ঢাকা, সোমবার ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
১৯ মাঘ ১৪৩১, ০৩ শাবান ১৪৪৬

অন্তর্বর্তী সরকারকে গণগ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অন্তর্বর্তী সরকারকে গণগ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও প্রতিশোধমূলক সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে ৫০ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।

‘আফটার দ্য মুনসুন রেভল্যুশন : আ রোডম্যাপ টু লাস্টিং সিকিউরিটি সেক্টর রিফর্ম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে অন্তর্বর্তী সরকারকে আটকের ক্ষেত্রে আইন অনুসরণ ও সমালোচকদের দমনের জন্য ব্যবহৃত আইন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। না হলে সংস্কারের জন্য সরকারের গৃহীত কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ব্যাহত হতে পারে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে সংস্কারের ক্ষেত্রে ক্ষমতার পৃথকীকরণ এবং জনপ্রশাসন, পুলিশ, সামরিক, বিচার বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে স্থায়ী সংস্কার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর এবং জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কারিগরি সহায়তা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং প্রতিশোধমূলক যে সহিংসতা তৈরি হয়েছিল, গত বছরের আগস্টে গণবিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর তাতে একটি স্থায়ী সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

দীর্ঘমেয়াদি পরিবর্তন নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের সমর্থনকে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বাগত জানানো উচিত বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার পরিচালক এলেইন পিয়ারসন বলেন, ‘প্রায় এক হাজার বাংলাদেশি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে, শুরু হয়েছে একটি যুগান্তকারী অধ্যায়ের। বাংলাদেশে একটি অধিকার ও সম্মানজনক ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

‘ভবিষ্যতের সরকারের যেকোনো দমন-পীড়নকে প্রতিহত করতে দ্রুত ও কাঠামোগত সংস্কার করতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের কষ্টে অর্জিত অগ্রগতি সফল হবে না’ বলে উল্লেখ করেছেন পিয়ারসন।

মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য মানবাধিকার কাউন্সিলের অধিবেশনে একটি ঐকমত্য প্রস্তাব আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

যাতে সংস্কার প্রক্রিয়াকে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের অব্যাহত পর্যবেক্ষণ ও প্রতিবেদন নিশ্চিত করা যায় এবং সরকারকে মূল কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেওয়া উচিত বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে গণগ্রেপ্তার বন্ধে গাইডলাইন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ক্রসফায়ার ও বন্দুকযুদ্ধ বন্ধ, র‍্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ, বলপূর্বক অপহরণ ও গুম বন্ধের সুপারিশ, কার্যকর ও অধিকারভিত্তিক বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা ও সক্রিয় নাগরিক সমাজ গঠন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা: হাসনাত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা দিতে না পারা সরকারের ব্যর্থতা: হাসনাত
সংগৃহীত ছবি

ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা দিতে পারে নাই, এটা সরকারের ব্যর্থতা বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। এজন্য সরকারের আমলাতান্ত্রিক পদ্ধতি দায়ী, সচিবরা দায়ী, আমলারা দায়ী। যারা আহত হয়েছেন তাদের আমরা সুচিকিৎসা দিতে পারি নাই, এজন্য আমি নিজে ব্যথিত।

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার সামনে অবস্থান নেন জুলাই-আগস্টের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা।

পরে সেখানে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন তিনি।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আহতের পুনর্বাসন করার বিষয়টি একটি লম্বা প্রক্রিয়া। নানা জায়গায় তাদের কাগজ চেক করতে করতে একটা জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখানে গ্রুপ, উপগ্রুপ তৈরি হয়েছে।

এখানে একটা দালাল শ্রেণি তৈরি হয়েছে। একপক্ষ আরেকপক্ষকে দোষারোপ করছে। কেউ বলছে আমরা অরিজিনাল, আবার কেউ বলছে ওরা ভুয়া। এ ধরনের ঘটনার কারণে সরকার বিব্রত।
অবিলম্বে যারা আহত তাদের সুচিকিৎসার জন্য যা যা করা দরকার সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে করবে। আপনাদের এ দাবি আমি সরকারের কাছে জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমাদের হাতে কিছু নেই। আমরা কিছু করতে পারি না। আপনারা যে চিকিৎসা পান না এটা সত্য।

এর জন্য দায়ী সরকারের লোকজন। সরকার ভালো মতো তদারকি করতে পারে নাই।

মন্তব্য

ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাইয়ের আহতরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জুলাইয়ের আহতরা
সংগৃহীত ছবি

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মধ্যরাতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে যমুনার সামনে অবস্থান নেন তারা।

এর কয়েক মিনিট পরই তাদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে উপস্থিত হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

যমুনার সামনে দেখা যায়, আহতরা সেখানে অবস্থান নিয়ে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।

এর আগে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সুচিকিৎসা, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণের দাবিতে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতরা।

এসময় তারা চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে বৈষম্য করার অভিযোগ তোলেন।

মন্তব্য

একুশে পদকে থাকছে না গ্রুপ ফটো সেশন : ফারুকী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
একুশে পদকে থাকছে না গ্রুপ ফটো সেশন : ফারুকী
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ফাইল ছবি

এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে গ্রুপ ফটো সেশনের রেওয়াজ থাকবে না বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

রবিবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি তথ্য জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের গ্রুপ ফটো সেশন নিয়ে গতকাল থেকে নানারকম আলোচনা হচ্ছে। আপনারা সবাই জানেন সরকার বা পুরস্কার প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সাথে স্টেজেই পুরস্কারপ্রাপ্তদের গ্রুপ ফটো সেশনের একটা রেওয়াজ চালু আছে।

কিন্তু আমরা তো সংস্কার করতে আসা সরকার। আমাদের কেনো রেয়াজ মানতে হবে?’

তিনি আরো বলেন, ‘আজ আমাদের মন্ত্রণালয়ে এটা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রুপ ফটো সেশনের এই রেওয়াজ এ বছরের একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠান থেকে আর রাখা হবে না। গ্রুপ ফটো সেশন কোথায় কিভাবে হবে এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।’ 

মন্তব্য

সালাম দিয়ে বলতে হবে, ‘প্রিয় খুনী, আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করুন?’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সালাম দিয়ে বলতে হবে, ‘প্রিয় খুনী, আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করুন?’
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বইমেলা প্রাঙ্গনে বসানো ডাস্টবিনে শেখ হাসিনার ছবি থাকাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কে মুখ খুললেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

রবিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, ছয়মাস হলো আমরা একটা খুনী-সাইকোপ্যাথের হাত থেকে মুক্তি পাইছি। জাস্ট ছয় মাস!’

আরো পড়ুন
আ. লীগ নেতা নোয়াব আলী গ্রেপ্তার

আ. লীগ নেতা নোয়াব আলী গ্রেপ্তার

 

তিনি বলেন, ‘যে খুনী শত শত মানুষকে গুম করিয়েছে, হাজার হাজার বিরোধী মতের মানুষকে খুন করিয়েছে, জুলাইতে একটা নারকীয় গণহত্যা চালিয়েছে, ইলিয়াস আলিকে গুমের পর হত্যা করে তার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে নাটক করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করিয়ে মানুষ মেরেছে- তার সাথে শিষ্টাচার?’

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘হিটলারের সাথে শিষ্টাচার? আর ইউ সিরিয়াস? সালাম দিয়ে বলতে হবে, ‘প্রিয় খুনী, আপনি আমার প্রণাম গ্রহণ করুন?’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ