<p>একটি সুস্থ জাতি পেতে প্রয়োজন একজন শিক্ষিত মা, বলেছিলেন প্রখ্যাত মনিষী ও দার্শনিক নেপোলিয়ন বোনাপার্ট। অথচ আজ এই একুশ শতকে এসেও বাংলাদেশের মেয়েরা এখনো শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যার প্রধান কারণ বাল্যবিয়ে। অপরদিকে আমাদের দেশে বাল্যবিয়ে বলতে শুধু মেয়েদের বয়স দেখা হয়। কিন্তু নাবালক ছেলেদেরও বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আইন অনুযায়ী আমাদের দেশে ১৮ বছরের মেয়ে এবং ২১ বছরের নিচে ছেলেদের নাবালক হিসেবে ধরা হয়। তাই ছেলে মেয়ে উভয়ের যেন নাবালক হিসেবে বিয়ে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।</p> <p>মনে রাখতে হবে আগামী প্রজন্মের সুস্থভাবে বেড়ে উঠা এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতেও বাল্যবিয়ে একটি বড় বাধা। তাই যে কোনো মূল্যে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আগামী প্রজন্ম সুস্থভাবে বেড়ে উঠবে এবং নিজেকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।<br />  <br /> বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে চিররবন্দর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় হিউমেরাস কোচিং সেন্টারে বসুন্ধরা শুভসংঘ আয়োজিত বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিয়ে সচেতনতামূলক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।</p> <p>বসুন্ধরা শুভসংঘ চিরিরবন্দর উপজেলা শাখা আয়োজিত বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিয়ে সচেতনতামুলক সভায় উপজেলা সভাপতি মোস্তাকিম আল হাসনাতের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শাহারিয়া সরকার ও সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল রায়, হিউমেরাস কোচিংয়ের পরিচালক মো. ইয়াসিন বিন আবু তালেব ও আরিফুল হক প্রমুখ।</p> <p>বক্তারা আরো বলেন, দেশে মা হতে গিয়ে প্রতি ২০ মিনিটে একজন মা ও প্রতি ঘণ্টায় একজন নবজাতকের মৃত্যু হচ্ছে। আবার যারা জন্মগ্রহণ করার পর বেঁচে থাকছে তাদের নানা শারীরিক ও মানসিক জটিলতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এই অবস্থার জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী বাল্যবিয়ে। তাই যেখানেই বাল্যবিয়ে সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে শপথ নেই নিজেরা বাল্যবিয়ে করব না এবং নিজেদের এলাকায় বাল্যবিয়ে হতে দিব না।</p>