আলাপচারিতা

হর্ন বন্ধে সমর্থন পাচ্ছি ভালো লাগছে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

শাহাদাত স্বপন
শাহাদাত স্বপন
শেয়ার
হর্ন বন্ধে সমর্থন পাচ্ছি ভালো লাগছে : সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান
ফাইল ছবি

‘কম শব্দের একটি দেশ গড়তে চাই। শব্দদূষণ রোধে রাস্তায় গাড়ির হর্ন বাজানো বন্ধ করতে হবে। আমাদের এই উদ্যোগের সঙ্গে স্টেকহোল্ডাররা কাজ করছে, হর্ন বন্ধের উদ্যোগের পক্ষে বেশ সমর্থন পাচ্ছি, ভালো লাগছে। ঢাকা শহরের পর পর্যায়ক্রমে পুরো দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে।

’ 

আরো পড়ুন
মর্যাদায় পিছিয়ে শিক্ষকরা, শিকার হচ্ছেন লাঞ্ছনা-হেনস্তার!

মর্যাদায় পিছিয়ে শিক্ষকরা, শিকার হচ্ছেন লাঞ্ছনা-হেনস্তার!

 

শুক্রবার কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে আলাপচারিতায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিদেশ থেকে হাইড্রোলিক হর্ন আনা আইনত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অবৈধ পথে কিছু হর্ন দেশে আনার অপচেষ্টা হচ্ছে। হাইড্রোলিক ছাড়াও গাড়িগুলোতে সাধারণ হর্ন বেশি সময় ধরে বাজানোর কারণে প্রচুর শব্দদূষণ হয়।

আমরা দুই ধরনের হর্ন বাজানোই বন্ধ করতে চাই। কম শব্দের হর্নগুলো যখন একসঙ্গে অনেকগুলো গাড়িতে বাজানো হয়, তখন অনেক বেশি শব্দদূষণ হয়। আর এই শব্দ হাইড্রোলিক হর্নের শব্দকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শব্দদূষণমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়তে গাড়িতে হর্নের ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে।

এ ক্ষেত্রে সর্বস্তরের মানুষের সচেতনতার বিকল্প নেই। এখানে জনসাধারণের পাশাপাশি যানবাহন সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।’

আরো পড়ুন
৬ ক্যাশিয়ারে বদলি বাণিজ্য সামলাতেন সাধন, ঘুষ ছিল ওপেন সিক্রেট!

৬ ক্যাশিয়ারে বদলি বাণিজ্য সামলাতেন সাধন, ঘুষ ছিল ওপেন সিক্রেট!

 

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, ‘আমাদের কাজটা নির্দিষ্ট ধরনের হর্ন বন্ধ নয়। আমার-আপনার সবার গাড়িতেই হর্ন বাজছে, সব ধরনের হর্ন বন্ধ করতে হবে। এসব হর্ন বিকট শব্দ সৃষ্টি করছে, আমাদের কাজ হচ্ছে সচেতনতা সৃষ্টি ও আইনের প্রয়োগ শুরু করা।

ভালো লাগছে আমাদের এই উদ্যোগ শুরু করার পর বিভিন্ন মহল থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। না জেনে কেউ বলছেন, হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি বন্ধ করুন। কিন্তু আইন করে হাইড্রোলিক হর্ন আমদানি নিষিদ্ধ করা আছে। আমরা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সঙ্গেও কথা বলেছি। তারাও আমাদের সহযোগিতা করছে। দেশীয়ভাবে উৎপাদিত পেনোমোটিক হর্নের বিষয়েও কথা হচ্ছে, এসবও বন্ধ করা হবে। সব ধরনের হর্ন বাজানো বন্ধ করে শব্দমুক্ত শহর ও দেশ গড়তে চাই।’

গ্লোবাল সিটিস ইনস্টিটিউশনের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ঢাকায় প্রতিনিয়ত যে ধরনের শব্দদূষণ ঘটছে তাতে এই মহানগরে বসবাসকারী এক-চতুর্থাংশ মানুষ কানে কম শোনে এবং এ ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী ২০৩৫ সাল নাগাদ ৪৫ শতাংশ মানুষ কানে কম শুনবে। এ হিসাবে ২০৪৫ সালে প্রায় দেড় কোটির বেশি মানুষ শব্দদূষণে আক্রান্ত হয়ে শ্রবণশক্তি হারাবে। সমপ্রতি প্রকাশিত জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির (ইউএনএপি) বার্ষিক ফ্রন্টিয়ার্স রিপোর্টের প্রতিবেদনে ঢাকা শব্দদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আবাসিক এলাকার জন্য অনুমোদনযোগ্য শব্দসীমার মাত্রা ৫৫ ডেসিবেল। এ ছাড়া বাণিজ্যিক এলাকা ও যেখানে যানজট রয়েছে সেখানে এই মাত্রা ৭০ ডেসিবেল। অথচ ঘনবসতিপূর্ণ ও ব্যাপক যানজটের শহর ঢাকায় শব্দের মাত্রা পাওয়া যায় ১১৯ ডেসিবেল। যেখানে মানুষ স্বাভাবিকভাবে সর্বোচ্চ ১০৫ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দের তীব্রতা সহ্য করতে পারে। ১৪০ ডেসিবেল তীব্রতায় কানে ব্যথা শুরু হয়। আর ১৮০ ডেসিবেল তীব্রতায় কানের শ্রবণটিস্যুর তাত্ক্ষণিক মৃত্যু ঘটে এবং মানুষ বধির হয়ে যায়।

আরো পড়ুন
ঢাকা মেডিক্যালের সেই ‘বাচ্চু ভাই’

ঢাকা মেডিক্যালের সেই ‘বাচ্চু ভাই’

 

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ বিষয়ে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘একটা যুক্তি দেওয়া হয় যে, রিকশার জন্য হর্ন বাজাতে হয়। বিমানবন্দরের রাস্তায় তো কোনো রিকশা নেই, সেখানে কেন তাহলে হর্ন বাজাতে হবে? এটা অভ্যাস হয়ে গেছে। লাল বাতি বন্ধ হয়ে সবুজ বাতি জ্বলা মাত্রই হর্ন বাজানো শুরু হয়ে যায়। নিজের বাসা থেকে বের হওয়া মাত্রই হর্ন বাজানো শুরু হয়; বাসার ভেতর থেকে বের হতে হর্ন বাজাতে হবে কেন? এটা অভ্যাস হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি নিজে বান্দরবান থেকে ঢাকায় এসেছি একটা হর্ন না বাজিয়ে। আমাকে অনেকে জানিয়েছেন, তাঁরাও হর্ন না বাজিয়ে গাড়ি চালান। আসলে বাংলাদেশে হর্ন বাজানো একটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। অভ্যাস বন্ধ করতে আমাদের এই প্রচারাভিযান, আমাদের কর্মসূচি এবং এনফোর্সমেন্টটা নিয়মিত রাখতে হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দেশের ১৩৫ কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দেশের ১৩৫ কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ

দেশের ১৩৫টি সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে বদলিভিত্তিক পদায়ন দেওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত আলাদা তিনটি আদেশ জারি করা হয়।

সংশ্লিষ্ট কলেজ ও নতুন অধ্যক্ষদের নামের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন। বিজ্ঞপ্তি এক, বিজ্ঞপ্তি দুই, বিজ্ঞপ্তি তিন

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের আগ্রহ দ. কোরিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশে বড় বিনিয়োগের আগ্রহ দ. কোরিয়ার
ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টের মাধ্যমে নতুন যুগের সূচনা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের এ প্রচেষ্টায় সাড়া দিয়ে বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা।

আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে এক বৈঠকে এই বিনিয়োগ পরিকল্পনার ঘোষণা দেন ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সং-এর নেতৃত্বাধীন কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি দল।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি কোরিয়ান ও চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য যে কোনো বিনিয়োগ-সম্পর্কিত উদ্বেগ দূর করতে এবং বাংলাদেশে তাদের বিনিয়োগ দ্রুততর করার জন্য একটি প্রাতঃরাশ বৈঠকের আয়োজন করবেন।

প্রতিনিধি দলে এলজিসহ কোরিয়ার শীর্ষস্থানীয় টেক্সটাইল, ফ্যাশন, স্পিনিং, লজিস্টিকস, স্বাস্থ্যসেবা, বিদ্যুৎ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উদ্যোক্তারা অংশ নেন।

সোমবার প্রতিনিধি দলটি চট্টগ্রামে অবস্থিত কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) পরিদর্শন করে। ইয়াংওয়ান কর্পোরেশন পরিচালিত এই শিল্প পার্কে তাৎক্ষণিক বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন কয়েকজন বিনিয়োগকারী।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এখন একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলছি, যেখানে বিদেশি বিনিয়োগ সহজ এবং ঝামেলামুক্ত।

গত ১৬ বছরে যেসব কঠিন সময় গেছে, আমরা সেই ক্ষতিপূরণ এখন দিতে চাই। আমাদের দায়িত্ব হলো– আপনাদের জন্য পথকে মসৃণ করে তোলা।’

শ্রম, শিল্প, জ্বালানি ও বিনিয়োগ নীতিতে বড় ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কিহাক সং ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে আসেন।

প্রধান উপদেষ্টার ব্যবসাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিকে সাধুবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এই পদক্ষেপগুলো দেশের ব্যবসার সামগ্রিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।’

ড. ইউনূস বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বাংলাদেশকে আপনার ব্যবসার গন্তব্য এবং অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে ভাবুন। আপনারা কোটি কোটি মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনতে পারেন।’

কিহাক সং জানান, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইয়াংওয়ান করপোরেশন চট্টগ্রামে একটি টেক্সটাইল ও ফ্যাশন কলেজ স্থাপন করবে, যা দেশের টেক্সটাইল খাতে দক্ষ জনবল তৈরিতে সহায়ক হবে।

আরো পড়ুন
বিনিয়োগের এত অনুকূল পরিবেশ কখনো ছিল না : ড. ইউনূস

বিনিয়োগের এত অনুকূল পরিবেশ কখনো ছিল না : ড. ইউনূস

 

তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে উদ্দেশ করে প্রধান উপদেষ্টার লেখা চিঠিরও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘চিঠিটি অত্যন্ত সুনিপুণভাবে লেখা হয়েছে।’ (মার্কিন শুল্কারোপের কারণে) তিনি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের বিচলিত না হওয়ার পরামর্শ দেন।

কোরিয়ান ফ্যাশন ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশ থেকে পোশাক কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিনিধিরা বলেন, বাংলাদেশের সরবরাহ শৃঙ্খল অত্যন্ত দক্ষ এবং সমন্বিত।

বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পও দ্রুত বিকাশমান। বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রেক্ষাপটে দেশের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। একজন বিনিয়োগকারী এখানে একটি এপিআই (অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট) প্ল্যান্ট স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ ছাড়াও, প্রতিনিধি দলে থাকা একজন শীর্ষ কোরিয়ান সার্জনকে চট্টগ্রামে একটি হাসপাতাল স্থাপনের প্রস্তাব দেন অধ্যাপক ইউনূস।

বৈঠকে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি-বিষয়ক কো-অর্ডিনেটর লামিয়া মোর্শেদ উপস্থিত ছিলেন। তারা সরকারের বিদেশি বিনিয়োগ সহায়ক নীতির প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

মন্তব্য

২১৯৩ জনের হজযাত্রা নিয়ে শঙ্কা

অনলাইন প্রতিবেদক
অনলাইন প্রতিবেদক
শেয়ার
২১৯৩ জনের হজযাত্রা নিয়ে শঙ্কা
সংগৃহীত ছবি

মক্কায় ১ হাজার ১২৬ এবং মদিনায় ১ হাজার ৬৭ জন হজযাত্রীর বাড়িভাড়া এখনো চূড়ান্ত না হওয়ায় এই ২ হাজার ১৯৩ জনের হজযাত্রা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৮ বারের অনুরোধ সত্ত্বেও ৯ এজেন্সি এখন পর্যন্ত এসব হজ গমনেচ্ছু যাত্রীর বাড়ি ভাড়া করেনি। আজ মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ফারুক আল মামুন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশ থেকে বেসরকারি মাধ্যমে ৮১ হাজার ৯০০ জন হজযাত্রী হজ করতে যাবেন।

সৌদি সরকারের রোডম্যাপ/টাইমলাইন অনুযায়ী মক্কা-মদিনায় বাড়ি ভাড়া ও পরিবহন চুক্তি গত ৩ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত নির্ধারিত ছিল। এই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে ৮ বার তাগিদপত্র প্রেরণ এবং জুম সভায়ও বহুবার অনুরোধ জানানো হয়। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ৯ এজেন্সি ২ হাজার ১৯৩ হজযাত্রীর মক্কা-মদিনায়  বাড়ি ভাড়া ও পরিবহন ব্যবস্থা করেনি। ফলে এসব হজযাত্রীর হজে গমনের বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

হজ এজেন্সিগুলো হলো দ্য ইসলামিয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর, রিলেশন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুুর, ইউরো বেঙ্গল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম, চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর লিমিটেড, গলফ ট্রাভেলস, ভেনিস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস, বরসা ওভারসিস, চ্যাপলান ওভারসিস লিমিটেড ও দারুল ইমান ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস।

এই এজেন্সিগুলোর মধ্যে দ্যা ইসলামিয়া ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর মক্কায় ৪০৩ এবং মদিনায় ২৪০, রিলেশন ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুুর মক্কায় ১৯৩ এবং মদিনায় ৪২৮, ইউরো বেঙ্গল ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম মক্কায় ১৮০ এবং মদিনায় ৭৭, চ্যালেঞ্জার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুর লিমিটেড মক্কায় ১৬৫ এবং মদিনায় ১০৭, গলফ ট্রাভেলস মক্কায় ১৫৭,  ভেনিস ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস মক্কায় ১৫২, বরসা ওভারসিস মদিনায় ১১৭, চ্যাপলান ওভারসিস লিমিটেড মদিনায় ৯৮ এবং দারুল ইমান ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস মক্কায় ৪১ জনের বাড়ি ভাড়া না করায় এসব হজযাত্রীর হজযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। 

এদিকে এজেন্সির গাফিলতির কারণে কেউ হজে যেতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জুলাই সনদের আলোকেই আগামী নির্বাচন : আলী রিয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই সনদের আলোকেই আগামী নির্বাচন : আলী রিয়াজ

রাজনৈতিক দল ও জনমতের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদ প্রকাশ করবে তার আলোকেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা উত্তরকালে এই প্রথমবারের মতো আমরা রাষ্ট্র সংস্কারের ক্ষেত্রে সবার অংশগ্রহণের একটা পথ পদ্ধতি তৈরি করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে এই দেশের গণমানুষের সংগ্রামের কারণে।’

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের এলডি হলে নাগরিক ঐক্যের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে এ সব কথা বলেন আলী রীয়াজ।

নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দীপুর নেতৃত্বে ১০ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল এই সংলাপে অংশ নেয়। এ সময় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, ‘এই সংলাপের মধ্য দিয়ে আমরা একটা জায়গায় দাঁড়াতে পারব, যেখানে আমরা একটা জাতীয় সনদ তৈরি করতে পারব। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত।

এই সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে জুলাই সনদ, যাতে আগামীর বাংলাদেশের একটি পথরেখা তৈরি হয়। এরই একটি অংশ হিসেবে নির্বাচন হবে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার ক্ষেত্রে জুলাই সনদের একটা বড় রকমের ভূমিকা থাকবে।

জাতীয় সনদের একটা বড় রকমের ভূমিকা থাকবে, এটা আমরা আশা করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা পথ খুঁজছি যাতে করে আমাদের লক্ষ্যগুলো অর্জনের পথ আমরা সুনির্দিষ্ট করতে পারি। একত্রে অগ্রসর হতে পারি, ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমরা অগ্রসর হতে পারি।’

এ সময় নাগরিক ঐক্যের প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দীপু বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এই দেশের মানুষের স্বাধীনতা আর গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষাগুলো শুধু মুখের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দীর্ঘ ৫৪ বছর পর দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার সে উদ্যোগটা নিয়েছে, এই উদ্যোগটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।

এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র, আইনের অধিকার, সুশাসন অর্থাৎ শতভাগ গণতন্ত্র মানুষ অর্জন করতে পারবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া স্প্রেড শিটে (ছক আকারে) মতামত চাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিশনের দেওয়া স্প্রেড শিটে আমরা ১৬৬টার মধ্যে ১১৪টিতে একমত হয়েছি, ১১টিতে আংশিক একমত হয়েছি। বাকিগুলোতে একমত হতে পারিনি। আশা করি, আলোচনায় আপনাদের ব্যাখ্যা জানতে পারব।’ 

উল্লেখ্য, সংস্কার বিষয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ, দুদক, জনপ্রশাসন সংস্কারে গঠিত পাঁচটি কমিশনের ১৬৬ সুপারিশে ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে মতামত চায় কমিশন। এতে ২৯টি দল তাদের মতামত দিয়েছে। মতামত দেওয়া দলগুলোর সঙ্গে গত ২০ মার্চ থেকে প্রথম দফার সংলাপ শুরু হয়েছে।

এর আগে এলডিপি, খেলাফত মজলিস, লেবার পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও এবি পার্টির সঙ্গে সংলাপ করেছে কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার মাধ্যমে যেসব বিষয়ে একমত হবে, সেগুলো বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিতে সই হবে জুলাই সনদ।

এদিকে আজ বুধবার বিকল্পধারা ও গণ অধিকার পরিষদ লিখিত মতামত জমা দেবে বলে জানা গেছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ