<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ছেলে মারুফ নাই</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এটা ভাবতেই পারি না। আমার ছেলের ইচ্ছা ছিল বড় হয়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে। দেশের জন্য কাজ করবে। এখন আশা-ভরসার আর কিছুই রইল না। বুকটা হাহাকার করে, কলিজাটা ছিঁড়ে যায়। মারুফকে যারা হত্যা করেছে, তাদের সঠিক বিচার চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যরিবোধী আন্দোলনে শহীদ মারুফ মিয়ার (১৫) মা মোর্শেদা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাঙ্গাইল পৌর শহরের সাবালিয়া এলাকার মনজু মিয়া ও মোর্শেদার একমাত্র ছেলে মারুফ মিয়া। ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পৌর শহরের মদের ঘরের মোড় (আমঘাট) এলাকায় শিক্ষার্থী মারুফ মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রবাসী মারুফের বাবা মাথায় ঋণের বোঝা থাকায় এই সংকটময় মুহূর্তে দেশেও আসতে পারছেন না। মারুফ শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। ছোট বোন সানজিদা ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহসমন্বয়ক তাওহীদা ইসলাম স্বপ্নীল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মারুফ আমার এলাকার ছেলে। খুবই সাহসী ছিল। রাষ্ট্রীয়ভাবে তার পরিবারের জন্য কিছু করা দরকার।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মারুফের মা মোর্শেদা বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">“</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৫ আগস্ট বিকেল ৩টায় একসঙ্গে বসে খাওয়ার সময় শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই খবর আসামাত্র বিজয় মিছিলের উদ্দেশে তাড়াহুড়া করে কাপড় পরে আমার ছেলে বের হয়।  মারুফকে বলি তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসতে। তখন ও শুধু বলেছিল, বিজয় মিছিল শেষ করেই আমি চলে আসব মা। বিজয় মিছিল শেষে মারুফ ফিরে এলো ঠিকই, কিন্তু লাশ হয়ে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">”</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ স্কুলছাত্র মারুফের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সব সহযোগিতা করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>