<p><strong>শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে আগামীকাল নেপালের বিপক্ষে মাঠে নামবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে গ্যালারি ভর্তি দর্শকের সামনে খেলতে হবে মেয়েদের। ফাইনালের আগে প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা এবং নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে টিম হোটেলে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা শেখ...</strong></p> <p>প্রশ্ন : বাইরের বিতর্কের প্রভাব মাঠের খেলায় নেই। অধিনায়ক হিসেবে কিভাবে সামলেছেন?</p> <p>সাবিনা খাতুন :  এটা বলতে পারেন খেলোয়াড়দের প্রতি খেলোয়াড়দের সমর্থন। মেয়েরা আসলে খেলছে তাদের নিজেদের জন্য, নিজের দেশের জন্য, এতটুকুই বলতে পারি।</p> <p>প্রশ্ন : ফাইনাল নিয়ে কী ভাবছেন?</p> <p>সাবিনা খাতুন : গতকাল নেপাল-ভারতের ম্যাচটা নিয়ে আগে বলি। এটা তো খুবই ভয়ানক ম্যাচ ছিল! অনেক সমর্থক মাঠে ছিল, এটার আসলে অনেক চাপ থাকে যেকোনো দলের জন্যই। স্বাগতিক হলে তো এই সমর্থক তাদের জন্য সুবিধার। এখানে গতবারও মেয়েরা নেপালের বিপক্ষে খেলেছিল। এবারও স্বাভাবিক খেলাটাই খেলার চেষ্টা করব। আমার মনে হয়, ফাইনাল ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ হবে।</p> <p>প্রশ্ন : নেপালের কোন কোন জায়গায় শক্তি আর দুর্বলতা আছে বলে মনে করেন? নিশ্চয়ই হোমওয়ার্ক করছেন...</p> <p>সাবিনা খাতুন : আমার কাছে মনে হয়, নেপাল সব বিভাগেই ভালো। রক্ষণ থেকে মাঝমাঠটা যদি আমরা গোছাল রাখতে পারি, আমার বিশ্বাস যে আমরা সাফল্য পাব। ওদের আক্রমণভাগই বেশি শক্তিশালী।</p> <p>প্রশ্ন : সাবিত্রা ভাণ্ডারিকে নিয়ে কোনো আলাদা পরিকল্পনা নিচ্ছেন?</p> <p>সাবিনা খাতুন : সাবিত্রাকে আটকানো কঠিন হবে। অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়। গতকালও (পরশু) সে দুর্দান্ত একটা গোল করেছে। ওর থাকাটা রক্ষণের জন্য অতিরিক্ত একটা চাপ। তা ছাড়া ওদের আক্রমণভাগে যারা আছে, তারাও ভালো।</p> <p>প্রশ্ন : মনিকা-মারিয়া জুটির মধ্যে মাঝমাঠে আগের সেই দৃঢ়তা কি দেখতে পাচ্ছেন?</p> <p>সাবিনা খাতুন : আসলে মনিকা-মারিয়ার জুটি হচ্ছে সেরা। ওদের যে বোঝাপাড়া, আমার মনে হয়, মারিয়া একটু দমে গিয়েছিল চায়নিজ তাইপের (গত জুনে) বিপক্ষের  ম্যাচে না থাকায়, এর পেছনে অনেক কারণ আছে। আমার মনে হয়, ওই সময় ওর পারফরম্যান্স নেমে গিয়েছিল। এ ছাড়া আরো কিছু কারণ ছিল, যেটা আমি আসলে এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। সেটা অবশ্যই বলব, তবে টুর্নামেন্টের শেষে। কেননা দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় যখন দমে যায়, তাকে অনুপ্রাণিত করার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না, তখন সেটা ওই খেলোয়াড় ও দলের জন্য অবশ্যই খারাপ। আমার কাছে মনে হয়, মারিয়া-মনিকা যদি মাঠে দাঁড়াতে পারে, তাহলে ওরা অবশ্যই প্রতিপক্ষের জন্য একটা হুমকি। ভারত বলুন কিংবা নেপাল, মারিয়া-মনিকার কথা শুনলেই প্রতিপক্ষকে আলাদা করে ভাবতে হবে। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পরেও ওদের অধিনায়কের সঙ্গে এখানে (হোটেলে) আমার অনেকক্ষণ কথা হয়েছিল। সে নিজেও বলছিল, আমি তো বিস্মিত হয়ে গিয়েছি তোমাদের লাইন-আপ দেখে! যখন দেখেছি, সানজিদা ডান দিকে নেই, মাসুরা ডিফেন্সে নেই, মারিয়া মাঝমাঠে নেই, তখন আমি আমার কোচকে বলেছি, ‘কোচ, ইনশাআল্লাহ আমরা এদের আটকে দিতে পারব।’ </p> <p>প্রশ্ন : ভুটান ম্যাচে এসে প্রথম গোল পেলেন...</p> <p>সাবিনা খাতুন :  সিনিয়র প্লেয়ার আমি, আমার মনে হয়, দলটাকে এখন একটা সুন্দর অবস্থায় রাখা প্রয়োজন। আর গোলের বিষয়টা হচ্ছে, আমাদের গ্রুপ পর্বে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে কড়া পাহারায় ছিলাম, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দলকে সমর্থন দেওয়ার জন্য একটু নিচে নেমে খেলতে হয়েছে। হ্যাঁ, প্লেমেকারের ভূমিকায়ই একটু বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। </p> <p>প্রশ্ন : তাহলে আপনি নিজে গোল করার চেয়ে করানোয় বেশি আগ্রহী?</p> <p>সাবিনা খাতুন : আমি বরাবরই নিজে গোল করার চেয়ে অন্যকে দিয়ে গোল করানোটা বেশি পছন্দ করি। এমন ঘটনাও আছে, যেখানে আমি পোস্টের সামনে গিয়েও বল পাস দিয়ে দিয়েছি, যাতে সতীর্থরা গোল পায়। কোচেরা সব সময় বলতেন, তুলনামূলক ভালো পজিশনে যে আছে, তাকে দিয়ে গোল করাতে। আমিও সেটা অনুসরণ করার চেষ্টা করি।</p> <p>প্রশ্ন : একটি করে ম্যাচ যাচ্ছে আর আক্রমণভাগের উন্নতি দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে কিছু বলবেন?</p> <p>সাবিনা খাতুন : এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার জায়গাও আছে। দেখা যাচ্ছে, ফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে অনেক সময় গ্যালারির সমর্থকদের যে ব্যাপারটা, নার্ভাস হয়ে কেউ বল বাইরেও মেরে দিতে পারে। এ রকম ঘটনাও হয়, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, দল যদি একবার খেলাটা ধরে ফেলে তাহলে সমস্যা হবে না।</p> <p>প্রশ্ন : একবার সাফ জিতেছেন, আরেকটা জয়ের খুব কাছাকাছি। আপনি সাবিনা আর কত দূর যেতে চান?</p> <p>সাবিনা খাতুন :  আরো পাঁচ থেকে ১০ বছর যেতে চাই। বাকিটা আল্লাহপাকের ইচ্ছা।<br /> প্রশ্ন : সাবিত্রা ভাণ্ডারিকে নিয়ে কোনো আলাদা পরিকল্পনা নিচ্ছেন?</p> <p>সাবিনা খাতুন : সাবিত্রাকে আটকানো কঠিন হবে। অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড়। গতকালও (পরশু) সে দুর্দান্ত একটা গোল করেছে। ওর থাকাটা রক্ষণের জন্য অতিরিক্ত একটা চাপ। তা ছাড়া ওদের আক্রমণভাগে যারা আছে, তারাও ভালো।</p> <p>প্রশ্ন : মনিকা-মারিয়া জুটির মধ্যে মাঝমাঠে আগের সেই দৃঢ়তা কি দেখতে পাচ্ছেন?</p> <p>সাবিনা খাতুন : আসলে মনিকা-মারিয়ার জুটি হচ্ছে সেরা। ওদের যে বোঝাপাড়া, আমার মনে হয়, মারিয়া একটু দমে গিয়েছিল চায়নিজ তাইপের (গত জুনে) বিপক্ষের  ম্যাচে না থাকায়, এর পেছনে অনেক কারণ আছে। আমার মনে হয়, ওই সময় ওর পারফরম্যান্স নেমে গিয়েছিল। এ ছাড়া আরো কিছু কারণ ছিল, যেটা আমি আসলে এখন কিছু বলতে চাচ্ছি না। সেটা অবশ্যই বলব, তবে টুর্নামেন্টের শেষে। কেননা দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড় যখন দমে যায়, তাকে অনুপ্রাণিত করার কোনো ব্যবস্থা থাকবে না, তখন সেটা ওই খেলোয়াড় ও দলের জন্য অবশ্যই খারাপ। আমার কাছে মনে হয়, মারিয়া-মনিকা যদি মাঠে দাঁড়াতে পারে, তাহলে ওরা অবশ্যই প্রতিপক্ষের জন্য একটা হুমকি। ভারত বলুন কিংবা নেপাল, মারিয়া-মনিকার কথা শুনলেই প্রতিপক্ষকে আলাদা করে ভাবতে হবে। সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের পরেও ওদের অধিনায়কের সঙ্গে এখানে (হোটেলে) আমার অনেকক্ষণ কথা হয়েছিল। সে নিজেও বলছিল, আমি তো বিস্মিত হয়ে গিয়েছি তোমাদের লাইন-আপ দেখে! যখন দেখেছি, সানজিদা ডান দিকে নেই, মাসুরা ডিফেন্সে নেই, মারিয়া মাঝমাঠে নেই, তখন আমি আমার কোচকে বলেছি, ‘কোচ, ইনশাআল্লাহ আমরা এদের আটকে দিতে পারব।’ </p> <p>প্রশ্ন : ভুটান ম্যাচে এসে প্রথম গোল পেলেন...</p> <p>সাবিনা খাতুন :  সিনিয়র প্লেয়ার আমি, আমার মনে হয়, দলটাকে এখন একটা সুন্দর অবস্থায় রাখা প্রয়োজন। আর গোলের বিষয়টা হচ্ছে, আমাদের গ্রুপ পর্বে কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে কড়া পাহারায় ছিলাম, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দলকে সমর্থন দেওয়ার জন্য একটু নিচে নেমে খেলতে হয়েছে। হ্যাঁ, প্লেমেকারের ভূমিকায়ই একটু বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। </p> <p>প্রশ্ন : তাহলে আপনি নিজে গোল করার চেয়ে করানোয় বেশি আগ্রহী?</p> <p>সাবিনা খাতুন : আমি বরাবরই নিজে গোল করার চেয়ে অন্যকে দিয়ে গোল করানোটা বেশি পছন্দ করি। এমন ঘটনাও আছে, যেখানে আমি পোস্টের সামনে গিয়েও বল পাস দিয়ে দিয়েছি, যাতে সতীর্থরা গোল পায়। কোচেরা সব সময় বলতেন, তুলনামূলক ভালো পজিশনে যে আছে, তাকে দিয়ে গোল করাতে। আমিও সেটা অনুসরণ করার চেষ্টা করি।</p> <p>প্রশ্ন : একটি করে ম্যাচ যাচ্ছে আর আক্রমণভাগের উন্নতি দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে কিছু বলবেন?</p> <p>সাবিনা খাতুন : এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার জায়গাও আছে। দেখা যাচ্ছে, ফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে অনেক সময় গ্যালারির সমর্থকদের যে ব্যাপারটা, নার্ভাস হয়ে কেউ বল বাইরেও মেরে দিতে পারে। এ রকম ঘটনাও হয়, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, দল যদি একবার খেলাটা ধরে ফেলে তাহলে সমস্যা হবে না।</p> <p>প্রশ্ন : একবার সাফ জিতেছেন, আরেকটা জয়ের খুব কাছাকাছি। আপনি সাবিনা আর কত দূর যেতে চান?</p> <p>সাবিনা খাতুন :  আরো পাঁচ থেকে ১০ বছর যেতে চাই। বাকিটা আল্লাহপাকের ইচ্ছা।<br />  </p>