<p>এমনও সময় ছিল বাচ্চারা মায়ের আঁচল ছাড়তেই চাইত না। স্কুলের কথা বললে কান্না জুড়ে দিত। আর স্কুলে আসলে তার সঙ্গেই থাকতে হতো। এখন আর তারা আঁচল ধরে থাকে না। সময় হলে নিজে নিজে স্কুলে আসে।</p> <p>কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারীর জলঢাকা বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের অভিভাবক বিউটি বেগম ও শীলা রানী। </p> <p>তিনি বলেন, ‘প্রায় দুর্গম এলাকায় এমন একটি প্রতিষ্ঠান হবে আমরা কখনো ভাবি নাই। আমরা শুনেছি সারা দেশে বসুন্ধরা শুভসংঘের ২০টি স্কুল আছে। তার মধ্যে আমাদের ৫ নম্বর ক্যাম্পাস হচ্ছে উপজেলার গোলমুণ্ডা ইউনিয়নের চারআনি গ্রামে। স্কুলের ম্যাডামরা মূলত সময়ের মূল্য দেন। তারা ক্লাসে পড়ার ফাঁকে স্কুলের প্রতি আকর্ষণ ও পড়ায় মনোযোগী করতে শিক্ষার্থীদের গল্প-ছড়া, গান-গজল শোনান। ম্যাডামেরা ক্রমানুযায়ী শিক্ষার্থীদের সামনে ডেকে নিয়ে তাদের মুখ থেকে সে সব ছড়া-গান,গজল অন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে উপস্থাপন করান। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে যেমনটি জড়তা কমে, অন্যদিকে তাদের মাঝে সাহস বাড়ে।’</p> <p>ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী আবু রায়হান,মরিয়ম বেগম ও স্মৃতি রানী বলে, ‘আমরা বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুল ৫ নং ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী। আপারা যেসব পড়া আন্তরিকতার সাথে আমাদের শেখান তা আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনি। এতে ক্লাসের পড়া ক্লাসেই হয়। কারো কাছে প্রাইভেট পড়তে হয় না। এখানে শৃঙ্খলা আছে। তাই আমরা অনেকেই ক্লাস শুরু হবার আগেই স্কুলে উপস্থিত হই। আর আমাদের স্কুলে ভালো মানের একটি টয়লেট থাকলে আরো ভালো হতো।’</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘ স্কুলের শিক্ষিকা আয়শা সিদ্দিকা ও ইতি বানু বলেন, ‘আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের প্রাধান্য দিই। বর্তমানে আমাদের এখানে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চলছে। পর্যায়ক্রমে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হবে। প্রতিষ্ঠানটির সব ব্যয় বসুন্ধরা শুভসংঘ দিয়ে থাকে।’</p> <p>এ বিষয়ে বসুন্ধরা ফাউন্ডেশন সিনিয়র অফিসার (সমন্বয়ক) মো. মামুন বলেন, ‘শনিবার নদীর ধারে কোলাহলমুক্ত মনোরম পরিবেশে আমি সরেজমিন প্রতিষ্ঠানটি দেখলাম। যারা স্থানটি নির্ধারণ করেছেন সত্যিই একটি প্রশংসনীয় কাজ করেছেন। প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নের জন্য যা প্রয়োজন আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’</p>