ধানমণ্ডিতে ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তা করে পুরস্কৃত ৬ জন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ধানমণ্ডিতে ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তা করে পুরস্কৃত ৬ জন
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ‘অলংকার নিকেতন’ জুয়েলার্সের মালিক এম এ হান্নান আজাদের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থলে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের চারজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করায় চার পুলিশ সদস্য ও ডাকাত ধরতে সহায়তা করায় ছয়জনকে পুরস্কৃত করেছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে তাদের হাতে পুরস্কারের অর্থ তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ধানমন্ডি থানার এএসআই মাসুদ পারভেজ, এএসআই আশরাফুল, কনস্টবল স্বপন মিয়া ও কনস্টেবল রিকন বড়ুয়া।

ডাকাত ধরতে পুলিশকে সহায়তাকারী পুরস্কারপ্রাপ্ত ছয়জন হলেন– ভবনের ড্রাইভার মো. বিজয়, ভবনের নিরাপত্তা কর্মী মো. রিয়াজুল ইসলাম এবং ঐ ভবনে অবস্থিত এসএম সোর্সিং নামক প্রতিষ্ঠানের কর্মী মো. স্বপন ভূঁইয়া, মো.দেলোয়ার হোসেন, মো. সিয়াম ও মো. টনি।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার অপরাধীদের গ্রেপ্তারের পুরস্কার প্রাপ্তদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের এ অনন্য সাহসিকতাপূর্ণ কাজ অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, জনগণের আন্তরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বোচ্চ সফল হওয়া সম্ভব।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার ডাকাত ধরতে সহায়তাকারী ছয়জনকে পুলিশের  অক্সিলিয়ারি ফোর্সে নিয়োগ দেওয়ার ঘোষণা দেন।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ মার্চ) ভোরে ভিকারুন্নেসা স্কুলের ধানমণ্ডি শাখার গলির একটি ছয়তলা ভবনে র‍্যাব পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ভবনটিতে থাকা ‘অলংকার নিকেতন জুয়েলার্স’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বাড়ি, এস এম সোর্সিং অফিস ও কনসালটেন্সি অফিস থেকে ডাকাতরা প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এরপর ডাকাতরা ভবনের মালিক এম এ হান্নানকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে অপহরণের চেষ্টা করে।

ধানমন্ডি থানার একটি টহল টিম ওই বাড়ির সামনে হাজির হয়ে ডাকাতদের হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে। ডাকাতরা এসময় তাদের হাতে থাকা ছেনি ও রেঞ্জ দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে। তাদের হামলায় পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। তখন আশপাশে থাকা লোকজনের সহায়তায় পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সংক্রান্তে ধানমন্ডি থানায় মামলা রুজু করা হয়।
এ ডাকাতির ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে চারজন ও গতকাল হাজারীবাগ থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির সাথে জড়িত আবদুল্লাহ ও সুমনসহ সর্বমোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বংশালে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, ৬ জন দগ্ধ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বংশালে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, ৬ জন দগ্ধ
ফাইল ছবি

রাজধানীর বংশালের বাংলাদেশ মাঠ এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ছয়জন দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ১০টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

দগ্ধরা হলেন- রিমঝিম (১৬), মেহেদী হাসান (২৫), সাগর (২৫), ইকবাল (৩৩), নয়ন (২৯) ও অপূর্ব (১৮)।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বংশাল থেকে দগ্ধ অবস্থায় ৬ জনকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়েছে।

এদের মধ্যে সাগরের শরীরের ১১ শতাংশ, নয়নের সাত শতাংশ, ইকবালের দুই শতাংশ, মেহেদীর শরীরের এক শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, অপূর্বর এক শতাংশ ফেস বার্ন ও রিমঝিমের বার্ন ইনজুরি রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দগ্ধদের মধ্যে সাগরকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত ঢাকা মেডিক্যাল, পরিদর্শনে স্বাস্থ্যের ডিজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত ঢাকা মেডিক্যাল, পরিদর্শনে স্বাস্থ্যের ডিজি
ছবি : কালের কণ্ঠ

ঈদের দিনেও কর্মব্যস্ত ছিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এদিন হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। 

জানা যায়, দেশসেরা এই হাসপাতালে ঈদের দিনেও দুই হাজারের অধিক রোগী ভর্তি রয়েছেন। জরুরি বিভাগের পাশাপাশি অন্তর্বিভাগগুলোও খোলা রয়েছে।

জরুরি অপারেশনও থেমে নেই। ঈদ উপলক্ষে রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। 

এদিকে সোমবার সকালে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। তিনি বিভিন্ন ওয়ার্ডে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন ও পরিবেশিত খাবারসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

পরে এ তথ্য জানান হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান। 

আরো পড়ুন
ভবন থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু, চিরকুট ও ডায়েরিতে রহস্য

ভবন থেকে পড়ে তরুণীর মৃত্যু, চিরকুট ও ডায়েরিতে রহস্য

 

তিনি বলেন, আমরা ঈদের দিনেও রোগীদের পাশে আছি। আমাদের চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা ঈদের দিনে জরুরি বিভাগ এবং অন্তর্বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

হাসপাতালের উপপরিচালক ডাক্তার মো. আশরাফুল আলম বলেন, ‘ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই আমরা হাসপাতালে এসেছি। ঢাকা মেডিক্যাল এদেশের মানুষের কাছে চিকিৎসার শেষ ভরসার জায়গা। স্বাভাবিকের চেয়ে কিছু কমলেও ঈদের দিনেও এখানে দুই হাজারের বেশি রোগী ভর্তি রয়েছেন। রোগীদের জানাতে চাই আমরা সব সময়ই তাদের পাশে আছি। ছুটির দিনেও পরিবার-পরিজন রেখে স্বাস্থ্যসেবার কাজে নিয়োজিত থাকা চিকিৎসক, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই।

হাসপাতাল পরিদর্শনে বাংলাদেশ সোসাইটি অফ মেডিসিনের সদস্য সচিব ডাক্তার জাকারিয়া আল আজিজ এবং হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মাহমুদুর রহমান নোমানসহ আরো অনেকেই উপস্থিত থেকে সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

ঈদ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

সোমবার (৩১ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ লাইনস পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মো. খোদা বখস চৌধুরী ও ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ বাহারুল আলম বিপিএম, ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসিসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার পুলিশ সদস্যদের মেস পরিদর্শন করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

নিজেদের ঈদ আনন্দ বিসর্জন দিয়ে জনগণের ঈদ আনন্দ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যদের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

মন্তব্য

ঈদের ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের ঢাকা অনেকটাই ফাঁকা
সংগৃহীত ছবি

ঈদে ঢাকা ছেড়েছেন বহু মানুষ। গ্রামে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে গেল কয়েক দিন ছিল বাস কাউন্টার, রেল স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনালে উপচে পড়া ভিড়। তবে সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীর সড়কগুলো ছিল অনেকটাই ফাঁকা। চিরাচরিত সেই ব্যস্ততা ও গণপরিবহনের ভিড় ছিল না।

দ্রুতগতির মোটরসাইকেলের চলাচল রয়েছে। যাত্রীদের চাপও দেখা গেছে কম।

দুপুরে ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলও তুলনামূলক কম দেখা গেছে।

মাঝেমধ্যে ছোট পিকআপ ও অটোরিকশায় গানবাজনার মাধ্যমে কিশোরদের ঈদ উদযাপন করতেও দেখা যাচ্ছে।

দুপুর ৩টার দিকে মিরপুর, বনানী, মহাখালী, বিজয়সরণি, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে রাস্তা অনেকটা ফাঁকা দেখা যায়।

ঈদের দিনে ঢাকার ফাঁকা সড়কে বেপরোয়া হয়ে চলতে দেখা গেছে বাইকারদের। দিনভরই বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়াভাবে গতির ঝড় তুলতে দেখা গেছে অনেককে।

তবে সকালের দিকে সড়কে কিছুটা ভিড় দেখা গেছে। ঈদের নামাজের জন্য অনেকেই বের হয়েছিলেন। আবার বিকেলের দিকেও মানুষের ভিড় দেখা যেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ