ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫
১৪ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ২৯ মার্চ ২০২৫
১৪ চৈত্র ১৪৩১, ২৮ রমজান ১৪৪৬

২১ বছর ধরে কলাগাছের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
শেয়ার
২১ বছর ধরে কলাগাছের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা
ছবি : কালের কণ্ঠ

২১ বছর ধরে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাগজান কুঠুরীকোনা মডেল হাই স্কুলে। বিদ্যালয়ের আয় না থাকায় সরকারি দপ্তরে যুগের পর যুগ ঘুরেও একটি শহীদ মিনারের বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। তাই দিবসটির আগের দিন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

জানা গেছে, উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান ও কুঠুরীকোনা গ্রামের মধ্যের স্থানে ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়।

২০১৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বর্তামানে ওই বিদ্যালয়ে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। কিন্তু বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তাই মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি পালন করতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ২০ ফেব্রুয়ারি কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে।

বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থী শাহানাজ, লামিয়া, রিয়া মনি  জানান, 'শহীদ মিনার নেই তাতে কী ? তাই বলে কী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করব না? আমরা প্রতি বছর কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাই।' 

বিদ্যালয়ের প্রধান  শিক্ষক লুৎফুর রহমান জানান, 'গ্রামাঞ্চলে হওয়ার বিদ্যালয়ের আয় কম। তাই বিদ্যালয়ের টাকায় শহীদ মিনার তৈরি করা সম্ভব হয়নি। শহীদ মিনার তৈরী করতে সরকারি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার যোগাযোগ করেছি।

কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কলাগাছ দিয়ে প্রতিবছর অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে।' 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী জানান,  'যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষককে বলেছি ইউএনও স্যারের বরাবর আবেদন করার জন্য।' 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন, 'যেসব বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তার তালিকা চেয়েছি। সেসব  বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া হবে।

'

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে : চসিক মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বর্ষার আগেই জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে : চসিক মেয়র
সংগৃহীত ছবি

বর্ষার আগেই চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোকে জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, সিডিএ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দরসহ সবগুলো সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

শুক্রবার (২৮ মার্চ) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিমের সঙ্গে জলাবদ্ধতা নিরসনে করণীয় নিয়ে আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বর্ষার আগেই চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট সেবা সংস্থাগুলোকে জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্ভাব্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে।

বিশেষ করে চলমান প্রকল্প গুলোর কারণে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।’

তিনি বলেন ‘আমি বেশ কিছু খালে গিয়ে দেখলাম খালগুলো যেন ডাম্পিং স্টেশন হয়ে গেছে যা শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে, কর্ণফুলীকেও হত্যা করছে। এজন্য আমার মনে হয় প্রয়োজনে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’

সভায় চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান, সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ, মেয়রের জলাবদ্ধতা বিষয়ক উপদেষ্টা শাহরিয়ার খালেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. নুরুল করিম বলেন, ‘সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনসহ জনস্বার্থে সব বিষয়ে চসিকের সাথে সিডিএ একযোগে কাজ করবে।’

সভায় সিডিএ’র জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. ফেরদৌস আহমেদ প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনকে অবহিত করেন। প্রকল্পটির কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছর চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা তুলনামূলক কম স্থানে হয়েছে এবং জমাটবদ্ধ পানি দ্রুত অপসারিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ সময় বাকলিয়া আব্দুল লতিফ সড়কে জলাবদ্ধতার জন্য ইকবাল খালের ডাউনসিট্রম পরিষ্কার করার, গভীরতা বৃদ্ধির জন্য খননের, অ্যাক্সেস রোডে নির্মিত নতুন কালভার্টের নিচে পুরাতন একটি কালভার্ট পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করছে বিধায় সেই পুরাতন কালভার্টটি অপসারণ, পার্শ্ববর্তী নালাগুলো পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মন্তব্য

শিশুকে নিপীড়নের চেষ্টা, যুবককে গণধোলাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল
নিজস্ব প্রতিবেদক, হাওরাঞ্চল
শেয়ার
শিশুকে নিপীড়নের চেষ্টা, যুবককে গণধোলাই
সংগৃহীত ছবি

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে নার্সারি শ্রেণিতে পড়ুয়া সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে হাবিবুর রহমান (৩০) নামে এক মুদি দোকানীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। 

শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝিরারপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হাবিবুর রহমান ওই গ্রামের মুক্তার উদ্দিনের ছেলে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে শিশুটি চকোলেট খেতে তার মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাড়ির পাশের স্কুল লাগোয়া হাবিবের মুদি দোকানে যায়।

শিশুটিকে একা পেয়ে হাবিব কৌশলে দোকানের ভিতর নিয়ে শার্টার বন্ধ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। শিশুটির বাড়ি ফিরতে দেরি দেখে তার নানু দোকানের কাছে গিয়ে দেখেন দোকানের শার্টার নামানো।

আরো পড়ুন
একদিনে ভূমিকম্পে কাঁপলো ৬ দেশ

একদিনে ভূমিকম্পে কাঁপলো ৬ দেশ

 

তিনি জানান, এক পর্যায়ে দোকানের ভিতরে ধস্তাধস্তির শব্দ শুনতে পান। পরে তিনি দোকানের পিছনের দরজায় উঁকি দিয়ে তাঁর নাতনিকে নির্যাতন করতে দেখে তিনি চিৎকার দিয়ে ওঠেন।

তাঁর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে এসে হাবিবকে আটক করে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে আটক করে নিয়ে যায়। 

এদিকে, গণপিটুনির শিকার হাবিবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিশুটির পিতা বাদী হয়ে কটিয়াদী মডেল থানায় শুক্রবার বিকালেই একটি মামলা দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত হাবিবুর রহমানকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জোনাকির পরিবার পেল ঈদ উপহার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
জোনাকির পরিবার পেল ঈদ উপহার
সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে চার বছর আগে চোখে আলো ফোটা জোনাকি (১৪) নামের এক কিশোরীর পরিবারকে ঈদ উপহার দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই উপহার তুলে দেন তিনি। 

জোনাকির চোখে আলো ফুটলেও মুখে হাসি ফুটছে না। জোনাকির চাচা আমির হোসেন, দুই ফুফু হাসিনা আক্তার ও নাসরিন আক্তারও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।

ফুফাত বোন রুপা ও ভাই মারুফ জন্মান্ধ। একচোখে দেখতে পান না জোনাকির চাচি শিউলী আক্তার। দুঃখের এখানেই শেষ নয়, জোনাকির বাবাও চোখে অনেক কম দেখেন।

আরো পড়ুন
এবার ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ‘কন্যা’

এবার ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ‘কন্যা’

জোনাকির পরিবারকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারাদেশে অসহায়, দুস্থ ও স্বল্প আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম মাহফুল হাসান হান্নান, গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান নয়ন প্রমুখ।

জোনাকিকে নিয়ে কালের কণ্ঠ অনলাইনে ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি ‘জন্মান্ধ জোনাকি/এবার তার দেখা কল্পনায় নয়, মুগ্ধতায়’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সময় এক তরুণ ব্যবসায়ীর উদ্যোগে জোনাকির চোখে কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন করা হলে চোখে আলো ফুটে জোনাকির।

আরো পড়ুন
বেইজিংয়ের কাছে ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা চেয়েছে ঢাকা

বেইজিংয়ের কাছে ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা চেয়েছে ঢাকা

মন্তব্য

স্বামীকে লুকিয়ে রেখে নিজ মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা, অতঃপর...

বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি
বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি
শেয়ার
স্বামীকে লুকিয়ে রেখে নিজ মেয়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা, অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি

স্বামীকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মামলা দিয়ে নিজ মেয়ে জামাইকে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ওই শাশুড়ি নাম মোসা. লাইলী বেগম (৫৪)। তিনি উপজেলার দক্ষিণ রামনা এলাকার আব্দুল খালেকের স্ত্রী।

আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) সকালে মামলার বাদী লাইলী বেগমের স্বামীকে বামনা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা কাজলার পাড় থেকে উদ্ধার করেছে।

আরো পড়ুন
বরিশালে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা

বরিশালে দুই সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা

 

জানা গেছে, গত বছর ১৫ অক্টোবর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অপহরণ ও গুমের অভিযোগ এনে নিজ মেয়ে ও মেয়ে জামাইসহ ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে শাশুড়ি লাইলী বেগম। মামলার আসামিরা হলেন—মেয়ে জামাই উপজেলার দক্ষিণ কাকচিরা গ্রামের মো. হুমায়ুন হাওলাদার (৩৫), মেয়ে ডলি আক্তার (৩০), আল-আমীন (২৮), মুন্নি বেগম (২৩), রাসেল খান (২৬) ও শামীম (২৩)।

মামলার প্রথম আসামি মো. হুমায়ুন হাওলাদার অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন আত্মীয়র সাথে তার বিরোধ চলছিল। একারণে তারা কৌশলে তাকে ফাঁসানোর জন্য তার শ্বশুরকে লুকিয়ে রেখে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

জামাতা হুমায়ুন হাওলাদার বলেন, আমাকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানোর পরে আমি শ্বশুরের অবস্থান জানতে খোঁজ নিতে শুরু করি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করার পর তার অবস্থান জানতে পারি।  আমি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি আমার বিরুদ্ধে মামলার প্রধান স্বাক্ষী তার ছেলে মামুনের কাছে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কাজলার পাড় এলাকায় রয়েছেন তিনি। সেখানে একটি খামারে তিনি চাকরি করছেন।

আমি অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পরেই বিষয়টি বামনা থানায় জানালে বামনা থানা পুলিশ যাত্রাবাড়ীর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

আরো পড়ুন
ধানমণ্ডিতে ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তা করে পুরস্কৃত ৬ জন

ধানমণ্ডিতে ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তা করে পুরস্কৃত ৬ জন

 

বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  মো.হারুন অর রশিদ হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন হুমায়ুনের সঙ্গে তার শালি শিরিনের পারিবারিক কোন্দলের সৃষ্টি  হয়। শিরিন তার বাবা খালেককে সরিয়ে রেখে কোর্টে একটি সিআর গুম মামলা করে। কোর্ট থেকে সরাসরি উদ্ধারের জন্য আমাদের একটি আদেশ দেয়। সেই আদেশের আলোকে আমাদের এসআই উওম কুমার দাস তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঢাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ