<p>আগের দিন সন্ধ্যায় কাঠমাণ্ডুর দশরথ রঙ্গশালা রাঙিয়েছিলেন সাবিনা খাতুনরা। আজ সেই রং নিয়েই ফিরেছেন তারা দেশে। চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের বরণে এদিনও অধীর অপেক্ষায় ছিল সবাই। বিমানবন্দর থেকে ছাদখোলা বাসে অভিনন্দনে সিক্ত হতে হতে তারা পৌঁছেন ফুটবল ফেডারেশনে। সেখানে অপেক্ষায় ছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদষ্টো আসিফ মাহমুদ। চ্যাম্পিয়নদের শুধু ফুল দিয়ে বরণ নয়, সাফল্যের পুরস্কার হিসেবে এক কোটি টাকার চেকও তুলে দিয়েছেন তাদের হাতে।</p> <p>২০২২ সালে সাবিনাদের প্রথম সাফ জয়ের পর এবার সেই শিরোপা ধরে রাখার আনন্দও কোনো অংশে কম নয়। বরং সাফল্য ধরে রাখাটাই সব সময় কঠিন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও এই বিজয় উদযাপন করতে চায় পুরোপুরি। মেয়েদের সাফজয়ের বিষয়টি গতকালই উপদষ্টো পরিষদে আলোচিত হয়েছে। সেখানে সাবিনাদের বেতন বকেয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রধান উপদষ্টোর প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করা হবে। আগামী পরশু চ্যাম্পিয়ন মেয়েদের নিজের বাসভবনেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদষ্টো ড. মুহাম্মদ ইউনূস।'</p> <p>আজ সাবিনারা দেশে ফেরার পর পর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদও মেয়েদের আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা দেন। বিসিবি থেকে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০ লাখ টাকা দিচ্ছে বিসিবি। মেয়েদের টানা এই সাফল্য সামনের দিনগুলোতে তাদের পথ আরো সুগম হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছেন ক্রীড়া উপদষ্টো আসিফ মাহমুদ, ‘আমরা জেনেছি, ফুটবল ও ক্রিকেটে মেয়েদের ক্ষেত্রে কিছুটা বৈষম্য আছে। আমরা এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেব।’ </p> <p>আজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে অবশ্য এখনো কোনো পুরস্কারের ঘোষণা আসেনি। জানা গেছে, নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়াল এই মূহূর্তে দেশের বাইরে থাকায় বাফুফে কোনো ঘোষণা দেয়নি। তিনি ফিরলে কমিটির অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সে ব্যাপারে কিছু জানাবেন। গতবার অবশ্য বাফুফের সহসভাপতিদের মধ্য থেকে দুজন ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবার সেই পথে হাঁটেননি কেউ। নতুন কমিটির কাছে অবশ্য মেয়েদের ফুটবল উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আশা করে সবাই।</p>