ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ডায়াবেটিস বেড়েছে কি না, বুঝবেন যেভাবে

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
ডায়াবেটিস বেড়েছে কি না, বুঝবেন যেভাবে
সংগৃহীত ছবি

ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস খুব সহজেই জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। সঠিক খাদ্যাভাস, নিয়মিত শরীরচর্চা, ঘুম, দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন যাপনের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। ২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ৮.৪ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত।

এই সংখ্যা ২০৪৫ সাল নাগাদ বেড়ে ১৫ মিলিয়ন হতে পারে বলে ধারণা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। এখন থেকেই যদি সচেতন না হওয়া যায় তাহলে প্রতিটি ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে মসলা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে মসলা

 

ডায়াবেটিস কেন হয়?

শরীর যখন রক্তে থাকা শর্করাকে ব্যবহার করতে পারে না তখন ডায়াবেটিস হয়। এক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না বা ইনসুলিন তৈরি হলেও দেখা যায় শরীর তা ব্যবহার করতে পারে না।

তাই প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন।

ডায়াবেটিস রোগকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়- টাইপ ১ ও টাইপ ২। টাইপ ১ ডায়াবেটিস শিশুদের হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে শরীরে ইনসুলিন তৈরি হয় না।

অন্যদিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিস বড়দের ক্ষেত্রে দেখা যায়। এক্ষেত্রে শরীর ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা পারলেও ঠিকমতো তা ব্যবহার করতে পারে না।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিসের সঙ্গে মুখের স্বাস্থ্যেরও সম্পর্ক আছে

ডায়াবেটিসের সঙ্গে মুখের স্বাস্থ্যেরও সম্পর্ক আছে

 

ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলে হতে পারে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি। এক্ষেত্রে হাত-পায়ের স্নায়ুর ক্ষতি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রায় ৫০ শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়।

সাধারণত ৪ ধরনের ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি হয়। তবে এর মধ্যে মোনোনিউরোপ্যাথির ক্ষেত্রে দেখা দেয় জটিল লক্ষণ। মনোনিউরোপ্যাথি রোগটির ক্ষেত্রে হাতে দেখা দিতে পারে অবশভাব।

আরো পড়ুন
ডায়াবেটিস হলে যা করণীয়

ডায়াবেটিস হলে যা করণীয়

 

হাতের উপরিভাগের পাশাপাশি হাতের সমস্ত আঙুলেও দেখা দিতে পারে অবশভাব। এ কারণেই বলা হয়, হাত দেখেও টের পাওয়া যায় ডায়াবেটিস বেড়েছে কি না।

যেভাবে বুঝবেন

  • হাতে দুর্বলতা।
  • মুখের একদিকে প্যারালিসিস।
  • একদিকের চোখের পেছনে ব্যথা।
  • ডাবল ভিসন বা চোখে সবকিছু জোড়া দেখা।
  • চোখে ঝাপসা দেখা।
আরো পড়ুন
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব খাবার

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব খাবার

 

 যেভাবে নিয়ন্ত্রণে করবেন

  • প্রথমত, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
  • নিয়মিত শরীরচর্চা জরুরি। দিনে অন্তত আধা ঘণ্টা করুন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খেতে হবে।
আরো পড়ুন
কোলেস্টেরল কমাতে করতে পারেন যে পাঁচ ব্যায়াম

কোলেস্টেরল কমাতে করতে পারেন যে পাঁচ ব্যায়াম

 
  • কার্বোহাইড্রেট অর্থাৎ ভাত, রুটি ও আলু কম খান। তার বদলে ফাইবার মানে সবজি, ওটস, ঢেঁকি ছাঁটা চাল বেশি মাত্রায় খান।
  • নিয়মিত সুগার পরীক্ষা করুন ঘরে। কমবেশি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সূত্র: মায়োক্লিনিক

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গরমে সুস্থ থাকতে কোন খাবার খাবেন?

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
গরমে সুস্থ থাকতে কোন খাবার খাবেন?
সংগৃহীত ছবি

গরমের তীব্রতায় শরীর অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে, আর রোদে বেশি সময় কাটালে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। গরমে পেট খারাপ ও ডায়রিয়ার সমস্যাও বাড়তে পারে। এসব সমস্যা থেকে বাঁচতে গরমের মৌসুমে কী খাবেন আর কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন, তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চলুন, জেনে নিই।

গরমে যেসব খাবার এড়িয়ে যাবেন
গরমে শরীরের হাইড্রেশন বজায় রাখতে লেবুর শরবত খাওয়া যেতে পারে। খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত লবণ ও নোনতা স্ন্যাকস এসময় না খাওয়াই ভালো। এসব খাবার দেহের রক্তচাপ বাড়িয়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

 
পুষ্টিবিদদের মতে, গরমে শরীর ডিহাইড্রেটেড না হওয়ার জন্য চা, কফি ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলা উচিত। তাছাড়া তেল-ঝাল, মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিত। গরমে চপ, শিঙাড়া, কাটলেট, ফ্রায়েড চিকেনের মতো তেলেভাজা খাবার থেকে দূরে থাকুন, কারণ এগুলো ফুড পয়জনিংয়ের কারণ হতে পারে। রোদে বের হলে এনার্জি ড্রিংকসও পরিহার করুন।

গরমে কী খাবেন
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে এমন খাবার খাওয়া উচিত। পান্তা ভাত, ডাবের পানি, টক দই গরমের জন্য আদর্শ। ডাবের পানি শরীরে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে, শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়ক। টক দইও গরমে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

এই সময়ে গ্রীষ্মকালীন ফল অবশ্যই ডায়েটে রাখতে হবে।

তরমুজ, শসা, জামরুল, বেল ইত্যাদি ফলে জল বেশি থাকে, যা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া মৌসুমি শাকসবজি যেমন লাউ, কুমড়ো ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এগুলো শরীরকে সুস্থ রাখে।

সূত্র : এই সময়

মন্তব্য
রাশিফল

আজ ৯ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আজ ৯ এপ্রিল, দিনটি কেমন যাবে আপনার?

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৯ এপ্রিল, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, সেটি জানতে হলে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): কাজে কিছুটা স্থবিরতা থাকতে পারে। কোনো জরুরি সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।

আপনার করণীয় সম্পর্কে ধারণা নিতে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগবেন না। জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান মানুষের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুন
মোনাজাত করার সুন্নত পদ্ধতি কী?

মোনাজাত করার সুন্নত পদ্ধতি কী?

 

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): আজ দিন ভালো কাটবে। বিশেষ কোনো সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় অন্যের সহযোগিতা পাবেন। মানসিক প্রফুল্লতা বজায় থাকবে। বিনোদনমূলক কাজে আনন্দ পাবেন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): গৃহকর্মে ব্যস্ত থাকতে পারেন।

প্রিয় মানুষের সঙ্গে আলোচনায় স্বস্তি পাবেন। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা জোরদার করতে কিছু জরুরি পদক্ষেপ নিতে পারেন। কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো যোগাযোগে উৎসাহিত হবেন। অনেক দিন পড়ে থাকা কাজের অগ্রগতি হবে।

সঠিক প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলে অবস্থার পরিবর্তন হবে। যেকোনো সমস্যায় নিজের বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগান।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো কাজে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ পাবেন। নিজের কাজে অন্যকে খুশি করতে পারবেন। দিনটিকে ভালো করতে আপনার লুকানো গুণাবলি ব্যবহার করুন। সুস্থ থাকুন।

আরো পড়ুন
জুয়া খেলার সময় ১০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : নৌকার মাঝি খুন

জুয়া খেলার সময় ১০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব : নৌকার মাঝি খুন

 

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর) : পেশাগত ক্ষেত্রে শুভ কোনো দিক উন্মোচিত হতে পারে। ভবিষ্যতের জন্য রঙিন স্বপ্ন দেখতে। পারেন। আশপাশের সব লোক আপনার জন্য শুভ নয়। প্রতিকূল পরিস্থিতির হঠাৎ পরিবর্তনের ইঙ্গিত রয়েছে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আজ কাজে কিছু অপ্রত্যাশিত বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার প্রাকৃতিক অন্তর্দৃষ্টি ব্যবহার করে বাধাবিঘ্ন কাটানোর চেষ্টা করুন। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে দূরে থাকুন। দিনের শেষে ভালো বোধ করবেন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): বাড়িতে কোনো শুভ কাজ হতে পারে। কর্মস্থলে দক্ষতার জন্য সুনাম পাবেন। আয়ের কিছু ব্যবহৃত উৎস খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ভবিষ্যতের আর্থিক স্থিতিশীলতার পথ প্রশস্ত করতে পারে।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): পেশাগত কাজে অগ্রগতি হবে। ব্যবসায় নতুন কাজের সূচনা হতে পারে। কর্মরতদের পদোন্নতিসংক্রান্ত জটিলতার প্যাঁচ খুলতে পারে। পরিবেশ পক্ষে থাকবে। পূর্বপরিকল্পনাগুলোকে নতুন করে দেখতে হবে।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): বিদেশসংক্রান্ত কোনো যোগাযোগ সফল হতে পারে। কাজের দিক থেকে একটি স্থির দৃষ্টিভঙ্গি আপনাকে আপনার লক্ষ্যের কাছাকাছি নিয়ে যাবে। আত্মবিশ্বাসকে আপনার পথপ্রদর্শক হতে দিন।

আরো পড়ুন
‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ লাগিয়ে দুই নেতার জিডি, সংবাদ সম্মেলন

‘আওয়ামী লীগ’ ট্যাগ লাগিয়ে দুই নেতার জিডি, সংবাদ সম্মেলন

 

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও ভালো কিছু হতে পারে। প্রত্যাশা পূরণে বাধা দূর হবে। নিকটজনের সমস্যায় কিছুটা উদ্বেগ থাকতে পারে। কোনো ধরনের হতাশা বা ডিপ্রেশনকে পাত্তা না দিয়ে কাজের গতি বাড়ান।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আপনি আজ শক্তি, সাহসিকতা এবং সংকল্পে পরিপূর্ণ থাকবেন। কোনো আর্থিক সুবিধা পেতে পারেন। প্রতিযোগিতামূলক কাজে জয়ের আশা রাখতে পারেন। পরিবারের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।

আহমেদ মাসুদ, বিশিষ্ট অকাল্ট সাধক, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জ্যোতিষী, ফেংশুই ও বাস্তু বিশেষজ্ঞ। যোগাযোগ: ০১৭১১০৫৭৩৭৭ই-মেইল: amasud9995@gmail.com www.astrologerahmedmasud.com
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যেভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে বেশি কার্যকর

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
যেভাবে অ্যালোভেরা ব্যবহার করলে বেশি কার্যকর
সংগৃহীত ছবি

ত্বকের জন্য উপকারী অ্যালোভেরা এমনই একটি উপাদান, যা বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যায়। আবার বাড়িতেও অল্প যত্ন করলেই ভালো ডিভিডেন্ড দেয় এই গাছ। স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী এই ভেষজ। অ্যালোভেরার রস খাওয়া থেকে শুরু করে আঘাত লাগলে এবং ক্ষতস্থানে লাগানো পর্যন্ত, এটি স্বাস্থ্যকর ত্বক ও চুলের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

অ্যালোভেরা অনেক শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ। আয়ুর্বেদে অ্যালোভেরা অনেক ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। নানা ভাবে ব্যবহার করতে পারেন এই গাছ। অ্যালোভেরা কোন কোন কাজে লাগে? দেখে নিন এই প্রতিবেদনে।

প্রাকৃতিক জিনিসের ব্যবহার আপনার স্বাস্থ্য, ত্বক ও চুলের জন্য বেশি উপকারী বলে মনে করা হয়। এতে ক্ষতির সম্ভাবনাও খুব কম। সে কারণেই চিরকাল এসব উপাদান অনেক বেশি ব্যবহার করতে বলা হয়।

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

কী উপকার

যাদের ত্বক বেশি শুষ্ক, অ্যালোভেরা তাদের জন্যও একটি চমৎকার উপাদান।

এর জন্য অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মধু, গোলাপ জল ও দুই থেকে তিন ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে লাগান। এতে ত্বক নরম হয় এবং শুষ্ক ভাব কমে।

খুশকি চুল পড়ার একটি বড় কারণ। এ থেকে মুক্তি পেতে, দই ও লেবুর সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এ ছাড়া যেকোনো মৃদু স্ক্রাবের সঙ্গে কিছু অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন, তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন।

এটি খুশকিও কমায়। সপ্তাহে একবার এটি করলে আপনি দ্রুত খুশকি থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

অ্যালোভেরার হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ত্বকের পাশাপাশি চুলকেও আর্দ্রতা প্রদান করে। উপকারিতা বাড়ানোর জন্য, দই ও ডিমের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে চুলে লাগান। এই হেয়ার প্যাকটি লাগানোর পর প্রথমবারেই দারুণ ফলাফল পাবেন।

আরো পড়ুন
সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

 

কিভাবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন

ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা সকলের পছন্দ। ভিটামিন-ই ক্যাপসুলের সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে মুখ থেকে ঘাড়ে লাগান। ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার এই প্যাকটি ব্যবহার করলে কয়েক দিনের মধ্যেই মুখের দাগ ও ব্রণ কমতে শুরু করে এবং ত্বক পরিষ্কার হয়ে যায়। এটি ত্বককেও টানটান করে।

আরো পড়ুন
চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

 

সূত্র : টিভি ৯ বাংলা

মন্তব্য

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব ফল

জীবনযাপন ডেস্ক
জীবনযাপন ডেস্ক
শেয়ার
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব ফল
সংগৃহীত ছবি

ডায়াবেটিক রোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণের মাধ্যমে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। কিছু নির্দিষ্ট ফল রয়েছে, যেগুলো ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়াতে এবং রক্তে শর্করার ওঠানামা রোধ করতে সহায়তা করে। শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কোন কোন ফল খাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

বেরি

বেরিজাতীয় ফলের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে আঁশ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রয়েছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা ধীরে বাড়াতে সাহায্য করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে।

তাই শর্করার মাত্রা কমাতে ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি ও ব্ল্যাকবেরি খান।

আপেল

এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ভালো একটি ফল। বিশেষ করে এর খোসাসহ খাওয়া হলে তা উচ্চ পরিমাণে আঁশ সরবরাহ করে। যে কারণে শর্করার শোষণ ধীর হয় এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

এতে থাকা পলিফেনল উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ সাহায্য করে।

আরো পড়ুন
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মুখ ফোলা থাকে কেন

 

সিট্রাস বা টক ফল

কমলা ও অন্যান্য সিট্রাস ফল ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং রক্তে শর্করার স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এ ধরনের ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ফলের রসের পরিবর্তে সম্পূর্ণ ফল খাওয়াই ভালো, কারণ এতে আঁশ বেশি থাকে।

অ্যাভোকাডো

এটি কম শর্করাযুক্ত ফল, যাতে থাকে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও আঁশ। এই দুই উপাদানে পরিপূর্ণ ফলটি রক্তে শর্করার ওঠানামা রোধ করে এবং ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কমাতে সাহায্য করে।

নাশপাতি

নাশপাতি আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। এটি নিয়মিত খেলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বেশ উপকারী হতে পারে।

আরো পড়ুন
সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

সাপ্লিমেন্টের বিকল্প হতে পারে যেসব খাবার

 

চেরি

চেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

এটি প্রদাহ কমায় এবং ইনসুলিন কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তবে অতিরিক্ত চিনি যোগ করা চেরিজাতীয় খাবার কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। এতে উপকারের পরিবর্তে হবে অপকার।

কিউই

কিউই ফল কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত। আর এতে প্রচুর পরিমাণে আঁশ ও ভিটামিন সি থাকে। এটি শর্করার শোষণ ধীর করে এবং হজম সহায়ক এনজাইম সরবরাহ করে। এটিও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী।

পেয়ারা

পেয়ারা উচ্চ আঁশ ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। এ ছাড়া পেয়ারা পাতার রসও শর্করা নিয়ন্ত্রণে ভালো ভূমিকা রাখে।

আরো পড়ুন
চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

চুলের হারানো উজ্জ্বলতা ফেরাবে যেসব খাবার

 

পিচ ও পাম

এই দুই ফল আঁশ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।

তরমুজ

তরমুজ উচ্চ জলীয় উপাদানসমৃদ্ধ ও কম ক্যালরিযুক্ত ফল। তবে এতে প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। তরমুজ খাওয়ার সময় সঙ্গে প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন- বাদাম খেলে এটি শর্করার শোষণ ধীর করতে সাহায্য করবে।

সঠিক পরিমাণে ফল খাওয়া এবং ব্যালান্সড ডায়েট সুষম খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের অন্যতম প্রধান কৌশল বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের খাদ্য তালিকায় এসব ফল থাকলে অবশ্যই খাওয়ার সময় পরিমাণ ও সময়ের দিকে নজর দেওয়া জরুরি।

আরো পড়ুন
পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

পুরনো বন্ধুত্ব ভাঙা কখন ইতিবাচক? কখন আবার বন্ধুত্বে ফিরবেন

 
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ