যে ভয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন যুবক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যে ভয়ে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন যুবক
সংগৃহীত ছবি

ভারতের উত্তরপ্রদেশের মিরাটে সাবেক মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী মুসকান রাস্তোগী এবং স্ত্রীর প্রেমিক সাহিল শুক্লার বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা দেখে ‘শিক্ষা’ নিয়েছেন ওই রাজ্যেরই আর এক যুবক বাবলু। তিনি স্ত্রীর পরকীয়ার কথা জানতে পেরে প্রেমিকের সঙ্গেই তার বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। 

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, গ্রামের মন্দিরে স্ত্রীর বিয়ের সময়ে নিজে দাঁড়িয়ে থেকেছেন।

আবার আইনি বিয়েতেও নিজে সাক্ষী হিসাবে সই করেছেন। গ্রামের লোকজনকে এই বিয়ের বিষয়ে রাজিও করিয়েছেন বাবলু। স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার বিষয়ে কোনো ঝগড়া করেননি তিনি।

২০১৭ সালে গোরক্ষপুরের রাধিকার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বাবলুর।

তিনি পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। ফলে বাড়িতে থাকতেন না। তার দুই সন্তান রয়েছে। কিছু দিন আগে তিনি জানতে পারেন, বিকাশ নামের এক যুবকের সঙ্গে তার স্ত্রী বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
কাউকে না জানিয়েই গ্রামে ফিরে এসেছিলেন যুবক। গোপনে স্ত্রীর উপর নজর রাখতেন তিনি। তার পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পর যুবক গ্রামবাসীদের জানান, তিনি বিকাশের সঙ্গেই তার স্ত্রীর বিয়ে দিতে চান। দুই সন্তানকে তিনি একাই বড় করে তুলবেন।

এরপর গ্রামের শিবমন্দিরে স্ত্রীকে নিয়ে যান যুবক।

প্রেমিকের সঙ্গে চার হাত এক করে দেন। নিজে দাঁড়িয়ে তাদের মালাবদল দেখেন। নবদম্পতির সঙ্গে ছবিও তোলেন। 

কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন? সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে যুবক বলেছেন, ‘নিজের ক্ষতি যাতে না হয়, তার জন্যই ওদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকাল চারপাশে দেখছি, স্বামীদের খুন করে ফেলছেন স্ত্রীরা। মিরাটে যা হলো কিছু দিন আগে, তা দেখার পরেই আমি ঠিক করেছিলাম, স্ত্রীর সঙ্গে ওর প্রেমিকের বিয়ে দিয়ে দেব। যাতে আমরা দু’জনেই ভাল থাকতে পারি।’

আরো পড়ুন
আজ সারা দেশে খোলা আছে যে ৪ ব্যাংক

আজ সারা দেশে খোলা আছে যে ৪ ব্যাংক

 

মিরাটে সৌরভকে খুন করে তার লাশ ১৫ টুকরো করে কেটেছিলেন মুসকান এবং সাহিল। সেই দেহাংশ ড্রামে ভরে তারা সিমেন্ট ঢেলে দিয়েছিলেন। পরে নিজেরা ঘুরতে চলে গিয়েছিলেন শিমলায়। সেখান থেকে ফেরার পর পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। আপাতত দু’জনেই জেলে। সৌরভকে খুনের কথা তারা স্বীকার করেছেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের মধ্যেও ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত, নিহত ৮০ ফিলিস্তিনি
সংগৃহীত ছবি

ঈদুল ফিতরের মধ্যেও গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। গত দুই দিনে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৮০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩০৫ জন। সোমবার (৩১ মার্চ) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর থেকে গাজায় ১,০০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা ৫০ হাজার ৩৫০ ছাড়িয়ে গেছে।

খবরে বলা হয়, ঈদুল ফিতরের প্রথম দিন ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন এবং ১৮৯ জন আহত হন। টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ যুদ্ধবিরতি ভেঙে শুরু করা ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ১,০০১ জনে পৌঁছেছে এবং ২,৩৫৯ জন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চালানো ইসরাইলের হামলায় নিহত ৫০ হাজার ৩৫৭ ফিলিস্তিনি এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে। 

আরো পড়ুন
তৃতীয় মেয়াদেও কি প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প, সংবিধানে কী আছে

তৃতীয় মেয়াদেও কি প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প, সংবিধানে কী আছে

 

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ইসরায়েল। তারপর প্রায় দু’মাস গাজায় কম-বেশি শান্তি বজায় ছিল; কিন্তু গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্নে হামাসের মতানৈক্যকে কেন্দ্র করে চলতি মাসের তৃতীয় গত সপ্তাহ থেকে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

মন্তব্য

তৃতীয় মেয়াদেও কি প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প, সংবিধানে কী আছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
তৃতীয় মেয়াদেও কি প্রেসিডেন্ট হতে চান ট্রাম্প, সংবিধানে কী আছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি তৃতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে রসিকতা করছেন না। তবে এ বিষয়ে এখনো চিন্তা করার সময় আসেনি। 

এনবিসি নিউজকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন এবং এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘না, আমি মজা করছি না।

আমি মজা করছি না; কিন্তু এটা নিয়ে ভাবার এখনই সময় নয়।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থিতার বিষয়ে বলেন, ‘এমন কিছু পদ্ধতি আছে, যার মাধ্যমে আপনি এটি করতে পারেন।’ তবে নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে অস্বীকৃতি জানান তিনি।

মার্কিন সংবিধানের ২২তম সংশোধনী অনুসারে, একজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট টানা বা বিরতি দিয়ে চার বছর করে দুই মেয়াদের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নজিরবিহীনভাবে চার দফায় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট। তার পর ১৯৫১ সালে সে দেশের সংবিধানে ২২তম সংশোধনী এনে বলা হয়, কোনো ব্যক্তি দুই দফার বেশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকতে পারবেন না। সেই অঙ্ক মাথায় রাখলে জো বাইডেনকে হারিয়ে দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করা ট্রাম্পের এটাই প্রেসিডেন্ট হিসাবে শেষ মেয়াদ। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতা নিরঙ্কুশভাবে যাতে কোনো একজন ব্যক্তির হাতে কুক্ষিগত না-হয়, মূলত এই কারণেই এই সাংবিধানিক বদল ঘটানো হয়।

তবে মার্কিন মুলুকেও আরো অনেক মুলুকের মতো আইন যেমন আছে, তেমনই তার ফাঁকও রয়েছে। আমেরিকার মাত্র নয়জন প্রেসিডেন্ট ভোটে নির্বাচিত না হয়েই হোয়াইট হাউসের বাসিন্দা হয়েছিলেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্টদের মৃত্যু কিংবা অসুস্থতাজনিত কারণে ওই নয়জন মার্কিন প্রশাসনের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছিলেন। 

২২তম সংবিধান সংশোধনী আমেরিকার কোনো ব্যক্তিকে তৃতীয় দফায় প্রেসিডেন্ট হতে দেয় না ঠিকই, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ভাইস প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন কি না, সেই বিষয়েও স্পষ্ট করে কিছু বলে না। আর ধোঁয়াশা সেখানেই।

পরিস্থিতি এমন হলেও হতে পারে যে, ২০২৮ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবার একটি সাক্ষাৎকারে এমন একটি সম্ভাবনার কথা উস্কে দিয়েছেন সঞ্চালিকা নিজেই। 

আরো পড়ুন
স্কুলের ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন মা-বাবারা

স্কুলের ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন মা-বাবারা

 

ট্রাম্প এই সম্ভাবনার কথা শুনে বলেন, ‘ভাল। এটা একটা (উপায়)। কিন্তু আরো আছে।’ তবে কোনো পরিকল্পনার কথা প্রকাশ্যে আনেননি তিনি। তবে ট্রাম্প-ভ্যান্স জুটি নিজেদের ভূমিকা বদল করবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট।

আর সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পেলে ভ্যান্সের ডেপুটি হতেই পারেন ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে কোনো কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দিতে পারেন ভ্যান্স। এই সম্ভাবনায় অবশ্য অনেক ‘যদি-তবে’ রয়েছে। তবে এটাও স্পষ্ট যে, সাংবিধানিক আইনের ফাঁককে নিজের অনুকূলে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন ট্রাম্প। সে ক্ষেত্রে ভোটে জিতে সাংবিধানিক ‘বাঁকা’ পথেই হোয়াইট হাউসে ঢুকবেন তিনি।

গত জানুয়ারি মাসে ট্রাম্প উপস্থিত জনতার উদ্দেশে প্রশ্ন রেখেছিলেন যে, তিনি ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ভোটে লড়তে পারেন কি না। মার্চ মাসের গোড়ায় মার্কিন প্রশাসনের প্রথম সারির কর্তাব্যক্তিদের সামনেও নিজের এই ইচ্ছার কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন ট্রাম্প। 

তবে তৃতীয় মেয়াদে নির্বাচন করতে চাওয়ার সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের করা এমন মন্তব্যে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পার্টি ও তার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টি থেকে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে।

মন্তব্য

ভারতে পটকা বানানোর সময় বিস্ফোরণ, চার শিশুসহ নিহত ৭

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতে পটকা বানানোর সময় বিস্ফোরণ, চার শিশুসহ নিহত ৭
সংগৃহীত ছবি

ভারতের দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমা এলাকায় পটকা বানানোর সময় বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে চার শিশু রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন একজন।

সোমবার পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাট থানার রায়পুরের তৃতীয় ঘেরি এলাকার বণিক পরিবারে এই ঘটনা ঘটে।

বংশ পরম্পরায় দীর্ঘ দিন ধরেই পটকা বানাত ওই বণিক পরিবার। পটকা তৈরির লাইসেন্সও তাদের। 

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তাদের পরিবারে মোট ১১ জন সদস্য। চন্দ্রকান্ত বণিক এবং তুষার বণিক দুই ভাই।

সোমবার এই দুর্ঘটনায় তাদের বাবা অরবিন্দ বণিক (৬৫), দাদী প্রভাবতী বণিক (৮০) , চন্দ্রকান্তের স্ত্রী সান্ত্বনা বণিক (২৮), দুই সন্তান অর্ণব বণিক (৯) ও অস্মিতা বণিক (৮ মাস) এবং তুষারের দুই সন্তান আনুষ্কা বণিক (৬ মাস) এবং অঙ্কিত বণিক (৬ মাস) মারা গেছেন। তুষারের স্ত্রী আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। তিন জন বাড়ির বাইরে ছিলেন। 

আরো পড়ুন
গণ-অভ্যুত্থানে নিহত সুমাইয়ার পরিবারের খোঁজ নিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ

গণ-অভ্যুত্থানে নিহত সুমাইয়ার পরিবারের খোঁজ নিলেন উপদেষ্টা মাহফুজ

 

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আচমকা বিকট শব্দ শোনা যায়।

তার কিছুক্ষণ পর স্থানীয়েরা দেখতে পান আগুনের ধোয়া। পরে আগুন নেভানোর সময় আবার কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটে। বাড়িতেই পটকা মজুত ছিল। সেখান থেকে এই অগ্নিকাণ্ড। গ্যাস সিলিন্ডার ছিল সেটিও বিস্ফোরণ হয়।
 
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

মায়ানমারে স্কুলের ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন মা-বাবারা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মায়ানমারে স্কুলের ধ্বংসস্তূপে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন মা-বাবারা
সংগৃহীত ছবি

মায়ানমারের ভূমিকম্পে বিধস্ত একটি প্রাক প্রাথমিক স্কুলের সামনে দাঁড়িয়ে সন্তানদের নাম ধরে ডাকছেন অসহায় মা বাবারা। মান্দালয় থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে কিয়ুকসে শহরে অবস্থিত এই স্কুলটি ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাচ্চাদের গোলাপী-নীল-কমলা রঙের স্কুলব্যাগগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে বিধ্বস্ত ভবনটির নিচে। চূর্ণ-বিচূর্ণ ইটের সঙ্গে মিশে গেছে ভাঙা চেয়ার, টেবিল।

পাশেই স্পাইডারম্যান খেলনা আর অক্ষর সাজানোর বর্ণমালাগুলো। প্রায় ১৫টি শিশুর স্কুলব্যাগ ধ্বংসস্তূপের নিচে ছিন্নভিন্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। 

এরই মাঝে ছোট সন্তানদের খুঁজছেন, নাম ধরে ডাকছেন অসহায় বাবা-মায়েরা। কাঁদতে কাঁদতে রাত পর্যন্ত সন্তানদের নাম ধরে ডাকতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, পুরো শহরের লোকজন উদ্ধার কাজে সাহায্য করতে এসেছিল এই স্কুলে। শুক্রবার বেশ কয়েকটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় সেখান থেকে। তারা বলছেন, ওই দিন স্কুলে দুই থেকে সাত বছর বয়সী প্রায় ৭০ জন শিশু আনন্দের সঙ্গে পড়াশোনা করছিল। কিন্তু এখন ইট, সিমেন্ট ও লোহার রডের স্তূপ ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে ১২ জন শিশু ও একজন শিক্ষক মারা গেছেন। তবে স্থানীয়দের বিশ্বাস- সংখ্যাটি কমপক্ষে ৪০ জন হবে।   

৭১ বছর বয়সী কিউয়ে নাইইন স্কুলটির ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। পাঁচ বছর বয়সী নাতনি থেট হটার সানের শেষকৃত্যের প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পরিবার। 

আরো পড়ুন
যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে কিশোর খুন

যশোরে ঈদের রাতে পটকা ফোটানো নিয়ে সংঘর্ষে কিশোর খুন

 

তিনি জানান, ভয়াবহ ভূমিকম্প শুরু হওয়ার সময় সানের মা দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন।

তিনি দৌড়ে স্কুলে যান, কিন্তু ভবনটি সম্পূর্ণরূপে ধসে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর ছোট্ট শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঘটনার ভয়াবহতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত, আমরা আমাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ অক্ষত অবস্থায় পেয়েছি, মানে এক টুকরো অবস্থায়।’
 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ