<p>মুদ্রার উল্টো পিঠটাও দেখল জিম্বাবুয়ে। এক ম্যাচ হাতে রেখে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে নেমে বিশাল পরাজয় দেখেছে স্বাগতিকেরা।  সাইম আইয়ুবের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ১০ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতায় ফিরেছে পাকিস্তান। ১৯০ বল বাকি ছিল।</p> <p>সাইম এতটাই বিধ্বংসী ছিলেন যে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। পাকিস্তানের হয়ে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েছেন উদীয়মান এই ব্যাটার। বাঁহাতি ব্যাটারের সমান ৫৩ বলে সেঞ্চুরি আছে শহীদ আফ্রিদিরও। সাবেক অধিনায়ক তো পাকিস্তানের দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ানও। ৩৭ বলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরিটি করেন আফ্রিদি। ১৯৯৬ সালে করা তার সেই সেঞ্চুরি দীর্ঘদিন বিশ্বের দ্রুততম ছিল। পরে ২০১৪ সালে ৩৬ বলে সেঞ্চুরি করে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার কোরি অ্যান্ডারসন ভেঙে দেন। বাঁহাতি ব্যাটারের সেই রেকর্ড পরের বছরেই ভেঙে দেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ৩১ বলে সেঞ্চুরি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্যাটের তৈরি ক্রো-থর্প ট্রফিতে লড়বে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/26/1732617200-c13483b43d554cf11ba90d8f5bd53081.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্যাটের তৈরি ক্রো-থর্প ট্রফিতে লড়বে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/11/26/1450844" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পাকিস্তানের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিটিও আফ্রিদির দখলে। ২০০৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেন ‘বুম বুম’ নামে পরিচিত এই ব্যাটার। আফ্রিদির পাশে বসার সেঞ্চুরিটি আবার সাইমের প্রথম। স্মরনীয় সেঞ্চুরিটা কী দুর্দান্তভাবেই না রাঙালেন ২২ বছর বয়সী ব্যাটার। ১৮২.২৫ স্ট্রাইকরেটের ১১৩ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৩ ছক্কা ও ১৭ চারে। তার উইলোর সামনে দাঁড়াতেই পারছিলেন না জিম্বাবুয়ের বোলাররা। সিকান্দার রাজা-ব্লেসিং মুজারাবানিদের কচুকাটা করলেও বাঁহাতি ব্যাটারের সেঞ্চুরি উদযাপন সাদামাটাই ছিল। রাজাকে চার মেরে তিন অঙ্ক স্পর্শ করার পর শুধু হেলমেট ও ব্যাট হাতে হাসিমুখে উচিয়ে ধরলেন।</p> <p>সাইমের ব্যাটের হাসির মতো পাকিস্তানও হেসেছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পাওয়াতে। কেননা প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে ৮০ রানে হেরে তিন ম্যাচ সিরিজে ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছিল তারা। আরেক ওপেনার আবদুল্লাহ শফিক ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল হবে আগামী ২৮ নভেম্বর বুলাওয়েতে।</p> <p>পাকিস্তানের জয়ের কাজটা অবশ্য বোলাররাই সেরে রেখেছিলেন। বিশেষ করে স্পিনাররা। প্রতিপক্ষকে ১৪৫ রানে অলআউট করতে ৯ উইকেটিই নিয়েছেন স্পিনাররা। বাকি উইকেটটি রানআউট। এর মধ্যে ৩৩ রানে ৪ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার লেগস্পিনার আবরার আহমেদ। </p>