আসন্ন পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসর শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। ৩৪ ম্যাচের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সূচি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সময় মাঠে গড়াবে এবারের পিএসএল।
আসন্ন পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) দশম আসর শুরু হবে আগামী ১১ এপ্রিল। ৩৪ ম্যাচের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি চলবে ১৮ মে পর্যন্ত। এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে পূর্ণাঙ্গ সূচি।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সময় মাঠে গড়াবে এবারের পিএসএল।
৬ দলের অংশগ্রহণে হতে যাচ্ছে এবারের পিএসএল । চারটি ভেন্যুতে জমে উঠবে ট্রর্নাসেন্টটি। তবে ম্যাচগুলোর শুরুর নির্দিষ্ট সময় এখনো ঘোষণা করা হয়নি। তবে কেবল তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে দিনে।
রাওয়ালপিন্ডিতে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও লাহোর কালান্দার্সের ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে আসন্ন পিএসএলের।
এবারের পিএসএলের ড্রাফট থেকে দল পেয়েছেন বাংলাদেশের তিনজন। তারা হলেন লিটন কুমার দাস (করাচি কিংস), রিশাদ হোসেন (লাহোর কালান্দার্স) ও নাহিদ রানা (পেশোয়ার জালমি)। তবে আগামী এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। তাই লিটন ও নাহিদের পিএসএলে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে। এখনও টেস্ট অভিষেক না হওয়া রিশাদ পেতে পারেন অনাপত্তিপত্র।
সম্পর্কিত খবর
ব্যাটারদের কাছে সেঞ্চুরি স্বপ্নের মতোই। তিন অঙ্ক স্পর্শ করার পর তাই ব্যাটারদের মুখে চওড়া হাসিই শোভা পায়। কিন্তু ডিপিএলে আজ সেঞ্চুরি করেও মন ভার নুরুল ইসলাম সোহানের। তার কাছে এই সেঞ্চুরির কোনো মূল্যই নেই বলে জানিয়েছেন ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক।
আসলেই তাই। সেঞ্চুরি করার পরও যদি পরাজিত দলে থাকতে হয় তাহলে কিসের মূল্য। আজ মিরপুরে তার সঙ্গে তেমনি ঘটেছে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে আজ একাই লড়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।
দল হারলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন সোহান। তবে ম্যাচ হেরে হতাশ উইকেটরক্ষক ব্যাটার বলেছেন, ‘দল না জিতলে আসলে এরকম সেঞ্চুরি আমার কাছে কোন ভ্যালু ক্যারি করে না।
এবারের ডিপিএলে বেশ ছন্দে আছেন সোহান। ৭ ম্যাচে ৩৮৬ রান করে যৌথভাবে এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে দুইয়ে আছেন তিনি। তার মতোই দুই সেঞ্চুরিতে সমান ৭ ম্যাচে ৪৫৯ রানে শীর্ষে আছেন নাঈম শেখ।
তাই জাতীয় দলের হয়ে ফিরতে মরিয়া সোহান। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা ৩১ বছর বয়সী ব্যাটার বলেছেন, ‘জাতীয় দলে খেলা গর্বের। সব সময় সেরাটা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করি। যদি সুযোগ আসে, নিজের সেরাটা দেব। যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকেই যাতে শুরু করতে পারি, সেই উদ্দেশ্যে কাজ করব।’
ড্রয়ের পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল ব্রাজিল-কলম্বিয়ার ম্যাচ। তবে তা হতে দেননি ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। যোগ করা সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে হিসাব পাল্টে দেন রিয়াল মাদ্রিদের উইঙ্গার।
ভিনিসিয়ুসের সেই শট খুঁজে নেয় কলম্বিয়ার জাল।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয়ে ২১ পয়েন্টে তালিকার দুইয়ে উঠে এসেছে ব্রাজিল।
আগামী ২৬ মার্চ আর্জেন্টিনার মনুমেন্তালে আতিথেয়তা নেবে ব্রাজিল। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের তাদের মাঠেই হারানোর কথা জানিয়েছে রাফিনিয়া বলেছেন, ‘অতীতে নিয়ে আর ভাবার প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে দৃষ্টি রাখাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, আজকের ম্যাচের সবকিছু এখানেই শেষ। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।
কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয়টা প্রয়োজন ছিল বলে জানিয়েছেন রাফিনিয়া। ২৮ বছর বয়সী ব্রাজিল উইঙ্গার বলেছেন, ‘জয়টা আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, আমাদের স্টাফ এবং ভক্ত-সমর্থকরা, সবার জন্যই। আত্মবিশ্বাসের জন্য জয়টা আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ সামনে এখনো অনেক লড়াই বাকি। আমার মতে, টার্নিং পয়েন্টটাই আমাদের দরকার ছিল।’
মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখলেন নুরুল হাসান সোহান। ডিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিতে পারলেও আজকের তিন অঙ্কের ইনিংসে পরাজয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের অধিনায়ক।
মিরপুরে ২১৭ রানের লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না ধানমন্ডির জন্য। যখন দলের অধিনায়ক সোহান একাই ১০০ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।
শুরুটা ভালোই করেছিল ধানমন্ডি।
এর আগে দারুণ শুরু পেয়েছিল মোহামেডানও। কিন্তু তিন টপ অর্ডার রনি তালুকদার (৩৯), তামিম ইকবাল (২৬) ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন (৪৪) দারুণ শুরুর পরও নিজের ইনিংস বড় করতে না পারায় দলও একটা সময় ভুগছিল। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ৫৩ রান করা তাওহিদ হৃদয় দলকে ৬ উইকেটে ২১৬ রানের সংগ্রহ দেন। সেই পুঁজিতেই লড়াই করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন মোহামেডানের বোলাররা।
নাঈমের সেঞ্চুরিতে উড়ে গেছে শাইনপুকুর
সোহান এবারের ডিপিএলের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ধানমন্ডিকে জয় এনে দিতে না পারলেও নাঈম শেখ পেরেছেন। তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
জয়টিও এসেছে ১৭৯ বল হাতে রেখে। বলা যায় ওপেনিংয়ে নেমে বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে শাইপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে উড়িয়ে দিয়েছেন নাঈম। ৪৭ রান কর তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ওপেনিং সঙ্গী সাব্বির হোসেন। দলীয় ১২০ রানে সাব্বির আউট হওয়ার পর জয়ের বাকি কাজটুকু সারেন শাহাদাত হোসেন দীপুকে (৯) নিয়ে। বাঁহাতি ওপেনার অপরাজিত থাকেন ১০৪ রানে। ৬৪ বলের ঝোড়ো ইনিংসটি সাজান ১১ চার ও ৫ ছক্কায়।
অবশ্য প্রাইমের জয়ের কাজ আগেই সেরে রেখেছিল তাদের বোলাররা। প্রতিপক্ষকে মাত্র ১৫৯ রানে অলআউট করে। প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন ফারজান আহমেদ। প্রতিপক্ষকে অল্প রানে আটকাতে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন শফিকুল ইসলাম ও নাজমুল অপু।
‘ডাবল হ্যাটট্রিক’ জয়ে শীর্ষে আবাহনী
সহজ জয়ই পাওয়ার কথা ছিল আবাহনী লিমিটেডের। কিন্তু মাঝপথে হঠাই খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মুখকালায় নয়, ২ উইকেটের জয়ে হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
চূড়ায় ওঠার লড়াইয়ে আজ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল আবাহনী ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে মুখোমুখি হয়। তাতে ২০০ রানের সহজ লক্ষ্যই পায় আবাহনী। তবে শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ১৬ রানে ড্রেসিংরুমে ফেরেন দুই ওপেনার জিশান আলম (১০) ও পারভেজ হোসেন ইমন (৬)।
তবে এরপরে শান্ত ও মোহাম্মদ মিঠুন যে জুটিটা গড়েন তাতের সহজ জয়ই পাওয়ার কথা ছিল। তৃতীয় উইকেটের ১৩৩ রানের জুটি তেমনি ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু সর্বোচ্চ ৭৬ রানে মিঠুন আউট হওয়ার পরেই ম্যাচের মোড় ঘুঁরে যায়। উইকেটরক্ষক ব্যাটারের আউটের পর শেষ ৫৩ রান করতেই ৫ উইকেট হারায় আবাহনী। তার মধ্যে ৪৩ রানে ফেরেন অধিনায়ক শান্তও।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় শঙ্কা জেগেছিল প্রাইম ব্যাংকের ম্যাচ হারার। তবে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (১৮) ও মমিনুল হকের (২৪) ছোট ইনিংসে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয় পায় প্রাইম।
এর আগে এনামুল হক বিজয়ের ফিফটিতে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় গাজী গ্রুপ। অধিনায়ক বিজয়ের ৬৮ রানের বিপরীতে অবশ্য দুই শ ছুঁই ছুঁই স্কোরে অবদান রাখেন ৪২ রান করা ওয়াসি সিদ্দিকী। আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার মমিনুল। এ জয়ে ১২ পয়েন্টে শীর্ষে আবাহনী। আর সমান ১০ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে দুইয়ে গাজী গ্রুপ, অগ্রণী ব্যাংক ও মোহামেডান।
কী দুর্দান্তভাবেই না ঘুঁরে দাঁড়ালেন হাসান নওয়াজ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করতে নেমে প্রথম দুই ম্যাচেই মারলেন ডাক। তাই তৃতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামাটা তার জন্য ছিল আরো ভীষণ চাপের।
কিন্তু আজ সেই চাপকেই শক্তিতে পরিণত করে রেকর্ডই গড়লেন হাসান নওয়াজ।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে এমনিতেই চাপে ছিল পাকিস্তান। তার ওপর অকল্যান্ডে আজ রেকর্ড ২০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামে। সবমিলিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার মতো অবস্থা। এমন কঠিন সময়ে কিভাবে ঘুঁরে দাঁড়াতে হয় তারই যেন নজির স্থাপন করল পাকিস্তান।
এর আগে সর্বোচ্চ রান তাড়ার স্কোর ছিল ১৭৪ রান। ২০২০ সারে নেপিয়ারে মোহাম্মদ রিজওয়ানের ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ৪ উইকেটে জিতেছিল তারা। সবমিলিয়ে পাকিস্তানের জন্য দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ার জয়।
রেকর্ড গড়া জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাসান নওয়াজ। মোহাম্মদ হারিসকে সঙ্গী করে শুরুটাও করেন দুর্দান্ত। ওপেনিং জুটিতে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। সেটিও ৫.৫ ওভারে। ৪১ রানে হারিস আউট হওয়ার পর আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি হাসান নওয়াজ ও সালমান আগা (৫১*)। দুজনে মিলে অবিচ্ছেদও ১৩৩ রানের জুটি গড়ে রেকর্ড জয় এনে দিয়েছেন।
আজ শুরু থেকেই তাণ্ডব চালাতে থাকেন হাসান নওয়াজ। যেন ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচের ক্ষোভটাই আজ ঝারতে চেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ওপর। সেটা পেরেছেনও ২২ বছর বয়সী ব্যাটার। একের পর এক চার-ছক্কা হাঁকিয়ে প্রতিপক্ষের বোলাদের কচুকাটা করেছেন তিনি। ১০ চার ও ৭ ছক্কায় অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংসে গড়েছেন রেকর্ড। পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান হয়ে। তার ৪৪ বলের সেঞ্চুরিতে ভেঙে গেছে বাবর আজমের রেকর্ড।
২০২১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪৯ বলে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন বাবর। আজ ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ডটা নিজের করে নিলেন হাসান নওয়াজ। পাকিস্তানের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সেঞ্চুরি করেছেন ২২ বছর বয়সী ব্যাটার। পাকিস্তানের অন্য দুই সেঞ্চুরিয়ান হচ্ছেন রিজওয়ান ও মোহাম্মদ শেহজাদ।
হাসান নওয়াজের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে ভেস্তে গেছে মার্ক চাপম্যানের দুর্দান্ত ৯৪ রানের ইনিংস। অকল্যান্ডে আজ নিউজিল্যান্ডের বাঁহাতি ব্যাটারও তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছিলেন। ৪৪ বলে ৯৪ রানের ইনিংস সেই সাক্ষ্যই দেয়। ১১ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসটিকে সহজেই সেঞ্চুরিতে রূপ দিতে পারতেন তিনি।
কেননা যখন তিনি আউট হন তখন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ইনিংস চলছিল ১২.৫তম ওভারের। কিন্তু দলীয় স্কোর বাড়ানোর নেশায় সংক্ষিপ্ত সংস্করণের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হেলায় মিস করেন চাপম্যান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে শর্ট থার্ডে শাদাব খানের হাতে তালুবন্দি হন। তার ইনিংসেই ভর করে আজ রেকর্ড ২০৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল স্বাগতিকেরা। কিন্তু হাসান নওয়াজের উইলোর সামনে উড়ে গেল কিউইরা।