<p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অনেক সময় ছোট ছোট ভালো কাজ অথবা ভদ্রতা-সৌজন্যটুকু আমাদের ছুটে যায় অবহেলায়। আবার অসতর্কতায় আমরা জড়িয়ে যাই ছোট ছোট পাপেও। এসব উচিত নয়। মানুষের জীবনের সব কাজের হিসাব হবে। সেটা হোক পাপ কিংবা পুণ্য। পাপ আর পুণ্যটা হোক ছোট অথবা বড়। চারপাশে যত কিছু বিরাজমান তার সব কিছু কি আমরা দেখতে পাই? না। চারপাশের অনেক কিছুই আমাদের চোখের আড়ালে। অনেক কিছুই আমাদের চোখে স্পষ্ট না। আমাদের জ্ঞান ও ইন্দ্রিয়ের সীমাবদ্ধতার দরুন চারপাশের অনেক কিছু আমরা দেখতে অথবা বুঝতে অক্ষম। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">নিজ সন্তানকে দেওয়া লুকমান হাকিমের একটি উপদেশ পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। যেখানে তিনি তাঁর সন্তানকে বলেছেন, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৎ, পাপ-পুণ্য যদি সরিষার একটি দানা পরিমাণ হয়, এরপর তা থাকে শিলাগর্ভে অথবা আকাশমণ্ডলীতে কিংবা ভূমিতে, আল্লাহ তা উপস্থিত করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সূক্ষ্মদর্শী, সম্যক অবগত।</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(সুরা : লুকমান, আয়াত : ১৬)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরিষার দানার মতো সূক্ষ্ম জিনিস কোথাও কোনো কিছুর ভেতর লুকিয়ে থাকলে সেটা দেখতে পাওয়া মানুষের পক্ষে অসম্ভব। কিন্তু সেটার সমপরিমাণ পাপ অথবা পুণ্য আমাদের জীবনে থেকে থাকলে সেটারও হিসাব হবে। মহান আল্লাহ সেটাকেও আমলনামায় উপস্থিত করবেন হাশরের মাঠে। মহান আল্লাহ সব কিছু দেখেন, শোনেন এবং জানেন। শেষ বিচারের দিন মানুষের কৃতকর্মের সব কিছুই হিসাবে আনবেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যে কণা পরিমাণ ভালো কাজ করবে, সেটা সে দেখতে পাবে। আর যে কণা পরিমাণ মন্দ কাজ করবে সেটাও সে দেখতে পাবে।</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> (সুরা : জিলজাল, আয়াত : ৭৮)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হাদিসে এ মর্মে অনেক বর্ণনা এসেছে। যেমন আবু জর গিফারি (রা.) বলেন, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমাকে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কোনো ভালো কাজকে সামান্য মনে কোরো না। এমনকি সেটা তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা হলেও।</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৬৯০)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইমাম মহিউদ্দিন ইবনে শারাফ আন নববী (রহ.) বলেন : এ হাদিসে যে ভালো কাজই সম্ভব হয়, তা অল্প হলেও, এমনকি হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার মতো সহজ বিষয় হলেও সেটা করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(আল মিনহাজ : ৪/২৪৫)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্য হাদিসে নবীজি (সা.) বলেছেন, </span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রতিটি ভালো কাজ সদকাতুল্য (অর্থাৎ তাতে সওয়াব পাওয়া যাবে)।</span></span><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">(সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০২১) </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্যদিকে হাদিসে ছোট পাপ থেকেও বেঁচে থাকার স্পষ্টত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আয়েশা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) আমাকে বলেছেন, আয়েশা! যেসব অন্যায় সাধারণত সামান্য মনে করা হয়, সেগুলো থেকেও দূরে থাকবে। কেননা, সেগুলোর জন্যও আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অন্বেষণকারী (আমল লিপিবদ্ধকারী ফেরেশতা) নিয়োজিত আছেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৪৩)</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মুমিনের করণীয় হচ্ছে, যথাসম্ভব ভালো কাজে লেগে থাকা। বাহ্যত ছোট থেকে ছোট ভালো কাজকেও অবহেলা করে ছেড়ে না দেওয়া। আর যথাসম্ভব মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা। বাহ্যত ছোট থেকে ছোট অন্যায় কাজের ক্ষেত্রেও বেপরোয়া না হওয়া।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>