<p>‘কম শব্দের একটি দেশ গড়তে চাই। শব্দদূষণ রোধে রাস্তায় গাড়ির হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে স্টেকহোল্ডাররা কাজ করছে, হর্ন বন্ধের উদ্যোগের পক্ষে বেশ সমর্থন পাচ্ছি, ভালো লাগছে। ঢাকা শহরের পর পর্যায়ক্রমে পুরো দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।’ </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মর্যাদায় পিছিয়ে শিক্ষকরা, শিকার হচ্ছেন লাঞ্ছনা-হেনস্তার!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/05/1728096398-4ca8f2931d86faecf24ced2b0b86e235.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মর্যাদায় পিছিয়ে শিক্ষকরা, শিকার হচ্ছেন লাঞ্ছনা-হেনস্তার!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/campus-online/2024/10/05/1431986" target="_blank"> </a></div> </div> <p>শুক্রবার কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে আলাপচারিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।</p> <p>তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে হাইড্রোলিক হর্ন আনা আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অবৈধ পথে কিছু হর্ন দেশে আনার অপচেষ্টা হচ্ছে। হাইড্রোলিক ছাড়াও গাড়িগুলোতে সাধারণ হর্ন বেশি সময় ধরে বাজানোর কারণে প্রচুর শব্দদূষণ হয়।</p> <p>আমরা দুই ধরনের হর্ন বাজানোই বন্ধ করতে চাই। কম শব্দের হর্নগুলো যখন একসঙ্গে অনেকগুলো গাড়িতে বাজানো হয়, তখন অনেক বেশি শব্দদূষণ হয়। আর এই শব্দ হাইড্রোলিক হর্নের শব্দকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শব্দদূষণমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়তে গাড়িতে হর্নের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। এখানে জনসাধারণের পাশাপাশি যানবাহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৬ ক্যাশিয়ারে বদলি বাণিজ্য সামলাতেন সাধন, ঘুষ ছিল ওপেন সিক্রেট!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/05/1728095943-ec42ac71a88310caa7a51be717e9b4bd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৬ ক্যাশিয়ারে বদলি বাণিজ্য সামলাতেন সাধন, ঘুষ ছিল ওপেন সিক্রেট!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/05/1431985" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘আমাদের কাজটা নির্দিষ্ট ধরনের হর্ন বন্ধ নয়। আমার-আপনার সবার গাড়িতেই হর্ন বাজছে, সব ধরনের হর্ন বন্ধ করতে হবে। এসব হর্ন বিকট শব্দ সৃষ্টি করছে, আমাদের কাজ হচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টি ও আইনের প্রয়োগ শুরু করা।</p> <p>ভালো লাগছে আমাদের এই উদ্যোগ শুরু করার পর বিভিন্ন মহল থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। না জেনে কেউ বলছেন, হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ করুন। কিন্তু আইন করে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি নিষিদ্ধ করা আছে। আমরা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গেও কথা বলেছি। তারাও আমাদের সহযোগিতা করছে। দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পেনোমোটিক হর্নের বিষয়েও কথা হচ্ছে, এসবও বন্ধ করা হবে। সব ধরনের হর্ন বাজানো বন্ধ করে শব্দমুক্ত শহর ও দেশ গড়তে চাই।’</p> <p>গ্লোবাল সিটিস ইনস্টিটিউশনের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকায় প্রতিনিয়ত যে ধরনের শব্দদূষণ ঘটছে তাতে এই মহানগরে বসবাসকারী এক-চতুর্থাংশ মানুষ কানে কম শোনে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩৫ সাল নাগাদ ৪৫ শতাংশ মানুষ কানে কম শুনবে। এ হিসাবে ২০৪৫ সালে প্রায় দেড় কোটির বেশি মানুষ শব্দদূষণে আক্রান্ত হয়ে শ্রবণশক্তি হারাবে। সমপ্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) বার্ষিক ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টের প্রতিবেদনে ঢাকা শব্দদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।</p> <p>বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আবাসিক এলাকার জন্য অনুমোদনযোগ্য শব্দসীমার মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল। এ ছাড়া বাণিজ্যিক এলাকা ও যেখানে যানজট রয়েছে সেখানে এই মাত্রা ৭০ ডেসিবেল। অথচ ঘনবসতিপূর্ণ ও ব্যাপক যানজটের শহর ঢাকায় শব্দের মাত্রা পাওয়া যায় ১১৯ ডেসিবেল। যেখানে মানুষ স্বাভাবিকভাবে সর্বোচ্চ ১০৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দের তীব্রতা সহ্য করতে পারে। ১৪০ ডেসিবেল তীব্রতায় কানে ব্যথা শুরু হয়। আর ১৮০ ডেসিবেল তীব্রতায় কানের শ্রবণটিস্যুর তাত্ক্ষণিক মৃত্যু ঘটে এবং মানুষ বধির হয়ে যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ঢাকা মেডিক্যালের সেই ‘বাচ্চু ভাই’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/05/1728095554-cb2bda76888b34456295dee1587e5bce.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ঢাকা মেডিক্যালের সেই ‘বাচ্চু ভাই’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2024/10/05/1431984" target="_blank"> </a></div> </div> <p>উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ বিষয়ে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘একটা যুক্তি দেওয়া হয় যে, রিকশার জন্য হর্ন বাজাতে হয়। বিমানবন্দরের রাস্তায় তো কোনো রিকশা নেই, সেখানে কেন তাহলে হর্ন বাজাতে হবে? এটা অভ্যাস হয়ে গেছে। লাল বাতি বন্ধ হয়ে সবুজ বাতি জ্বলা মাত্রই হর্ন বাজানো শুরু হয়ে যায়। নিজের বাসা থেকে বের হওয়া মাত্রই হর্ন বাজানো শুরু হয়; বাসার ভেতর থেকে বের হতে হর্ন বাজাতে হবে কেন? এটা অভ্যাস হয়ে গেছে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘আমি নিজে বান্দরবান থেকে ঢাকায় এসেছি একটা হর্ন না বাজিয়ে। আমাকে অনেকে জানিয়েছেন, তাঁরাও হর্ন না বাজিয়ে গাড়ি চালান। আসলে বাংলাদেশে হর্ন বাজানো একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অভ্যাস বন্ধ করতে আমাদের এই প্রচারাভিযান, আমাদের কর্মসূচি এবং এনফোর্সমেন্টটা নিয়মিত রাখতে হবে।</p>