<p>সংখ্যালঘু সুরক্ষায় নতুন আইন প্রণয়ন, স্বতন্ত্র কমিশন গঠন ও বিদ্যমান ট্রাস্টগুলোকে ফাউন্ডেশনে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মাইনরিটি জনতা পার্টি। পার্টির পক্ষ থেকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে সব নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সহিংসতার প্রতিটি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করাসহ ১৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।</p> <p>গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। পার্টির সভাপতি সুকৃতি কুমার মণ্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পার্টির মহাসচিব দিলীপ কুমার দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি ড. মোহাম্মদ আবদুল হাই, সহসভাপতি অধ্যাপক নিরদ বরণ মজুমদার, যুগ্ম মহাসচিব ভবতোষ মুখার্জি, নারীবিষয়ক সম্পাদক উর্মিলা দাশ প্রমুখ।</p> <p>সংবাদ সম্মেলনে সুকৃতি কুমার মণ্ডল বলেন, ‘কোটা সংস্কার নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে আমরাও সোচ্চার ছিলাম। এই আন্দোলনের মাধ্যমে অন্যায় ও অন্যায্যতার বিপরীতে ছাত্র-জনতার বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু বিজয় পরবর্তী সারা দেশে দুষ্কৃতকারীদের নানান প্রতিহিংসামূলক কর্মকাণ্ড ও সুযোগসন্ধানীদের বিভিন্ন তাণ্ডবে আমরা ব্যথিত। দুষ্কৃতকারীরা সারা দেশে সব ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন, অন্যায়-অত্যাচার, চুরি-ডাকাতি, গুম-খুনসহ ঘরবাড়ি লুটপাট ও ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দিয়েছে। বহু মন্দির ও উপাসনালয় ভেঙে দিয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ, হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে। ওই সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছি।’</p> <p> </p> <p> </p> <p> </p>