<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কক্সবাজারের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মাদক সাম্রাজ্যের অধিপতি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে পরিচিত সরকারি তালিকাভুক্ত মাদকের গডফাদার ও উখিয়া-টেকনাফ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির মাদক কারবার প্রসারের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওস্তাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ছিলেন জাফর আহমদ। তিনি নিজেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমদকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওস্তাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বলে ডাকতেন। বদির সেই </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওস্তাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এখন কারাগারে থাকলেও আত্মগোপনে থেকে গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলছেন তাঁর অপকর্মের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেনাপতি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। যিনি বদির স্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন আক্তারের ছোট ভাই।   </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বদির বিশাল সাম্রাজ্যের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেনাপতি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> ছিলেন দুজন। দুজনই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। এদের একজন টেকনাফ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ, অন্যজন উখিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী। মাদক চোরাচালান, অপহরণ, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, হত্যাসহ বদির সব অপকর্মের প্রধান সহযোগী ছিলেন এই দুজন। তাঁদের মধ্যে প্রধান শিষ্য হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, যিনি বদির আপন </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শ্যালক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওস্তাদ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> আর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রধান শিষ্য</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শ্যালকের সহযোগিতায় দক্ষিণাঞ্চলে তৈরি হয়েছিল </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বদির রাজত্ব</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বদির রাজত্ব শুধু টেকনাফে ছিল না, তিনি প্রভাব বিস্তার করেছিলেন তাঁর শ্বশুরালয় উখিয়ায়ও। তিনি শ্যালক জাহাঙ্গীরকে বানিয়েছিলেন ইউনিয়ন ও উপজেলা চেয়ারম্যান। জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে রয়েছে ইয়াবা পাচার, চাল আত্মসাৎ, খুন, জমি দখল, সাংবাদিক মারধর, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেওয়ার মতো অভিযোগ।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অপরাধ করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে ধ বদির আশীর্বাদে নানা অপরাধের সাম্রাজ্য গড়ে শতকোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া এই জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি শাহীন আক্তারের ভাই ও আরেক সাবেক এমপির শ্যালক হওয়ায় অপরাধ করেও সব সময় ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তিনি এতটাই ক্ষমতাবান ছিলেন যে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও থানার পুলিশ সদস্যরাও তাঁর ভয়ে তটস্থ থাকতেন। তাঁর কথায় চলতে হতো ইউএনও-ওসিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আত্মসাৎ ও নানা অভিযোগ : রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে সরকারি ত্রাণের চাল আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছিল। তবে ক্ষমতার বলে সেটার বিচারপ্রক্রিয়াও বন্ধ করে রেখেছেন তিনি। এ ছাড়া দুই কোটি টাকার বিনিময়ে জঙ্গি সংগঠনকে আস্তানা ও প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় র‌্যাব ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালাতে গেলে আটকে দেয় জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী বাহিনী। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, বিএনপির কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, বিএনপি নেতা হত্যা, সাংবাদিককে মারধরসহ একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সন্ত্রাসী বাহিনী ও দখল বাণিজ্য : বিগত ১৬ বছরে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী ও তাঁর অনুসারীরা দখল করেছেন শত শত একর পাহাড় ও সমতল এলাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী তাঁর সব অপকর্ম সহজ করতে কয়েকটি সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলেছিলেন। জমি দখল, টেন্ডারবাজি ও প্রতিপক্ষকে দমন করতে তাঁর রয়েছে নূর মোহাম্মদ বলী, শামসু বলী, মফিজ মিস্ত্রির নেতৃত্বে ৫০ জনের সশস্ত্র একটি বাহিনী। ডাকাত শাহজাহানের নেতৃত্বে গড়ে তুলেছিলেন ২০ জনের </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিলার গ্রুপ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। তাঁর রয়েছে ১০ জন সশস্ত্র দেহরক্ষী। এসব গ্রুপ শুধু সন্ত্রাসী কার্যক্রম নয়, ইয়াবা চোরাচালান ও বার্মিজ পণ্য চোরাচালানের কাজও করত।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সম্পদের পাহাড় : অপকর্ম করে জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী আয় করেছেন কয়েক শ কোটি টাকা। তিনি কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম শহরে কিনেছেন হোটেল, জমি ও ফ্ল্যাট। এ ছাড়া উখিয়া বাজার, কুতুপালং বাজার, কোর্ট বাজারে গড়ে তুলেছেন মার্কেট ও হোটেল। অর্ধশত কোটি টাকা ব্যয়ে নিজ এলাকায় তৈরি করেছেন বাড়ি।  তিনি বন বিভাগের দখল করা পাহাড় রোহিঙ্গাদের কাছে বিক্রি করে আয় করেছেন কয়েক কোটি টাকা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি এখন কোথায়? : স্থানীয় সূত্রগুলো দাবি করছে, ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী প্রথমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে, পরে মহেশখালীতে অবস্থান নিলেও পরে সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম হয়ে কৌশলে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। তবে বিষয়টি কালের কণ্ঠ নিশ্চিত করতে পারেনি।</span></span></span></span></p>