তিন বছর আগে দেশের আটটি চিকিৎসা ও গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে আটটি সিডি-৪ কাউন্টার মেশিন। এইচআইভি পজিটিভ আক্রান্তদের চিকিৎসাকালে ভাইরাসের মাত্রা নিরূপণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ যন্ত্রগুলোর মধ্যে চারটি অচল হয়ে পড়ে আছে। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন ডেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বেগম রওশন এরশাদ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি সাংবাদিকদের সামনে আসেননি।
তাঁর পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এম নিয়াজ উদ্দিন। এ সময় মন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে সচিব প্রথমে বলেন, 'তিনি জরুরি কাজে ব্যস্ত থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।' পরে আবার তিনি বলেন, 'নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি।' এ সময় অতিরিক্ত সচিব জিল্লার রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. খন্দকার মো, সেফায়েত উল্লাহ, জাতীয় এইডস কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর ডা. আব্দুল ওয়াহিদসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে গতকালের সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে বলা হয়, ওয়ার্ল্ড এইডস ক্যাম্পেইন ও তাদের সহযোগী সংস্থাগুলো কর্তৃক ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয়েছে 'শূন্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জন'।
স্বাস্থ্যসচিব জানান, বাংলাদেশে এইচআইভি সংক্রমণের হার এখনো কম। ২০১২ সালের তথ্যমতে, বাংলাদেশে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ৮৭১।
দেশে এইচআইভি সংক্রমণের এই নিম্নমাত্রা ধরে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সম্প্রতি থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অন এইডস ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (আইসিএএপি) বা আইক্যাপ-১১-এর সমাপনী অধিবেশনে বাংলাদেশকে পরবর্তী আইক্যাপ-১২ আয়োজকের দেশ হিসেবে মনোনীত করা হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির পরিচালক ডা. আবদুল ওয়াহিদ বলেন, 'দেশে এইচআইভি-এইডস রোগের চিকিৎসা সুবিধার দিক বিবেচনা করেই আটটি সিডি-৪ কাউন্টার মেশিন কেনা হয়। এর মধ্যে চারটি সচল আছে। বাকিগুলো চালুর চেষ্টা চলছে।