<p>তাড়াশ পৌরসভার আট কোটি ৪৭ লাখ টাকার ইজিপি দরপত্র নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুকুল হোসেন কৌশলে দরপত্র আহ্বান করে তাঁর পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে এ অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেছেন।</p> <p>স্থানীয় ঠিকাদারদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই নব গঠিত তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন আব্দুর রাজ্জাক। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জেলা-উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌরসভার মেয়রের পদ বাতিল করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়। এ সুযোগে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুকুল হোসেন স্বল্প পরিচিত পত্রিকায় পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণের জন্য আট কোটি ৪৭ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করেন।</p> <p>স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বৃহত্তর পাবনা-বগুড়া প্রকল্পের আওতায় ওই দরপত্রে পাঁচটি প্যাকেজে ১৮ সেপ্টেম্বর ইজিপিতে দরপত্র  দাখিলের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু ওই দরপত্রে আট কোটি ৪৭ লাখ টাকা উল্লেখ করা হলেও কোন প্যাকেজে কত টাকা তা উল্লেখ করেননি।</p> <p>তাড়াশ পৌর বিএনপির সদস্যসচিব ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার আব্দুল বারিক খন্দকার বলেন, মূলত সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুকুল হোসেন তার স্বার্থ হাসিল করতে এ ধরনের দরপত্র  তৈরি করে আহ্বান করেছেন। যাতে স্থানীয় ঠিকাদাররা অংশগ্রহণ করতে না পারেন। আমরা এ দরপত্র বাতিল চাই।</p> <p>তাড়াশ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মুকুল হোসেন বলেন, যথাযথ নিয়ম মেনেই দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে কোথাও কোনো অনিয়ম করা হয়নি।</p> <p>তাড়াশ পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ হাসান জানান, দরপত্রের সব দায়ভার প্রকল্প পরিচালকের। আমার কাজটি মূলত তদারকি করা।</p>