<p>বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে কৃষির মূল চেতনা অনুধাবনের আহ্বান জানিয়েছেন বিভিন্ন দেশের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাঁরা বলেছেন, বিশ্বের টেকসই কৃষিতে কৃষকদের অবদান সবচেয়ে বেশি। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত ও পরিবেশগত অবনতির প্রভাবে তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার। এ বিষয়ে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে।</p> <p>গতকাল বুধবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘সবুজ কৃষিতে অবদান রাখা ক্ষুদ্র কৃষকের সহায়ক বাণিজ্য নীতি’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তাঁরা। বাংলাদেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোস্ট ফাউন্ডেশন এবং বেলজিয়ামের হুমুন্ডি আয়োজিত সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পার্টনারশিপ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশনের পরিচালক বরকত উল্লাহ মারুফ। আলোচনায় অংশ নেন ডব্লিউটিওতে নাইজেরিয়ার মিশনের সিনিয়র কাউন্সেলর ওগউচে সানডে, নরওয়ের হ্যান্ডেল স্কাম্পানিয়েনের বোর্ড লিডার হেলেনা বাংক, থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক ট্রাস্ট ভারতের গবেষক রঞ্জা সেনগুপ্তা প্রমুখ। উদ্বোধনী বক্তা বরকত উল্লাহ মারুফ বলেন, ‘এখন বিশ্ব অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে প্রযুক্তিতে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু এই প্রযুক্তি দিয়ে খাদ্য ডাউনলোড করা সম্ভব নয়। মানবজাতির খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষকদেরই তা উৎপাদন করতে হবে। এটিই কৃষির আদি ধারণা। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার উচিত কৃষিবিষয়ক চুক্তির ক্ষেত্রে কৃষির মূল চেতনা ধারণ করা।’</p> <p>নাইজেরিয়ার প্রতিনিধি ওগউচে সানডে বলেন, ‘নাইজেরিয়ার ক্ষুদ্র কৃষকদের প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার খুব কম। বর্তমানে চলমান কৃষি বাণিজ্য আলোচনায় অংশগ্রহণের সক্ষমতাও তাঁদের নেই। তাঁরাই নাইজেরিয়ার মতো দেশে কৃষি উৎপাদনের প্রাণকেন্দ্র, তবু তাঁরা এই আলোচনার বাইরে। এটি দুঃখজনক।’</p> <p> </p>