<p>প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি চাকরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা কোটা সুবিধা পাবে?</p> <p>তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিরা কোটা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিরা কোটা পাবে? তা তো আমরা দিতে পারি না।</p> <p>রবিবার (১৪ জুলাই)  বিকেলে চীন সফর নিয়ে গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।</p> <p>প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? তারা দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনপণ লড়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায় কীভাবে? মুক্তিযুদ্ধ তাদের এখন ভালো লাগে না।</p> <p>শেখ হাসিনা বলেন, আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না। অপরাধ টা কী? নিজের জীবনবাজি রেখে, সংসার সব ফেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি ভেঙে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মোকাবেলা করে যুদ্ধ করে এ দেশের বিজয় এনেছে। বিজয় এনে দিয়েছিল বলে সবাই উচ্চপদে আসীন।</p> <p>শেখ হাসিনা বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা না থাকলে পাকিস্তানিদের বুটের লাথি খেতে হতো। এখন যারা লাফাচ্ছে তারা ১৫-২০ বছর আগের বাংলাদেশ সম্পর্কেও জানে না। ঢাকা বিশ্বদ্যিালয় কি ছিলো? ৫-৭ বছর সেশন জট। অস্ত্রের ঝনঝনানি।</p> <p>সরকারপ্রধান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে, মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার কে দিয়েছে? মুক্তিযুদ্ধের কথা শুনলে গায়ে জ্বর আসে! মুক্তিযোদ্ধার নাতি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে কোটায়। সে এখন বলে, কোটা লাগবে না। তাকে তো ভার্সিটি থেকে বের করে দেওয়া উচিত। লজ্জা থাকলে বের হয়ে তারপর বল কোটা লাগবে না। বিচিত্র এ দেশ! বিচিত্র মানসিকতা। ছয় ঋতুর দেশতো!</p> <p>আরেক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মেধা কার কত সেটা পরীক্ষা হলে বোঝা যায়। সব কোটা যে পূরণ হয় এমন নয়। অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা অগ্রাধিকার পাবে। কোটা আর মেধাতো এক জনিসি নয়। মুক্তিযুদ্ধের সন্তান-নাতিপুতি মেধাবী না আর রাজাকারের সন্তান মেধাবী? তিনি বলেন, রাজাকাররা পরাজিত হয়েছিলো। তাদের মেধাটা কোথায়?</p>