<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেপ্তার হয়েছেন গত বৃহস্পতিবার। তবে বহাল তবিয়তে আছেন তাঁর ছয় ক্যাশিয়ার (বদলি বাণিজ্যের অর্থ সংগ্রহকারী)। তাঁদের মাধ্যমে খাদ্য বিভাগের বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রী পরিবারের সদস্যরা। বিনিময়ে এই ছয় ক্যাশিয়ার নিজেদের পছন্দমতো পোস্টিং (পদায়ন) বাগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি পেতেন নির্দিষ্ট হারে কমিশন। তাঁরা হলেন খাদ্য কর্মকর্তা সমিতির সাবেক সভাপতি ও শরীয়তপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা (ডিসিএফ) হুমায়ুন কবির, তেজগাঁও সিএসডির সাবেক ব্যবস্থাপক চন্দ্র শেখর মল্লিক, বর্তমান ব্যবস্থাপক আবদুর রহিম, ঢাকা রেশনিংয়ের এরিয়া রেশনিং কর্মকর্তা (ডি-৭) তৌফিকে ই এলাহী, দিনাজপুরের ডিসিএফ সুবীর নাথ চৌধুরী এবং মুন্সীগঞ্জের ডিসিএফ আসমা উল হোসনা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">খাদ্য বিভাগের বদলি-পদায়ন নীতিমালায় দুই বছরের কম সময়ে কাউকে বদলির নিয়ম না থাকলেও তাঁদের কেউ কেউ এক বছরেই চারবার বদলি বা এক জায়গায় চার বছরও কাটিয়েছেন। এঁদের বেলায় ছিল না নিয়ম-নীতির বালাই। মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ম্যানেজ</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> করে বেপরোয়াভাবে চালিয়েছেন তদবির ও বদলি বাণিজ্য। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ পরিচয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও তাঁরা এখনো বহাল তবিয়তে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে আছেন। এতে খাদ্য বিভাগে ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে এই ছয়জনের পাঁচজন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে অভিন্ন ভাষায় কালের কণ্ঠকে বলেছেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভিযোগ সত্য নয়। তাঁরা কেউই সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন বাবুর কাছের লোক ছিলেন না। নিজ নিজ যোগ্যতার ভিত্তিতেই তাঁরা ভালো পদায়ন পেয়েছেন। তাঁরা কখনো বদলি বাণিজ্যের টাকা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সবই অপপ্রচার।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আসলে কিছু করার ছিল না। পরিস্থিতির কারণে অনেক কিছু মেনে নিতে হয়েছে। ওনি (সাধন চন্দ্র মজুমদার) চলে যাওয়ার পর তাঁদের কয়েকজনকে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করা হয়েছে। তবে কর্মকর্তা সংকট থাকায় কাউকে ওএসডি করা যায়নি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শেখ হাসিনার টানা ১৬ বছরের শাসনামলে ড. আব্দুর রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম ও সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। রাজ্জাক ও কামরুলের সময় দলীয়করণ শুরু হলেও সাধন চন্দ্র মজুমদারের সময় তা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রীর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, তদবির ও বদলি বাণিজ্য ছিল খাদ্য মন্ত্রণালয়ে ওপেন সিক্রেট। একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ও ক্ষমতাসীন দলের লোক ছাড়া সাধন চন্দ্রের আমলে কেউ ভালো পোস্টিং (পদায়ন) পাননি। লোভনীয় জায়গায় পদায়ন পেতে গুনতে হতো ৩০ লাখ টাকা থেকে শুরু করে কোটি টাকা পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের পরিচয়ে দাপিয়ে বেড়ানো এই ব্যক্তিরা দেশের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগার (সিএসডি) ও স্থানীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে (এলএসডি) পদায়ন করাত। বিনিময়ে বদলি হওয়া কর্মকর্তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যের হাতে পৌঁছে দিয়ে কমিশন নিতেন। নিজেরা মন্ত্রীর পরিবারের লোক বলে খাদ্য বিভাগে প্রভাব খাটাতেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অভিযোগ আছে, বদলি বাণিজ্যের সমন্বয়ক ছিলেন মন্ত্রীর ভাতিজা রাজেশ মজুমদার। যিনি খাদ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে বসতেন মন্ত্রণালয়ে। এ ছাড়া বদলি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন মন্ত্রীর একসময়ের একান্ত সচিব (পিএস) সাধন চন্দ্রের জামাতা আবু নাসের বেগ (মাগুরার সাবেক ডিসি) ও মন্ত্রীর ছোট মেয়ে তৃণা মজুমদার, মন্ত্রীর ভাই মনা মজুমদার, নওগাঁ মিল মালিক সমিতির সভাপতি চন্দন সাহা। তাঁদের সহযোগী ছিলেন খাদ্য অধিদপ্তরের ওই ছয় কর্মকর্তা। এর বাইরে দিনাজপুর সিএসডির ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন, নরসিংদী এলএসডির ব্যবস্থাপক শিখা, লীনাসহ খাদ্য বিভাগের বেশ কিছু কর্মকর্তা বদলি বাণিজ্যের সহযোগী ছিলেন। টাকার বিনিময়ে দপ্তরের যেকোনো পদায়ন-বদলি সামলাতেন তাঁরা। জানা গেছে, এসব বদলি বাণিজ্যের লেনদেন হতো বেইলি রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসায়। প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলে খাদ্য বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ওই বাসা সরগরম হয়ে উঠত। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছয় ক্যাশিয়ারের আমলনামা : খাদ্য বিভাগের বিদ্যমান বদলি ও পদায়ন নীতিমালা অনুযায়ী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি কর্মস্থলে কমপক্ষে দুই বছর চাকরি করতে হয়। সাধারণত দুই বছর হলে বদলি করা হয়। ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদায়নের ক্ষমতা মন্ত্রণালয়ের এবং নন-ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি করার কথা খাদ্য অধিদপ্তরের। কিন্তু গত ছয় বছর অধিদপ্তরের ক্ষমতা খর্ব করে মন্ত্রীর লোকজন এককভাবে বদলি বাণিজ্য করেছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অভিযোগ করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হুমায়ুন কবির : আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে খাদ্য বিভাগে প্রভাব খাটিয়েছেন ভোলা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হুমায়ুন কবির। আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের পরিচয়ে ড. রাজ্জাক ও কামরুল ইসলামের সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে পদায়ন পান। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে সরকারি চাল-গম পাচারকালে তেজগাঁও সিএসডিতে হাতেনাতে ধরা পড়েন সিএসডির তৎকালীন ম্যানেজার হুমায়ুন কবির। পরে হুমায়ুনকে র‌্যাবের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেন তখনকার বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সরকারি তদন্ত প্রতিবেদনেও তাঁর সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে। কিছুদিন তাঁকে ওএসডি রাখা হলেও পরে সাধন চন্দ্র মজুমদার মন্ত্রী হলে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন খাদ্য কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এই হুমায়ুন। যোগ্যতা না থাকার পরও নন-ক্যাডার কর্মকর্তা হুমায়ুন ক্যাডার পদে বিভিন্ন জেলার ডিসি ফুডের দায়িত্ব পান। মাত্র দেড় বছরের মাথায় হুমায়ুন নোয়াখালী, গাজীপুর, বগুড়ার মতো জেলার ডিসিএফের দায়িত্ব বাগিয়ে নেন। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তার আশীর্বাদ থাকায় হাসিনা সরকারের পতন হলেও তাঁকে ওএসডি হতে হয়নি। সম্প্রতি তাঁকে বগুড়া থেকে শরীয়তপুরের ডিসি ফুডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চন্দ্র শেখর মল্লিক : সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই তাঁর সুনজরে আসেন চট্টগ্রামের দেওয়ানহাট সিএসডির সহকারী ব্যবস্থাপক চন্দ্র শেখর মল্লিক। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা মন্ত্রীকে বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও সিএসডিতে পোস্টিং নেন। প্রায় চার বছর সেখানে থাকার পর চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল তিনি নারায়ণগঞ্জের ডিসি ফুডের দায়িত্ব পান। চন্দ্র শেখরকে এই পদে পদায়ন করতে খাদ্য বিভাগের অন্তত পাঁচজন কর্মকর্তার দপ্তর বদল করতে হয়েছে। হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে খাদ্য ভবনে ওএসডি করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সুবীর নাথ চৌধুরী : খাদ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অবাধে যাতায়াত ছিল ৩১তম বিসিএসের ফুড ক্যাডার কর্মকর্তা সুবীর নাথ চৌধুরীর। মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের আস্থাভাজন হওয়ায় তিনি এক বছরের মধ্যে চার জেলার ডিসি ফুডের দায়িত্ব পান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডিসিএফ হিসেবে কাজ করার কিছুদিনের মধ্যেই তিনি কুষ্টিয়ায় পদায়ন নেন। এরপর সেখানে কিছুদিন কাটানোর পর কুমিল্লার দায়িত্ব নেন। সেখানে থাকাকালেই সবচেয়ে লোভনীয় দিনাজপুরের ডিসিএফ হয়ে যান। করিত্কর্মা এই কর্মকর্তা অল্প সময়ে চারটি বড় জেলার দায়িত্ব পাওয়ায় খাদ্য ভবনে অনেকে তাঁকে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ম্যাজিক সুবির</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> বলে ডাকেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবদুর রহিম : সাধন চন্দ্রের উত্তরবঙ্গের ক্যাশিয়ার ছিলেন সিরাজগঞ্জের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা আবদুর রহিম। মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের সুনজরে পড়লে তিনি জয়পুরহাটের দায়িত্ব পান। তাঁর কাজে মন্ত্রী সন্তুষ্ট হলে অল্পদিনেই দিনাজপুর সিএসডির ম্যানেজারের পদও বাগিয়ে নেন। এরই মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে রহিমের ভাইকে নওগাঁর জেলা প্রশাসক (ডিসি) করে আনেন সাধন চন্দ্র। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর পুরস্কার হিসেবে ডিসির ভাই আবদুর রহিমকে গত ২৬ এপ্রিল তেজগাঁও সিএসডির ম্যানেজার করে বদলি করা হয়। এখনো সেখানেই আছেন তিনি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তৌফিক ই এলাহী : বাংলাদেশ খাদ্য পরিদর্শক সমিতির সাবেক মহাসচিব তৌফিক ই এলাহী খাদ্যমন্ত্রী ড. রাজ্জাক, কামরুল ইসলাম ও সাধন চন্দ্রের আমলে দাপটের সঙ্গে বদলি বাণিজ্য করেছেন। তেজগাঁও সিএসডির ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা এই কর্মকর্তা ঢাকা রেশনিংয়ে দীর্ঘদিন থাকার পর তাঁকে ফরিদপুরে বদলি করা হয়। সেখানে কয়েক মাস থাকার পরই আবারও তিনি সাধন চন্দ্রকে ম্যানেজ করে ঢাকা রেশনিংয়ে ফিরে আসেন। অল্পদিনের ব্যবধানে আগের জায়গায় পদায়ন পাওয়ার নজির খাদ্য বিভাগে তেমন নেই বলে জানান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আসমা উল হোসনা : বরিশাল জেলায় জন্ম হলেও আসমা উল হোসনার স্বামীর বাড়ি ভোলায়। শ্বশুরবাড়ির দিকে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদের আত্মীয় হওয়ায় তিনি খাদ্য কর্মকর্তা সমিতির নেতা হুমায়ুনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি ও হুমায়ুন তোফায়েল আহমেদের লোক পরিচয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের ডিজি থেকে শুরু করে ক্যাডার কর্মকর্তা কাউকে পাত্তা দিতেন না বলে অভিযোগ অনেকের। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জ সিএসডির ম্যানেজার ছিলেন। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জের ডিসি ফুডের দায়িত্ব পান। সেখান থেকে তাঁকে গাজীপুরে বদলি করা হয়। সরকার পতনের পর তাঁকে খাদ্য ভবনে ওএসডি করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া সাধন চন্দ্র মজুমদারের লোক বলে পরিচিত এসিফুড নিত্যানন্দ কুণ্ডুকে কুমিল্লা জেলার ভারপ্রাপ্ত ডিসিফুড, মন্ত্রীর মেয়েকে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">টয়োটা প্রিমিও</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> গাড়ি উপহার দিয়ে প্রায় চার বছর চট্টগ্রামের হালিশহর সিএসডির দায়িত্ব পালন করেন থোয়াই মং প্রু মারমা। তাঁকেও হবিগঞ্জের ডিসি ফুডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাবেক হুইপ আতিকুর রহমান আতিকের আত্মীয় শফি আফজালকে জামালপুর থেকে মাদারীপুর হয়ে সবশেষে গাজীপুর জেলার ডিসিএফের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খাদ্য কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন ঢালীকে খাদ্য ভবনে ছয় বছর থাকার পর গত ২৭ আগস্ট গাজীপুরের কালীগঞ্জের উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে বদলি করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>