাগুলোকে অগ্রাধিকার দিক, বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের শিশুদের। বর্তমান পরিস্থিতি জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করে, তা না হলে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা আরও বাড়তে পারে। শিশুর প্রতি যে কোনো নির্যাতন ও সহিংসতা তার মনে এতটাই গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী বিরূপ প্রভাব ফেলে যে তার স্বাভাবিক বিকাশ ও মানব সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়, সামাজিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং সুন্দর ভবিষ্যত বিনির্মাণের পথ রুদ্ধ হয়। এটা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ আমাদের সবার উপলব্ধি করতে হবে।

আরো পড়ুন
এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে বন্ধ সব কোচিং

এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে বন্ধ সব কোচিং

 

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিনামায় বলা হয়, শিশু ধর্ষণের মামলাগুলোর দ্রুত ও কার্যকর বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হোক। শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষাবিষয়ক একটি সংস্কার কমিশন জরুরি ভিত্তিতে গঠন করা হোক, যা সব অংশীজনের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে শিশুদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষায় একটি সুপারিশমালা প্রস্তুত করবে এবং অন্যান্য সংস্কার কমিশনের মতো তা প্রধান উপদেষ্টাকে হস্তান্তর করবে। একইসঙ্গে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মতো একটি শিশুবিষয়ক অধিদপ্তর স্থাপন করা হোক, যা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় করবে। শিশু সুরক্ষা সম্পর্কিত বিদ্যমান আইনগুলোর কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা হোক।
 

মন্তব্য

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক হবেন যিনি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক হবেন যিনি

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির প্রশাসক হবেন যিনিসাত কলেজ নিয়ে গঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, সাত কলেজ নিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয় গঠিত হবে সেটির নাম হচ্ছে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক থাকবেন। সেটি হবেন সাত কলেজের অধ্যক্ষের একজন।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন উপ-প্রেস সচিব।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২৮টি টিম গঠন করা হয়। তারা নিজেরা আলোচনা করে কয়েকটি নাম প্রস্তাব করেছিল। আজ সেই টিম লিডারদের সঙ্গে ইউজিসি আলোচনা করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করেছে।

তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে তার একটি রূপরেখা তৈরি করেছে ইউজিসি। সেই রূপরেখা শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

উপ-প্রেস সচিব বলেন, রূপরেখায় এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক থাকবেন। সেটি হবেন সাত কলেজের অধ্যক্ষের একজন।

‘ইউজিসি ইতোমধ্যে সব অধ্যক্ষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তাদের মধ্যে যেই কলেজের অধ্যক্ষ  মনোনীত হবেন সেই কলেজ হবে অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা কমিটির হেডকোয়ার্টার্স। এছাড়াও সাতটি কলেজ কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন সেই অধ্যক্ষ।’

তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক থাকবেন। সেটি হবেন সাত কলেজের অধ্যক্ষের একজন।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন উপ-প্রেস সচিব।

আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২৮টি টিম গঠন করা হয়। তারা নিজেরা আলোচনা করে কয়েকটি নাম প্রস্তাব করেছিল। আজ সেই টিম লিডারদের সঙ্গে ইউজিসি আলোচনা করে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ নামটি চূড়ান্ত করেছে।

তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে পরিচালিত হবে তার একটি রূপরেখা তৈরি করেছে ইউজিসি। সেই রূপরেখা শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

উপ-প্রেস সচিব বলেন, রূপরেখায় এই বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে পরিচালনার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক থাকবেন। সেটি হবেন সাত কলেজের অধ্যক্ষের একজন।

‘ইউজিসি ইতোমধ্যে সব অধ্যক্ষের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। তাদের মধ্যে যেই কলেজের অধ্যক্ষ  মনোনীত হবেন সেই কলেজ হবে অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা কমিটির হেডকোয়ার্টার্স। এছাড়াও সাতটি কলেজ কো-অর্ডিনেশন ডেস্ক তৈরি করা হবে, সেই ডেস্কের কো-অর্ডিনেশনের দায়িত্বে থাকবেন সেই অধ্যক্ষ।’

মন্তব্য

সিপিডির বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই : প্রেসসচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সিপিডির বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই : প্রেসসচিব
সংগৃহীত ছবি

মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলে দেশের জন্য ভালোই হবে বলে মনে করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন শফিকুল আলম।

এদিকে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাংলাদেশ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এখনো প্রস্তুত নয়। গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ে শুল্ক সুবিধা না থাকায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বছরে ৮ বিলিয়ন ক্ষতি হতে পারে।

এ বিষয়ে প্রেসসচিব বলেন, ‘সিপিডির বক্তব্যের সঙ্গে আমরা একমত নই। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলে বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছুই হবে বলে মনে করে সরকার।’

গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধিতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নতুন দুটি কূপ খননের জন্য শিগগরই চুক্তি হবে। আলোচনা চলছে।

খুব দ্রুত গ্যাসসংক্রান্ত সব সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি।’

শফিকুল আলম বলেন, ‘বাজার তদারকি বৃদ্ধি, অনেক পণ্যের ট্যারিফ কমানো, পণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি, স্থানীয় পণ্য বাজারে আসতে যাতে কোনো চাঁদাবাজির মুখোমুখি হতে না হয়, এলসি খুলতে ডলারের সাপ্লাই নিশ্চিত করা সরকারের তৎপরতার কারণে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আছে। এই দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ