<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে ঔষধি গুণসম্পন্ন ননী ফলের চাষ। নানা রোগের মহৌষধ হিসেবে পরিচিত এ ফল চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন উপজেলার পৌলী এলাকার চাষি বাবুল হোসেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ননী ফলের বৈজ্ঞানিক নাম </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মরিন্ডাসিট্রিফলিয়াথ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">। এটি আফ্রিকা অঞ্চলের একটি ফল। তবে ফলটি দক্ষিণ এশিয়ায়ও জন্মায়। এ গাছে বারো মাসই ফল ধরে। বর্তমানে এ ফল বাজারে দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। এর চারাও ৬০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হয়ে থাকে। ননীগাছের পাতা ও ফল মানবদেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাষি বাবুল হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, তিন বছর আগে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলী এলাকায় এক বিঘা জমিতে কিছু চারা কিনে বাগান তৈরি করেন। বাগানের এক পাশে ননীগাছের নার্সারি, বাকি অংশে ছয় ফুট দূরত্বে গাছ রোপণ করেন। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই ফলের অনেক গুণ থাকায় অনেকেই আমার বাগান দেখতে আসে। তবে এখনো বাজার তৈরি করতে পারিনি। অনলাইনে দেখে অনেকে এসে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাগান দেখতে আসা মোবারক হোসেন ও বেলাল মিয়া জানান, তাঁরা শুনেছেন এই ফল ও গাছের পাতা গ্যাস্ট্রিক ও চর্মরোগের কাজ করে। তাই বাবুল হোসেনের বাগান দেখতে এসেছেন। কালিহাতীর সোলায়মান হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ বাগানের অনেক ভিডিও অনলাইনে দেখেছি। এ কারণে বাগান দেখতে এলাম।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাঙ্গাইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কবির হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ননী ফল বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসেবে কাজ করে। আমাদের দেশে ভেজষ গাছ কমে যাচ্ছে। নিজেদের স্বার্থেই ভেজষ গাছ লাগানো দরকার। ভেজষ উদ্ভিদে বাবুল হোসেনের মতো উদ্যোক্তারা এগিয়ে এসেছেন। তাঁর মতো আরো উদ্যোক্তা তৈরি হলে সহযোগিতা করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>