<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নকশা জটিলতায় তিন বছর আগে ভেঙে ফেলা দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ থেমে আছে। বর্তমানে স্টেশনের প্ল্যাটফরমে অস্থায়ীভাবে নির্মিত টিনের ছাপরা ঘরেই চলছে স্টেশনের সব কার্যক্রম। এতে ব্যাহত হচ্ছে যাত্রীসেবা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নতুন স্টেশন নির্মাণের অজুহাতে ২০২১ সালে স্টেশনের মূলভবন ভেঙে ফেলা হয়। স্টেশন ভেঙে ফেলার তিন বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই। আগের যে ডিজাইনে স্টেশন নির্মাণ হওয়ার কথা ছিল সেটা পরিবর্তন করা হয়েছে। স্টেশন ভেঙে ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে গেছে। নতুন নকশা অনুমোদন হলে টেন্ডারে যাবে, এর আগে কোনো আশার বাণী শোনাতে পারেনি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে দেওয়ানগঞ্জ  রেলপথে আন্ত নগর তিস্তা-ব্রহ্মপুত্রসহ পাঁচটি ট্রেন চলাচল করে। দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি, কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী ও রাজিবপুরের লোকজন এই স্টেশন দিয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা তথা এই অঞ্চলে বাসের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় সবাই ট্রেনযাত্রায় স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই স্টেশন হয়ে ঢাকায় যায়।   </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনের ছোট ছাপরা ঘরে স্টেশন মাস্টার, সহকারী স্টেশন মাস্টার, সংরক্ষিত অফিস ও টিকিট কাউন্টার বুকিং অফিসের সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি পড়ে অনেক মূল্যবান অফিশিয়াল জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। যাত্রীদের জন্য কোনো বিশ্রামাগার নেই, টয়লেট নেই। দুটি আন্ত নগর ট্রেনসহ কয়েকটি লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রির লাখ লাখ টাকা এবং হাজার হাজার মূল্যবান টিকিট অরক্ষিত অবস্থায় সেই টিনের ঘরে রাখা হয়। ট্রেনের যাত্রী মুজিবুল হক শামিম জানান, নতুন স্টেশন নির্মাণ করবে বলে পুরনোটা ভেঙে ফেলা হলো, এখন নতুন টাও নেই, পুরনো টাও নেই। যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্টেশনটি নির্মাণের খবর নেই, তার আগেই ভবন ভেঙে ফেলে রেখেছে। তিন বছর ধরে বহু কষ্টে স্টেশন পরিচালনা করে আসছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রেলওয়ে জামালপুরের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সেই স্টেশনের আগের ডিজাইন বাতিল করে নতুন ডিজাইন করা হয়েছে। ডিজাইন পাস হলে টেন্ডার হবে, এরপর কাজ শুরু হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>