জোনাকির পরিবার পেল ঈদ উপহার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, গাজীপুর
শেয়ার
জোনাকির পরিবার পেল ঈদ উপহার
সংগৃহীত ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুরে চার বছর আগে চোখে আলো ফোটা জোনাকি (১৪) নামের এক কিশোরীর পরিবারকে ঈদ উপহার দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে এই উপহার তুলে দেন তিনি। 

জোনাকির চোখে আলো ফুটলেও মুখে হাসি ফুটছে না। জোনাকির চাচা আমির হোসেন, দুই ফুফু হাসিনা আক্তার ও নাসরিন আক্তারও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী।

ফুফাত বোন রুপা ও ভাই মারুফ জন্মান্ধ। একচোখে দেখতে পান না জোনাকির চাচি শিউলী আক্তার। দুঃখের এখানেই শেষ নয়, জোনাকির বাবাও চোখে অনেক কম দেখেন।

আরো পড়ুন
এবার ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ‘কন্যা’

এবার ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষে ‘কন্যা’

জোনাকির পরিবারকে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারাদেশে অসহায়, দুস্থ ও স্বল্প আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুর প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এম মাহফুল হাসান হান্নান, গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল হাসান নয়ন প্রমুখ।

জোনাকিকে নিয়ে কালের কণ্ঠ অনলাইনে ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি ‘জন্মান্ধ জোনাকি/এবার তার দেখা কল্পনায় নয়, মুগ্ধতায়’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সময় এক তরুণ ব্যবসায়ীর উদ্যোগে জোনাকির চোখে কৃত্রিম লেন্স প্রতিস্থাপন করা হলে চোখে আলো ফুটে জোনাকির।

আরো পড়ুন
বেইজিংয়ের কাছে ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা চেয়েছে ঢাকা

বেইজিংয়ের কাছে ৫০ বছরের পানি ব্যবস্থাপনার মহাপরিকল্পনা চেয়েছে ঢাকা

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নাটোরের বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, কার্যালয় ভাঙচুর

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
নাটোরের বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, কার্যালয় ভাঙচুর
সংগৃহীত ছবি

নাটোরে লালপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ আহত হয়েছে। এ সময় চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

সোমবার (৩১ মার্চ) রাত সোয়া ১১টার দিকে উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের আব্দুলপুর কদমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন আব্দুলপুর গ্রামের সেকেন্ডার প্রামাণিকের ছেলে জুলহাস আলী (৫৫), রিপন আলীর ছেলে রাফি (২২), করিম মন্ডলের ছেলে অন্তর (২১), জারেফ আলীর ছেলে শিশির (১৪), হাজ্জাজের ছেলে শুভ্র (৩০) ও আলমগীর (৪৫)।

আরো পড়ুন
ঈদের দিন বাবাকে খোঁজে নৌফা, দেখেনি রাইয়ান

ঈদের দিন বাবাকে খোঁজে নৌফা, দেখেনি রাইয়ান

 

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার ঈদের দিন  বিকালে বাওড়া রেল ব্রিজের লটারি কেনাবেচা নিয়ে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফের আত্মীয় অপর বিএনপি নেতা জুলহাসের আত্মীয়কে মারধর করে। এই ঘটনার জেরে আরিফের সমর্থক শুভ্র, কালামের নেতৃত্বে জুলহাস আলীকে মারধর করে। এসময় দলীয় কার্যালয় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

চংধুপইল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলহাস আলী বলেন, ‘আমাদের অন্যায়ভাবে মারা হয়েছে।

আমরা সুষ্ঠ বিচার চাই।’

আরো পড়ুন
ঈদ অবকাশে ঢাকা

ঈদ অবকাশে ঢাকা

 

উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’

এ বিষয়ে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হককে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি।

মন্তব্য

‘বাজানের ফডো দেইখ্যাই ঈদ কাডাইছি’

আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
আলম ফরাজী, ময়মনসিংহ
শেয়ার
‘বাজানের ফডো দেইখ্যাই ঈদ কাডাইছি’
শহীদ ছেলে জুবাইদের ছবি নিয়ে এভাবে শুয়ে থাকেন মা নাসিমা বেগম। ছবি : কালের কণ্ঠ

‘আমার জুবাইদ প্রত্যেক ঈদো নয়া কাপড় দিতো। অন্য ভাইরারে কইতো ঈদে আম্মারার কাপড়টা আমি দিয়াম। অহন শাড়ি তো আনলো তয় জুরবাইদেরডা নাই। এর লাইগ্যা আমার ঈদও নাই।

এই ফডোই আমারে কয়, আম্মা আমি আইতাছি। কিন্তু ঈদ গেলো আইলো না তো। আমার বাজানের ফডো দেইখ্যা ঈদ কাডাইছি।’

কথাগুলো বলছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ জুবাইদ মিয়ার মা নাসিমা বেগম।

ছেলেকে হারিয়ে এখনো তিনি প্রাগলপ্রায়। দিন-রাত কেটে যায় ছেলের ছবি হাতে নিয়ে। অধিকাংশ সময় থাকেন নিজ ঘরে শুয়ে। ময়মনসিংহের নান্দাইলের চামরুল্লাহ গ্রামের আব্দুল আজিজ কুসুমের ছেলে মো. জুবাইদ মিয়া।

পরিবারের জন্য ১৬ বছর বয়েসেই ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় পারি জমায় জুবাইদ মিয়া। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গোবিন্দপুর বাজারে একটি মনোহরির দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করত সে। মাসে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরি দিয়ে মা-বাবার সংসারে সাহায্য করত জুবাইদ। 

গত বছরের ২০ জুলাই দুপুরে আন্দোলন চলাকালে দোকানের সামনে দিয়ে যায় মিছিল। সেই মিছিলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে পুলিশ।

পরে দোকান বন্ধ করে দৌড় দেয় জুবাইদ। এ সময় গুলিতে ঘটনাস্থলেই শহীদ হয় নাসিমা বেগমের আদরের ধন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে শহীদ জুবাইদের বাড়ি উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের চামরুল্লাহ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সদ্য পাকা করা কবরের দেয়ালের নামফলকে লেখা রয়েছে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে যাত্রাবাড়ী শনির আখরা গোবিন্দপুর বাজারে পুলিশের গুলিতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণকারী শহীদ মো. জুবাইদ ইসলামের সমাধিস্থল।’ এই কবরের পাশে এসে প্রত্যেক সকালে মা-বাবা দোয়া পড়েন। ঈদের দিন অধিকাংশ সময় নাসিমা বেগমের সময় কেটেছে ছেলের কবরের পাশে।

বাবা আব্দুল আজিজ কুসুম বলেন, ‘ছেড়াডা হারাইয়া আমগো সব শেষ হয়ে গেছে। ওর টেহাজা দিয়াই আমগো দুইজনের খরচপাতি চলতো।’

ছোট বোন লাইমা বলে, ‘ভাই তো আমার লাইগ্যা নতুন জামা ও সাজনের জিনিস আইনা দিল না। ঈদের আগেই পাঠাইতো। অহন তো ভাই নাই, হের লাইগ্যা আমার ঈদও নাই।’

মন্তব্য

ঈদের দিন বাবাকে খোঁজে নৌফা, দেখেনি রাইয়ান

শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শাহীন আলম, কুমিল্লা (উত্তর)
শেয়ার
ঈদের দিন বাবাকে খোঁজে নৌফা, দেখেনি রাইয়ান
দেবীদ্বারের শহীদ আবদুর রজ্জাক রুবেলের পরিবার। ছবি : কালের কণ্ঠ

গত ঈদে যে স্বজনরা অপেক্ষা করেছিল তাদের প্রিয়জনের বাড়ি ফেরার, এবার তাদের সেই প্রিয়জন অনেকেই নেই। সেই তালিকায় জন্মের আগেই বাবাহারা মো. রাইয়ান। তার জন্মের দুইমাস আগেই বাবা শহীদ হয়েছেন। সাত বছর বয়সী নৌফাও বাবাহারা।

তারা ভাই-বোন উৎসুক চোখে এখন কেবল বাবাকেই খোঁজে। সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন নিহতের স্ত্রী হ্যাপী আক্তার। সংসারের একমাত্র উপর্জনোক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। 

গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্রআন্দোলন চলাকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভায় আওয়ামীলীগ-যুবলীগ কর্মীদের গুলিতে নিহত হন আবদুর রজ্জাক রুবেল।

 

রুবেলের স্ত্রী হ্যাপী আক্তার বলেন, ‘আমাদের কীসের ঈদ! ৭ বছরের নৌফা বারবার বাবাকে খুঁজে। সে এখনো জানে না তার বাবা নেই। কোলে পাঁচ মাসের মো. রাইয়ান বাবাকে দেখেনি। গত বছর ঈদে সবার জন্য নতুন জামা-কাপড় নিয়ে আসছিল নৌফার বাবা।

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশীদের ঘরে নতুন জামা কাপড় দেখে ঘরে এসে কান্না করছিল। ওর বাবা বেঁচে থাকলে কিনে দিত। পাষণ্ডরা আমার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমাদের জীবনে আর কোনোদিন সেই ঈদের আনন্দ আসবে না। আর ঈদ নেই আমার পরিবারে।

আরো পড়ুন
মন ভালো নেই জুলাই শহীদ সাকিব পরিবারের

মন ভালো নেই জুলাই শহীদ সাকিব পরিবারের

 

সবার ঘরেই বইছে ঈদুল ফিতরের আমেজ। কিন্তু কুমিল্লায় জুলাই আন্দোলনে শহীদ হওয়া ৩৮ শহীদ পরিবারে নেই ঈদ আনন্দের ছিঁটেফোটা। গত বছরও যে পরিবারগুলোতে ঈদের আনন্দ ছিল আজ তা শুধুই স্মৃতি। তাদের পরিবারে এবারের ঈদ যেন বিষাদের ঈদ। এসব শহীদদের অনেকেই ছিলেন সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের হারিয়ে দিশেহারা পরিবারগুলো। তাদের কেউ হারিয়েছেন বাবা, কেউবা সন্তান কেউ আবার স্বামী। জুলাই ছাত্র আন্দোলনে কুমিল্লা জেলায় ৩৮ শহীদের মধ্যে দেবিদ্বারেই শহীদ হয়েছেন ১৩ জন।

এছাড়াও বরুড়ায় ৩ জন, চান্দিনায় ২ জন, চৌদ্দগ্রামে ২ জন, দাউদকান্দিতে ৩ জন, হোমনায় ১ জন, লাকসাম ২ জন, মনোহরগঞ্জে ১ জন, মুরাদনগরে ৪ জন, নাঙ্গলকোটে ৩ জন, সদর দক্ষিণে ২ জন ও তিতাসে ১ জন শহীদ হয়েছেন।

বাড়ির পাশের একটি কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে ২০ জুলাই নিহত দেবিদ্বারের সূর্যপুর গ্রামের শহীদ কাদির হোসেন সোহাগকে। কবরের পাশে প্রায় সময়ই দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করেন তার মা নাসিমা বেগম। কাদির হোসেন সোহাগের বাড়ি সূর্যপুর গ্রামে। 

তার মা নাসিমা বেগম বলেন, ‘স্বামীকে হারিয়েছি ২০ বছর আগে। মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে দুই সন্তানকে বড় করেছি। কাদির হোসেন সোহাগ কুরিয়ার সার্ভিসের ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করে সংসার চালাত। আর ছোট ছেলে শহীদুল লেখাপড়া করত। গত ২০ জুলাই রাতে সাড়ে ৮টার দিকে গোপীবাগ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সোহাগ। এরপর থেকে সংসারে আনন্দ বলতে কিছু নেই। গত বছর ঈদে আমাকে কাপড় কিনে দিয়েছে সোহাগ। এই ঈদে আমার বুকের ধন কাছে নেই। আমি কীভাবে সন্তান ছাড়া ঈদ করব!’

চৌদ্দগ্রামের শহীদ সাখাওয়াত হোসেন সাদাতের বাবা আব্দুল মজিদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ছেলে হারানোর শোকে পুরো পরিবার স্তব্ধ। ঈদ বলতে কিছু নেই। সাদাতের মা এখনো ছেলের জন্য কান্নাকাটি করেন। তাকে সান্তনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, ‘কুমিল্লার ৩৮ শহীদ পরিবারের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ঈদ উপহার ও খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও সরকারি অনুদানের সঞ্চয়পত্র প্রথম কিস্তির ১০ লাখ টাকা এসেছে। আমি নিজে এগুলো বিতরণ করেছি এবং যারা আহত আছেন তাদের জন্য ১ ক্যাটাগরিতে ২ লাখ ও ১ লাখ করে বিতরণ করা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘যারা জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত হয়েছেন আমরা তাদের পরিবারের সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছি।’

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঘটেছে দেশের ইতিহাসে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পটপরিবর্তন। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান, ৩০ দিনের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের পর অবসান হয় শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন। 

মন্তব্য

ঈদের পর সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল

নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারী প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদের পর সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল
ছবি: কালের কণ্ঠ

নীলফামারীতে জন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও ঈদের পরেও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ টহল ও চেকপোষ্ট কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১লা এপ্রিল) জেলা সদরের উত্তরা ইপিজেড, পাঁচমাথা মোড়, সৈয়দপুর বাসটার্মিনাল, শুটকির মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 

এ সময় বিভিন্ন যানবাহনে সন্দেহভাজন ব্যক্তি, হেলমেট ও লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেল আরোহী, নছিমন, ভটভটি, প্রাইভেট কার ও বাসে তল্লাসী চালায় যৌথবাহিনী। 

সেনাবাহিনীর নীলফামারী ক্যম্পের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার ওমর ফারুক এবং সৈয়দপুরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার মোস্তফা মজুমদারের নেতৃত্বে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

অভিযানে নীলফামারী ইপিজেড পয়েন্টে পুলিশের উপপরিদর্শক প্রশান্ত রায় ও সৈয়দপুর পয়েন্টে উপপরিদর্শক সুজন অংশগ্রহন করেন।

সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফাহিম এহসান জানান, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সাধারণ জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছে। যৌথ বাহিনীর চেকপোস্ট পরিচালনার মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। যাতে মানুষ নিরাপদে চলাফেরা করতে পারে।

তিনি জানান, গত ২মার্চ থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত সদর ও সৈয়দপুর উপজেলায় ২৫২টি মামলায় আট লাখ ৩৬ হাজার ৫ শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারী সদরে ১৪২ টি মামলায় চার লাখ ৭০ হাজার ৬০০ টাকা এবং সৈয়দপুরে ১১০টি মামলায় তিন লাখ ৬৫ হাজার ৯শ টাকা। 

তিনি আরো জানান, এ কার্যক্রমের ফলে জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

চেকপোস্টের মাধ্যমে লাইসেন্স ও হেলমেট বিহীন মোটরসাইকেল আরোহী এবং কার মাইত্রোবাসে অধিক যাত্রী পরিবহনে সতর্ক করা হয়েছে। এছাড়াও বাস, প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাসী হচ্ছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ