<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মানুষ মানুষের ওপর এমন জুলুম করতে পারে, জীবনে কখনো কল্পনাও করিনি। ছুরি ও রড দিয়ে আমাকে আঘাত করেছে। শরীরের নানা অংশ কেটে রক্ত ঝরছিল। টেনেহিঁচড়ে জামাকাপড়ের অংশবিশেষ খুলে ফেলেছে, কিছু অংশ ছিঁড়ে ফেলেছে। শরীরের এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে তারা হাত দেয় নাই। ইচ্ছাকৃতভাবেই আমার গোপনাঙ্গে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। রাত তখন সাড়ে ৩টা। মা সঙ্গে না থাকলে হয়তো আমাকে ধর্ষণই করত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">র কাছে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আফরোজা আক্তার (৩০)। রাজধানীর পল্লবীতে উত্তরা কালশী টেকেরবাড়ী এভিনিউ-২ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন তিনি। তিনজনের সংসারে রয়েছেন মা তাজেদা বেগম এবং মেয়ে আফসানা (৮)। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্যাতনের কথাগুলো বলতে গিয়েই ফুঁপিয়ে কান্না শুরু করেন আফরোজা। শুধু নির্যাতন নয়, পরিবারে বাবা-ভাই বা পুরুষ সদস্য না থাকায় থানায় গিয়েও সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ জানান তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আফরোজা আক্তার বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ৪ অক্টোবর মধ্যরাতে আমার ওপর এই নৃশংস হামলা হয়। ভোরের দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ধর্ষণচেষ্টা ও হামলার অভিযোগে মামলা করতে থানায় যাই। তারা (পুলিশ সদস্যরা) জানায়, আগে চিকিৎসা নিয়ে তারপর মামলা করতে। আমি কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সন্ধ্যায় থানায় গেলে তারা (পুলিশ সদস্যরা) আমার মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায়। আমার মামলা না নিয়ে দুদিন আগে করা একটি চুরির মামলায় আমাকে গ্রেপ্তার করে। অথচ এই চুরির বিষয়ে আমার জানা নেই, মামলার কাগজও দেখিনি। বিচার চাইতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় সারা রাত থানায় কাটাতে হয়েছে। পরদিন কোর্টে পাঠালে সেখান থেকে জামিনে ফিরে আসি। আমাকে চুরির অপরাধে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে, অথচ রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেও আমার মামলাটি তারা কেন নেয়নি? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> উল্লেখ্য, আফরোজার এটা জানা ছিল না, এটা চুরির মামলা নয়, মারামারির মামলা ছিল। আর যারা তার নামে মারামারির মামলা দিয়েছে, তারা ছিল সবাই পুরুষ। নির্যাতিত আফরোজা থানায় অভিযোগ দিতে গিয়ে উল্টো নিজেই মামলার আসামি হন।</span></span></span></span></p>