<p>গ্রামীণ জনপদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক সচেতনতা ও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে গ্রাম পুলিশ বিশেষ অবদান রয়েছে। এসব সামাজিক দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলেও কষ্টে ভরা জীবন গ্রাম পুলিশের। স্বল্প বেতনভুক্ত এসব গ্রাম পুলিশ সার্বক্ষণিক গ্রামীণ জনসাধারণের সেবায় নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখলেও ভাগ্যের তেমন একটা পরিবর্তন নেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৬৬ জন গ্রাম পুলিশ।</p> <p>তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বেতাগী উপজেলায় ৪টি পদ শূন্য থাকায় ৭ ইউনিয়নের ৭০ জন গ্রাম পুলিশ থাকার কথা থাকলে রয়েছে ৬৬ জন। ইউনিয়নের কোথাও সমস্যা দেখা দিলে সেখানেই ছুটে যান সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ। বর্তমান এই গ্রাম পুলিশ সদস্যরা প্রতিমাসে বেতন পান ৬ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে সরকার থেকে ৩ হাজার ২৫০ ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পান ৩ হাজার ২৫০ টাকা।এই টাকাও নিয়মিত পান না বলে অভিযোগ করেন একাধিক গ্রাম পুলিশ সদস্য। এই টাকা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় মাসের পর মাস।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/30/1730262420-e06d061a77a7bde916b8a91163029d41.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামানের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/30/1440746" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কয়েকজন গ্রাম পুলিশের সাথে কথা বলে জানা যায়, এসব গ্রাম পুলিশ সদস্যরাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সরকার নির্দেশিত কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে থাকেন। ২০০৯ সালে তাদের বেতন ছিল ১ হাজার ৪০০ টাকা।</p> <p>২০০৯ সালের পর থেকে এরপর ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত বেতন ৩ হাজার ৫০০ টাকা। এরপর ২০১৬ সালের জুলাই থেকে বর্তমানে বেতন পাচ্ছেন ৬ হাজার ৫০০ টাকা। মাসের পর মাস অপেক্ষা করার পর তারা বেতন তুলতে পারেন। মাসিক বেতন ছাড়া তারা অন্যান্য সুযোগের মধ্যে শুধু মাত্র দুটি ঈদে তারা বেতনের সমপরিমাণ টাকা বোনাস পান। এ ছাড়া তাদের আর কোনো কাজ করার সুযোগ নেই।</p> <p>এসব গ্রাম পুলিশ সদস্যরা ইউপি সচিবকে জন্ম-মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহ করে প্রদান করা, ইউপি ভবন ও বিভিন্ন সড়কে রাত্রিকালীন সময়ে দায়িত্বপালন, গ্রাম আদালত, গ্রামে কোনো সংস্থার কর্মসূচি চলাকালীন ও সড়ক দুর্ঘটনার স্থানে তাৎক্ষণিক দায়িত্ব পালন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বাল্য বিয়ে সংক্রান্ত তথ্য প্রদান, অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর সংবাদ থানায় জানানো, মাদকদ্রব্য ও জুয়া প্রতিরোধে প্রশাসন কর্তৃক অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতাসহ অগণিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পদ্মায় ‘জেলেদের হামলায়’ নিখোঁজ আরো ১ পু‌লিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/30/1730264876-7151184986aed9f8f418938930271d37.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পদ্মায় ‘জেলেদের হামলায়’ নিখোঁজ আরো ১ পু‌লিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/30/1440757" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বেতাগী সদর ইউনিয়নের সচিব লিটন সমাদ্দার বলেন, ‘সব সময় ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে অর্থ থাকে না। ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে টাকা জমা হলেই গ্রাম পুলিশের বেতন পরিষদ করা হয়।’</p> <p>বিবিচিনি ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ আবু বক্কর সিদ্দিক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘সারা জীবন ধরে গ্রামের মানুষের সেবায় কাজ করে যাচ্ছি। সেই তুলনায় আমাদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন নেই।’</p> <p>ওই একই ইউনিয়নের আরেকজন গ্রাম পুলিশ বেলাল হোসেন বলেন, ‘বর্তমান বাজারে এ টাকা দিয়ে কী হয়? ছেলে-মেয়েরা নতুন জামা চাইলে, ভালো কিছু খাবার খেতে চাইলে দিতে পারি না। বাবা হিসেবে এর থেকে আর কষ্টের কি হতে পারে?’</p> <p>একাধিক গ্রাম পুলিশ বলেন, জীবনে কিছুই করতে পারলাম না। সরকারি চাকরীর ক্ষেত্রে পোষ্য কোঠা থাকলেও আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য কোনো কোঠা ব্যবস্থা নেই। সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আমাদের চাকরিটা যেন জাতীয়করণ করা হয় এবং আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকরির ক্ষেত্রে কোঠা ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে স্বামী পাঠিয়েছেন ৮৭ লাখ টাকা, দেশে ফিরে দেখেন সবই ফাঁকা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/29/1730190241-0331f1beab22fb6d25616fda3a99b07b.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে স্বামী পাঠিয়েছেন ৮৭ লাখ টাকা, দেশে ফিরে দেখেন সবই ফাঁকা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/29/1440411" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বেতাগী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আহমেদ বলেন, ‘গ্রাম পুলিশের মাসিক বেতন সরকারি অংশের টাকা নিয়মিত পান।’</p>