<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নোয়াখালীতে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) কূপে তিনটি স্তরে উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ প্রায় ১৮০ বিলিয়ন ঘনফুট (বিসিএফ)। দৈনিক ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উত্তোলন করলে ২০ থেকে ২৫ বছর গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। গতকাল সোমবার পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার এসব তথ্য জানিয়েছেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল বেগমগঞ্জ-৪ মূল্যায়ন ও উন্নয়ন কূপটির খননকাজ শুরু করা হয়। প্রায় তিন হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করে তিনটি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। প্রথম স্তরের পুরুত্ব ৫২ মিটার (১৯২১-১৯৭৩ মিটার), দ্বিতীয় স্তরের পুরুত্ব ৩৭ মিটার (২৫৪৮-২৫৮৫ মিটার), তৃতীয় স্তরে ২০ মিটার (৩০৮১-৩১০১ মিটার) গ্যাসের অবস্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএসটি (ড্রিল স্টেম টেস্ট) শেষে ১০ থেকে ১৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলনের বিষয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশিয় ও আমদানীকৃত গ্যাসের মিশ্রিত দর ২২.৮৭ টাকা (ঘনমিটার) বিবেচনা করলে ১৮০ বিসিএফ গ্যাসের মূল্য প্রায় ১১ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। আমদানীকৃত এলএনজির মূল্য ১১.৫ ইউএস ডলার (এমএমবিটিইউ) হিসাবে ১৮০ বিসিএফ গ্যাসের মূল্য প্রায় সাত লাখ তিন হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা (ডলার ১২০ টাকা) দাঁড়াবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেগমগঞ্জের ৪ নম্বর (ওয়েস্ট) কূপ খননের প্রকল্প ব্যয় আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। কূপটি থেকে প্রাপ্ত গ্যাস আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করতে হলে আনুমানিক তিন কিলোমিটার গ্যাস গ্যাদারিং পাইপলাইন স্থাপন করতে হবে। এটি আগামী ডিসেম্বর নাগাদ স্থাপন সমাপ্ত হবে। দৈনিক ১০ থেকে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানিকে সরবরাহ করা হলে ওই এলাকার গ্যাসের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানিকে জিটিসিএলের পাইপলাইনের মাধ্যমে এর আগে সরবরাহকৃত গ্যাস ঢাকায় সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে মনে করছে পেট্রোবাংলা।</span></span></span></span></p> <p> </p>