<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাইতে মোবাইলে কথা না বইলা ছেলে ঘুমাইতো না। ছেলে কইতো মা আমনের লগে একদিন কথা না কইলে রাইতে আমার ঘুম আসে না। মারা যাওয়ার আগের দিন রাইতে ছেলের লগে কথা হইছে। জিজ্ঞাসা করছে, মা ভাত খাইছেন?</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এটাই ছিল ছেলে শহীদ মো. আরিফের সঙ্গে মা ফরিদা বেগমের শেষ কথা। এর পরের দিন খবর আসে ছেলে আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছেন। ছেলের কথা কিছুতেই ভুলতে পারেন না মা ফরিদা বেগম। চার মাস পেরিয়ে গেলেও আজও কান্না থামেমি মা ফরিদা বেগমের। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে মা ফরিদা বেগম পাগলপ্রায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে আরিফ ছিলেন চতুর্থ নম্বরে। শহীদ আরিফ ভোলার লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রায়চাঁদ গ্রামের মো. ইউছুফের একমাত্র ছেলে। আরিফ ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় মামাতো ভাই সাহাবুদ্দিনের খাবার হোটেলে কাজ করতেন। একই সঙ্গে লালমোহনের রায়চাঁদ এলাকার একটি আলিম মাদরাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ মো. আরিফের মা ফরিদা বেগম বলেন, পাঁচ বোনের একমাত্র ভাই ছিল আরিফ। প্রতিদিন ফোন করে সবার বাসার খোঁজ নিত। আরিফকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল সবার। পড়ালেখা করে ভালো কিছু করবে এটাই ছিল সবার আশা। কিন্তু সেটি আর হয়ে ওঠেনি। ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী এলাকায় সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন আরিফ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শহীদ আরিফের বাবা ইউছুফ কালের কণ্ঠকে জানান, পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে আরিফ ছিলেন চতুর্থ। বড় তিন মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন। আরিফের ছোট দুই বোনের মধ্যে সুমাইয়া দশম শ্রেণি ও রিপা সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। পরিবারের অভাবের কারণে আরিফ গত জুলাইয়ের প্রথম দিকে ঢাকায় মামাতো ভাই সাহাবুদ্দিনের খাবার হোটেলে কাজের জন্য যায়। ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর হোটেলের বাজার করার জন্য যাত্রাবাড়ী এলাকায় সবজির পাইকারি আড়তে যায় আরিফ। পরে বিকেলের দিকে মামাতো ভাই সাহাবুদ্দিনের মোবাইলে কল আসে আরিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। খবর পেয়ে সাহাবুদ্দিন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>