জান্নাতে আল্লাহর দিদার লাভের ৬ আমল

আসআদ শাহীন
আসআদ শাহীন
শেয়ার
জান্নাতে আল্লাহর দিদার লাভের ৬ আমল
ছবি : কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি প্রতীকী চিত্র

আল্লাহ তাআলাকে নিজ চোখে দেখা মহা সৌভাগ্যের বিষয়, যা পরকালে মুমিনদের জন্য নির্ধারিত। জান্নাতের অফুরন্ত সুখ-সুবিধা ও অনাবিল আনন্দের মধ্যেও আল্লাহর দিদার হবে এমন এক পরম আনন্দ, যা জান্নাতবাসীরা অন্য সব আনন্দ ভুলে যাবে।

আসুন, জান্নাতে আল্লাহর দিদার লাভের কিছু আমল জেনে নিই

প্রথম আমল : ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করা

আল্লাহর দিদার লাভের প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো, একজন ব্যক্তি ইসলামের অনুসরণে থেকে মৃত্যুবরণ করবে। কারণ অবিশ্বাসীদের জন্য আল্লাহর দিদার হারাম করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেন, কখনো নয়! বস্তুত তারা সে দিন তাদের প্রতিপালকের দিদার (দর্শন) থেকে বঞ্চিত থাকবে।

(সুরা : আল মুতাফফিফীন, আয়াত : ১৫)

অর্থাৎ গুনাহ ও কুফরির জন্য তাদের কঠিন শাস্তি হলো, তারা কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলার দিদার থেকে বঞ্চিত হবে। এ থেকে স্পষ্ট হয় যে মুমিনরা কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলাকে দেখতে পাবে, আর কাফিররা এই মহান নিয়ামত থেকে বঞ্চিত থাকবে।

দ্বিতীয় আমল : আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করা

আল্লাহ তাআলার দিদার লাভের অন্যতম মাধ্যম হলোতাঁর কাছে এই মহান নিয়ামত লাভের জন্য আন্তরিকভাবে দোয়া করা।

আল্লাহ তাআলা দোয়া কবুলকারী, আর তাঁর বান্দাদের আন্তরিক দোয়া তিনি প্রত্যাখ্যান করেন না। কায়েস ইবনে উবাদা (রা.) বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি বিশেষ দোয়া পড়তেন, যাতে আল্লাহর দিদারের জন্য দোয়া করা হয়েছে। সেই দোয়াটি হলো—‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে (জান্নাতে) তোমার দিদার লাভ করতে চাই এবং ক্ষতিকর কষ্ট ও পথভ্রষ্টকারীর ফাসাদে পড়া ছাড়া তোমার সাক্ষাতের আশা-আকাঙ্ক্ষা করি। হে আল্লাহ! আমাদের ঈমানের বলে বলীয়ান করো আর হেদায়েতপ্রাপ্ত ও হেদায়েত প্রদর্শনকারী করো।
(সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১৩০৫)

তৃতীয় আমল : ফজর ও আসরের নামাজের পাবন্দি করা

জান্নাতে আল্লাহ তাআলার দিদার লাভের অন্যতম মাধ্যম হলো সব নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়া, বিশেষত ফজর ও আসরের নামাজ নিয়মিতভাবে আদায় করা। জারির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেন : একদা আমরা নবী করিম (সা.)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তিনি রাতে (পূর্ণিমার) চাঁদের দিকে তাকিয়ে বলেন, ওই চাঁদকে তোমরা যেমন দেখছ, ঠিক তেমনি অচিরেই তোমাদের প্রতিপালককে তোমরা দেখতে পাবে। তাঁকে দেখতে তোমরা কোনো ভিড়ের সম্মুখীন হবে না। কাজেই সূর্য উদয়ের ও অস্ত যাওয়ার আগের নামাজ (শয়তানের প্রভাবমুক্ত হয়ে) আদায় করতে পারলে তোমরা তা-ই করবে।

(বুখারি, হাদিস : ৫৫৪)

চতুর্থ আমল : গুনাহ থেকে মুক্ত থাকা

জান্নাতে আল্লাহ তাআলার দিদার লাভের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলোসব ধরনের গুনাহ থেকে নিজেকে বিরত রাখা। হজরত আবু জর গিফারি (রা.) বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তিন শ্রেণির লোকের সঙ্গে কথা বলবেন না, তাদের দিকে তাকাবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না; বরং তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এ কথাটি তিনবার পাঠ করলেন। আবু জর (রা.) বলে উঠলেন, তারা ধ্বংস হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। হে আল্লাহর রাসুল! এরা কারা? তিনি বলেন, যে লোক পায়ের গোছার নিচে কাপড় ঝুলিয়ে চলে, কোনো কিছু দান করে খোঁটা দেয় এবং মিথ্যা শপথ করে পণ্যদ্রব্য বিক্রি করে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৯৪)

পঞ্চম আমল : আল্লাহ তাআলার সাক্ষাৎ ও দিদারের আকাঙ্ক্ষা

জান্নাতে আল্লাহ তাআলার দিদার লাভের অন্যতম মাধ্যম হলোআল্লাহ তাআলার সঙ্গে সাক্ষাতের প্রবল আকাঙ্ক্ষা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ পছন্দ করে না, আল্লাহও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন না। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৫০৭)

ষষ্ঠ আমল : ইহসান করা

জান্নাতে আল্লাহ তাআলার দিদার লাভের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো ইহসান বা সৎকর্ম করা।

ইহসানের অর্থ হলো, সৃষ্টিজীবের প্রতি যেকোনো ভালো কাজ করা এবং কল্যাণমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখা। এটি এমন একটি গুণ, যা মানুষের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ সুগম করে। ইমাম জুরজানি (রহ.) ইহসানের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, ইহসান হলো সেই কাজ, যা দুনিয়াতে প্রশংসিত হয় এবং পরকালে প্রতিদান ও সওয়াবের কারণ হয়। (আল-তারিফাত, পৃষ্ঠা-৯১)

আল্লাহ তাআলা আমাদের উপরিউক্ত আমল পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোরআন থেকে শিক্ষা

    পর্ব, ৭৪৮
শেয়ার
কোরআন থেকে শিক্ষা

আয়াতের অর্থ : ‘আল্লাহ মুশরিকদের বলবেন, তোমরা যা বলতে তারা তা মিথ্যা সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং তোমরা শাস্তি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং সাহায্যও পাবে না। তোমাদের মধ্যে যে সীমা লঙ্ঘন করবে, আমি তাকে মহাশাস্তি আস্বাদ করাব। তোমার পূর্বে আমি যেসব রাসুল প্রেরণ করেছি, তারা সাবই তো আহার করত এবং হাটবাজারে চলাফেরা করত।

...(সুরা : ফুরকান, আয়াত : ১৯-২০)

আয়াতদ্বয়ে ঈমানের আহ্বানে সাড়া দেওয়া না দেওয়ার পরিণতি বর্ণনা করা হয়েছে।

শিক্ষা ও বিধান

১. পরকালে মিথ্যা উপাস্যরা উপাসকদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। ফলে তাদের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যাবে।

২. ঈমান ও ইসলামের আহ্বান মানুষের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ।

যারা সাড়া দেয় তারা মুক্তি পায় এবং যারা প্রত্যাখ্যান করে তারা ধ্বংস হয়।

৩. হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুল! আমি আপনাকে এবং আপনার দ্বারা অন্যকে পরীক্ষা করব।’

৪. রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তাঁকে নবী ও বাদশাহ এবং রাসুল ও বান্দা হওয়ার ইচ্ছাধিকার দেওয়া হয়। তিনি রাসুল ও বান্দা হওয়াকে বেছে নেন।

৫. আল্লাহ নবী-রাসুলকে অঢেল সম্পদ ও প্রবল ক্ষমতার অধিকারী করেননি, যাতে মানুষ বলতে না পারে যে সম্পদের লোভ ও ক্ষমতার প্রভাবে মানুষ তাঁর অনুসরণ করেছে। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৮/১৯৩)

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মনীষীদের কথা

শেয়ার
মনীষীদের কথা

আমলের মাধ্যমে ইলম (দ্বিনি জ্ঞান) সজীব হয় যদি তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়, নতুবা তা মানুষের জন্য বোঝা হবে।

আলী ইবনে আবি তালিব (রা.)

 

মন্তব্য

প্রশ্ন-উত্তর

    সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ, বসুন্ধরা, ঢাকা
শেয়ার
প্রশ্ন-উত্তর

নামাজে নারীদের পা দেখা গেলে কি নামাজ ভাঙবে?

প্রশ্ন : অনেক সময় নামাজ পড়ার সময় নারীদের পা খুলে যায়। কিছু অংশ দেখা যায়। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজ পড়া অবস্থায় নারীদের পা কি সতর? সতর হলে কতটুকু দেখা গেলে নামাজ ভেঙে যাবে?

মুহসিন, ময়মনসিংহ

উত্তর : বিশুদ্ধ ও আমলযোগ্য মত অনুসারে নামাজে নারীদের পা সতরের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাই পা খোলা থাকলেও নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।

(আল হিদায়া : ১/৭৬, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৬৬)

 

মন্তব্য

মুসলমানের পরিচয় ও উৎসবের স্বাতন্ত্র্য

ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
শেয়ার
মুসলমানের পরিচয় ও উৎসবের স্বাতন্ত্র্য

মানুষের জীবনে নিজেকে প্রকাশ করার মতো বিভিন্ন পরিচয় থাকে; যেমনভাষার পরিচয়ে আমরা বাঙালি। ভূখণ্ডের পরিচয়ে আমরা বাংলাদেশি। এ ছাড়া পেশার ভিত্তিতে আমাদের বহুমুখী পরিচয় রয়েছে; যেমনশিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, ব্যবস্থাপক, হিসাবরক্ষক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার ইত্যাদি। মানুষ সাধারণত পেশাভিত্তিক পরিচয়ে নিজেদের প্রকাশ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।

এসব পরিচয় সাময়িক ও ক্ষণস্থায়ী। আমাদের আরেকটি মূল পরিচয় রয়েছে, সেটি হলো ধর্মের পরিচয়। অর্থাৎ আমরা মুসলমান। ইসলাম আল্লাহ কর্তৃক মনোনীত দ্বিন।
এই পরিচয়টি মানুষের জন্য চিরস্থায়ী। এই পরিচয়ের সঙ্গে অন্যান্য পরিচয় সাংঘর্ষিক হলে সেগুলো ছেড়ে দিতে হবে অথবা সংশোধন করতে হবে। যেমনমুসলমান ও মাদক কারবারি পরিচয় একত্রে হওয়া সাংঘর্ষিক। কারণ ইসলামে ব্যবসা হালাল হলেও মাদকের কারবার হারাম ও নিষিদ্ধ।
মাদক কারবারের মাধ্যমে মুসলমান পরিচয় মিথ্যায়      রূপান্তরিত হয়। ভাষার পরিচয়ে আমরা বাঙালি। ভাষা আল্লাহর দান। সব ভাষাই আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন। ভাষার ভিত্তিতে কেউ শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট হতে পারে না।
কাজেই আমাদের বাংলাভাষী হওয়া বা বাঙালি হওয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে কিংবা যেকোনো উৎসব পালনে এমন কোনো কাজ কাম্য হতে পারে না, যা মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অথবা ইসলামের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়। মুসলমান পরিচয় কলুষিত হওয়ার কয়েকটি বিষয় নিম্নরূপ

প্রাণীর চিত্র বা প্রতিকৃতি ধারণ করা : কোনো প্রাণীর চিত্রাঙ্কন ইসলামে অনুমোদিত নয়। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হবে তাদের, যারা প্রাণীর চিত্র অঙ্কনকারী।

(বুখারি, হাদিস : ৫৬০৬)

আবার চিত্রাঙ্কনের মতো ইট, পাথর, মাটি বা অন্য কিছুর মাধ্যমে প্রাণীর প্রতিকৃতি নির্মাণও ইসলামে বৈধ নয়। আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, এই প্রতিকৃতি নির্মাতাদের কিয়ামতের দিন আজাবে নিক্ষেপ করা হবে এবং তাদের সম্বোধন করে বলা হবে, যা তোমরা সৃষ্টি করেছিলে তাতে প্রাণসঞ্চার করো।

(বুখারি, হাদিস : ৫৯৫১)

তবে সৌন্দর্যবর্ধন, স্মৃতিচারণা বা জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে স্তম্ভ, ফলক, মিনার বা অন্য কিছুর প্রতিকৃতি ইসলামী শিল্পকলায় প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণের বিকল্প হতে পারে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, ফুল-পাতা, নদ-নদী, প্রাকৃতিক দৃশ্য, জড় পদার্থ, মসজিদ ইত্যাদির চিত্রাঙ্কন ইসলামী শিল্পকলায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। পোশাক, পর্দা, মাদুর, কার্পেট ইত্যাদিতে এ ধরনের চিত্রের ব্যবহার হতে পারে।

বিজাতীয় সংস্কৃতি গ্রহণ : প্রত্যেকে যার যার বিশ্বাস অনুযায়ী উৎসব পালন করবেএটাই স্বাভাবিক। যেকোনো উৎসব পালন ও আচার-অনুষ্ঠানে বিজাতীয় সংস্কৃতি মুসলমানদের জন্য পরিত্যাজ্য বিষয়। ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে সে তাদের দলভুক্ত বিবেচিত হবে। (আবু দাউদ, হাদিস : ৪০৩৩)

অশ্লীলতা পরিত্যাজ্য : বর্ষবরণ উদযাপন করতে নানা রকম অশ্লীলতা, নগ্নতা, মদপান, তরুণ-তরুণীর যৌন উন্মাদনাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সংবাদ পাওয়া যায়, যেগুলো ইসলামের দৃষ্টিতে গুরুতর অপরাধ। ইসলামে কোনো ধরনের অনৈতিক ও অনর্থক কর্মকাণ্ডের সুযোগ নেই। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা, সদাচরণ ও আত্মীয়-স্বজনকে দানের নির্দেশ দেন এবং তিনি নিষেধ করেন অশ্লীলতা, অসৎকর্ম ও সীমালঙ্ঘন; তিনি তোমাদের উপদেশ দেন, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করো। (সুরা : নাহল, আয়াত : ৯০)

আল্লাহ ছাড়া অন্যের কাছে কল্যাণ কামনা : মুসলমানরা বিশ্বাস করে, কল্যাণ-অকল্যাণ বা মঙ্গল-অমঙ্গলের মালিক মহান আল্লাহ। তাই মহান আল্লাহর কাছে নতুন বছরসহ যেকোনো উৎসবে ইহকালীন ও পরকালীন সুখ, শান্তি, সফলতা ও কল্যাণ কামনা করবে। আল্লাহই বান্দার সুখ, শান্তি, সফলতা ও কল্যাণ প্রদানকারী; অন্য কেউ নয়। কোরআনে এসেছে, আমি কি তাঁর (আল্লাহর) পরিবর্তে অন্যদের উপাস্যরূপে গ্রহণ করব?  করুণাময় যদি আমাকে কষ্টে নিপতিত করতে চান, তাহলে তাদের সুপারিশ আমার কোনোই কাজে আসবে না এবং তারা আমাকে রক্ষাও করতে পারবে না। এমন করলে আমি প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হব। (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ২৩-২৪)

পরিশেষে বলা যায়, জীবনের সব ক্ষেত্রে মুসলমান পরিচয় ধারণ করাই ঈমানের মূল দাবি। এই পরিচয় কলুষিত হওয়ার মতো কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে হবে। মুসলমান পরিচয়ের সঙ্গে অন্য পরিচয় সাংঘর্ষিক হলে সেটি বাদ দিতে হবে অথবা সংশোধন করতে হবে। আল্লাহ আমাদের সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ