ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ০৯ এপ্রিল ২০২৫
২৬ চৈত্র ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৬

আদানিকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার দিল বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আদানিকে ১৭৩ মিলিয়ন ডলার দিল বাংলাদেশ
ফাইল ছবি

প্রতিবেশী দেশ ভারতীয় কম্পানির আদানি গ্রুপকে বিদ্যুতের বিল বাবদ ১৭৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা হয়, তারই অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার কিছু অংশ পরিশোধ করা হলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ বিদ্যুতের বকেয়া হিসেবে বাংলাদেশের কাছে পাওনা ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল।

এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জারি করেছে।

আরো পড়ুন
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের পর যেসব মামলা বন্ধ, কোন মামলা চলবে?

সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের পর যেসব মামলা বন্ধ, কোন মামলা চলবে?

 

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তরফ থেকে এটি আদানি পাওয়ারকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই এলসি দেওয়া হয়েছে, ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংককে। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মোট ১৬০০ মেগাওয়াট।

যার পুরোটাই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে রপ্তানি করে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে। কম্পানিটির কাছ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার চুক্তিটি করেছিল। যা ছিল এক অসম চুক্তি। সব সুবিধা দেওয়া হয় আদানিকে।
যা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আদানির সঙ্গে একপেশে চুক্তি অনুযায়ী, তাদেরকে প্রতি মাসে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে।

সমালোচকরা বলেছেন, ভারতের সহায়তায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ আদানির গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুত্ ক্রয়ের এই চুক্তি করা হয়েছিল। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। আর দায় মেটাতে হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণকে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঢাকার সঙ্গে প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা বাড়াতে চায় মস্কো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঢাকার সঙ্গে প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা বাড়াতে চায় মস্কো
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ও রাশিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। উভয় পক্ষ দুই দেশের সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য পারস্পরিক সংকল্প ব্যক্ত করেছে। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাদ দিয়ে ঢাকার রুশ দূতাবাস এসব জানায়।  

রাশিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী কর্নেল জেনারেল আলেকজান্ডার ফোমিনের সঙ্গে মস্কোতে একটি কার্যকর বৈঠক করেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে উভয় পক্ষ প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছে। রাশিয়া ও বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য পারস্পরিক সংকল্প ব্যক্ত করেছে।

বৈঠকটি উষ্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলেও জানায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

মন্তব্য

আন্দোলন নয়, জনগণ চায় নির্বাচন

শেয়ার
আন্দোলন নয়, জনগণ চায় নির্বাচন

নির্বাচন না আন্দোলন, এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে চলছে নানা আলোচনা, হিসাবনিকাশ। নির্বাচন কমিশন আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকেও ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ও তার মিত্ররা এতে সন্তুষ্ট নয়।

নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে বিএনপিসহ মিত্ররা নতুনভাবে রাজপথে নামার পরিকল্পনা করছে। বিএনপির দাবি, তারা নির্বাচনের পক্ষে জনমত সৃষ্টির কাজ করবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, দলটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে সমমনা সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ করবে। দলটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে কথা বলবে বলেও জানিয়েছে।
সুনির্দিষ্ট রূপরেখা না পেলে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে যাবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘এটাকে যদি আপনারা আন্দোলন মনে করেন তাহলে সেটি আন্দোলন।’ ঈদের পর থেকেই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি লক্ষ করা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে তারা সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকও শুরু করেছে।
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণার জন্য সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে বিএনপি। তাদের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনো দ্বিমত নেই। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উত্তরণে নির্বাচনের বিকল্প নেই, এ কথা যেমন ঠিক, তেমন এও সত্য, আমাদের বর্তমান বাস্তবতা অনুভব করতে হবে। বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল। দীর্ঘ ১৭ বছর তারা বিভিন্ন রকম নিপীড়ন, নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, সংগ্রাম করছে।
এ সময় বিএনপির বিরুদ্ধে হয়েছে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত। তার পরও বিএনপিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি প্রতিপক্ষ। বিএনপি ভাঙার বহুবার চেষ্টা হয়েছে। রাজনীতি থেকে বেগম জিয়াকে মাইনাসের চেষ্টা হয়েছে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু এ সবকিছুর পরও বিএনপির দৃঢ় মনোবল নিয়ে জনগণের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে রাজপথে থেকেছে। কাজেই বিএনপির যে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা, তার যৌক্তিকতা অনস্বীকার্য। কিন্তু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি আবার আন্দোলন শুরু করুক, এটা জনগণ চায় না। দেশ এখন আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত নয়।

বিএনপির রাজনীতির অন্যতম দর্শন হলো ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। এখন আন্দোলনের আগে বিএনপিকে দেশের বাস্তবতা বিবেচনা করতে হবে। বাংলাদেশ এখন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে এক কঠিন সময় পার করছে। এ কঠিন সময়ে বিএনপির আন্দোলন গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ব্যাহত করতে পারে। এর ফলে দেশের রাজনীতিতে অনভিপ্রেত একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত স্থিতিশীল নয়। ৫ আগস্টের গণ অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগসহ পতিত স্বৈরাচারের দোসররা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় রাজপথে আন্দোলনের সূচনা হলে পতিত স্বৈরাচার পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পাবে। তারা রাজনীতির মাঠে আবার অনুপ্রবেশ করবে এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করবে। এ বাস্তবতাটা বিএনপিকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। এর ফলে গণ অভ্যুত্থানের যে চেতনা এবং আকাঙ্ক্ষা তা ব্যাহত হতে বাধ্য। দেশের রাজনীতিতে এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ঐক্য। এ ঐক্যে ফাটল ধরুক এমন কোনো কর্মসূচি বিএনপির মতো সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দল নেবে না, এটাই সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো না। পুলিশ বাহিনী এখন পর্যন্ত পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারেনি। বিভিন্ন স্থানে খুন, রাহাজানি, ছিনতাই কিছুটা কমলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আর বিভিন্ন জায়গায় নানা রকম অনভিপ্রেত ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। এ রকম পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী দিনরাত একাকার করে পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তারপর মব, লুটপাটও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার সুযোগে বাড়ছে খুন, ধর্ষণের মতো সামাজিক অপরাধ। এ রকম একটি ভঙ্গুর সময় বিএনপির মতো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল যদি আন্দোলনে যায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। এটি কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল করতে পারে না বলেই জনগণ বিশ্বাস করে।

দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও খুব একটা ভালো নয়। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক দিক থেকে একটা কঠিন সময় পার করছে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে অর্থনীতিতে একটি বড় ধাক্কার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পোশাক খাতের বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যে কার্যাদেশ বাতিলের চিঠি পাচ্ছে। কেউ কেউ কার্যাদেশ স্থগিত করছে। এ বাড়তি শুল্ক সামাল দেওয়াটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন হবে। এতে পোশাক খাতে একটা বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। এমনিতেই রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বেশ কিছু পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। অনেক শ্রমিক ঈদে বেতন-বোনাস পাননি। পোশাক খাত যখন নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তখন মার্কিন এ শুল্ক আরোপ বাংলাদেশের জন্য একটা বড় ধরনের হুমকি। তা ছাড়া সার্বিক অর্থনৈতিক চিত্রটাও ভালো না। আমাদের অর্থনীতিতে আশার প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন প্রবাসী ভাইবোনেরা, যারা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি মোটামুটি একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায় রেখেছেন। কিন্তু আমরা সবাই জানি, শুধু প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দিয়ে একটি দেশের অর্থনীতি সচল এবং ভালো থাকতে পারে না। এ কারণে আমাদের রপ্তানি আয় যেমন বাড়াতে হবে, তেমন দেশি শিল্প উদ্যোক্তা এবং বেসরকারি খাত সচল করতে হবে। কিন্তু বেসরকারি খাত এখন পর্যন্ত সচল হয়নি। সরকার তাদের আস্থায় নিয়ে আসতে পারেনি। অনেক বেসরকারি উদ্যোক্তা নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। নিরাপত্তাহীনতাসহ নানা জটিলতার কারণে কেউ কেউ ব্যবসা সম্প্রসারণ করছেন না। অনেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। এ অবস্থা অর্থনীতির জন্য অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমতো ধুঁকছে। অর্থনীতির গতি স্তিমিত হয়ে পড়েছে। এ সময় আইএমএফের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করছে। তারা বাংলাদেশের জন্য যে ঋণ বরাদ্দ করেছিল তার কিস্তি ছাড় দেবে কি না তা নিয়ে এখন সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে তাদের আলাপ-আলোচনা চলছে। তারা বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণখেলাপি কমিয়ে আনা এবং কর বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে। আইএমএফের ঋণ পেতে বাংলাদেশকে বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কারের দিকে যেতে হতে পারে। এ ধরনের সংস্কার অর্থনীতির ওপর সাময়িকভাবে হলেও একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে কারও কারও শঙ্কা। এর ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়বে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়বে। দ্রব্যমূল্যের কিছুটা লাগাম টেনে ধরলেও চালের দাম নিয়ে শঙ্কা কাটেনি। অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বাড়তির দিকে। এ পরিস্থিতিতে সামনের দিনগুলোয় অর্থনীতির গতিপথ এক অনিশ্চয়তার মধ্যে এগোচ্ছে। শিল্পকারখানাগুলোয় বিদ্যুৎ-গ্যাসের সরবরাহের স্বাভাবিকতা নিয়েও সরকার চ্যালেঞ্জের মুখে।

আন্তর্জাতিক পরিম লেও বাংলাদেশ এখন একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো নতুন করে কথা বলা শুরু করেছে। ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটছে। এ নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ করা হয়েছে বটে, কিন্তু আন্তর্জাতিক পরিম লে বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিয়ে একটি মনগড়া অপপ্রচার এখনো সচল। পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও সন্ত্রাসবাদ এবং উগ্রবাদীদের আস্ফালন লক্ষ করা যাচ্ছে। বিশ্বে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনকে একটি নেতিবাচক ভাবমূর্তির সামনে দাঁড় করানোর চেষ্টা দৃশ্যমান। বাংলাদেশের গণ অভ্যুত্থানকে বদলে কেউ কেউ এটিকে জঙ্গিবাদের উত্থান হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করছে। এ ধরনের ঘটনা সামনের দিনগুলোয় আরও বাড়বে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরাজিত ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করছে। এ রকম পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি নতুন করে আন্দোলন করে তাহলে একদিকে যেমন হিযবুত তাহ্রীরের মতো উগ্র মৌলবাদী গোষ্ঠী সুযোগ পাবে, অন্যদিকে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নতুন করে ক্ষুণ্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিএনপির আন্দোলন জুলাই বিপ্লবের সব অর্জন নষ্ট করতে পারে। বিশেষ করে বিএনপির আন্দোলনের ফলে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় সেটি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিম লে একটা নতুন চাপের মধ্যে ফেলবে বলে অনেকে মনে করেন। এ বাস্তবতায় বিএনপি যা-ই করুক না কেন, তাদের দেশের কথা চিন্তা করতে হবে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য বিএনপির দায়িত্বই এখন সবচেয়ে বেশি। গত আট মাসে বিএনপি অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। তারা সরকারের সঙ্গে একদিকে যেমন আলাপ-আলোচনা করছে, অন্যদিকে বিরুদ্ধমতের সঙ্গে যুক্তিভিত্তিক বিতর্কে অবতীর্ণ হয়েছে। এটি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে মানুষ প্রত্যাশা করে। আর সে কারণেই বিএনপির ধৈর্যহারা হলে চলবে না। বিএনপিকে মনে রাখতে হবে, দীর্ঘ ১৭ বছর তারা ধৈর্য ধরে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের এ রকম কোনো মনোভাব দেখা যায়নি যে, তারা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষমতায় থাকতে চায় বা এ রকম কোনো অভিপ্রায় আছে, বরং প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় সবাই নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নেওয়ার কথা বলছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শুধু বাংলাদেশই নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তাঁর গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। কাজেই তাঁর ওপর আস্থা রাখতেই হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এখন পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার ওপর আস্থাশীল থাকার কথা বলেছেন। তবে প্রধান উপদেষ্টার ওপর যদি বিএনপি আস্থা হারায় এবং রাজপথে আন্দোলন করে সেটি দেশের ভবিষ্যতের জন্য হবে এক ধরনের অশনিসংকেত। এর ফলে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ যেমন ব্যাহত হবে, তেমন বাংলাদেশ পথ হারাবে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি নিশ্চয় এ রকম কোনো কিছু করবে না।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৯ এপ্রিল)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (৯ এপ্রিল)
শুল্কযুদ্ধে তছনছ বিশ্ববাণিজ্য

শুল্কযুদ্ধে তছনছ বিশ্ববাণিজ্য

পাল্টাপাল্টি শুল্কারোপের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধ তীব্র হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।...

 

যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যছাড় ও ক্রয়াদেশ স্থগিতের নির্দেশ আসছে

যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যছাড় ও ক্রয়াদেশ স্থগিতের নির্দেশ আসছে

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক বোঝার কারণে অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ক্রয়াদেশ স্থগিত করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন...

 

সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয় : সালাহউদ্দিন

সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যর্থতা লক্ষণীয় : সালাহউদ্দিন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আমরা ইসরায়েলের সব পণ্য বর্জন করব,...

 

শুল্কঝড়ে পরাস্ত ডব্লিউটিও

শুল্কঝড়ে পরাস্ত ডব্লিউটিও

ট্রাম্পের নতুন শুল্ক আরোপের প্রভাবে বাণিজ্য যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে বিশ্ব। চীনসহ বিশ্ব অর্থনীতির শীর্ষ অনেক দেশ...

 

যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে

যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প বাজার খুঁজতে হবে

ট্রাম্প প্রশাসনের পাল্টা শুল্ক আরোপের কারণে রপ্তানি বাণিজ্যে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের বিকল্প বাজার খুঁজতে...

 

মাদকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কিশোর গ্যাং

মাদকের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কিশোর গ্যাং

দেশজুড়ে বাড়ছে কিশোর অপরাধীর সংখ্যা। বিগত দুই বছরে এ সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। একই সময়ে কিশোর গ্যাংয়ের হার...

 

১৬ বছরে মামলা সাড়ে ১১ লাখ

১৬ বছরে মামলা সাড়ে ১১ লাখ

প্রায় ১০ বছর আগে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে তৎকালীন সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৪ মে চলো...

 

নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক এমপি মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার

নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক এমপি মোরশেদ আলম গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে...

 

এক মাসের মধ্যে ইতালির ভিসা জটিলতা সমাধানের আলটিমেটাম

এক মাসের মধ্যে ইতালির ভিসা জটিলতা সমাধানের আলটিমেটাম

আগামী এক মাসের মধ্যে ইতালির ভিসা জটিলতার সমাধান করার আলটিমেটাম দিয়েছেন ইতালির ভিসাপ্রত্যাশী ব্যক্তিরা। গতকাল...

 

জনতা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জনতা ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আর্থিক অসংগতিপূর্ণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অনুকূলে মর্টগেজ করা জমির অতিমূল্যায়ন করে জনতা ব্যাংকের ২৩৫ কোটি ২৮ লাখ...

 

ইউনূস-মোদি বৈঠকের পর দিল্লিতে হাইকমিশনার পাঠাল বাংলাদেশ

ইউনূস-মোদি বৈঠকের পর দিল্লিতে হাইকমিশনার পাঠাল বাংলাদেশ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের কয়েক দিন পর...

 

এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সময় লাগবে

এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সময় লাগবে

প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, এক লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো...

 

রেল প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধের নির্দেশ উপদেষ্টার

রেল প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধের নির্দেশ উপদেষ্টার

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রকল্প গ্রহণে অপ্রয়োজনীয় ও বাড়তি ব্যয় পরিহারের পরামর্শ দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা...

 

ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় ৪ মামলা, গ্রেপ্তার ৫৬

ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় ৪ মামলা, গ্রেপ্তার ৫৬

দেশজুড়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে...

 

নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি

নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে...

 

দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগে প্রস্তুত

দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগে প্রস্তুত

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নতুন যুগের সূচনা হওয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার...

 

হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি

হাসিনাকে ফেরানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত থেকে বহিঃসমর্পণ করে বাংলাদেশে পাঠানোর বিষয়টি অন্তর্বর্তী সরকারের...

 

রাশিয়ান সেনা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন সেনাপ্রধান

রাশিয়ান সেনা শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন সেনাপ্রধান

রাশিয়ায় সফররত বাংলাদেশ সরকারের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ও তাঁর নেতৃত্বাধীন সামরিক...

 

১২০ টন ত্রাণ নিয়ে মায়ানমার গেল নৌবাহিনীর জাহাজ

১২০ টন ত্রাণ নিয়ে মায়ানমার গেল নৌবাহিনীর জাহাজ

সম্প্রতি শক্তিশালী ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মায়ানমারে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর মানবিক সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।...

 

টিসিবির ট্রাকের সামনে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা

টিসিবির ট্রাকের সামনে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা

  

 

৯ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল হতে পারে

৯ এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল হতে পারে

চলতি বছর হজের জন্য সৌদি আরবের মক্কায় সাত হাজার ২৭৪ জন এবং মদিনায় তিন হাজার ২১৩ জন হজযাত্রীর বাড়ি ভাড়া এখনো...

 

মনোবাসনা পূরণ হয় সে মেলায়

মনোবাসনা পূরণ হয় সে মেলায়

দিনাজপুরের বিরল উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রাম। প্রায় তিন শ বছর আগে থেকেই বছরে একবার এই রামচন্দ্রপুরে বসে শঙ্খবাণী...

 

আহত স্বজনকে দেখতে যাওয়ার পথে বাস উল্টে বাবা-ছেলে নিহত

আহত স্বজনকে দেখতে যাওয়ার পথে বাস উল্টে বাবা-ছেলে নিহত

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ভাইকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন জোয়ার সরদার (৭০)। সঙ্গে নিয়েছিলেন তাঁর ছেলে...

 

এবারের ঈদটা আমারই

এবারের ঈদটা আমারই

একটা সিক্রেট শেয়ার করি, হাশিম ভাইকে নিয়ে অনেক বড় একটা সারপ্রাইজ নিয়ে আসব আমরা। চেষ্টা করছি শিগগিরই সেই ধামাকা...

 

সাত থেকে চৌদ্দতে জংলি

সাত থেকে চৌদ্দতে জংলি

ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছে এম রাহিমের জংলি। সিয়াম আহমেদ, শবনম বুবলী, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি অভিনীত ছবিটি প্রথম দিন...

 

স্বাধীনতা কনসার্ট স্থগিত

স্বাধীনতা কনসার্ট স্থগিত

১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে স্বাধীনতা কনসার্ট। তবে ইসরায়েলের...

 

বড় ছেলেকে টপকে গেলেন জামাই

বড় ছেলেকে টপকে গেলেন জামাই

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব অভিনয় করছেন ১৯ বছর ধরে। পেয়েছেন অসম্ভব জনপ্রিয়তা। টিভি নাটক ও ওটিটিদুই মাধ্যমেই সফল তিনি।...

 

গাজা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা

গাজা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা

গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ চলছে। এরই মধ্যে হোয়াইট হাউসে উপস্থিত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের...

 

চিতা পরিবারকে পানি দিলেন গাড়িচালক, তদন্তে কর্তৃপক্ষ

চিতা পরিবারকে পানি দিলেন গাড়িচালক, তদন্তে কর্তৃপক্ষ

ভারতের মধ্য প্রদেশের কুনো ন্যাশনাল পার্কে এক বনকর্মী চিতা ও তার শাবকদের পানি খেতে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ...

 

এক দশকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড ২০২৪ সালে

এক দশকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড ২০২৪ সালে

মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, গত বছর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত...

 

আদালতে হাজিরা দিলেন প্রিন্স হ্যারি

আদালতে হাজিরা দিলেন প্রিন্স হ্যারি

যুক্তরাজ্যের আদালতে হাজিরা দিয়েছেন দেশটির রাজপরিবার থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসন নেওয়া সদস্য প্রিন্স হ্যারি। গতকাল...

 

আফগান শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান

আফগান শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে পাকিস্তান

   

 

এই লুটপাটের সংস্কৃতি আমাদের নয়

এই লুটপাটের সংস্কৃতি আমাদের নয়

গাজা এখন জ্বলছে। সারা বিশ্বকে স্তম্ভিত করে গাজায় চলছে নারকীয় গণহত্যা, তাণ্ডব। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের এক...

 

এবার ট্রাম্পের লক্ষ্যবস্তু কি ইরান

এবার ট্রাম্পের লক্ষ্যবস্তু কি ইরান

এবারের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন, যা তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের পরও...

 

ধুমধামে হলো এতিম ফারিয়ার বিয়ে

ধুমধামে হলো এতিম ফারিয়ার বিয়ে

ধুমধামে হয়ে গেল এতিম মেয়ে মোছাম্মাদ ফারিয়ার বিয়ে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা)...

 

ইসলামের দৃষ্টিতে পণ্য বয়কট

ইসলামের দৃষ্টিতে পণ্য বয়কট

জীবনের প্রয়োজন মেটানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো ব্যবসা। ব্যবসায় উভয় পক্ষের লাভের উদ্দেশ্য থাকে। তাই যখন...

 

গিবত করাও পাপ, শোনাও পাপ

গিবত করাও পাপ, শোনাও পাপ

গিবত বা পরনিন্দা ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত কাজ। তাই কেউ কেউ গিবত থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে সতর্ক থাকলেও...

 

কখন আল্লাহর সাহায্য আসবে

কখন আল্লাহর সাহায্য আসবে

বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরায়েলি হামলায় মসজিদে আকসা আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পাখির মতো উড়ে যাচ্ছে গাজাবাসী। কাঁদছে...

 

পুকুরে ছায়া পড়ে তাই সড়কের গাছ বিক্রি

পুকুরে ছায়া পড়ে তাই সড়কের গাছ বিক্রি

সড়কের পাশে সারি সারি বিভিন্ন জাতের গাছ। কোনোটার বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর, আবার কোনোটার বয়স ১৫ থেকে ২০ বছর। তপ্ত রোদে...

 

বুলগেরিয়ায় মুসলিম শাসনের স্মৃতি

বুলগেরিয়ায় মুসলিম শাসনের স্মৃতি

কিসেলচোভ বুলগেরিয়ার রোডোপ অঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। এই গ্রামে পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছে মিনারহীন একটি...

 

পার্কের মিনি চিড়িয়াখানায় ভালুকের শরীরে পচন

পার্কের মিনি চিড়িয়াখানায় ভালুকের শরীরে পচন

ময়মনসিংহের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন পার্কের (উদ্যান) মিনি চিড়িয়াখানায় ভালুকের দেহে পচন ধরেছে। বিষয়টি সামাজিক...

 

ভ্যাটের ৪২ কোটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি বাংলালিংকের

ভ্যাটের ৪২ কোটি টাকা পরিশোধে গড়িমসি বাংলালিংকের

রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের ওপর প্রায় ৪২ কোটি টাকা ভ্যাট পরিশোধ করেনি বাংলালিংক। দেশের বেসরকারি মোবাইল অপারেটরটির...

 

এফডিসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কাজ করছে সরকার

এফডিসিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কাজ করছে সরকার

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনকে (বিএফডিসি) লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন...

 

দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইলিশ রপ্তানি সম্ভব

দেশের চাহিদা মিটিয়ে ইলিশ রপ্তানি সম্ভব

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বিদেশে ইলিশের চাহিদা অনেক। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম চাওয়া...

 

এবার শুঁটকি হবে ৫০০ কোটি টাকার

এবার শুঁটকি হবে ৫০০ কোটি টাকার

কক্সবাজারের সামুদ্রিক শুঁটকি মাছের মৌসুম শেষের দিকে। সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবর্তন হওয়ায় এবার...

 

‘বুঝলাম না, আমি কোন পক্ষের লোক’

‘বুঝলাম না, আমি কোন পক্ষের লোক’

শিক্ষার্থী আব্দুল জব্বারকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর...

 

স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে অর্থনীতি

স্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে অর্থনীতি

দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থার দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বা মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) গত...

 

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে চাপে ফেলবে মার্কিন শুল্ক

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতকে চাপে ফেলবে মার্কিন শুল্ক

ট্রাম্প প্রশাসনের আরোপিত শুল্কের কারণে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো সবচেয়ে বেশি...

 

নূরুল্লাহ চৌধুরী ব্যাংক এশিয়ার নতুন এএমডি

নূরুল্লাহ চৌধুরী ব্যাংক এশিয়ার নতুন এএমডি

ব্যাংক এশিয়া পিএলসিতে অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ হোলসেল ব্যাংকিং অফিসার পদে যোগ দিয়েছেন নূরুল্লাহ...

 

জুলাই সনদের আলোকেই আগামী জাতীয় নির্বাচন

জুলাই সনদের আলোকেই আগামী জাতীয় নির্বাচন

রাজনৈতিক দল ও জনমতের ভিত্তিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন যে জুলাই সনদ প্রকাশ করবে তার আলোকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন...

 

রান উৎসবের ম্যাচ লখনউর

রান উৎসবের ম্যাচ লখনউর

ইডেন গার্ডেনসে ৪০ ওভারে রান হয়েছে মোট ৪৭২। রান উৎসবের এই ম্যাচে স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ৪ রানে হারিয়েছে...

 

হাসিনার কাছে আবদার করে রাজউকে আবেদন না করেই প্লট পুতুলের

হাসিনার কাছে আবদার করে রাজউকে আবেদন না করেই প্লট পুতুলের

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবদার করে রাজউকে আবেদন না করেই প্লট নিয়েছেন তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।...

 

কিংসকে অপেক্ষায় রেখে ফাইনালে আবাহনী

কিংসকে অপেক্ষায় রেখে ফাইনালে আবাহনী

খেলার ১১৮ মিনিটে মেহেদি হাসান শ্রাবণকে তুলে নিয়ে অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আনিসুর রহমানকে মাঠে নামায় বসুন্ধরা কিংস।...

 

উজ্জীবিত বার্সেলোনার সামনে ডর্টমুন্ড

উজ্জীবিত বার্সেলোনার সামনে ডর্টমুন্ড

ফুটবলের মাঠে দারুণ সময় কাটছে বার্সেলোনার। দুর্দান্ত ধারাবাহিকতায় মৌসুমে চার শিরোপার স্বপ্ন দেখছে এখন...

 
মন্তব্য

বিনিয়োগে বাংলাদেশ একটি চমৎকার স্থান : চরমোনাই পীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিনিয়োগে বাংলাদেশ একটি চমৎকার স্থান : চরমোনাই পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। এদেশের মানুষ ধার্মিক, ধর্মোন্মাদ নয়। সততা, কর্তব্যনিষ্ঠতা, দায়বদ্ধতা আমরা ধর্ম থেকেই শিখেছি। একই সঙ্গে আমাদের রয়েছে বিপুল উদ্দীপনাময় শিক্ষিত তারুণ্য।

আমাদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া আগের যে কোন সময়ের চেয়ে ভালো। ফলে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি চমৎকার স্থান। 

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত বৈঠকে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

চরমোনাই পীর বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনাদের বিনিয়োগের সুরক্ষায় যা যা করনীয় তা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা করবো। রাসুলুল্লাহ (স.) পেশাগত জীবনে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ইসলামে সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবীগণ, সিদ্দীকীন এবং শহীদগণের সঙ্গে থাকবে মর্মে ঘোষণা দিয়ে ব্যবসায়ীদের সন্মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও সারাবিশ্বের ব্যবসায়ীদেরকে আমাদের ভূমিতে স্বাগত জানাই।

বাংলাদেশ একটি সংস্কার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অতিত থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছি। আর কোনো স্বৈরতন্ত্র যাতে জন্ম নিতে না পারে সেজন্য জাতি হিসেবে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ ও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। 

তিনি বলেন, আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশের ইসলামপন্থা একটি শান্তিপূর্ণ সংস্কারমূলক ধারায় কাজ করে। এই ভূখন্ডে ইসলাম প্রসারের ঐতিহাসিক কারণেই এখানে সহিংসতার কোনো স্থান নাই।

বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনাকে বড় করে না দেখে বরং সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করলে বাংলাদেশকে একটি ইতিবাচক, শান্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, কর্মঠ জনগোষ্ঠীর দেশ হিসেবেই দেখা যাবে।

নিয়মিত বৈঠকে আরো উপস্থিতি ছিলেন, দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউুনস আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউম প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ