<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বীজ সংরক্ষণের জন্য ব্যাংক তৈরি করবে অন্তর্বর্তী সরকার। এ জন্য জাতীয় জিন ব্যাংক ব্যবস্থাপনা নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নীতিমালার খসড়া অনুমোদনের প্রস্তাব আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের পর একটি বীজ ব্যাংক তৈরি করা হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নীতিমালার খসড়ায় বলা হয়েছে, এর লক্ষ্য হলো দেশে বিদ্যমান উদ্ভিদ, প্রাণী, মৎস্য, অণুজীব, কীটপতঙ্গ, অমেরুদণ্ডী প্রাণী, মেরিন, বনজ ও মনুষ্য কৌলিসম্পদ কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণ এবং এদের ডাটাবেইস প্রণয়ন ও সংরক্ষণ। উদ্দেশ্য হলো : কৌলিসম্পদগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ভৌত অবকাঠামো স্থাপন; কৌলিসম্পদগুলোর বৈশিষ্ট্য নির্ণয়ের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত গবেষণাগার স্থাপন; কৌলিসম্পদগুলোর সমৃদ্ধ ডাটাইবেস প্রণয়নের সুবিধাদি সৃজন; বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করে জাতীয় জিন ব্যাংক পরিচালনার নীতিমালা প্রণয়ন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় জিন ব্যাংক বাস্তবায়ন করবে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি ও গণপূর্ত অধিদপ্তর। সাভারে ঢাকা ইপিজেডের পাশে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির সঙ্গে এই জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপিত হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. জাহাঙ্গীর আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, জিন হলো জেনেটিক উপাদান, যেখানে এক বা একাধিক জাতের (গাছের বীজ, পোলেন, কীটপতঙ্গ, প্রাণীর সিমেন, ওভাম/ডিম বা ভ্রূণ/রেণু, অণুজীব বা গাছের কাটিং বা বীজহীন উদ্ভিদ ইত্যাদি) জেনেটিক উপাদান ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য স্বল্প/দীর্ঘ মেয়াদে সংরক্ষণ করা হয়। জিন ব্যাংক স্থানীয়, জাতীয় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তৈরি করা যেতে পারে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে/ব্যক্তি পর্যায়ে জিন ব্যাংক গড়ে তোলা হয়েছে। এসব জিন ব্যাংকে সংরক্ষিত জেনেটিক উপাদানগুলোর কোনো ব্যাকআপ নেই। যেকোনো কারণে সংরক্ষিত এই সম্পদগুলো নষ্ট হয়ে গেলে তা পুনরায় সংগ্রহ করা দুরূহ হবে। এ ছাড়া এসব জিন ব্যাংকের কার্যক্রমও সমন্বয় করা প্রয়োজন। এটি তৈরি করা হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে খাদ্য ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা অর্জন, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় জেনেটিক সম্পদের টেকসই পুনরুৎপাদন ও ব্যবহার, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন কার্যক্রমে এদের সঠিক ব্যবহার এবং বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষার জন্য এগুলোর সংরক্ষণ এখন সময়ের চাহিদা। এনই মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশ তাদের জেনেটিক সম্পদগুলো প্রকৃত পরিবেশে বা কৃত্রিম পরিবেশ, যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিন ব্যাংকে সংরক্ষণ শুরু করেছে।</span></span></span></span></p>