মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘চৈত্রসংক্রান্তিতে আমরা যা পাই, তা প্রকৃতির দান। চৈত্রসংক্রান্তি আমাদের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষার শিক্ষা দিয়ে থাকে।’
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দুই দিনব্যাপী চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে নারী ও চৈত্রসংক্রান্তি আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘এই প্রথম বাংলাদেশে সরকারিভাবে চৈত্রসংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখ একত্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
দেশের সংস্কৃতিতে আমরা শুধু এত দিন পহেলা বৈশাখ উদযাপন করে আসছিলাম তার একটি পরিবর্তন এলো। কারণ এটাই আমাদের আসল সংস্কৃতি।’
উপদেষ্টা শাক-সবজিকে দরিদ্র মানুষের পুষ্টির অন্যতম উৎস উল্লেখ করে বলেন, ‘এই উৎসবের দিন সাধারণত বিভিন্ন পদের শাক-সবজি দিয়ে তরকারি তৈরি করার প্রচলন আছে। এদিন কোনো প্রকার আমিষ খাওয়া হয় না।
গ্রামবাংলার যত ধরনের আয়োজন ও বৈচিত্র্য সংস্কৃতি, তা এই চৈত্রসংক্রান্তিতে দেখা যায়।’
চৈত্রসংক্রান্তির ঐতিহ্যবাহী ১৪ রকমের শাকের কথা উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, ‘এই শাক বর্তমানে আর বিশুদ্ধভাবে পাওয়া যায় না। আজকাল পরিবেশদূষণের কারণে এবং আধুনিক কৃষিতে কীটনাশক ও আগাছা নাশক ব্যবহারের কারণে আমরা শাক পেলেও তা ব্যবহার উপযোগী নয়। কারণ সেটা বিষাক্ত হয়ে যায়।
আমরা যদি পরিবেশটাকে বিষমুক্ত করতে পারি, তাহলে সবাই শাক খেতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেশের যে উন্নয়নের কথা বলছি ও দেশকে এগিয়ে নিতে চাচ্ছি এবং জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পরে আমরা যে নতুন বাংলাদেশের কথা বলছি, সেখানে বিল্ডিং ও গাড়ি করাটাই যেন উন্নয়নের মূল সংজ্ঞা না হয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
নবপ্রাণ আন্দোলনের আয়োজনে এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কবি ও রাষ্ট্রচিন্তক ফরহাদ মজহার, কুষ্টিয়া থেকে আগত সাধুগুরু, নবপ্রাণ আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ও নয়াকৃষি আন্দোলনের কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।