<p>ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন। অন্যদিকে সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সহিংসতার পেছনে তৃতীয় পক্ষের উসকানি ছিল। এ ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়িত নয়।</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আমরা আশানুরূপ কোনো ফল পাইনি। আমাদের কলেজের প্রায় ৭০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আমরা মামলা করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’</p> <p>এর আগে গতকাল দুপুর ১২টার দিকে কলেজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের অধ্যক্ষ ওবায়দুল্লাহ নয়ন বলেন, ‘শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় আমাদের কলেজের ছেলেরা ন্যাশনাল মেডিক্যালে গিয়েছিল। পরে ঘটনা সংঘর্ষের দিকে যাওয়া শুরু করলে আমরা চার সদস্যের তদন্ত কমিটি পাঠাই। কিন্তু ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ সুস্থ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করেনি। এর পরই শুরু হয় ব্যাপক সংঘর্ষ। তারা সুস্থ প্রক্রিয়ায় তদন্ত করলে এত সংঘর্ষ হতো না।’</p> <p>অন্যদিকে গতকাল বিকেলে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী লিখন ইসলাম বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী কলেজে প্রথম ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলাকালে কয়েকটি কলেজ একত্র হয়ে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছি। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীল ও সহনশীলতার পরিচয় দিতে পারতেন। কিন্তু তৃতীয় পক্ষের উসকানি এবং সংঘাতে অংশগ্রহণের কারণে তা সম্ভব হয়নি।’</p>