<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) বলেন, আমার পিতা এক সম্ভ্রান্ত বংশীয় মেয়ের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেন। তিনি তাঁর পুত্রবধূকে দেখতে আসতেন আর তার স্বামী সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞেস করতেন। বউমা তাঁকে বলত, সে কতই না একজন ভালো পুরুষ! আমার তার কাছে আসা অবধি না সে আমাদের বিছানায় পা রেখেছে, না আমাদের দেহের কোনো দিক তালাশ করে দেখেছে। যখন বিষয়টি তাঁর কাছে দীর্ঘ হয়ে দাঁড়াল তখন তিনি নবী করিম (সা.)-এর কাছে বিষয়টি তুলে ধরলেন। তিনি বলেন, তাকে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বলো। পরে আমি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলাম। তিনি বলেন, তুমি কিভাবে সিয়াম পালন করো? আমি বললাম, প্রতিদিন। তিনি বলেন, কিভাবে কোরআন খতম করো? আমি বললাম, প্রতি রাতে। তিনি বলেন, তুমি প্রতি মাসে তিন দিন সিয়াম রাখো এবং প্রতি মাসে একবার কোরআন খতম কোরো। আমি বললাম, আমি তা থেকে বেশি সামর্থ্য রাখি। তিনি বলেন, তাহলে সপ্তাহে তিন দিন সিয়াম পালন করো। আমি বললাম, আমি তার থেকেও বেশি পারব। তিনি বলেন, এক দিন সিয়াম পালন করো, মাঝে দুই দিন বন্ধ রাখো। আমি বললাম, আমি তার থেকেও বেশি পারব। তিনি বলেন, তুমি উত্তম সিয়াম দাউদের সিয়াম পালন করো। তা হলো এক দিন সিয়াম পালন, পরদিন সিয়াম ভঙ্গ। আর প্রতি সাত রাতে একবার কোরআন পড়া শেষ করো। আফসোস! আমি যদি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দেওয়া অবকাশ গ্রহণ করতাম। কেননা আমি এখন বয়স্ক ও দুর্বল হয়ে পড়েছি। ফলে তিনি তাঁর পরিবারের কোনো একজন সদস্যকে দিনের বেলায় কোরআনের এক-সপ্তমাংশ পড়ে শোনাতেন, আবার যাকে তিনি শোনাতেন সে-ও ওই পরিমাণ তাকে শোনাত। এভাবে রাতের কষ্ট তার জন্য লাঘব হতো। আবার যখন তিনি দৈহিক বল বৃদ্ধির ইচ্ছা করতেন, তখন কিছুদিন সিয়াম পালন বন্ধ রাখতেন, তার হিসাবও রাখতেন। পরে সমপরিমাণ সিয়াম (লাগাতার) পালন করতেন। যে আমলের ওপর রেখে নবী করিম (সা.) তার থেকে বিদায় নিয়ে গেছেন তার কিছুমাত্র ছেড়ে দেওয়া অপছন্দনীয় হওয়ার কারণে তিনি এভাবে করে ঠিক রাখতেন। (বুখারি, হাদিস : ৫০৫২</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মুজাহিদ (রহ.) বলেন, পরবর্তী সময়ে আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) যখন দুর্বল ও বয়স্ক হয়ে পড়লেন, তখন মাঝে বাদ না দিয়ে কয়েক দিন ধরে সিয়াম পালন করতেন। তারপর হিসাব অনুযায়ী কয় দিন সিয়াম বন্ধ রাখতেন, আর এভাবে তিনি দেহের শক্তি সঞ্চয় করতেন। আর কোরআন পাঠের ভাগও তিনি কমবেশি করতেন। তবে তিনি সংখ্যা ঠিক রাখতেন। হয় সাত দিনে, নয় তিন দিনে খতম করতেন। এ সময় তিনি বলতেন, আমি যদি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দেওয়া ছাড় গ্রহণ করতাম তাহলে সেটাই হতো আমার জন্য তার বিনিময়ে দেয় যেকোনো কিছুর থেকে প্রিয়। কিন্তু আমি তাঁর মৃত্যুকালে যে আমলের ওপর তাঁকে বিদায় জানিয়েছি তার ব্যতিক্রম করে অন্য কিছু করা আমার অপছন্দ।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ৬৪৭৭)</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আলোচ্য হাদিস থেকে সুস্পষ্টভাবে জানা যায় যে ভুলকারীর সঙ্গে কথা বলে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া উচিত। প্রয়োজনে তাকে সংশোধন করা উচিত।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>