<p><strong><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপের হৃদয়ে</span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভ্রমণপ্রিয় জামাল আহমেদের ভ্রমণগ্রন্থ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপের হৃদয়ে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। ভ্রমণ করতে কার না ভালো লাগে। এটা মানুষের প্রাচীনতম অভ্যাস। ভ্রমণে মানুষ আনন্দ পায়। নতুনকে দেখার স্বাদ জাগায়। এই স্বাদ অনন্য। আর এই অনন্য স্বাদ আহরণের জন্য লেখক লন্ডন, প্যারিস, আমস্টারডাম, স্টকহোম, অসলো, কোপেনহেগেন, এডিনবার্গ, ভেনিস প্রভৃতি শহর ঘুরে দেখেছেন। এই শহরগুলোকে ইউরোপের হৃদয় বলা হয়। লেখক এই ইউরোপের হৃদয়ে দেখতে চেয়েছেন এখানকার শহর কেমন, মানুষ কেমন, সংস্কৃতি কেমন। আর তা লিখেছেন অকপটে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জীবনযাপনের এই শহর কতটা আলাদা লেখক তা বুঝতে চেষ্টা করেছেন। যাওয়ার আগে কোন দেশে কিভাবে যাবেন তার সব কিছুই ঠিক করেন এখানে বসে। লেখক এর পূর্বে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, কানাডা, সৌদি আরব, দুবাই, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করেন। লেখক নিজেই বললেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি বইটি লিখতে যতটুকু সম্ভব সহজ ও সরলভাবে উপস্থাপন করতে চেষ্টা করেছি। আশা করি, এই বইটি পাঠে পাঠক ইউরোপের নানাবিধ তথ্য জানতে পারবেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সুন্দর কাগজ, ঝকঝকে ছাপা, রঙিন ছবি ব্যবহার গ্রন্থটি অন্য মাত্রা পেয়েছে। </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউরোপের হৃদয়ে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে দি রয়েল পাবলিশার্স। প্রচ্ছদ করেছেন সৈয়দ ইকবাল, মূল্য ৩৬০ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><img alt="বই পরিচিতি" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/22-11-2024/0000.jpg" width="1000" /></p> <p><strong><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৃহত্তর বরিশালের লোকসংস্কৃতি</span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"> <span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৃহত্তর বরিশালের লোকসংস্কৃতি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মিজান রহমানের একটি অনন্য গ্রন্থ। বৃহত্তর বরিশালের লোকসংস্কৃতি এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর লড়াকু মানসিকতার মতোই ঐতিহ্যময়। লোকজীবনের সব উপাদানই এখানে বিদ্যমান। এ জনপদ বাংলার অন্য জনপদগুলো হতে ভিন্ন। নদীভাঙন, চর ও জলের জীবন অন্য অঞ্চল থেকে এই অঞ্চলের মানুষ বেশি রকম প্রত্যক্ষ করেছে। ফলে এর সংস্কৃতির উপাদানগুলোও প্রক্রিয়াগতভাবে অন্য রকম। যেমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই অঞ্চলের ভাষার যে টান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তা যেন অনেকটা জলকল্লোলেরই আরেক ধারা। পাশাপাশি একই সঙ্গে বসবাসরত বাওয়ালি, জেলে, পাটিয়াল, নইদ্দা, গাছি, ময়রা, ধুনারি, কাঁসারু, কুয়াইত্তা</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এসব অন্যান্য অঞ্চলে একই সঙ্গে দেখা পাওয়া ভার। বৃহত্তর বরিশালের লোকনাটক, লোকসংগীত, লোককাহিনি, ছড়া, প্রবাদ, ধাঁধা কিংবা মন্ত্রের দিকে চোখ রাখলেও দেখা যায়, এগুলো নিজ বৈশিষ্ট্যে অনন্য ও স্বতন্ত্র। সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো সব কিছুতেই যেন নদীনির্ভরতা। এই অঞ্চলে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো অনেক লোকখেলা রয়েছে। তবে তইতই, পানিঝুপ্পা এই খেলাগুলো অন্য অঞ্চলে বিরল। পাশাপাশি লোকযানবাহনের মধ্যে কাঠামি নাও, বাচারি নাও, তালের ডোঙা, সুপারিগাছের নৌকা এই অঞ্চলের ঐতিহ্য তুলে ধরে। লোকশিল্পের দিকে তাকালেও দেখা যায় একই অবস্থা। শোলাশিল্প, কাঁথাশিল্প, পাটিশিল্প,  ছোবড়াশিল্প</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এগুলো অনেকটা অন্য অঞ্চলে মিলবে না।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই বইয়ে যুক্ত হয়েছে বৃহত্তর বরিশালে লোকমেলা ও উৎসব, লোকবিশ্বাস-লোকসংস্কার ও লোকাচার-লোকপ্রথা, লোক উপকরণসহ নানাবিধ লোকমাত্রিক অনুষঙ্গ। সবশেষে যুক্ত হওয়া আলোকচিত্র বইটিকে পূর্ণতা দিয়েছে। এককথায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৃহত্তর বরিশালের লোকসংস্কৃতি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হচ্ছে বরিশালের লোকজীবনের সংস্কৃতিকাহন। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><img alt="বই পরিচিতি" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/22-11-2024/000000.jpg" width="1000" /></p> <p><strong><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাইবান্ধার আঞ্চলিক ছড়া</span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রান্তিক-ভূমিহীন দরিদ্র অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা অনেক কঠিন। গাইবান্ধা জেলাও ব্যতিক্রম নয়। জীবন সংগ্রামে দলিত-মথিত গরিব-দুঃখী মানুষের ভাষাসংস্কৃতি, কথা বলার ব্যতিক্রম ধরন, প্রকাশভঙ্গির আন্তরিকতা, মনের ভাবকে অন্যের কাছে পেশ করার অহংকারমুক্ত অকৃত্রিম স্টাইল নিয়ে লিখতে কবি আসলাম প্রধান ভেতর থেকে তাগিদ অনুভব করেন। কেউ এই নিরীহ মানুষগুলোর ভাষা গুনে অবজ্ঞা করলে কিংবা ঘৃণার ভাব দেখালে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য, হাসি-তামাশা করলে তিনি কষ্ট পান। তখন তিনি ভাষাসৈনিকের মতো অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কণ্ঠনিঃসৃত অমূল্য-অমৃত শব্দগুলো খুঁজে খুঁজে বের করে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গাইবান্ধার আঞ্চলিক ছড়া</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গ্রন্থটি রচনা করেন। লেখক নিজেই বলেছেন, কাজটি অত্যন্ত কঠিন। আঞ্চলিক শব্দগুলো খুঁজে বের করে, উচ্চারণ অনুযায়ী নির্ভেজাল বানানে লেখা অনেক কঠিন। লেখক সেটি করেছেন সাবলীলভাবে। ছড়ার সঙ্গে দিয়েছেন ছড়ার ভাবকাহিনিও, যাতে পাঠক খুব সহজেই ছড়াটি বুঝতে পারবে। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সপ্তবর্ণ প্রকাশন, প্রচ্ছদ এঁকেছেন মহিউদ্দিন আকবর, মূল্য রাখা হয়েছে ২০০ টাকা।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><img alt="বই পরিচিতি" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/22-11-2024/0_kaler-kantho--22-11-2024.jpg" width="1000" /></p> <p><strong><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবাদিকতার বাঁকে বাঁকে</span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তরুণ সাংবাদিক আযাদ আলাউদ্দীনের গ্রন্থ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবাদিকতার বাঁকে বাঁকে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। সংবাদপত্র জগতের ওপর লেখা অনেক গ্রন্থই ইতোপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে বাংলা ভাষায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের অনেক স্বনামধন্য সাংবাদিক তাদের বাস্তব জীবনের চিত্র ওই সব গ্রন্থে তুলে ধরেছেন চমৎকার ভাষা ও ভঙ্গিতে। তবে সাংবাদিক আযাদ আলাউদ্দীন তাঁর কর্মময় জীবনের নানা অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে সাংবাদিক হওয়ার এবং সংবাদপত্র জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেছেন তার </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাংবাদিকতার বাঁকে বাঁকে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গ্রন্থে সাবলীল গদ্যে। বাস্তব ও রূঢ় অভিজ্ঞতার আলোকে এরূপ সুখপাঠ্য লেখা খুব একটা দেখা যায় না। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বয়সে নবীণ হয়েও একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিকের প্রায় সব গুণাবলির প্রকাশ তার এ গ্রন্থে। যারা বর্তমান সময়ে সংবাদপত্র জগৎ তথা মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদের জন্য এ গ্রন্থ অতীব প্রয়োজনীয়।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাহিত্যের মাপকাঠিতে গ্রন্থটি একটি </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কেজো</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গ্রন্থ হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার যোগ্য বলেই মনে করছি। সুতরাং এমন একটি চমৎকার অনবদ্য গ্রন্থ প্রত্যেকের সংগ্রহে থাকা অতি আবশ্যক বলে মনে করি। আমি গ্রন্থটির বহুল প্রচার কামনা করছি। </span></span></span></span></span></p> <p>► সাইয়েদ মুজতবা আহমাদ খান</p> <p style="text-align:left"> </p>