ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১
কমিউনিটি ক্লিনিক

বেতন বন্ধ ৯ মাস, ঈদ আনন্দ নেই ৫৪ কর্মীর

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
বেতন বন্ধ ৯ মাস, ঈদ আনন্দ নেই ৫৪ কর্মীর
প্রতীকী ছবি

টানা ৯ মাস ধরে বেতনভাতা বন্ধ রয়েছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ৫৪ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডারের (সিএইচসিপি)। ঈদের আগে শেষ কর্মদিবসেও বেতন পাননি তারা। এমন পরিস্থিতিতে স্ত্রী, সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

ফলে ঈদের আনন্দ নেই তাদের পরিবারে।

কবে নাগাদ বেতনভাতা পাবেন সে নিশ্চয়তাও নেই।

জানা গেছে, গ্রামের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দিতে ১৯৯৮ সালে গ্রামে গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। মির্জাপুর উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১৪ ইউনিয়নে ৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১১ সালে এসব ক্লিনিকে ৫৪ জন সিএইচসিপি নিয়োগ দেয় সরকার।

নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে গ্রামের দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও পরামর্শ দিয়ে আসছেন তারা। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার প্রতিষ্ঠান থেকে বেতনভাতা পান তারা। ওই বছরের জুলাই মাস থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের বেতনভাতা বন্ধ থাকে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট্রের আওতায় নেওয়া হলেও বেতনভাতা পাচ্ছেন না সিএইচসিপিরা।

২০১৬ সালের ১৪ জুন কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তিন দফায় মেয়াদ বৃদ্ধি করে সরকার। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়েও কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিদের বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ সুযোগসুবিধা বাড়ানো হয়নি।

এ অবস্থায় সারা দেশে কর্মরত সিএইচসিপিরা তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এর ফলে, চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের আশ্বাসও পান তারা। কিন্তু গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর থেকে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট্রের আওতায় নেওয়া হয় সিএইচসিপিদের।

দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে নয় মাসের বেতন ও ভাতা বকেয়া পড়েছে তাদের।

মহেড়া ইউনিয়নের গবড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মাঞ্জুরুল ইসলাম তালুকদার জানান, তার স্ত্রী ফারহানা আশা পৌর এলাকার কান্ঠালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন। তাদের দুটি শিশু সন্তান রয়েছে। কর্মরত দুুইজনের বেতনভাতা ৯ মাস যাবৎ বন্ধ। দুই শিশু সন্তান ও পরিবার নিয়ে মানবেতন জীবনযাপন করছেন।

বড়দাম কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সামান্য বেতনে সংসার চালাতে এমনিতেই কষ্ট হয়। এরমধ্যে গত ৯ মাস ধরে বেতন বন্ধ থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন পার করছি।’

উপজেলা সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও উপজেলার আজগানা কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপি মো. সুমন সিকদার বলেন, ‘এতদিন ধার-দেনা করে ছেলেমেয়ের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালাতে হয়েছে।’

মির্জাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে (বৃহস্পতিবার) শেষ কর্মদিবসে তাদের সাড়ে তিন মাসের বেতন ও বোনাস পাওয়ার কথা ছিল।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের দিনে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ গেল বীর মুক্তিযোদ্ধার

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদের দিনে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ গেল বীর মুক্তিযোদ্ধার
ফাইল ছবি

নড়াইলের লোহাগড়ায় ঈদের দিনে আকবর হোসেন শেখ (৭৭) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

আজ সোমবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে আকবর হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানান লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান।

নিহত আকবর হোসেন পেশায় সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন। তিনি উপজেলার লাহুড়িয়া পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার বিকাল সোয়া ৪টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে বের হলে পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষরা আকবরকে কুপিয়ে জখম করে।

নিহতের ছেলে সোহেল রানা জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর তার বাবার মৃত্যু হয়।

লোহাগড়া থানার ওসি মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদগাহ ময়দানে সংঘর্ষ, নামাজ না পড়েই ফিরলেন মুসল্লিরা

বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদগাহ ময়দানে সংঘর্ষ, নামাজ না পড়েই ফিরলেন মুসল্লিরা
সংগৃহীত ছবি

বরিশালের বাবুগঞ্জে ঈদের নামাজের সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৯টায় কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতের দিয়া চৌকিদার বাড়ি সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রমজান মাসসহ প্রায় এক বছরের ওপরে মসজিদের ইমামের বেতন না দেওয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। নামাজ শুরু হওয়ার আগে স্থানীয় ইউসুফ মিজান ও বেল্লালের সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।

এ পর্যায়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

সংঘর্ষের জেরে ঈদের নামাজ পরিচালনাকারী ইমাম ঈদগাহ ত্যাগ করলে মুসল্লিরা নামাজ আদায় না করেই বাড়ি ফিরে যান।

এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে, যার ফলে তারা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারেননি। যারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তি দাবি করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আইপিএসের ব্যাটারিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কাতারপ্রবাসীর মৃত্যু

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
আইপিএসের ব্যাটারিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে কাতারপ্রবাসীর মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আইপিএসের ব্যাটারিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বোরহান উদ্দিন (৪০) নামের এক কাতারপ্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার জামালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বোরহান উদ্দিন ওই গ্রামের শেখ আবু বক্কর সিদ্দিক প্রকাশ কেনু মোল্লার ছেলে।

জানা যায়, নিহত বোরহান সোমবার ঈদের নামাজ আদায় করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

এরই মাঝে বসতঘরের আইপিএসের ব্যাটারিতে পানি দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। পরে তাকে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাজীব কুমার দে বলেন, ‘পরিবারের লোকজন সকালে মৃত অবস্থায় বোরহান নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ধারণা করা হচ্ছে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন।

মন্তব্য

বাঁধ ভেঙে ভেসে গেল ৭ গ্রামের ঈদ আনন্দ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
শেয়ার
বাঁধ ভেঙে ভেসে গেল ৭ গ্রামের ঈদ আনন্দ
সংগৃহীত ছবি

সাতক্ষীরার আশাশুনিয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ ভেঙে সাত গ্রামের কয়েক হাজার বিঘা মাছের ঘের ও বোরো ধানের ক্ষেত ভেসে গেছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকালের এই ঘটনায় এলাকাবাসীর ঈদের আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে।

বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওযায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে ভাঙন এলাকায় বিকল্প রিংবাধ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।

সাত ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা না আসায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। 

বিছট গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত মাদরাসার শিক্ষক আব্দুর রশিদ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুস জানান, ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধের বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে গাজীবাড়ী পর্যন্ত ডিপিএম প্রকল্পের আওতায় সংস্কারের কাজ করছিলেন স্থানীয় ঠিকাদার শওকত হোসেন। 

সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ঈদের নামাজ শেষে তারা জানতে পারেন, আব্দুর রহিম সরদারের চিংড়িঘেরের বাসার কাছ থেকে বিছট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দিকে দেড় শত ফুটের মতো বেড়িবাঁধ ভেঙে খোলপেটুয়া নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 
বিষয়টি মসজিদের মাইকে প্রচার করলে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রিংবাঁধ নির্মাণের চেষ্টা চালালেও জোয়ারের পানির তোড়ে তা সম্ভব হয়নি।

বিকেল ৪টার দিকে ভাঙন ২০০ ফুটেরও বেশি ছাড়িয়ে যায়।
 
জোয়োরের পানিতে বিছট, বল্লভপুর, আনুলিয়া, কাকবসিয়া, বাসুদেবপুর,নয়াখালী ও চেঁচুয়া গ্রামে ঢুকে কয়েক হাজার বিঘার চিংড়িঘের ও বোরো ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। সন্ধ্যার আগে বাঁধ সংস্কার সম্ভব না হলে পানি ভাঙনকবলিত বেড়িবাঁধের পার্শ্ববর্তী পিচের রাস্তা পার হয়ে খাজরা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হতে পারে।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন জানান, বেড়িবাঁধ ভাঙনের খবর পেয়ে আশাশুনির সেকশন অফিসারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সেখানে কাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে জিও ব্যাগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নদীতে ভাটা শুরু হলে বাঁধ সংস্কার সম্ভব হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ