ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ পুতিনের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ইউক্রেন সেনাবাহিনীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ পুতিনের
সংগৃহীত ছবি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেই রাশিয়ার কুরস্ক শহরে ইউক্রেন বাহিনীকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

সিএনএনের খবরে বলা হয়, শুক্রবার রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠক করেন। বৈঠকে পুতিন ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ এনে এই নির্দেশ দেন। পুতিন বলেন, আত্মসমর্পণকারী সৈন্যদের বেঁচে থাকা নিশ্চিত করা হবে।

ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে রুশ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন আধিকারিকদের আলোচনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধবিরতির এই উদ্যোগ ব্যর্থ করে দিতে চান পুতিন। তিনি সেই চেষ্টাই চালাচ্ছেন।

ট্রাম্প অবশ্য পুতিনের ওপর আস্থা রেখেছেন। কুরস্ক ইউক্রেন সেনাদের যাতে হত্যা না-করা হয়, সেই অনুরোধও জানিয়েছেন।

দেশের পশ্চিম সীমান্ত নিয়ে গত আগস্টে রাশিয়ায় ঢুকে পড়েছিল ইউক্রেন বাহিনী। কুরস্কসহ বেশ কিছুটা অংশ তারা দখলও করে নিয়েছিল।

তবে গত সপ্তাহ থেকে কুরস্কে প্রত্যাঘাত করেছে রাশিয়া। আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছেন পুতিন। ওই শহরে ইউক্রেন সেনাদের ঘিরে ফেলেছে রুশ বাহিনী। 

কুরস্কের পরিস্থিতি নিয়ে জেলেনস্কি এবং ট্রাম্প উভয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন, ‘হাজার হাজার ইউক্রেনীয় সেনা কুরস্কে আটকে পড়েছেন।

আমি পুতিনকে অনুরোধ করেছি, ওদের যেন প্রাণে মেরে না-ফেলা হয়। যদি হয়, তবে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে বড় গণহত্যা হবে।’

আরো পড়ুন
আবরার হত্যা মামলা: হাইকোর্টের রায় রবিবার

আবরার হত্যা মামলা : হাইকোর্টের রায় রবিবার

 

পুতিন জানান, ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় তিনি আগ্রহী। কিন্তু কুরস্কে ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে। এখন পর্যন্ত জেলেনস্কি তাতে নারাজ।  

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন প্রেসিডেন্ট
প্রধানমন্ত্রী কামেল মাদৌরি। ছবি : এএফপি

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ প্রধানমন্ত্রী কামেল মাদৌরিকে নিয়োগের এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে বরখাস্ত করেছেন। তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক স্থবিরতার প্রেক্ষাপটে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। 

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সাইদ মন্ত্রীদের কর্মক্ষমতার তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, অনেকেই প্রয়োজনীয় মান পূরণ করেননি।

তিউনিসিয়ার জনগণের প্রত্যাশা অনেক বেশি। গত মাসে তিনি অর্থমন্ত্রী সিহেম বোঘদিরিকেও বরখাস্ত করেছেন।  

মাদৌরির স্থলাভিষিক্ত হন পূর্বের গণপূর্তমন্ত্রী সারা জাফরানি জেনজরি। যিনি একজন প্রকৌশলী এবং ২০২১ সাল থেকে সরঞ্জাম ও গৃহায়ন মন্ত্রী।

দুই বছরেরও কম সময়ের মধ্যে তিনি তিউনিসিয়ার তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী।

সাইদ ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি ২০২১ সালে এক বিশাল ক্ষমতা দখলের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন, যা সমালোচকদের মতে গণতান্ত্রিক স্বাধীনতা এবং অধিকার হরণ করেছিল। তবে, সাইদের সমর্থকরা বলেছেন, তিনি কয়েক দশক ধরে দুর্নীতিতে জর্জরিত দেশটির অদক্ষতার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিশ্রুতি পালন করেছেন।

মন্থর প্রবৃদ্ধি ও উচ্চ বেকারত্বসহ গুরুতর আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ব্যাপক ঋণগ্রস্ত তিউনিসিয়ার মন্ত্রীদের কর্মক্ষমতা নিয়ে সাম্প্রতিক অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাঈদ। শুক্রবার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সভায় এক বক্তৃতায় সাইদ বলেন, ‘অনেক সরকারি স্থাপনায় অপরাধী চক্র সক্রিয়। তাদের অবসান ঘটানোর এবং প্রতিটি কর্মকর্তাকে জবাবদিহি করার সময় এসেছে।

উত্তর আফ্রিকার দেশটির সরকারি অর্থব্যবস্থা একটি তীব্র সংকটের মুখোমুখি হয়েছে যার ফলে চিনি, চাল এবং কফিসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সাইদ বলেন, ‘সকল নাগরিকের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা মুক্তির লড়াই চালিয়ে যাব... আমরা সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেব।

’ 

মন্ত্রী ও বিচারকদের বরখাস্ত করার পূর্ণ ক্ষমতা থাকা প্রেসিডেন্ট ২০২৪ সালের আগস্টে মাদৌরিকে প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করেন। সেই সময় তিনি আরো ১৯ জন মন্ত্রীকে রদবদল করেন। ‘রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্বার্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার’ প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিউনিসিয়াও একটি অভূতপূর্ব অভিবাসী সংকটের জন্য ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে, কারণ সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টায় দেশটিতে আসছে। কর্তৃপক্ষ ভূমধ্যসাগর পার হতে বাধা দেওয়ার পর হাজার হাজার অভিবাসী দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আমরা এবং জেবেনিয়ানার মতো বনে তাঁবুতে বসবাস করছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানায়, ২০২৫ সালে তিউনিসিয়ার বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মাত্র ১.৬ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ঋণের পরিমাণ জিডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ, যা ২০১৯ সালে সাইদ ক্ষমতা গ্রহণের আগে ছিল ৬৭ শতাংশ।

মন্তব্য

গাজা ও ইয়েমেনে হামলা : মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আলী খামেনির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
গাজা ও ইয়েমেনে হামলা : মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান আলী খামেনির
ছবিসূত্র : এএফপি

গাজায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আগ্রাসন পুনরায় শুরু হওয়ায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি এই আগ্রাসনকে বড় ধরনের অপরাধ ও বিপর্যয়কর বলে মন্তব্য করেছেন। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার উদ্ধৃতি দিয়ে তেহরান থেকে এএফপি আজ এ খবর জানায়।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা গতকাল বৃহস্পতিবার ফার্সি নববর্ষ ১৪০৪ শুরু হওয়া উপলক্ষে দেওয়া ভাষণের একাংশে এসব মন্তব্য ও আহ্বান তুলে ধরেন।

খামেনি বলেছেন, এ ঘটনা পুরো মুসলিম উম্মাহর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়, তাই গোটা উম্মাহকে সব ধরনের মতভেদ ভুলে এই অপরাধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিশ্বের সব অঞ্চলের মুক্তিকামী সবাইকে এই বিশ্বাসঘাতকতামূলক ও বিপর্যয়কর অবস্থা মোকাবেলা করতে হবে। যাতে আবারও শিশু হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস ও ফিলিস্তিনি জনগণকে শরণার্থী হতে না হয়। 

তিনি আরো বলেন, মার্কিন সরকারও এই বিপর্যয়ের শরিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী মার্কিন সরকারের  সম্মতিতে এই অপরাধযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েল।

ইয়েমেনের ওপর ও দেশটির বেসামরিক জনগণের ওপর হামলাও আরো এক অপরাধ, যা অবশ্যই ঠেকাতে হবে।

তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, দামেস্কে ইরানের কয়েকজন সামরিক উপদেষ্টার শাহাদাতবরণ, ইরানি জাতির জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির শাহাদাত এবং এরপর তেহরান ও লেবাননের তিক্ত ঘটনাবলীর কারণে ইরানি জাতি ও ইসলামী উম্মাহ বেশ কয়েকজন মূল্যবান ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে এই ফার্সি বছরে।

লেবানন ও ফিলিস্তিনি জাতির নানা সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে ইরানি জাতি উদার চিত্তে তাদের লেবাননি ও ফিলিস্তিনি ভাইবোনদের সহায়তায় বন্যার জোয়ারের মতো সাহায্যের বিপুল চালান পৌঁছে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা। আর এর মধ্য দিয়েও ইরানি জাতির উচ্চতর মনোবল ও আধ্যাত্মিক শক্তি ফুটে উঠেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

খামেনি এ প্রসঙ্গে প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি ইরানি জনগণের বিস্ময়কর সহায়তা, বিশেষ করে ইরানি নারীদের স্বর্ণালংকার উপহার দেওয়ার ঘটনাকে ইরানের ইতিহাসের অবিস্মরণীয় ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ইরানি জাতির দৃঢ় সংকল্প ও ইচ্ছাশক্তি, প্রস্তুতি ও আধ্যাত্মিক মনোবল প্রিয় এই জাতির ভবিষ্যৎ ও সব সময়ের জন্য মূল্যবান পুঁজি এবং এর ফলে এই দেশটির ওপর আল্লাহর অনুগ্রহের ধারা অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র : এএফপি, বাসস 
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নেওয়ার দাবি সেনাবাহিনীর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সুদানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলে নেওয়ার দাবি সেনাবাহিনীর
খার্তুমে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের প্রবেশপথে সুদানের সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ছবি : আলঅ্যারাবিয়া

সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হয়েছিল। আজ শুক্রবার সেনাবাহিনী খার্তুমে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। প্রায় দুই বছর আগে এই প্রাসাদটি আধা সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছিল। সুদানের রাষ্ট্রীয় টিভি এবং সামরিক সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

 

সূত্র জানিয়েছে, আধা সামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) সদস্যদের ধাওয়া করার জন্য সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী প্রাসাদের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এ বিষয়ে আরএসএফের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী খার্তুমের কিছু কেন্দ্রীয় এলাকায় মাঝেমধ্যে গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে।

জাতিসংঘের মতে, এই সংঘাত বিশ্বের বৃহত্তম মানবিক সংকটের দিকে পরিচালিত করেছে।

যার ফলে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে দুর্ভিক্ষ এবং রোগব্যাধি দেখা দিয়েছে। আধা সামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) এবং সুদানের নিয়মিত সেনাবাহিনী উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে, অন্যদিকে আরএসএফের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও আনা হয়েছে। উভয় পক্ষই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আরো পড়ুন
উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন মস্কোর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সের্গেই

উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন মস্কোর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সের্গেই

 

২০২৩ সালের এপ্রিলে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আধা সামরিক বাহিনী দ্রুত প্রাসাদ এবং রাজধানীর বেশির ভাগ অংশ দখল করে নেয়।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী আবার ফিরে এসেছে এবং নীল নদের তীরে প্রাসাদের দিকে অগ্রসর হয়েছে।

আরএসএফ খার্তুম এবং প্রতিবেশী ওমদুরমান এবং পশ্চিম সুদানের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছে। সেখানে তারা দারফুরে সেনাবাহিনীর শেষ শক্ত ঘাঁটি আল-ফাশির দখলের জন্য লড়াই করছে।

রাজধানী দখল করলে সেনাবাহিনীর মধ্য সুদানের সম্পূর্ণ দখল দ্রুত নিতে পারবে এবং দুই বাহিনীর মধ্যে দেশের পূর্ব-পশ্চিম আঞ্চলিক বিভাগ আরো শক্ত হতে পারে। উভয় পক্ষই দেশের অবশিষ্ট অংশের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং শান্তি আলোচনার কোনো প্রচেষ্টা বাস্তবায়িত হয়নি।

বেসামরিক শাসনে পরিকল্পিত রূপান্তরের আগে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি ও আরএসএফ কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং এক কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। শুধু বৃহত্তর খার্তুম অঞ্চল থেকেই ৩৫ লাখের বেশি মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে, যা যুদ্ধের আগের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি।

এই সংঘাত সুদানকে দুই ভাগে বিভক্ত করেছে। উত্তর ও পূর্ব অংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, আর পশ্চিম ও দক্ষিণের বেশির ভাগ এলাকা আরএসএফের দখলে।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন মস্কোর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সের্গেই

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উত্তর কোরিয়া পৌঁছেছেন মস্কোর শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সের্গেই
ফাইল ছবি : ইয়োনহাপ

রাশিয়ার শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা সের্গেই শোইগু উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন। তার দেশটির নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ সের্গেই শোইগু আগমনের খবর প্রকাশ করেছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসও এ খবর নিশ্চিত করেছে।

 

কেসিএনএ জানিয়েছে, শোইগুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলকে সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং পিয়ংইয়ংয়ে নিযুক্ত মস্কোর রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মাতসেগোরাগ স্বাগত জানান। পারমাণবিক অস্ত্রধারী উত্তর কোরিয়ার সরকারি নাম উল্লেখ করে ‘আরআইএ নভোস্তি’ জানিয়েছে, ‘উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে শোইগুর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।’

আরো পড়ুন
চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা, মাস্ককে জানাচ্ছে পেন্টাগন?

চীনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা, মাস্ককে জানাচ্ছে পেন্টাগন?

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া ১০ হাজারের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য। যাদের রাশিয়ার পূর্ব কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া কামান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ভারী অস্ত্রও পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া এর বিনিময়ে মস্কোর কাছ থেকে সামরিক ও বেসামরিক প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে।
তবে পিয়ংইয়ং বা মস্কো কেউই পিয়ংইয়ংয়ের অস্ত্র ও সেনা মোতায়েনের কথা স্বীকার করেনি। তারা বলেছে, গত বছরের জুনে স্বাক্ষরিত একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়ন অব্যাহত রেখেছে তারা, যার মধ্যে একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিও রয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ