<p>মক্কা নগরীর প্রাচীনতম কবরস্থান জান্নাতুল মুয়াল্লা। ইসলামপূর্ব যুগ থেকে এখন পর্যন্ত যা মক্কা নগরীর কবরস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মহানবী (সা.)-এর পূর্বপুরুষদের এখানেই দাফন করা হয়েছিল। উম্মাহাতুল মুমিনিন খাদিজা (রা.) ও মহানবী (সা.)-এর দুই পুত্র আবদুল্লাহ ও কাসেমকেও এখানে দাফন করা হয়। জান্নাতুল মুয়াল্লা মসজিদুল হারাম থেকে এক কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থিত। মসজিদুল হারামের গেট থেকে হাঁটা পথে মাত্র ১৫ মিনিটের দূরত্ব।</p> <p>ধারণা করা হয়, রাসুলে আকরাম (সা.)-এর জন্মের আগেই এই কবরস্থানের ব্যবহার শুরু হয়, যা এখনো অব্যাহত আছে। মহানবী (সা.)-এর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি একাধিক সাহাবি, তাবেঈ, মুসলিম শাসক ও বুজুর্গ ব্যক্তির কবর আছে এখানে। উসমানীয় শাসনামলে জান্নাতুল মুয়াল্লার কবরগুলো পৃথকভাবে চিহ্নিত ছিল এবং কারো কারো কবরের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সাউদ পরিবার ক্ষমতা গ্রহণের পর ১৯২৫ সালে বাদশাহ আবদুল আজিজ বিন সাউদ কবরের ওপরের স্থাপনাগুলো ভেঙে ফেলেন।</p> <p>নবী পরিবারের কবর : জান্নাতুল মুয়াল্লায় মহানবী (সা.)-এর প্রপিতামহ হিশাম বিন আবদে মানাফ, দাদা আবদুল মুত্তালিব ও চাচা আবু তালিবের কবর আছে। কোনো কোনো ঐতিহাসিকের দাবি, মহানবী (সা.)-এর মা আমিনার কবরও এখানে অবস্থিত। এ ছাড়া মহানবী (সা.)-এর প্রথম স্ত্রী খাদিজা (রা.) ও তাঁর দুই শিশুপুত্র আবদুল্লাহ ও কাসেমও এই কবরস্থানে শুয়ে আছেন।</p> <p>সাহাবিদের কবর : সাহাবায়ে কিরাম (রা.)-এর মধ্যে আছেন আবদুর রহমান ইবনে আবি বকর, আসমা বিনতে আবি বকর, সুমাইয়া বিনতে খাব্বাত, জয়নব বিনতে মাজউন, আবদুল্লাহ বিন জুবায়ের (রা.) প্রমুখ।</p> <p>বিখ্যাত ব্যক্তিদের কবর : নবী পরিবারের সদস্য ও সাহাবায়ে কিরাম (রা.) ছাড়াও জান্নাতুল মুয়াল্লাতে আরো বহু বিখ্যাত মনীষীর কবর আছে। যেমন— ইমাম ইবনে হাজার হায়সামি, আব্বাসীয় খলিফা আবু জাফর মানসুর, ধর্মতাত্ত্বিক আবু তুরাব জাহেরি, সুফি আলাউদ্দিন সিরাজি, মুহাদ্দিস ও ফকিহ মোল্লা আলী কারি (রহ.)।</p> <p> </p> <p>তথ্যসূত্র : মদিনা প্রজেক্ট, দ্য পিলগ্রিম ডটকম ও উইকিপিডিয়া</p> <p> </p>