দূষণ বিরোধী অভিযানে ২৪ কোটি টাকার জরিমানা, বন্ধ ৬৪৮ ইটভাটা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দূষণ বিরোধী অভিযানে ২৪ কোটি টাকার জরিমানা, বন্ধ ৬৪৮ ইটভাটা
সংগৃহীত ছবি

গত চার মাসে সারা দেশে দূষণবিরোধী বিশেষ অভিযান ২৪ কোটির বেশি টাকা জরিমানা আদায় এবং ৬৪৮টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর গত ২ জানুয়ারি থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে দূষণ বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এই জরিমানা আদায় করে।

এই অভিযানে যানবাহন, অবৈধ ইটভাটা, স্টিল মিল, শব্দদূষণ, ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য, সীসা কারখানা, জলাশয় ভরাট, টায়ার পোড়ানো এবং খোলা নির্মাণ সামগ্রীর বিরুদ্ধে ৭৭৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে ১ হাজার ৬৬৩টি মামলার মাধ্যমে মোট ২৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ১শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

একইসাথে ৪৩৮টি অবৈধ ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ২১০টি ইটভাটা বন্ধের জন্য কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১২৪টি ভাটায় কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়েছে এবং ৭টি ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

এছাড়াও, একজনকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ ট্রাক সীসা গলানোর যন্ত্রপাতি জব্দ করে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগরের গুলশান, মাতুয়াইল, আমিনবাজার, মোহাম্মদপুর ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় নির্মাণ সামগ্রীর মাধ্যমে বায়ুদূষণ করার দায়ে ৬টি মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে ৫টি মামলায় ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

একই দিন আমিনবাজারে অবৈধ সীসা ব্যাটারি গলানোর একটি কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কারখানাটি উচ্ছেদ এবং যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।

গাজীপুরে জলাধার ভরাটের অভিযোগে একজনকে সতর্ক এবং ৫ দিনের মধ্যে পুকুর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মানিকগঞ্জ ও দিনাজপুরে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযানে ৮টি মামলায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। অভিযানে একটি ইটভাটার চিমনি ও কাঁচা ইট ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ৬টি ইটভাটার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দূষণ নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রথমবার উন্মোচিত হলো বাংলা ডোমেইনে ই-মেইল ব্যবহার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
প্রথমবার উন্মোচিত হলো বাংলা ডোমেইনে ই-মেইল ব্যবহার
সংগৃহীত ছবি

‘বিটিআরসি.বাংলা’ ডোমেইনে বিটিআরসির নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং ইমেইল অ্যাপ্লিকেশন উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী।

একটি বহুভাষিক ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইউনিভার্সেল অ্যাকসেপ্টেন্স দিবস ২০২৫ উদযাপনকালে এ দুটি প্ল্যাটফর্ম উদ্বোধন করা হয়েছে।

বিটিআরসি ও বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্ন্যান্স ফোরামের (বিআইজিএফ) যৌথ আয়োজনে এবং ইন্টারনেট করপোরেশন ফর অ্যাসাইনড নেমস অ্যান্ড নম্বরসের (আইকান) সহযোগিতায় আয়োজিত কারিগরি কর্মশালা ও বিশেষ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, টেলিযোগাযোগ খাত সংশ্লিষ্ট অংশীজনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।

সূচনা বক্তব্যে বিটিআরসির মহাপরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশনস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিউল আজম পারভেজ ইউনিভার্সেল অ্যাকসেপ্টেন্স দিবসের প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরেন।

স্বাগত বক্তব্যে বিআইজিএফ মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল হক অনু ডট বাংলা ডোমেইনকে জনপ্রিয় করতে বিটিআরসির সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি এ সম্পর্কে বিআইজিএফ এবং বিটিআরসির সম্মিলিত বিভিন্ন উদ্যোগের ওপর আলোকপাত করেন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ বলেন, ইন্টারনেট জগতে  ৪৯ দশমিক ২ শতাংশ কনটেন্ট ইংরেজি, অথচ ইংরেজিভাষী জনসংখ্যা পৃথিবীতে মাত্র ১৬ শতাংশ। ফলে বহু দেশের বহু ভাষার মানুষ তার নিজস্ব ভাষায় ইন্টারনেট কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারছে না।

তিনি ইন্টারনেটে বাংলা ভাষা ব্যবহার এবং ইউনিভার্সেল অ্যাকসেপ্টেন্সের প্রেক্ষাপট, এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্যবহুল উপস্থাপনা করেন।

চ্যাটজিপিটিসহ এআই মডেলগুলো ইংরেজি ও পশ্চিমা ভাষার ওপর বেশি জোর দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলায় ইন্টারনেটকেন্দ্রিক কনটেন্ট, ইন্টারফেস এবং বিভিন্ন ভাষায় ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করা জরুরি। এটা আমাদের দেশ, জাতি এবং সমাজের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও প্রযুক্তিগত বিকাশের জন্য একান্ত জরুরি।

ইউনিভার্সেল অ্যাকসেপ্টেন্সের কারিগরি দিক আলোকপাত করেন বিটিআরসির উপপরিচালক ড. শামসুজ্জোহা।

তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৬ সালে নতুন করে টপ লেভেল ডোমেইন বরাদ্দ দেওয়া শুরু হবে। এতে বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহী উদ্যোক্তাসহ সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে আইকান এর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সমীরণ গুপ্ত বলেন, যারা ইংরেজি ভাষাভাষী নয়, তাদের জন্য বহুভাষিক ইন্টারনেট সুবিধাটা গুরুত্বপূর্ণ।  

ডোমেইন সংক্রান্ত সামগ্রিক বিষয়ে, বিশেষত ইউনিভার্সেল অ্যাকসেপ্টেন্স বিষয়ে আইকান এর কর্মসূচি বিষয়ে আলোকপাত করে তিনি বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে যেকোনো প্রকৌশল ও কারিগরি সহায়তা দিতে আইকান প্রস্তুত রয়েছে।

আইকান বোর্ডের পরিচালক সাজিদ রহমান বলেন, ইন্টারনেট সবাইকে এক সুতোয় বাধার জন্য চালু হলেও ভাষার কারণে অনেক ক্ষেত্রেই তা বিভক্তি তৈরি করেছে। আমরা যদি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়তে চাই, তবে সব মানুষকে সমানভাবে ইন্টারনেটের সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এজন্য বিটিআরসির এ উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে কার্যকরভাবে ইউনিভার্সেল অ্যাকসেপ্টেন্স এর ইকোসিস্টেম তৈরি করা সম্ভব হবে।  

ইন্টারনেট জগতে যেকোনো ভাষার সার্বজনীন ব্যবহারের কারিগরি চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন বিটিসিএলের ডোমেইন ডিভিশনের ম্যানেজার মোস্তফা আল মামুন এবং আম্বার আইটির মাহফুজুর রহমান।  

তারা জানান, ইউনিভার্সেল অ্যাকসেপ্টেন্সের সফল বাস্তবায়নে সফটওয়্যার ও কারিগরি প্রকৌশল উন্নয়নে অব্যাহতভাবে কাজ করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, যোগাযোগের জন্য মাতৃভাষার বিকল্প নেই। অন্য ভাষায় নিজেকে প্রকাশ করতে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই তা আরও জটিল হয়ে ওঠে। অনেক সময়ই সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় অন্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ডিজিটাল ডিভাইড কমিয়ে আনতে কানেক্টিভিটি ও ইন্টারনেট ব্যবহার- এ দুই ক্ষেত্রেই ব্যবধান কমিয়ে আনতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মাহমুদ হোসেন, বিআইজিএফ চেয়ারপারসন মোহাম্মদ আমিনুল হাকিমসহ বিটিআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নতুন শিল্প স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করবে : চরমোনাই পীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নতুন শিল্প স্থাপনে বাধা সৃষ্টি করবে : চরমোনাই পীর
সংগৃহীত ছবি

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘গ্যাসের দাম নির্ধারণে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। যা নতুন শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে। একই খাতে ব্যবসারত পুরনো কারখানা কম দামে গ্যাস পাবে, নতুন কারখানাকে বাড়তি দাম দিতে হবে। ফলে নতুনরা পুরনোদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় বিপাকে পড়বেন।

’ 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মাগুরার শালিখা উপজেলা আয়োজিত এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘বাংলাদেশের শিল্প খাতে জ্বালানি একটি প্রধান সমস্যা। অপ্রতুল জ্বালানি এবং জ্বালানির দাম নিয়ে স্থিতিশীল কোনো নীতি না থাকার কারণে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাগ্রস্ত থাকেন। সম্প্রতি সরকার বিনিয়োগ সম্মেলন করল।

সেখানে নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করার নানা চেষ্টা করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। অথচ এখন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন শিল্পের জন্য গ্যাসের দাম ৩৩ শতাংশ বাড়িয়েছে। যা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সরকারের সদিচ্ছাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে।
ব্যবসার ক্ষেত্রে নীতির ধারাবাহিকতা থাকা আবশ্যক। নীতি অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ সিদ্ধান্তকে দ্বিধাগ্রস্ত করে। ফলে নুতন শিল্পের জন্য ৩৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হবে। একই সঙ্গে ব্যবসাসংক্রান্ত নীতিতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে।’

আরো পড়ুন
বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার শাখার কমিটি ঘোষণা

বসুন্ধরা শুভসংঘের মৌলভীবাজার শাখার কমিটি ঘোষণা

 

জাতীয় নির্বাচন নিয়ে চরমোনাইয়ের এই পীর বলেন, ‘সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

নির্বাচন লাগবে, তবে জরুরি সংস্কার সম্পন্ন না করে নির্বাচন দিলে দেশ আবারও আগের মতো বাজে অবস্থায় যাবে। তাই সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে। দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখনো পরিবর্তন হয়নি। চাঁদাবাজি, দখলদারি, পেশিশক্তির প্রদর্শন এখনো বিদ্যমান। কারা এগুলো করছে তা আমরা সবাই জানি। জনপ্রশাসনসহ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পতিত স্বৈরাচারের রেশ এখনো আছে। এই অবস্থায় নির্বাচনকে মুখ্য করে তোলার কোনো কারণ নেই। বরং সংস্কার করে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্রকাঠোমো নিশ্চিত করেই নির্বাচনে যেতে হবে।’

মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলা আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা উসমান গনী সাঈফির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন দলটির জেলা সভাপতি মুফতি মোস্তফা কামাল, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান, সহসভাপতি মাওলানা মশিউর রহমান এবং নাজিরুল ইসলাম প্রমুখ।

মন্তব্য

আমরা পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি : প্রেসসচিব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আমরা পাকিস্তান-ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি : প্রেসসচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা ইন্ডিয়ার সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি। ভুটান, নেপালের সঙ্গেও চাচ্ছি।’

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিবের বাংলাদেশ সফরের প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা চাচ্ছেন সার্কের যত দেশ আছে, আমরা তো দক্ষিণ এশিয়ার পরিবারভুক্ত, প্রত্যেক দেশের সঙ্গে আমাদের যাতে সম্পর্কের উন্নয়ন হয়। সেই আলোকে পাকিস্তান আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার পরিবারভুক্ত, সার্কের অন্তর্ভুক্ত। তাই পাকিস্তান ও ভারতের সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নয়ন চাচ্ছি।’ 

শফিকুল আলম বলেন, ‘গত সপ্তাহে একটা সিদ্ধান্ত এসেছে যে নেপালের জন্য আমরা একটা অর্থনৈতিক অঞ্চল করব।

এটার জন্য আমরা জমি দেখছি উত্তরবঙ্গে। সবার সঙ্গে উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিতে এটা হচ্ছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আসছেন, আমাদের সঙ্গে পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেসব বিষয় আছে সব নিয়ে কথা হবে।’

তিনি আরো বলেন, আমাদের বিদেশ নীতি হচ্ছে প্রো-বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্বার্থ যতটুকু অক্ষুণ্ন রাখা যায়, কূটনীতিতে আমরা সেটাই করছি।       

প্রেস সচিব বলেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ৮ আগস্ট শপথ নেওয়ার পর বলেছিলেন তার বিদেশ নীতির অন্যতম একটা দিক হচ্ছে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করা এবং সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন। অধ্যাপক ইউনূস কিন্তু সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার কথা অনেকবার বলেছেন। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তিনি সার্কের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন, ডি-৮ সম্মেলনের ফাঁকে অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন, দাভোসের সম্মেলনের ফাঁকে বলেছেন, বাকুতেও বলেছেন।

মন্তব্য

এলডিসির ‘প্লেন’ চলবে, ক্রাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই : বিশেষ সহকারী

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
এলডিসির ‘প্লেন’ চলবে, ক্রাশ হওয়ার সম্ভাবনা নেই : বিশেষ সহকারী

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ‘২০২৬ সালে আমরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করতে পারব। এ জন্য আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আগে থেকে। আমাদের ‘প্লেন’ চলবে, ক্রাশ হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই।’

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ করবে বাংলাদেশ। করোনা না হলে ২০২৪ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণ ঘটত। এলডিসি উত্তরণে কোনো বাধা নেই। নীতিমালার মধ্যে কাজ করা হবে এবং সম্ভাব্য সমস্যার প্রস্তুতি ও সমাধান করা হবে।

এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন পেছানোর কথা বলা অবান্তর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা যে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছি, ২০২৬ সালে সেটা কিন্তু বন্ধ হয়ে যাবে না। ইতোমধ্যে অনেক দেশ আমাদের বলেছে, আমাদের জন্য জটিল একটা মার্কেট ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেই দিয়েছে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সুবিধা দেবে। তাহলে আমরা কেন পিছিয়ে দেব। অস্ট্রেলিয়া বলেছে গ্র্যাজুয়েশন করুক আর নাই করুক, সুবিধা যা আছে সেগুলো চলবে।

ইউকে একই কথা বলেছে। সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা চীনে গেলেন, সেখানেও চীন বলল যে সুবিধা দিতে থাকবে। তাহলে যে জায়গায় আমাদের ব্যবসায়ী বন্ধুরা চিন্তিত, সেটা কিন্তু ইতোমধ্যে উত্তরণ হয়ে গেছে। এটা একটা বোঝার সমস্যা।’

তিনি আরো বলেন, “আমাদের ‘প্লেন’ চলবে, ক্রাশ হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই।

২০২৬ সালে আমরা এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করতে পারব। এ জন্য আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে আগে থেকে।’

এ সময় ভিক্ষার মেন্টালিটি থেকে বের হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত বলেন, ‘ভিক্ষার মেন্টালিটি থেকে বের হতে হবে। আমরা এখন আর বিশ্বদরবারে চাইবে না বরং দেব।’

ব্রিফিংয়ে এলডিসি উত্তরণে পুরো স্পিড নিয়ে এগোনোর পাশাপাশি সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।

তিনি বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা চলছে। তার মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান আছে। আর উত্তরবঙ্গে নেপালের জন্য ইকোনমিক জোনও তৈরি করা হবে।

ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদারও উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ