সপ্তাহ দুয়েক আগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে জয়ের পর ম্যাচ-পরবর্তী টিশি অনুষ্ঠানে জুড বেলিংহামের কাছে ফরাসি কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরির প্রশ্ন ছিল এমন, ‘প্লিজ, রদ্রিগোকে নিয়ে কিছু বলবে? ওকে নিয়ে কেউ কথা বলে না!’ বেলিংহাম উত্তর দিয়েছিলেন এভাবে, ‘রদ্রিগো, তাকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এই দলে (রিয়াল মাদ্রিদ) সবচেয়ে প্রতিভাবান এবং বিশেষ খেলোয়াড়। মাঠে সে যা করে থাকে সেটা অবিশ্বাস্য। অন্য কোনো দলে খেললে সে-ই হবে তারকা।
’
কিন্তু যে দলে কিলিয়ান এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, বেলিংহাম আছেন সেখানে অন্যদের তারকা বনে যাওয়ার সুযোগ খুব কমই থাকে। কিন্তু ব্যতিক্রম রদ্রিগো। তারকাদের ভিড়ে আড়ালে পড়ে গেলেও নৈপুণ্য দেখিয়ে বারবার নিজেকে আলোচনায় এনেছেন। সবাই যখন এমবাপ্পে, ভিনিসিয়ুসদের
নিয়ে ব্যস্ত তখন গোল অ্যাসিস্ট বা পায়ের কারুকাজ দেখিয়ে নিজেকে চেনাতে হয়েছে রদ্রিগোর।
এ মৌসুমে এমবাপ্পে যখন এলেন তখন তাঁকে জায়গা দিতে রদ্রিগোকে বেঞ্চেও বসতে হয়েছে। তবে বড় ম্যাচের খেলোয়াড় বলা হয় এই ব্রাজিলিয়ানকে। চ্যাম্পিয়নস লিগে বরাবরই ভিন্নরূপে আবির্ভূত হতে দেখা গেছে তাঁকে। পরশু রাতেই যেমন অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ফেদে ভার্লভেরদের পাস ধরে প্রতিপক্ষের তিনজনকে পেছনে ফেলে দারুণ ফিনিশিংয়ে রিয়ালকে লিড এনে দেন। এর আগে ২০২২ সালের আসরে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে তাঁর জোড়া গোল, চেলসির বিপক্ষে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোল; এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে পারফরম করতে ভীষণ ভালোবাসেন বলেই জানিয়েছেন রদ্রিগো, ‘এখন পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় (চ্যাম্পিয়নস লিগ) ভালো করেছি। গোল অ্যাসিস্ট করছি, কোনো না কোনোভাবে দলকে সাহায্য করছি। আমি মনে করি, এটা আমার জন্য বিশেষ টুর্নামেন্ট, যেখানে সব কিছু ভালো হয়।’ ইউরোপের মঞ্চে রিয়ালের ইতিহাসে ৬১ ম্যাচে ২৫ গোল নিয়ে রদ্রিগো এখন গোলদাতার তালিকার আটে উঠে এসেছেন।
তাঁর সামনে আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, করিম বেনজিমা, রাউল, আলফ্রেড ডি স্টেফানো, ফেরেংক পুসকাস, পাকো গেন্তো ও ভিনিসিয়ুস। ইএসপিএন